৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো বড় বদল হয়েছে পিএসসিতেও। পদত্যাগ করে চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশন। নতুন কমিশন দায়িত্ব নিয়ে গতি এনেছে কমিশনের কার্যক্রমে। একই সঙ্গে চিন্তাভাবনা চলছে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় বড় ধরনের সংস্কারের। এসব নিয়ে নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাহুল শর্মা।
রাহুল শর্মা
কমিশনে নিজ কার্যালয়ে গতকাল সোমবার আলাপকালে চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেমের বক্তব্যে মিলেছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তনের আভাস। তার মধ্যে রয়েছে একবার বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তিনবার লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ, সিলেবাস যুগোপযোগী করা, তিন স্তরের মৌখিক পরীক্ষাপদ্ধতি ও লিখিত পরীক্ষায় লেখার ধরনে পরিবর্তন।
এক প্রিলিতেই একাধিক লিখিত পরীক্ষার সুযোগের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, কেউ যদি একবার বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পাস করে, তাকে পরবর্তী দুই থেকে তিনবার লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া। বিষয়টি অনেকটা আইইএলটিএস পরীক্ষার মেয়াদের মতো। ৪৮তম বিসিএস থেকে এটি বাস্তবায়ন করার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে।’
বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাসও পর্যালোচনা করা হবে—জানালেন পিএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘এখনকার যে সিলেবাস আছে, এটা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। তাই বর্তমান সিলেবাস যত শিগগির সম্ভব পর্যালোচনা করা হবে। পর্যালোচনা করে অংশীজন এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি কর্মশালার মাধ্যমে এটি চূড়ান্ত করা হবে।’
বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা তিন স্তরে করার পরিকল্পনা হচ্ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, মৌখিক পরীক্ষায় যেন কেউ কোনো ধরনের অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে না পারে, সে জন্য একটি মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে তিন স্তর রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে চাইলেও কাউকে প্রভাবিত করে অনৈতিক সুবিধা আদায় সম্ভব নয়।
নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতা কমাতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে—এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যানের বক্তব্য, ‘কোনো কোনো বিসিএসে তিন থেকে চার বছর লেগেছে, বিষয়টি দুঃখজনক। নিয়োগে সময় কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখায় দ্বিতীয় পরীক্ষক পদ্ধতি আছে, সেটাকে একজনে করা যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়া লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রে পৃষ্ঠা নির্দিষ্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে লেখার মান উন্নত হবে, একই সঙ্গে এটা স্কিল টেস্টও। প্রথমে এ পদ্ধতি নন-ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষায় বাস্তবায়ন করা হবে। যদি এটি ফলপ্রসূ হয়, তাহলে বিসিএসে বাস্তবায়ন করা হবে। আশা করছি, ৪৮তম বিসিএস থেকে এ পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হবে।’
সব নিয়োগে সময় কমিয়ে আনা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা বর্তমান কমিশনের মূল অগ্রাধিকার বলেও জানান পিএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই প্রতিটি নিয়োগপ্রক্রিয়ার সময় কমে আসবে। অচিরেই সবাই এর ফল দেখতে পাবে। এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএস শেষ করার টার্গেট রয়েছে আমাদের।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর সিটিএমটি (চেঞ্জ অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ম্যানেজমেন্ট টিম) নামে একটি বিশেষ কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি পিএসসি ভিশন ও কোর ভ্যালুজ ঠিক করেছে। আমরা পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনাও করেছি। প্রতি সপ্তাহের কাজের মনিটরিং করা হচ্ছে। আর এ মনিটরিং কার্যক্রম তিন মাস, ছয় মাস ও এক বছর মেয়াদি করা হবে।’
চলমান চারটি বিসিএস (৪৪, ৪৫, ৪৬ ও ৪৭) পরীক্ষার জট কাটানোর বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, প্রতিটি বিসিএসের জন্য ইতিমধ্যে সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। প্রতিটি বিসিএসের জন্য আলাদা রোডম্যাপ করা হচ্ছে। শিগগির এটি চূড়ান্ত হবে। এরপর সে অনুযায়ী ক্যালেন্ডারের মতো প্রতিটি বিসিএসের কার্যক্রম চলবে।
স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিটি কাজের স্বচ্ছতা প্রয়োজন। কারণ, স্বচ্ছতা না থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। যেসব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন, সেসব ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পরীক্ষার যাবতীয় বিষয় উন্মুক্তের চেষ্টা করা হবে, যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। তিনি আরও বলেন, ‘চলতি বছর থেকে প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর জন্য আলাদা ইউনিক আইডি চালু হবে। এই আইডি দিয়ে প্রার্থী একাধিকবার বিসিএসে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।’
প্রশ্নপত্র ফাঁস, নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতাসহ নানা কারণে ইমেজ-সংকটে ভুগছে পিএসসি। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ইতিমধ্যে স্বচ্ছতা ‘নিশ্চিত’ করতে রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এর বাইরে বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে ১০০ করা, ৪৬তম প্রিলিমিনারির ফল নতুন করে প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আর ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা আবার নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিশেষ কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি কোন কোন জায়গায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ রয়েছে, তা চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
৪৭তম বিসিএস থেকে আবেদন ফি ২০০ টাকা করা হবে বলেও জানান পিএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন স্থগিত করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছিল, বিগত সরকার লিখিত পরীক্ষার পর প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয় বের করত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন চেয়ারম্যানের জবাব, ‘আমি জানি না করেছে কি না। যদি করা হয়ে থাকে, তা খুবই অন্যায় হয়েছে। যেকোনো পর্যায়ে রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাওয়া অন্যায়। প্রার্থী মেধাবী কি না, এটা আমরা যাচাই করব, অন্য কিছু নয়।’
সবশেষে চাকরিপ্রার্থীদের পড়ার টেবিলে সময় দেওয়ার আহ্বান জানান পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি, আগে অনিয়ম হয়ে থাকলেও এখন কোনো অনিয়ম হবে না। এখানে মেধা যার চাকরি তার—এ নীতিতে সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’
কমিশনে নিজ কার্যালয়ে গতকাল সোমবার আলাপকালে চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেমের বক্তব্যে মিলেছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তনের আভাস। তার মধ্যে রয়েছে একবার বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তিনবার লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ, সিলেবাস যুগোপযোগী করা, তিন স্তরের মৌখিক পরীক্ষাপদ্ধতি ও লিখিত পরীক্ষায় লেখার ধরনে পরিবর্তন।
এক প্রিলিতেই একাধিক লিখিত পরীক্ষার সুযোগের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, কেউ যদি একবার বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পাস করে, তাকে পরবর্তী দুই থেকে তিনবার লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া। বিষয়টি অনেকটা আইইএলটিএস পরীক্ষার মেয়াদের মতো। ৪৮তম বিসিএস থেকে এটি বাস্তবায়ন করার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে।’
বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাসও পর্যালোচনা করা হবে—জানালেন পিএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘এখনকার যে সিলেবাস আছে, এটা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। তাই বর্তমান সিলেবাস যত শিগগির সম্ভব পর্যালোচনা করা হবে। পর্যালোচনা করে অংশীজন এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি কর্মশালার মাধ্যমে এটি চূড়ান্ত করা হবে।’
বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা তিন স্তরে করার পরিকল্পনা হচ্ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, মৌখিক পরীক্ষায় যেন কেউ কোনো ধরনের অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে না পারে, সে জন্য একটি মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে তিন স্তর রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে চাইলেও কাউকে প্রভাবিত করে অনৈতিক সুবিধা আদায় সম্ভব নয়।
নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতা কমাতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে—এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যানের বক্তব্য, ‘কোনো কোনো বিসিএসে তিন থেকে চার বছর লেগেছে, বিষয়টি দুঃখজনক। নিয়োগে সময় কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখায় দ্বিতীয় পরীক্ষক পদ্ধতি আছে, সেটাকে একজনে করা যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়া লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রে পৃষ্ঠা নির্দিষ্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে লেখার মান উন্নত হবে, একই সঙ্গে এটা স্কিল টেস্টও। প্রথমে এ পদ্ধতি নন-ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষায় বাস্তবায়ন করা হবে। যদি এটি ফলপ্রসূ হয়, তাহলে বিসিএসে বাস্তবায়ন করা হবে। আশা করছি, ৪৮তম বিসিএস থেকে এ পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হবে।’
সব নিয়োগে সময় কমিয়ে আনা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা বর্তমান কমিশনের মূল অগ্রাধিকার বলেও জানান পিএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই প্রতিটি নিয়োগপ্রক্রিয়ার সময় কমে আসবে। অচিরেই সবাই এর ফল দেখতে পাবে। এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএস শেষ করার টার্গেট রয়েছে আমাদের।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর সিটিএমটি (চেঞ্জ অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ম্যানেজমেন্ট টিম) নামে একটি বিশেষ কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি পিএসসি ভিশন ও কোর ভ্যালুজ ঠিক করেছে। আমরা পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনাও করেছি। প্রতি সপ্তাহের কাজের মনিটরিং করা হচ্ছে। আর এ মনিটরিং কার্যক্রম তিন মাস, ছয় মাস ও এক বছর মেয়াদি করা হবে।’
চলমান চারটি বিসিএস (৪৪, ৪৫, ৪৬ ও ৪৭) পরীক্ষার জট কাটানোর বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, প্রতিটি বিসিএসের জন্য ইতিমধ্যে সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। প্রতিটি বিসিএসের জন্য আলাদা রোডম্যাপ করা হচ্ছে। শিগগির এটি চূড়ান্ত হবে। এরপর সে অনুযায়ী ক্যালেন্ডারের মতো প্রতিটি বিসিএসের কার্যক্রম চলবে।
স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিটি কাজের স্বচ্ছতা প্রয়োজন। কারণ, স্বচ্ছতা না থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। যেসব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন, সেসব ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পরীক্ষার যাবতীয় বিষয় উন্মুক্তের চেষ্টা করা হবে, যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। তিনি আরও বলেন, ‘চলতি বছর থেকে প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর জন্য আলাদা ইউনিক আইডি চালু হবে। এই আইডি দিয়ে প্রার্থী একাধিকবার বিসিএসে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।’
প্রশ্নপত্র ফাঁস, নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতাসহ নানা কারণে ইমেজ-সংকটে ভুগছে পিএসসি। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ইতিমধ্যে স্বচ্ছতা ‘নিশ্চিত’ করতে রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এর বাইরে বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে ১০০ করা, ৪৬তম প্রিলিমিনারির ফল নতুন করে প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আর ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা আবার নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিশেষ কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি কোন কোন জায়গায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ রয়েছে, তা চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
৪৭তম বিসিএস থেকে আবেদন ফি ২০০ টাকা করা হবে বলেও জানান পিএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন স্থগিত করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছিল, বিগত সরকার লিখিত পরীক্ষার পর প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয় বের করত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন চেয়ারম্যানের জবাব, ‘আমি জানি না করেছে কি না। যদি করা হয়ে থাকে, তা খুবই অন্যায় হয়েছে। যেকোনো পর্যায়ে রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাওয়া অন্যায়। প্রার্থী মেধাবী কি না, এটা আমরা যাচাই করব, অন্য কিছু নয়।’
সবশেষে চাকরিপ্রার্থীদের পড়ার টেবিলে সময় দেওয়ার আহ্বান জানান পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি, আগে অনিয়ম হয়ে থাকলেও এখন কোনো অনিয়ম হবে না। এখানে মেধা যার চাকরি তার—এ নীতিতে সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকে দশম গ্রেডভুক্ত ‘ইমাম’ পদে নিয়োগের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমেশিন লার্নিংয়ের বাংলা ভাবার্থ হলো ‘যন্ত্রের জ্ঞান অর্জন’। সহজভাবে বললে, এটি হলো যন্ত্রকে শিক্ষা দেওয়ার প্রক্রিয়া। প্রযুক্তির ভাষায়, যন্ত্রের ক্রিয়াকলাপ নির্ধারণ করার প্রক্রিয়াকে বলে মেশিন লার্নিং। আমরা প্রতিদিনের জীবনে মেশিন লার্নিংয়ের উদাহরণ দেখতে পাই।
৭ ঘণ্টা আগেবেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রোডাক্ট, প্রোপজিশন অ্যান্ড পোর্টফোলিও পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেবাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেডে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১০ ধরনের শূন্য পদে মোট ২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে পারবেন।
২ দিন আগে