Ajker Patrika

খোলামেলা ছোট ঘর

অলকানন্দা রায়, ঢাকা
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭: ৪২
খোলামেলা ছোট ঘর

ঘর মানেই প্রশান্তি। সেই প্রশান্তি মেলে ঘরের শোভায় কিংবা নন্দনে। ছিমছাম পরিপাটি ঘর প্রত্যেক মানুষের যাপনের পরিচয় বহন করে। ব্যক্তির রুচি, অর্থনৈতিক সামর্থ্য—সব মিলিয়েই সেজে ওঠে এক-একটি ঘর। ঠিক কোথায় কোন জিনিসটা রাখলে ছোট্ট ঘরখানি খোলামেলা দেখাবে, এই নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব প্রায় সকলের। কেমন করে ছোট্ট ঘরটি খোলামেলা রূপে সাজবে, সেই পরামর্শ দিচ্ছেন অন্দরসজ্জা বিশেষজ্ঞ সাবিহা কুমু।

কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই একটা ছোট ঘর হয়ে উঠতে পারে খোলামেলা ও সুন্দর। ঘর সাজাতে এবং ছোট ঘর খোলামেলা দেখাতে কিছু বিষয় ভাবনায় রাখা জরুরি। যেমন—

শোয়ার ঘরের সঙ্গে মানিয়ে সাজানোর জিনিস রাখতে হবেঘর সাজাতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আসবাব খাট, সোফা, পড়ার টেবিল, ক্রোকারিজ ক্যাবিনেট, ডাইনিং টেবিল, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল কেনার আগে ঘরের মাপ এবং এসব আসবাবের মাপ দেখে নিতে হবে। ভিক্টোরিয়ান অত্যধিক নকশার ভারী কোনো আসবাব না কিনে আধুনিক সময়ের হালকা কোনো নকশার আসবাব কেনা ভালো। এতে যেমন ঘর পাবে নতুনত্ব, তেমনি ঘর হয়ে উঠবে অভিজাত। বেশি লম্বা দেখতে এবং ভারী নকশা ঘরের ভেতর ঘিঞ্জি ভাব এনে পরিবেশকে দৃষ্টিকটু করে তোলে। এসব ক্ষেত্রে বাঁশ, বেতের কিংবা হালকা নকশার কাঠের আসবাব নেওয়া যেতে পারে। এসব আসবাব কেনার আগে আরও একটি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে, সেটি হলো ঠিক কোন জায়গায় আসবাবটি রাখতে চাই। এমন একটি জায়গা নির্বাচন করা উচিত, যেখানে আসবাব রাখলে জানালা বা দরজা ঢেকে যাবে না। জানালা একটি ঘরের যেমন সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি আলো-বাতাস দিয়ে আমাদের সুস্থও রাখে। তাই ঘরের মাপ অনুযায়ী ওই ঘরের আসবাব নির্বাচন করতে হবে। এক দুজনের ঘর হলে, বসার ঘরে সোফার পরিবর্তে শতরঞ্জি, মাদুর বা শীতলপাটি বিছিয়ে তার ওপর কয়েকটি কুশন দিয়ে সাজিয়ে নিলে ঘরটি খোলামেলা দেখাবে। 

দেয়ালের রং
ঘরের দেয়ালের রংও ঘরকে খোলামেলা দেখাতে সাহায্য করে। ঘরের দেয়ালে খুব গাঢ় রং ঘরকে ছোট দেখায়। তাই ছোট্ট ঘরের দেয়ালের রং হওয়া উচিত হালকা রঙের। দু-তিনটা রঙে দেয়াল রাঙানো যাবে না। দেয়াল হতে হবে অফ হোয়াইট বা আকাশি রঙের। এতে চোখের আরাম হবে এবং ঘরে ফুটে উঠবে আলো-ঝলমলে ভাব। কারও যদি মনেই হয়, তার ঘরে থাকবে রঙের খেলা, তাহলে লিভিং রুমের যেকোনো একটি দেয়াল ওয়ালপেপারে বা পছন্দের গাঢ় রঙে সাজাতে পারেন। বাকি দেয়ালগুলো হালকা রঙের হতে হবে। শোয়ার ঘরে নীল, বেগুনি রঙের ছোঁয়া লাগাতে হলেও সেই রংটির হালকা শেড ব্যবহার করতে হবে। 

ঘরের মেঝেতে হালকা ধরনের কার্পেট বিছানঘরের পর্দা
অনেকেই ধুলোবালি লেগে নোংরা হওয়ার ভয়ে বা জমকালো ভাব আনতে ঘরে গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করেন। ঘর ছোট দেখানোর পেছনে এটি একটি বড় কারণ। এ কারণে ভারী বা মোটা কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করা যাবে না। এবং ঘরের পর্দাটি প্রিন্ট না হওয়াই ভালো। এতে ঘরের ভেতরে একধরনের ভারিক্কি ভাব চলে আসবে। পর্দা হতে হবে হালকা কাপড়ের; যেমন পাতলা সুতি কাপড়, মসলিন, সিল্ক বা নেটের। ঘরে খোলামেলা ভাব আনতে এসব কাপড়ে নকশার ক্ষেত্রে জলছাপ বা এক রঙা কাপড় এবং হালকা নকশা ভালো দেখায়।

কার্পেট
ঘরের মেঝেতে অনেকেই ভারী ধরনের বড় কার্পেট বিছান। এটি না করে ছিমছাম নকশার ছোট ছোট নানা রকম র‍্যাগ বিছালে দেখতে সুন্দর লাগবে এবং মেঝের পরিসর বাড়বে।

পর্দা হতে হবে হালকা কাপড়ের যেমন, পাতলা সুতি কাপড়ের, মসলিন, সিল্ক বা নেটেরঘরের ভেতরের অন্যান্য সজ্জা
অনেকেই ঘর সাজানোর জন্য নানা রকম শোপিস কিনে থাকেন। দেখতে ভালো লাগলেও ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ থাকা ভীষণ জরুরি। ছোট ঘরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস দিয়ে সাজাতে গেলে, ঘরের খোলামেলা ভাব নষ্ট হবে এবং ঘর দেখতে ছোটও লাগবে। ছোট ছোট মাটির, কাঠ, বেতের, কড়ির কিংবা পাথর, পিতলের শোপিস রাখতে পারেন ঘরের বিশেষ বিশেষ জায়গায়। রাখা যেতে পারে কয়েকটি ফুলদানি। যেগুলো কোনো কারণ ছাড়াই হুটহাট সেজে উঠবে তাজা ফুল পাতায়। একটি ঘরের মধ্যেই সব জিনিস এনে সাজিয়ে রাখা যাবে না। শোয়ার ঘর, বসার ঘর, বারান্দা বা অন্যান্য ঘরের সঙ্গে মানিয়ে জিনিস রাখতে হবে। এতেও ঘরখানি অনেকটা খোলামেলা হয়ে উঠবে। সৌন্দর্য ছড়াবে প্রতিদিনের যাপনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত