মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
বালকদের নিম্নাংশের পোশাক তখন দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল, হাফপ্যান্ট আর ফুলপ্যান্ট। যেন এক দিকে বুর্জোয়া আরেক দিকে প্রলেতারিয়েত। থ্রি-কোয়ার্টারের মতো মধ্যস্বত্বভোগী পোশাক তখনো মধ্যবিত্তরা চোখে দেখেনি। সেই হাফপ্যান্টই ছিল হাফপ্যাডেল সাইকেলের অন্যতম কস্টিউম।
আগে সাইকেল ছিল বেশ উঁচু। সেই সাইকেলে সিক্স–সেভেনে পড়া বালকেরা উঠলে পা প্যাডেল অব্দি পৌঁছাত না। তাকে বিস্তর এ-পাশ ও-পাশ করতে হতো। তারপর একদিন তার পা ঠিক প্যাডেল ছুঁয়ে ফেলল। তখন হাফপ্যান্ট থেকে ফুলপ্যান্টে উত্তরণ। ফুলপ্যান্ট মানেই প্রেমপত্র লেখার বয়স, কারও জন্য পথ চেয়ে বসে থাকা।
এখন বাজারে হরেক রকমের সাইকেল– ছোট, বড়, মাঝারি। চালকের সুবিধা অনুসারে সাইকেলের আকার। যে যেমন চান সবই আছে। কেউ আর হাফপ্যাডেল সাইকেল চালান না, তার দরকার হয় না।
মাঝখানে সাইকেলের ব্যবহার থিতিয়ে গেলেও দারুণভাবে ফিরে এসেছে সাইকেল। একসময় শুধু পুরুষেরা চালালেও এখন মেয়েদেরও পছন্দের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে দুই চাকার এ বাহনটি। এখন সাইকেল শুধু বাহনই নয়, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে স্বাস্থ্যসচেতনতার বিষয়টিও। যোগ হয়েছে বৈচিত্র্যময় নকশা এবং যান্ত্রিক সুবিধায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
সাইকেল কেনার আগে মনে রাখতে হবে নিজের দৈহিক উচ্চতা ও ওজন এবং কোন রাস্তায় সাইকেল চালাবেন তার ধারণা। প্রাথমিকভাবে এই দুটি বিষয় বিবেচনায় রাখলে পাবেন নিজের জন্য উপযুক্ত সাইকেল।
বয়সভেদে সাইকেলের আকার বয়স, ওজন, রাস্তা অনুযায়ী তিন ধরনের সাইকেল পাওয়া যায়। ১২, ১৬, ২০, ২৪ ও ২৬ সাইজের সাইকেল পাওয়া যায় কিনতে। সাইকেল কিনতে গেলে অনেক কথা শুনতে পাবেন, যেগুলোর সঙ্গে আপনি পরিচিত নন। কিন্তু দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সাইকেল সাধারণত দুভাবে দেখা হয়–এক. সাধারণ সাইকেল, দুই. গিয়ারযুক্ত সাইকেল। যুগ যুগ ধরে আমরা যে সাইকেল ব্যবহার করে আসছি, সেটা সাধারণ সাইকেল।
দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার জন্য সাইকেলচালকদের বেশি যান্ত্রিক সুবিধা দিতে আছে গিয়ার সাইকেল। অ্যালুমিনিয়াম ও লোহা এই দুটি উপকরণে তৈরি হয় সাইকেল। বেশির ভাগ সাইকেলের কাঠামো লোহার হলেও যন্ত্রাংশগুলো অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হয়ে থাকে। অ্যালুমিনিয়ামের সাইকেল ওজনে হালকা হয়, তাই এগুলো চালানো সহজ। যাঁদের উচ্চতা বেশি এবং যাঁরা মজবুত সাইকেল কিনতে চান, তাঁদের জন্য ভালো লোহার তৈরি সাইকেল।
সাইকেলের বাজারে শোনা যাবে জাম্পিং, সিঙ্গেল জাম্পিং ইত্যাদি শব্দ। এগুলো মূলত শকঅবজারভার সুবিধাযুক্ত সাইকেল। এ ধরনের সাইকেল অমসৃণ বা অফট্র্যাক রাস্তায় চলার জন্য ভালো। জাম্পিং সাইকেলের একটি হলো সিঙ্গেল জাম্পিং, অর্থাৎ এ ধরনের সাইকেলের সামনের চাকার সঙ্গে শকঅবজারভার লাগানো থাকে। আর ডাবল জাম্পিং সাইকেলের সামনে-পেছনে দুদিকেই শকঅবজারভার লাগানো থাকে। এ ছাড়া আমাদের দেশে সীমিতসংখ্যায় হলেও পাওয়া যায় ফোল্ডিং সাইকেল। এগুলো ফোল্ড করে সহজে বহন করা যায়। মেয়েদের জন্য সাধারণত সাইকেলের মূল কাঠামোর রড থাকে না বা থাকলেও সেটি নিচু থাকে অথবা বাঁকানো থাকে।
উপকারিতা
সাইকেল চালানো একধরনের শারীরিক অনুশীলনও বটে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সাইকেল চালানোর সময় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করতে থাকে। নিয়মিত সাইকেল চালানো স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, মানসিক রোগ, আর্থ্রাইটিসের মতো রোগগুলো দূরে রাখে। এ ছাড়া সাইক্লিং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, পেশি শক্তিশালী করে, রক্তে চর্বির মাত্রা কমায় এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়।
বালকদের নিম্নাংশের পোশাক তখন দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল, হাফপ্যান্ট আর ফুলপ্যান্ট। যেন এক দিকে বুর্জোয়া আরেক দিকে প্রলেতারিয়েত। থ্রি-কোয়ার্টারের মতো মধ্যস্বত্বভোগী পোশাক তখনো মধ্যবিত্তরা চোখে দেখেনি। সেই হাফপ্যান্টই ছিল হাফপ্যাডেল সাইকেলের অন্যতম কস্টিউম।
আগে সাইকেল ছিল বেশ উঁচু। সেই সাইকেলে সিক্স–সেভেনে পড়া বালকেরা উঠলে পা প্যাডেল অব্দি পৌঁছাত না। তাকে বিস্তর এ-পাশ ও-পাশ করতে হতো। তারপর একদিন তার পা ঠিক প্যাডেল ছুঁয়ে ফেলল। তখন হাফপ্যান্ট থেকে ফুলপ্যান্টে উত্তরণ। ফুলপ্যান্ট মানেই প্রেমপত্র লেখার বয়স, কারও জন্য পথ চেয়ে বসে থাকা।
এখন বাজারে হরেক রকমের সাইকেল– ছোট, বড়, মাঝারি। চালকের সুবিধা অনুসারে সাইকেলের আকার। যে যেমন চান সবই আছে। কেউ আর হাফপ্যাডেল সাইকেল চালান না, তার দরকার হয় না।
মাঝখানে সাইকেলের ব্যবহার থিতিয়ে গেলেও দারুণভাবে ফিরে এসেছে সাইকেল। একসময় শুধু পুরুষেরা চালালেও এখন মেয়েদেরও পছন্দের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছে দুই চাকার এ বাহনটি। এখন সাইকেল শুধু বাহনই নয়, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে স্বাস্থ্যসচেতনতার বিষয়টিও। যোগ হয়েছে বৈচিত্র্যময় নকশা এবং যান্ত্রিক সুবিধায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
সাইকেল কেনার আগে মনে রাখতে হবে নিজের দৈহিক উচ্চতা ও ওজন এবং কোন রাস্তায় সাইকেল চালাবেন তার ধারণা। প্রাথমিকভাবে এই দুটি বিষয় বিবেচনায় রাখলে পাবেন নিজের জন্য উপযুক্ত সাইকেল।
বয়সভেদে সাইকেলের আকার বয়স, ওজন, রাস্তা অনুযায়ী তিন ধরনের সাইকেল পাওয়া যায়। ১২, ১৬, ২০, ২৪ ও ২৬ সাইজের সাইকেল পাওয়া যায় কিনতে। সাইকেল কিনতে গেলে অনেক কথা শুনতে পাবেন, যেগুলোর সঙ্গে আপনি পরিচিত নন। কিন্তু দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সাইকেল সাধারণত দুভাবে দেখা হয়–এক. সাধারণ সাইকেল, দুই. গিয়ারযুক্ত সাইকেল। যুগ যুগ ধরে আমরা যে সাইকেল ব্যবহার করে আসছি, সেটা সাধারণ সাইকেল।
দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার জন্য সাইকেলচালকদের বেশি যান্ত্রিক সুবিধা দিতে আছে গিয়ার সাইকেল। অ্যালুমিনিয়াম ও লোহা এই দুটি উপকরণে তৈরি হয় সাইকেল। বেশির ভাগ সাইকেলের কাঠামো লোহার হলেও যন্ত্রাংশগুলো অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হয়ে থাকে। অ্যালুমিনিয়ামের সাইকেল ওজনে হালকা হয়, তাই এগুলো চালানো সহজ। যাঁদের উচ্চতা বেশি এবং যাঁরা মজবুত সাইকেল কিনতে চান, তাঁদের জন্য ভালো লোহার তৈরি সাইকেল।
সাইকেলের বাজারে শোনা যাবে জাম্পিং, সিঙ্গেল জাম্পিং ইত্যাদি শব্দ। এগুলো মূলত শকঅবজারভার সুবিধাযুক্ত সাইকেল। এ ধরনের সাইকেল অমসৃণ বা অফট্র্যাক রাস্তায় চলার জন্য ভালো। জাম্পিং সাইকেলের একটি হলো সিঙ্গেল জাম্পিং, অর্থাৎ এ ধরনের সাইকেলের সামনের চাকার সঙ্গে শকঅবজারভার লাগানো থাকে। আর ডাবল জাম্পিং সাইকেলের সামনে-পেছনে দুদিকেই শকঅবজারভার লাগানো থাকে। এ ছাড়া আমাদের দেশে সীমিতসংখ্যায় হলেও পাওয়া যায় ফোল্ডিং সাইকেল। এগুলো ফোল্ড করে সহজে বহন করা যায়। মেয়েদের জন্য সাধারণত সাইকেলের মূল কাঠামোর রড থাকে না বা থাকলেও সেটি নিচু থাকে অথবা বাঁকানো থাকে।
উপকারিতা
সাইকেল চালানো একধরনের শারীরিক অনুশীলনও বটে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সাইকেল চালানোর সময় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করতে থাকে। নিয়মিত সাইকেল চালানো স্ট্রোক, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, মানসিক রোগ, আর্থ্রাইটিসের মতো রোগগুলো দূরে রাখে। এ ছাড়া সাইক্লিং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, পেশি শক্তিশালী করে, রক্তে চর্বির মাত্রা কমায় এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়।
বাংলার রান্নাঘর শুধু খাবারের জায়গা নয়, এখানে ঘটে স্বাদ ও আবেগের মেলবন্ধন। বাংলার ঐতিহ্যবাহী রান্নায় মিষ্টি, টক আর ঝালের এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়। বাংলার রান্নায় এই তিনটি স্বাদের মিশেল এক অনন্য মুখরোচক অভিজ্ঞতা দেয়, যা বিশ্বের অন্য কোনো রান্নায় খুব কমই দেখা যায়।
৩ ঘণ্টা আগেখেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। আজকাল এটি ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সারা বিশ্বে খেজুরের বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে। প্রতিটির পুষ্টিগুণ কিছুটা আলাদা হলেও সব ধরনের খেজুর সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে খেজুরের গুণমান নিশ্চিত করার জন্য কিছু বিষয় জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
১৯ ঘণ্টা আগেবলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
২ দিন আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
২ দিন আগে