দুপুরের ভাতঘুম নবীজির সুন্নত

মুফতি খালিদ কাসেমি
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩, ০৮: ২১

আরবি কায়লুলা শব্দের অর্থ দিবানিদ্রা, ভাতঘুম। দুপুরের খাবার গ্রহণ করার পর কিছুক্ষণ শোয়াকে কায়লুলা বলা হয়; ঘুম আসুক বা না আসুক। (উমদাতুল কারি)  কায়লুলা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। সাহাবিরাও এই সুন্নত পালন করতেন। এর জন্য শুধু শোয়া যথেষ্ট; ঘুমানো আবশ্যক নয়।

দুপুরের খাবার গ্রহণ করার পর কিছুক্ষণ বিশ্রামের রয়েছে অনেক উপকারিতা। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক সতেজ হয়। মানসিক চাপ কমে। দীর্ঘসময় ধরে মস্তিষ্ক কর্মোদ্যম থাকে। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এক হাদিসে মহানবী (সা.) কায়লুলার উপকারিতা এভাবে বর্ণনা করে বলেছেন, ‘তোমরা সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে দিনে রোজা রাখার জন্য এবং দিনে বিশ্রামের মাধ্যমে রাতে নামাজ পড়ার জন্য সামর্থ্য অর্জন করো।’ (ইবনে মাজাহ) সাহাবিরা সাধারণত শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিনে জোহরের নামাজের আগে খাবার গ্রহণ করে কায়লুলা করতেন। তবে শুক্রবারের ব্যাপারে বিভিন্ন বর্ণনায় পাওয়া যায়। সেদিন তাঁরা জুমার নামাজের পর খাবার গ্রহণ করতেন; এরপর কায়লুলা করতেন।

হজরত সাহল (রা.) বর্ণনা করেন, ‘জুমার নামাজের পরই আমরা কায়লুলা করতাম এবং দুপুরের খাবার গ্রহণ করতাম।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, আনাস (রা.) বলতেন, ‘আমরা সকাল সকাল জুমায় যেতাম; এরপর নামাজ শেষে কায়লুলা করতাম।’ (বুখারি)  জোহরের নামাজের আগে খাবার গ্রহণ করে কায়লুলা করা উত্তম। তবে জোহরের পর খাবার গ্রহণ করে কায়লুলার নিয়তে শোয়ার মাধ্যমেও কায়লুলার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। 

লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত