রজত কান্তি রায়
আজ থেকে বহু শত বছর আগে ‘শূন্য’র ধারণা তৈরি হয়েছিল প্রাচীন ভারতবর্ষে। গণিত শাস্ত্রে এটি একটি স্বাভাবিক পূর্ণ সংখ্যা। ফলে শূন্য অর্থ কেবল অস্তিত্বহীন অথবা ফাঁকা নয়। প্রকৃতির নিয়মেই হয়তো আমাদের এই মিরাকলের নগর জীবনে মাঝেমধ্যে কিছু মানুষ দেখা দেন, যাঁরা নিজেদের ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়েও পূর্ণ হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। তাঁদের দেখে আমরা বিমোহিত হই, বাহবা দিই। ‘জিরো জিরো পরিবহনে’র ‘মালিক’ জিয়ারুল ইসলাম তেমনি একজন।
উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের পাসপোর্ট অফিস ছাড়িয়ে এক শ গজ সোজা এগিয়ে গেলেই আমিনুল ইসলামের চায়ের দোকান—বস্তিতে ঢোকার মুখে। সপ্তাহের যেকোনো দিন সেখানে গেলে দেখা পাওয়া যাবে কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী বা লালমনিরহাট থেকে আসা মানুষদের, এঁরা পেশায় রিকশাচালক। তবে শুক্রবার সকাল সকাল আমিনুল ইসলামের চায়ের দোকানে গেলে পাওয়া যাবে উত্তরবঙ্গের মানুষদের নির্ভেজাল অলস আড্ডা। সপ্তাহের এই একটি দিন তাঁরা আয়েশ করে আড্ডা দিতে দিতে বেলা করে ডাল–আলু ভর্তা দিয়ে ভরপেট ভাত খেয়ে রিকশা নিয়ে বের হন অথবা ঘুমান।
এক শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় আমিনুলের চায়ের দোকানে উপস্থিত হয়ে জানতে চাইলাম, জিরো জিরো পরিবহনের মালিক জিয়ারুল ঘুম থেকে উঠেছেন কী না। ততক্ষণে আড্ডা জমে গেছে। আমার কথা শুনে উপস্থিত সবাই হেসে উঠলেন। একজন স্বপ্রণোদিত হয়ে জিয়ারুলকে ডাকতে গেলেন। বাকিরা ‘ছুটির দিনে বানর খেলা’ দেখা হবে ভাব নিয়ে জিয়ারুলের আসার অপেক্ষায় বসে রইলেন। অপেক্ষমাণ সবাই রিকশাচালক, সবার সাকিন উত্তরবঙ্গ। তবে কারও বাড়ি নীলফামারী তো কারও কুড়িগ্রাম অথবা লালমনিরহাট হলেও এখানকার বেশির ভাগ রিকশাচালকের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায়, অন্তত উপস্থিত শ্রোতৃমণ্ডলীর তথ্য সেটাই জানাল। নিজেদের ভাষায়, নিজেদের মতো করে আড্ডা দিচ্ছেন সবাই। সঙ্গে চলছে চা–পান–সিগারেট।
ঘুম চোখে জিয়ারুল ইসলাম এলেন আমিনুলের চায়ের দোকানে। ঢুকেই লম্বা সালাম। কোনো ভণিতা না করে শুরু করলেন, আমি জিয়ারুল, জিরো জিরো পরিবহনের মালিক। উপস্থিত লোকজন আবার হেসে উঠলেন। জিয়ারুল পাত্তা না দিয়ে এক কাপ চা চাইলেন আর একটা কেক। জানতে চাইলাম, জিরো জিরো পরিবহন বিষয়টা কী?
জিয়ারুল শুরু করলেন তাঁর নিজের গল্প, বলা চলে এক সুদূরপরাহত স্বপ্নের গল্প। বহুবার শোনা সে গল্প শুনতে উৎসাহী হয়ে উঠলেন জিয়ারুলের প্রতিবেশীরা। আর আমরা দুজন তো তাঁর গল্প শুনতেই সাতসকালে ঘুম ভেঙে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছেছিলাম উত্তরা। ‘স্যার, জিরো জিরো পরিবহনের মানে আছে। তবে সেইটা এখন কবো না।’ ঢাকার চলতি ভাষায় জড়িয়ে কুড়িগ্রামের ভাষায় জানালেন জিয়ারুল। কারণ কী—জানতে চাইলাম। জিয়ারুল যা জানালেন, তা প্রমীত ভাষায় লিখলে লেখা যায়, স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত নিজের স্বপ্নের কথা অন্যকে জানাতে নেই।
দুই
বাবা ওমর আলীর সঙ্গে ঢাকা এসেছিলেন জিয়ারুল, প্রায় পনেরো বছর আগে। শুরু থেকেই রিকশা চালান তিনি। তার আগে রংপুর শহরেও কিছুদিন রিকশা চালিয়েছেন। তারও আগে নিজের জন্মস্থান কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মানিককাজী ঘাটপাড়ার কোনো এক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। সে সুবাদে তিনি এখনো লিখতে পারেন।
ওমর আলী নদী ভাঙনে প্রায় নিঃস্ব হয়ে ঢাকা আসেন জীবিকার তাগিদে। জিয়ারুলের মা গ্রামেই থাকতেন। সম্প্রতি তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। মায়ের মৃত্যুর পর জিয়ারুলের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন থাকেন সাভারের হেমায়েতপুরে। সেখানেই কাজ করেন। মায়ের মৃত্যু বেশ ভাবায় জিয়ারুলকে। তিনি ঠিক করেন, মানুষের উপকারে লাগে তেমন কিছু কাজ করবেন, যাতে তাঁর মায়ের আত্মা শান্তি পায়। রিকশা চালনা ছাড়া তো কিছু করেন না তিনি। তাই সিদ্ধান্ত নেন, প্রতি শুক্রবার উত্তরা এলাকায় তিনি রিকশা চালাবেন; কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো ভাড়া নেবেন না। যেই ভাবা সেই কাজ। তিনি শুক্রবার একটু আয়েশ করে ঘুমিয়ে, সকালে ‘চাট্টে’ ডাল–ভাত খেয়ে বেলা করে রিকশা চালাতে শুরু করেন। যাত্রীরা তাঁর রিকশায় ওঠেন। কিন্তু নামার সময় অবাক হয়ে যান ভাড়া না নেওয়ায়। অনেকেই জোর করে ভাড়া দিতে চান। জিয়ারুল নেন না—কথা তো কথাই, তিনি ভাড়া নেবেন না। যাত্রীদের অনেকেই তাঁকে চা–সিগারেট খাওয়ান, কোমল পানীয় খাওয়ান।
কিন্তু রিকশা তো আপনার নিজের নয়, প্রতিদিনের ভাড়া জমা দিতে হয় না রিকশা মালিককে? সেটা দেন কীভাবে, জানতে চাই। জিয়ারুলের হয়ে উপস্থিত লোকজন জবাব দেন। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের রিকশা মালিকেরা সপ্তাহে একদিন রিকশা চালকদের কাছ থেকে কোনো জমার টাকা নেন না। অর্থাৎ একদিন তাঁদের ছুটি। সে দিন কেউ রিকশা চালালেও মালিক কোনো জমার টাকা নেবেন না। প্রতি বুধবার জিয়ারুল মালিককে কোনো ভাড়া দেন না, সে দিন তাঁর সাপ্তাহিক ছুটি। কিন্তু তিনি সেদিন রিকশা চালান।
কত দিন চলবে এভাবে, সে বিষয়ে জিয়ারুল কিছু ভাবেননি। তবে জানালেন, যত দিন তিনি রিকশা চালাবেন, তত দিন প্রতি শুক্রবার যাত্রীদের জন্য ‘উপহার’ হিসেবে ভাড়া ফ্রি থাকবে। তত দিনই তাঁর ব্যাটারি চালিত রিকশার হ্যান্ডেলে এবং পেছনের বডিতে সাইনবোর্ডে লেখা থাকবে, প্রতি শুক্রবার ফ্রি! সেটা বন্ধ করে কোনোভাবেই তিনি মায়ের অসম্মান করতে পারেন না!
তিন
মধ্য ত্রিশের জিয়ারুল বিয়ে করেছিলেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাউশমারী গ্রামের মাহমুদাকে। জান্নাতি ও জবা নামে দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পর সে বিয়ে ভেঙে গেছে। বিয়ে ভেঙে যাওয়াতে জিয়ারুলের তেমন কষ্ট নেই। শুধু রংপুর শহরে বড় মেয়েকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে খেতে হয় ভেবে কষ্ট পান জিয়ারুল। মাঝে মাঝে যতটুকু সামর্থ্যে কুলায় মেয়েদের জন্য টাকা পাঠান। দ্বিতীয়বার বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে নেই তাঁর। সংসারের কথা বলতে বলতে বিষণ্ন হয়ে ওঠেন জিয়ারুল। কথা ঘোরাবার জন্য বলেন, নামটা ঠিক কইরা নেকবেন স্যার। জিয়াউর না কিন্তুক। জিয়ারুল ইসলাম। জিরো জিরো পরিবহনের মালিক।
আজ থেকে বহু শত বছর আগে ‘শূন্য’র ধারণা তৈরি হয়েছিল প্রাচীন ভারতবর্ষে। গণিত শাস্ত্রে এটি একটি স্বাভাবিক পূর্ণ সংখ্যা। ফলে শূন্য অর্থ কেবল অস্তিত্বহীন অথবা ফাঁকা নয়। প্রকৃতির নিয়মেই হয়তো আমাদের এই মিরাকলের নগর জীবনে মাঝেমধ্যে কিছু মানুষ দেখা দেন, যাঁরা নিজেদের ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়েও পূর্ণ হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। তাঁদের দেখে আমরা বিমোহিত হই, বাহবা দিই। ‘জিরো জিরো পরিবহনে’র ‘মালিক’ জিয়ারুল ইসলাম তেমনি একজন।
উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের পাসপোর্ট অফিস ছাড়িয়ে এক শ গজ সোজা এগিয়ে গেলেই আমিনুল ইসলামের চায়ের দোকান—বস্তিতে ঢোকার মুখে। সপ্তাহের যেকোনো দিন সেখানে গেলে দেখা পাওয়া যাবে কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী বা লালমনিরহাট থেকে আসা মানুষদের, এঁরা পেশায় রিকশাচালক। তবে শুক্রবার সকাল সকাল আমিনুল ইসলামের চায়ের দোকানে গেলে পাওয়া যাবে উত্তরবঙ্গের মানুষদের নির্ভেজাল অলস আড্ডা। সপ্তাহের এই একটি দিন তাঁরা আয়েশ করে আড্ডা দিতে দিতে বেলা করে ডাল–আলু ভর্তা দিয়ে ভরপেট ভাত খেয়ে রিকশা নিয়ে বের হন অথবা ঘুমান।
এক শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় আমিনুলের চায়ের দোকানে উপস্থিত হয়ে জানতে চাইলাম, জিরো জিরো পরিবহনের মালিক জিয়ারুল ঘুম থেকে উঠেছেন কী না। ততক্ষণে আড্ডা জমে গেছে। আমার কথা শুনে উপস্থিত সবাই হেসে উঠলেন। একজন স্বপ্রণোদিত হয়ে জিয়ারুলকে ডাকতে গেলেন। বাকিরা ‘ছুটির দিনে বানর খেলা’ দেখা হবে ভাব নিয়ে জিয়ারুলের আসার অপেক্ষায় বসে রইলেন। অপেক্ষমাণ সবাই রিকশাচালক, সবার সাকিন উত্তরবঙ্গ। তবে কারও বাড়ি নীলফামারী তো কারও কুড়িগ্রাম অথবা লালমনিরহাট হলেও এখানকার বেশির ভাগ রিকশাচালকের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায়, অন্তত উপস্থিত শ্রোতৃমণ্ডলীর তথ্য সেটাই জানাল। নিজেদের ভাষায়, নিজেদের মতো করে আড্ডা দিচ্ছেন সবাই। সঙ্গে চলছে চা–পান–সিগারেট।
ঘুম চোখে জিয়ারুল ইসলাম এলেন আমিনুলের চায়ের দোকানে। ঢুকেই লম্বা সালাম। কোনো ভণিতা না করে শুরু করলেন, আমি জিয়ারুল, জিরো জিরো পরিবহনের মালিক। উপস্থিত লোকজন আবার হেসে উঠলেন। জিয়ারুল পাত্তা না দিয়ে এক কাপ চা চাইলেন আর একটা কেক। জানতে চাইলাম, জিরো জিরো পরিবহন বিষয়টা কী?
জিয়ারুল শুরু করলেন তাঁর নিজের গল্প, বলা চলে এক সুদূরপরাহত স্বপ্নের গল্প। বহুবার শোনা সে গল্প শুনতে উৎসাহী হয়ে উঠলেন জিয়ারুলের প্রতিবেশীরা। আর আমরা দুজন তো তাঁর গল্প শুনতেই সাতসকালে ঘুম ভেঙে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছেছিলাম উত্তরা। ‘স্যার, জিরো জিরো পরিবহনের মানে আছে। তবে সেইটা এখন কবো না।’ ঢাকার চলতি ভাষায় জড়িয়ে কুড়িগ্রামের ভাষায় জানালেন জিয়ারুল। কারণ কী—জানতে চাইলাম। জিয়ারুল যা জানালেন, তা প্রমীত ভাষায় লিখলে লেখা যায়, স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত নিজের স্বপ্নের কথা অন্যকে জানাতে নেই।
দুই
বাবা ওমর আলীর সঙ্গে ঢাকা এসেছিলেন জিয়ারুল, প্রায় পনেরো বছর আগে। শুরু থেকেই রিকশা চালান তিনি। তার আগে রংপুর শহরেও কিছুদিন রিকশা চালিয়েছেন। তারও আগে নিজের জন্মস্থান কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মানিককাজী ঘাটপাড়ার কোনো এক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। সে সুবাদে তিনি এখনো লিখতে পারেন।
ওমর আলী নদী ভাঙনে প্রায় নিঃস্ব হয়ে ঢাকা আসেন জীবিকার তাগিদে। জিয়ারুলের মা গ্রামেই থাকতেন। সম্প্রতি তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। মায়ের মৃত্যুর পর জিয়ারুলের বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন থাকেন সাভারের হেমায়েতপুরে। সেখানেই কাজ করেন। মায়ের মৃত্যু বেশ ভাবায় জিয়ারুলকে। তিনি ঠিক করেন, মানুষের উপকারে লাগে তেমন কিছু কাজ করবেন, যাতে তাঁর মায়ের আত্মা শান্তি পায়। রিকশা চালনা ছাড়া তো কিছু করেন না তিনি। তাই সিদ্ধান্ত নেন, প্রতি শুক্রবার উত্তরা এলাকায় তিনি রিকশা চালাবেন; কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো ভাড়া নেবেন না। যেই ভাবা সেই কাজ। তিনি শুক্রবার একটু আয়েশ করে ঘুমিয়ে, সকালে ‘চাট্টে’ ডাল–ভাত খেয়ে বেলা করে রিকশা চালাতে শুরু করেন। যাত্রীরা তাঁর রিকশায় ওঠেন। কিন্তু নামার সময় অবাক হয়ে যান ভাড়া না নেওয়ায়। অনেকেই জোর করে ভাড়া দিতে চান। জিয়ারুল নেন না—কথা তো কথাই, তিনি ভাড়া নেবেন না। যাত্রীদের অনেকেই তাঁকে চা–সিগারেট খাওয়ান, কোমল পানীয় খাওয়ান।
কিন্তু রিকশা তো আপনার নিজের নয়, প্রতিদিনের ভাড়া জমা দিতে হয় না রিকশা মালিককে? সেটা দেন কীভাবে, জানতে চাই। জিয়ারুলের হয়ে উপস্থিত লোকজন জবাব দেন। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের রিকশা মালিকেরা সপ্তাহে একদিন রিকশা চালকদের কাছ থেকে কোনো জমার টাকা নেন না। অর্থাৎ একদিন তাঁদের ছুটি। সে দিন কেউ রিকশা চালালেও মালিক কোনো জমার টাকা নেবেন না। প্রতি বুধবার জিয়ারুল মালিককে কোনো ভাড়া দেন না, সে দিন তাঁর সাপ্তাহিক ছুটি। কিন্তু তিনি সেদিন রিকশা চালান।
কত দিন চলবে এভাবে, সে বিষয়ে জিয়ারুল কিছু ভাবেননি। তবে জানালেন, যত দিন তিনি রিকশা চালাবেন, তত দিন প্রতি শুক্রবার যাত্রীদের জন্য ‘উপহার’ হিসেবে ভাড়া ফ্রি থাকবে। তত দিনই তাঁর ব্যাটারি চালিত রিকশার হ্যান্ডেলে এবং পেছনের বডিতে সাইনবোর্ডে লেখা থাকবে, প্রতি শুক্রবার ফ্রি! সেটা বন্ধ করে কোনোভাবেই তিনি মায়ের অসম্মান করতে পারেন না!
তিন
মধ্য ত্রিশের জিয়ারুল বিয়ে করেছিলেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাউশমারী গ্রামের মাহমুদাকে। জান্নাতি ও জবা নামে দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পর সে বিয়ে ভেঙে গেছে। বিয়ে ভেঙে যাওয়াতে জিয়ারুলের তেমন কষ্ট নেই। শুধু রংপুর শহরে বড় মেয়েকে অন্যের বাড়িতে কাজ করে খেতে হয় ভেবে কষ্ট পান জিয়ারুল। মাঝে মাঝে যতটুকু সামর্থ্যে কুলায় মেয়েদের জন্য টাকা পাঠান। দ্বিতীয়বার বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে নেই তাঁর। সংসারের কথা বলতে বলতে বিষণ্ন হয়ে ওঠেন জিয়ারুল। কথা ঘোরাবার জন্য বলেন, নামটা ঠিক কইরা নেকবেন স্যার। জিয়াউর না কিন্তুক। জিয়ারুল ইসলাম। জিরো জিরো পরিবহনের মালিক।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে