লক্ষ্যে পৌঁছানোর মন্ত্র
দ্বিধা ছিল না তাঁর উত্তরে। ক্যারিয়ারের বিভিন্ন উত্থান-পতন সরাসরি মোকাবিলা করে এত দূর যখন এসেছেন, অভিজ্ঞতার ভান্ডার বেশ ভারী তাঁর। ঝটপট বলে দিলেন পিয়া, ‘কখনো হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এমন একটা পৃথিবীতে আমাদের বাস করতে হয়, যেখানে প্রতিনিয়ত সামনে বাধা আসতে থাকে। নারীর ক্ষেত্রে প্রথম বাধা আসে পরিবার থেকে, এরপর আত্মীয়দের কাছ থেকে, পরে শ্বশুরবাড়ি, এরপর নিজের ছেলেমেয়ের কাছ থেকে আসে। বাধা জীবনে আসবেই, তাই বলে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। যা-ই হোক না কেন, চেষ্টা করে যেতে হবে। মাঝে মাঝে মনে হয়, কূলকিনারা পাওয়া যাবে না, কিন্তু আপনার চেষ্টা ঠিকই নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।’
মাতৃত্ব নিজের সিদ্ধান্ত
সন্তান নেওয়ার জন্য একজন নারীকে যতটা শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তা সেই নারী ছাড়া কেউ কল্পনা করতে পারে না। তাই কখন তিনি মা হবেন, সেটা একান্তই তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। আমাদের দেশে মাতৃত্বের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবারের বিশাল একটা চাপ থাকে। পিয়া মনে করেন, পারিবারিক শিক্ষাটা জরুরি। পরিবারগুলোকে শিক্ষিত হতে হবে, সচেতন হতে হবে। এর জন্য সামাজিক আন্দোলনও জরুরি। আর একটা সন্তান নেওয়ার অধিকার মা-বাবা—দুজনেরই আছে। কিন্তু যেহেতু গর্ভধারণ নারী করেন, তাই নারীর ভূমিকাই এখানে বেশি বলে মনে করেন তিনি।
পরিবারের সহায়তা জরুরি
পিয়ার কাছে ইচ্ছেটাই মুখ্য। তিনি মনে করেন, ইচ্ছা থাকলে সব হয়, সব করা যায়। তাঁর ধারণা, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নারীদের ওপর সব চাপিয়ে দেওয়া হয়। আগে চিন্তা করা হতো, নারীরা শুধু ঘর সামলাবেন। কিন্তু যখন থেকে নারীরা সম-অধিকার চেয়ে বাইরের কাজও করতে চাইলেন, তখন কথা উঠল, সব কাজ তোমারই করতে হবে কেন। পিয়া বলেন, ‘তবে আমি ভাগ্যবান, আমার স্বামী আমাকে অনেক সাহায্য করে, সাহস জোগায়। আমি মনে করি, পরিবারের এই সাপোর্ট যেকোনো নারীর জন্য জরুরি। সাপোর্ট পেলে যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রে সবকিছু সম্ভব।’
দিন শেষে আমার আমি
প্রতিদিন তাঁকে আদালতে যেতে হয়, চেম্বার করতে হয়। আবার সন্তান নিয়েও চিন্তা করতে হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, শুটিং, সেমিনার তো থাকেই। তবে শত ব্যস্ততায় চেষ্টা করেন যাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে, যে কাজগুলো করতে ভালো লাগে, সেই সব জায়গায় সময় দেওয়ার। সেসব কাজ করার। যতটুকু সময় পান শরীরচর্চা করেন। যেহেতু নিজের পারলার আছে, তাই ব্যবসা দেখার পাশাপাশি সেখানে নিজের যত্ন নিতেও ভোলেন না পিয়া।
রোজকার ভালো অভ্যাস
সকালে উঠে এক গ্লাস পানি তাঁর পান করতেই হবে। রাতে ঘুমানোর সময় আরামদায়ক কোনো সংগীত শুনতে শুনতে ঘুমান। নিয়মিত জিমে যাওয়া এবং ফিটনেস নিয়ে কাজ করা তাঁর ভালো অভ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। পিয়ার আরেকটা অভ্যাস হলো, তিনি নিয়মিত মানুষের খোঁজ রাখেন। সেটা হতে পারে কাছের বা দূরের যে কেউ। প্রতিদিন অন্তত একবার হলেও সে যোগাযোগটা তিনি রাখার চেষ্টা করেন।
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা
পিয়া বলেন, ‘আসলে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। কারও কাছে সুন্দর মানে ফরসা, আবার কেউ হয়তো একটু শ্যামবর্ণের মানুষ পছন্দ করেন। এটা নির্ভর করে একেকজনের মানসিকতার ওপর। আমি সৌন্দর্যে রঙের ব্যাপারটা আনি না। এখনো আমি অনেক নারীকে চিনি, যাঁরা রং ফরসা করার জন্য প্রাকৃতিক কিংবা কৃত্রিম উপায়ে উঠেপড়ে লাগেন। যদিও এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। সবার পছন্দকেই আমি সম্মান করি।’
সাজপোশাকে স্বাধীনতা
নারীদের পোশাক নিয়ে অনেক কথা হয় আমাদের সমাজে। এখানেই পিয়ার বক্তব্য হলো, একটি পোশাক কারও ভালো না-ই লাগতে পারে। কিন্তু সেটি নিয়ে কারও সঙ্গে ঝামেলা করা যাবে না। পোশাক নিয়ে কাউকে কটু কথা শোনানো উচিত নয়। সবার যে সবকিছু ভালো লাগবে, তা নয়। পিয়া যোগ করেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। পোশাকের স্বাধীনতা নারী-পুরুষ—দুজনের জন্যই জরুরি।’
লক্ষ্যে পৌঁছানোর মন্ত্র
দ্বিধা ছিল না তাঁর উত্তরে। ক্যারিয়ারের বিভিন্ন উত্থান-পতন সরাসরি মোকাবিলা করে এত দূর যখন এসেছেন, অভিজ্ঞতার ভান্ডার বেশ ভারী তাঁর। ঝটপট বলে দিলেন পিয়া, ‘কখনো হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এমন একটা পৃথিবীতে আমাদের বাস করতে হয়, যেখানে প্রতিনিয়ত সামনে বাধা আসতে থাকে। নারীর ক্ষেত্রে প্রথম বাধা আসে পরিবার থেকে, এরপর আত্মীয়দের কাছ থেকে, পরে শ্বশুরবাড়ি, এরপর নিজের ছেলেমেয়ের কাছ থেকে আসে। বাধা জীবনে আসবেই, তাই বলে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। যা-ই হোক না কেন, চেষ্টা করে যেতে হবে। মাঝে মাঝে মনে হয়, কূলকিনারা পাওয়া যাবে না, কিন্তু আপনার চেষ্টা ঠিকই নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।’
মাতৃত্ব নিজের সিদ্ধান্ত
সন্তান নেওয়ার জন্য একজন নারীকে যতটা শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তা সেই নারী ছাড়া কেউ কল্পনা করতে পারে না। তাই কখন তিনি মা হবেন, সেটা একান্তই তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। আমাদের দেশে মাতৃত্বের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবারের বিশাল একটা চাপ থাকে। পিয়া মনে করেন, পারিবারিক শিক্ষাটা জরুরি। পরিবারগুলোকে শিক্ষিত হতে হবে, সচেতন হতে হবে। এর জন্য সামাজিক আন্দোলনও জরুরি। আর একটা সন্তান নেওয়ার অধিকার মা-বাবা—দুজনেরই আছে। কিন্তু যেহেতু গর্ভধারণ নারী করেন, তাই নারীর ভূমিকাই এখানে বেশি বলে মনে করেন তিনি।
পরিবারের সহায়তা জরুরি
পিয়ার কাছে ইচ্ছেটাই মুখ্য। তিনি মনে করেন, ইচ্ছা থাকলে সব হয়, সব করা যায়। তাঁর ধারণা, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নারীদের ওপর সব চাপিয়ে দেওয়া হয়। আগে চিন্তা করা হতো, নারীরা শুধু ঘর সামলাবেন। কিন্তু যখন থেকে নারীরা সম-অধিকার চেয়ে বাইরের কাজও করতে চাইলেন, তখন কথা উঠল, সব কাজ তোমারই করতে হবে কেন। পিয়া বলেন, ‘তবে আমি ভাগ্যবান, আমার স্বামী আমাকে অনেক সাহায্য করে, সাহস জোগায়। আমি মনে করি, পরিবারের এই সাপোর্ট যেকোনো নারীর জন্য জরুরি। সাপোর্ট পেলে যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রে সবকিছু সম্ভব।’
দিন শেষে আমার আমি
প্রতিদিন তাঁকে আদালতে যেতে হয়, চেম্বার করতে হয়। আবার সন্তান নিয়েও চিন্তা করতে হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, শুটিং, সেমিনার তো থাকেই। তবে শত ব্যস্ততায় চেষ্টা করেন যাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে, যে কাজগুলো করতে ভালো লাগে, সেই সব জায়গায় সময় দেওয়ার। সেসব কাজ করার। যতটুকু সময় পান শরীরচর্চা করেন। যেহেতু নিজের পারলার আছে, তাই ব্যবসা দেখার পাশাপাশি সেখানে নিজের যত্ন নিতেও ভোলেন না পিয়া।
রোজকার ভালো অভ্যাস
সকালে উঠে এক গ্লাস পানি তাঁর পান করতেই হবে। রাতে ঘুমানোর সময় আরামদায়ক কোনো সংগীত শুনতে শুনতে ঘুমান। নিয়মিত জিমে যাওয়া এবং ফিটনেস নিয়ে কাজ করা তাঁর ভালো অভ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। পিয়ার আরেকটা অভ্যাস হলো, তিনি নিয়মিত মানুষের খোঁজ রাখেন। সেটা হতে পারে কাছের বা দূরের যে কেউ। প্রতিদিন অন্তত একবার হলেও সে যোগাযোগটা তিনি রাখার চেষ্টা করেন।
সৌন্দর্যের সংজ্ঞা
পিয়া বলেন, ‘আসলে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। কারও কাছে সুন্দর মানে ফরসা, আবার কেউ হয়তো একটু শ্যামবর্ণের মানুষ পছন্দ করেন। এটা নির্ভর করে একেকজনের মানসিকতার ওপর। আমি সৌন্দর্যে রঙের ব্যাপারটা আনি না। এখনো আমি অনেক নারীকে চিনি, যাঁরা রং ফরসা করার জন্য প্রাকৃতিক কিংবা কৃত্রিম উপায়ে উঠেপড়ে লাগেন। যদিও এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। সবার পছন্দকেই আমি সম্মান করি।’
সাজপোশাকে স্বাধীনতা
নারীদের পোশাক নিয়ে অনেক কথা হয় আমাদের সমাজে। এখানেই পিয়ার বক্তব্য হলো, একটি পোশাক কারও ভালো না-ই লাগতে পারে। কিন্তু সেটি নিয়ে কারও সঙ্গে ঝামেলা করা যাবে না। পোশাক নিয়ে কাউকে কটু কথা শোনানো উচিত নয়। সবার যে সবকিছু ভালো লাগবে, তা নয়। পিয়া যোগ করেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। পোশাকের স্বাধীনতা নারী-পুরুষ—দুজনের জন্যই জরুরি।’
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে