ইজাজুল হক
ইসলামের আগে-পরে
পবিত্র কাবাঘরকে কেন্দ্র করেই মক্কায় মানব বসতি গড়ে উঠেছিল। হজের প্রচলন শুরু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত এখানে যাঁরাই বাস করেছেন, সবাই হাজিদের আদর-আপ্যায়ন ও মেহমানদারিকে বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রথম দিকে তো মক্কার ঘরগুলোতে কোনো দরজাই ছিল না। হাজিদের ‘আহলান সাহলান’ অভিবাদনে স্বাগত জানাতে সব সময় প্রস্তুত থাকতেন তাঁরা।
হজযাত্রীদের সেবায় মক্কায় বসবাসরত গোত্রগুলো নিজেদের দায়িত্ব ভাগ করে নিত। হাজিদের নিরাপত্তা, খাদ্য পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের সব ব্যবস্থাই করতেন তাঁরা। বনি শায়বা কাবাঘরের চাবি সংরক্ষণ করত। বনি হাশিম পানি সরবরাহের দায়িত্ব পালন করত। কোরাইশ নেতা কুসাই ইবনে কিলাবই প্রথম হাজিদের খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলেন।
মহানবী (সা.)-এর জন্মের আগে কোনো এক বছর তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালিব হাজিদের খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে ছিলেন। সেবার মক্কায় কঠিন খরা ও দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তিনি স্বপ্নে দেখলেন, ইসমাইল (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত হারিয়ে যাওয়া জমজম কূপটি তিনি খুঁজে পেয়েছেন। সত্যিই তিনি কূপটি খুঁজে পেলেন এবং মক্কায় পানির সরবরাহ স্বাভাবিক হলো এবং হাজিরা খরার বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন। এখনো পবিত্র কাবাঘরের আশপাশে জমজমই পানির প্রধান উৎস।
আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ার পর হজযাত্রীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকে। প্রথম দিকে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ মক্কায় এসে বসতি স্থাপন করতে থাকে। সময়ের সঙ্গে তা বেড়েই চলেছে। মক্কার ঘরগুলোতে শুরুর দিকে বিনা মূল্যে হাজিদের থাকার ব্যবস্থা ছিল। পরে ভাড়া দিয়ে থাকার ব্যবস্থাও চালু ছিল কিছুদিন।
হাজিদের সেবায় মুসলিম শাসকেরা
হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে বন্যার আঘাতে কাবাঘরসহ অন্যান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তিনি সব স্থাপনা মেরামত করে দেন। হাজিদের থাকার ঘরগুলোতে দরজা ও বাতি লাগিয়ে দেন। হজরত ওসমান (রা.) হাজিদের সুবিধা বিবেচনায় মসজিদুল হারামের আঙিনা প্রশস্ত করেছিলেন। হাজ্জাজের আক্রমণে কাবাঘর ভেঙে গেলে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.) পুনরায় তা নির্মাণ করেছিলেন। উমাইয়া আমলে হাজিদের সেবায় সরকারিভাবে সেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আব্বাসি ও উসমানি আমলেও পবিত্র মসজিদুল হারামের ব্যাপক সম্প্রসারণ, সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হয়।
আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী জোবাইদা ৭৮০ সালে হাজিদের জন্য ইরাকের কুফা থেকে মক্কা পর্যন্ত ৯০০ মাইলের একটি দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ করেছিলেন। পথে পথে ৫৪টি সরাইখানা এবং অসংখ্য ব্রিজ ও মসজিদ নির্মাণ করেন। এই সড়কের পাশেই আইনে জুবাইদা নামের কিছু কূপ খনন করেছিলেন তিনি, যা হজযাত্রীদের প্রশান্তির কারণ ছিল। কূপগুলোর ধ্বংসাবশেষ এখনো দেখা যায়।
সেকালে মুসলিম বিশ্বের হজযাত্রীরা দামেস্ক, কায়রো ও বাগদাদে জড়ো হতেন। সেখান থেকে খলিফার একজন প্রতিনিধি আমিরুল হজের নেতৃত্বে মক্কার উদ্দেশে রওনা করতেন। কাফেলার সুরক্ষা ও হাজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মক্কায় সুলতানের প্রতিনিধিত্ব করাই ছিল আমিরুল হজের প্রধান কাজ। উসমানি আমলের শেষ সময় পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। এখনো প্রতিটি মুসলিম দেশ হজযাত্রা নিরাপদ করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
মালির ধনী শাসক মানসা মুসা ১৩২৪ সালে ৬০ হাজার লোক নিয়ে হজ করেছিলেন। বিপুল পরিমাণে স্বর্ণ নিয়ে তিনি আফ্রিকা পাড়ি দিয়ে মিসর হয়ে মক্কায় এসেছিলেন। তিনি মক্কা ও কায়রোয় এত পরিমাণ স্বর্ণ বিলিয়েছিলেন যে সেখানে স্বর্ণের দাম একেবারেই কমে গিয়েছিল।
ভারতের ভূপাল রাজ্যের রানি সিকান্দর বেগম ১৮৬৪ সালে হজ করেছিলেন। তিনিও পথে পথে অনেক দান-সদকা করেছিলেন। মক্কা-মদিনায় তিনি বেশ কিছু জমি কিনেছিলেন এবং সেখানে তাঁর দেশ থেকে যাওয়া হজযাত্রীদের বিনা মূল্যে তা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন। ভারতের তৎকালীন অন্যান্য রাজ্যের শাসকেরাও তাঁর এই নীতি অনুসরণ করেছিলেন।
একালের সেবা ও আতিথেয়তা
বর্তমানেও হাজিদের সেবা ও আতিথেয়তায় কোনো ধরনের কমতি রাখা হয় না। ৩০-৪০ লাখ হাজির জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়। উন্নতমানের খাবার-দাবার, সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা, শপিং মল, হোটেল ও প্রযুক্তিগত সব সুবিধা হাজিদের সরবরাহ করা হয়।
তবে একালে হজের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ফলে মক্কা-মদিনায় হাজিদের অবস্থানের জন্য অনেক বেশি ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের হজ করতে ইচ্ছুক অনেকের অভিযোগ, হাজিদের নিয়ে বাণিজ্যিক চিন্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের আকাঙ্ক্ষার কারণেই হজের খরচ বেড়েছে। এভাবে বাণিজ্যিকীকরণের কারণে হজের ধর্মীয় মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং আরবদের হাজার বছরের আতিথেয়তা ও সেবার ঐতিহ্য ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
হজকে ঘিরে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের আকাঙ্ক্ষা কোনোভাবেই ইসলাম সমর্থন করে না। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কাজের সওয়াব নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। মানুষ নিয়ত অনুযায়ীই ফল পাবে। যার হিজরত পার্থিব লাভ বা কোনো নারীকে বিয়ের জন্য হবে, সে যে উদ্দেশ্যে হিজরত করেছে, তা-ই সে পাবে।’ (বুখারি: ০১)
ইসলামের আগে-পরে
পবিত্র কাবাঘরকে কেন্দ্র করেই মক্কায় মানব বসতি গড়ে উঠেছিল। হজের প্রচলন শুরু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত এখানে যাঁরাই বাস করেছেন, সবাই হাজিদের আদর-আপ্যায়ন ও মেহমানদারিকে বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রথম দিকে তো মক্কার ঘরগুলোতে কোনো দরজাই ছিল না। হাজিদের ‘আহলান সাহলান’ অভিবাদনে স্বাগত জানাতে সব সময় প্রস্তুত থাকতেন তাঁরা।
হজযাত্রীদের সেবায় মক্কায় বসবাসরত গোত্রগুলো নিজেদের দায়িত্ব ভাগ করে নিত। হাজিদের নিরাপত্তা, খাদ্য পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের সব ব্যবস্থাই করতেন তাঁরা। বনি শায়বা কাবাঘরের চাবি সংরক্ষণ করত। বনি হাশিম পানি সরবরাহের দায়িত্ব পালন করত। কোরাইশ নেতা কুসাই ইবনে কিলাবই প্রথম হাজিদের খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলেন।
মহানবী (সা.)-এর জন্মের আগে কোনো এক বছর তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালিব হাজিদের খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে ছিলেন। সেবার মক্কায় কঠিন খরা ও দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তিনি স্বপ্নে দেখলেন, ইসমাইল (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত হারিয়ে যাওয়া জমজম কূপটি তিনি খুঁজে পেয়েছেন। সত্যিই তিনি কূপটি খুঁজে পেলেন এবং মক্কায় পানির সরবরাহ স্বাভাবিক হলো এবং হাজিরা খরার বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন। এখনো পবিত্র কাবাঘরের আশপাশে জমজমই পানির প্রধান উৎস।
আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ার পর হজযাত্রীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকে। প্রথম দিকে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ মক্কায় এসে বসতি স্থাপন করতে থাকে। সময়ের সঙ্গে তা বেড়েই চলেছে। মক্কার ঘরগুলোতে শুরুর দিকে বিনা মূল্যে হাজিদের থাকার ব্যবস্থা ছিল। পরে ভাড়া দিয়ে থাকার ব্যবস্থাও চালু ছিল কিছুদিন।
হাজিদের সেবায় মুসলিম শাসকেরা
হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে বন্যার আঘাতে কাবাঘরসহ অন্যান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তিনি সব স্থাপনা মেরামত করে দেন। হাজিদের থাকার ঘরগুলোতে দরজা ও বাতি লাগিয়ে দেন। হজরত ওসমান (রা.) হাজিদের সুবিধা বিবেচনায় মসজিদুল হারামের আঙিনা প্রশস্ত করেছিলেন। হাজ্জাজের আক্রমণে কাবাঘর ভেঙে গেলে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.) পুনরায় তা নির্মাণ করেছিলেন। উমাইয়া আমলে হাজিদের সেবায় সরকারিভাবে সেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আব্বাসি ও উসমানি আমলেও পবিত্র মসজিদুল হারামের ব্যাপক সম্প্রসারণ, সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হয়।
আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী জোবাইদা ৭৮০ সালে হাজিদের জন্য ইরাকের কুফা থেকে মক্কা পর্যন্ত ৯০০ মাইলের একটি দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ করেছিলেন। পথে পথে ৫৪টি সরাইখানা এবং অসংখ্য ব্রিজ ও মসজিদ নির্মাণ করেন। এই সড়কের পাশেই আইনে জুবাইদা নামের কিছু কূপ খনন করেছিলেন তিনি, যা হজযাত্রীদের প্রশান্তির কারণ ছিল। কূপগুলোর ধ্বংসাবশেষ এখনো দেখা যায়।
সেকালে মুসলিম বিশ্বের হজযাত্রীরা দামেস্ক, কায়রো ও বাগদাদে জড়ো হতেন। সেখান থেকে খলিফার একজন প্রতিনিধি আমিরুল হজের নেতৃত্বে মক্কার উদ্দেশে রওনা করতেন। কাফেলার সুরক্ষা ও হাজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মক্কায় সুলতানের প্রতিনিধিত্ব করাই ছিল আমিরুল হজের প্রধান কাজ। উসমানি আমলের শেষ সময় পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল। এখনো প্রতিটি মুসলিম দেশ হজযাত্রা নিরাপদ করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
মালির ধনী শাসক মানসা মুসা ১৩২৪ সালে ৬০ হাজার লোক নিয়ে হজ করেছিলেন। বিপুল পরিমাণে স্বর্ণ নিয়ে তিনি আফ্রিকা পাড়ি দিয়ে মিসর হয়ে মক্কায় এসেছিলেন। তিনি মক্কা ও কায়রোয় এত পরিমাণ স্বর্ণ বিলিয়েছিলেন যে সেখানে স্বর্ণের দাম একেবারেই কমে গিয়েছিল।
ভারতের ভূপাল রাজ্যের রানি সিকান্দর বেগম ১৮৬৪ সালে হজ করেছিলেন। তিনিও পথে পথে অনেক দান-সদকা করেছিলেন। মক্কা-মদিনায় তিনি বেশ কিছু জমি কিনেছিলেন এবং সেখানে তাঁর দেশ থেকে যাওয়া হজযাত্রীদের বিনা মূল্যে তা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন। ভারতের তৎকালীন অন্যান্য রাজ্যের শাসকেরাও তাঁর এই নীতি অনুসরণ করেছিলেন।
একালের সেবা ও আতিথেয়তা
বর্তমানেও হাজিদের সেবা ও আতিথেয়তায় কোনো ধরনের কমতি রাখা হয় না। ৩০-৪০ লাখ হাজির জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়। উন্নতমানের খাবার-দাবার, সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা, শপিং মল, হোটেল ও প্রযুক্তিগত সব সুবিধা হাজিদের সরবরাহ করা হয়।
তবে একালে হজের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ফলে মক্কা-মদিনায় হাজিদের অবস্থানের জন্য অনেক বেশি ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের হজ করতে ইচ্ছুক অনেকের অভিযোগ, হাজিদের নিয়ে বাণিজ্যিক চিন্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের আকাঙ্ক্ষার কারণেই হজের খরচ বেড়েছে। এভাবে বাণিজ্যিকীকরণের কারণে হজের ধর্মীয় মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং আরবদের হাজার বছরের আতিথেয়তা ও সেবার ঐতিহ্য ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
হজকে ঘিরে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভের আকাঙ্ক্ষা কোনোভাবেই ইসলাম সমর্থন করে না। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কাজের সওয়াব নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। মানুষ নিয়ত অনুযায়ীই ফল পাবে। যার হিজরত পার্থিব লাভ বা কোনো নারীকে বিয়ের জন্য হবে, সে যে উদ্দেশ্যে হিজরত করেছে, তা-ই সে পাবে।’ (বুখারি: ০১)
সন্ধ্যাবেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে। মহানবী (সা.) সাহাবিদের এসব আমল করার উপদেশ দিতেন। এখানে কয়েকটি আমলের
৩ ঘণ্টা আগেইবাদতের নিয়তে করা সব কাজই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। আর নেক আমল মানুষের জীবনের প্রকৃত সম্পদ। এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে জান্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই জান্নাতের অধিকারী, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা বাকারা: ৮২)
১ দিন আগেভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
২ দিন আগে