সানজিদা সামরিন
শরীরের অন্যান্য অংশের মতো হাতের ত্বকেরও চাই বিশেষ যত্ন। অন্যান্য অংশের, বিশেষ করে মুখের ত্বকের সঙ্গে হাতের ত্বকের রঙের পার্থক্য তৈরি হয় মূলত সূর্যরশ্মির কারণে। শরীরের একেক অংশের ত্বকের রং একেক রকম হলে দেখতে ভালো লাগে না। পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি। লিখেছেন সানজিদা সামরিন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আমরা মুখের যত্নই বেশি নিই। একবার ভেবে দেখুন তো, দিনে যতবার আমরা মুখ ধুই, ঠিক ততবার কি হাত ধোয়া হয়? ফলে প্রায় সবার ক্ষেত্রেই দেখা যায় মুখের রঙের তুলনায় হাতের রং একটু গাঢ়। গাড়িতে বা রিকশায় করে যখন দিনের বেলা আপনি গন্তব্য়ের উদ্দশে যাচ্ছেন, তখন দেখা যায় কোলের ওপর রাখা হাতের ওপরই সূর্যরশ্মি পড়ে বেশি। সে ক্ষেত্রে হাতের যত্ন নিতে হবে একটু মনে করেই।
ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন
ত্বকের অসমান রং ঠিক করতে দিনের বেলায় কমপক্ষে এসপিএফ১৫সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া বাইরে বের হওয়ার আগে আলাদা করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হবে। এতে আপনার ত্বক থাকবে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষিত।
রাতের বেলা যত্ন
রাতের বেলা ঘুমানোর আগে হাতের ত্বকের উপযোগী ভালো মানের ক্রিম বা লোশন লাগাতে হবে। এতে সারা রাত আপনার ত্বকের ময়েশ্চারাইজেশন বজায় থাকে। হাত নরম রাখার উপায় হলো ময়েশ্চারাইজ করা। ধোয়া হয়ে গেলেই কয়েক ফোঁটা ময়েশ্চারাইজ়ার হাতে লাগিয়ে নিন। রাতে নারিশিং ক্রিম ব্যবহার করার সময়ে হাতের তালু, তালুর পেছন দিক, আঙুল, কবজি থেকে শুরু করে কনুই পর্যন্ত ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর যতটা সম্ভব কম হাত ধোয়ার চেষ্টা করুন।
প্রতিদিনের কাজের পর
রোজকার কাজ করার পর হাত ধুতেই হয়। তাই কাজ করার পরে বারবার হাত ধুতে হলে, হাত আরও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। তবে যেসব স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল থাকে তা এড়িয়ে চলাই ভালো। অ্যালকোহল স্যানিটাইজার ব্যবহারে হাত আরও বেশি শুষ্ক
হয়ে যায়।
গ্লিসারিনযুক্ত হ্যান্ডওয়াশ
হাত ধোয়ার জন্য গ্লিসারিন ও ক্রিম বেসড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এতে রুক্ষতা কমবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজার ছাড়া কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ভালো করে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন।
স্নান করার আগে
স্নান করার আগে হাতে ভালো করে তেল ম্যাসাজ করে নিন। যে তেল আপনার ত্বকের সঙ্গে ভালো যায়, সেটিই ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া তিলের তেল, আমন্ড অয়েল কিংবা অলিভ অয়েলও হাতে লাগাতে পারেন। তবে সেগুলো মাত্র কয়েক ফোঁটাই যথেষ্ট। হাত অতিরিক্ত শুকিয়ে গেলে হট অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন। ২ টেবিল চামচ বেসনের মধ্যে সামান্য দুধ অথবা টক দই এবং এক ফোঁটা হলুদের গুঁড়া দিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। স্নানের আগে দুই হাতে ভালো করে সেই মিশ্রণ মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জলে হাত ধুয়ে নিতে পারেন।
অতিরিক্ত শুষ্ক হাতের জন্য
অতিরিক্ত শুষ্ক হাত থেকে রেহাই পেতে ২ চামচ সানফ্লাওয়ার অয়েল, ২ চামচ পাতিলেবুর রস ও ৩ চামচ চিনি মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। অল্প গ্লিসারিনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে দুই হাতে ভালো করে ম্যাসাজও করতে পারেন। এতে হাত নরম হবে। হাত নরম ও সতেজ রাখার জন্য অনেকেই নানা কিছু ব্যবহার করেন। তবে বেশি জরুরি ময়েশ্চারাইজার।
প্যাক ব্যবহার
মুখের মতো হাতের যত্নেও মাঝে মাঝে প্যাক ব্যবহার করতে হবে। প্যাক বানাতে ডিমের কুসুম ফেটিয়ে নিন ভালো করে। হাতের ত্বকে মেখে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর কোমল সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া ১ টেবিল চামচ চিনির সঙ্গে আধা চা-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে দুই হাতে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন কুসুম গরম পানি দিয়ে।
অ্যালোভেরা জেল ব্লেন্ড করে নিন মিহি করে। হাতের ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। হাত ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
সবশেষে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, রোদের প্রকোপ থেকে হাত বাঁচাতে চাইলে ফুলহাতা জামা পরতে হবে। হাতের রঙের সামঞ্জস্য আনতে সপ্তাহে দুদিন ভালো মানের উপটান ব্যবহার করা উচিত। উপটান প্রথমে হাত, তারপর পুরো শরীরে লাগাতে হবে। তবেই সম্পূর্ণ ত্বকের রং একই রকম থাকবে।
শরীরের অন্যান্য অংশের মতো হাতের ত্বকেরও চাই বিশেষ যত্ন। অন্যান্য অংশের, বিশেষ করে মুখের ত্বকের সঙ্গে হাতের ত্বকের রঙের পার্থক্য তৈরি হয় মূলত সূর্যরশ্মির কারণে। শরীরের একেক অংশের ত্বকের রং একেক রকম হলে দেখতে ভালো লাগে না। পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি। লিখেছেন সানজিদা সামরিন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আমরা মুখের যত্নই বেশি নিই। একবার ভেবে দেখুন তো, দিনে যতবার আমরা মুখ ধুই, ঠিক ততবার কি হাত ধোয়া হয়? ফলে প্রায় সবার ক্ষেত্রেই দেখা যায় মুখের রঙের তুলনায় হাতের রং একটু গাঢ়। গাড়িতে বা রিকশায় করে যখন দিনের বেলা আপনি গন্তব্য়ের উদ্দশে যাচ্ছেন, তখন দেখা যায় কোলের ওপর রাখা হাতের ওপরই সূর্যরশ্মি পড়ে বেশি। সে ক্ষেত্রে হাতের যত্ন নিতে হবে একটু মনে করেই।
ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন
ত্বকের অসমান রং ঠিক করতে দিনের বেলায় কমপক্ষে এসপিএফ১৫সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া বাইরে বের হওয়ার আগে আলাদা করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হবে। এতে আপনার ত্বক থাকবে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষিত।
রাতের বেলা যত্ন
রাতের বেলা ঘুমানোর আগে হাতের ত্বকের উপযোগী ভালো মানের ক্রিম বা লোশন লাগাতে হবে। এতে সারা রাত আপনার ত্বকের ময়েশ্চারাইজেশন বজায় থাকে। হাত নরম রাখার উপায় হলো ময়েশ্চারাইজ করা। ধোয়া হয়ে গেলেই কয়েক ফোঁটা ময়েশ্চারাইজ়ার হাতে লাগিয়ে নিন। রাতে নারিশিং ক্রিম ব্যবহার করার সময়ে হাতের তালু, তালুর পেছন দিক, আঙুল, কবজি থেকে শুরু করে কনুই পর্যন্ত ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর যতটা সম্ভব কম হাত ধোয়ার চেষ্টা করুন।
প্রতিদিনের কাজের পর
রোজকার কাজ করার পর হাত ধুতেই হয়। তাই কাজ করার পরে বারবার হাত ধুতে হলে, হাত আরও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। তবে যেসব স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল থাকে তা এড়িয়ে চলাই ভালো। অ্যালকোহল স্যানিটাইজার ব্যবহারে হাত আরও বেশি শুষ্ক
হয়ে যায়।
গ্লিসারিনযুক্ত হ্যান্ডওয়াশ
হাত ধোয়ার জন্য গ্লিসারিন ও ক্রিম বেসড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এতে রুক্ষতা কমবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজার ছাড়া কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ভালো করে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন।
স্নান করার আগে
স্নান করার আগে হাতে ভালো করে তেল ম্যাসাজ করে নিন। যে তেল আপনার ত্বকের সঙ্গে ভালো যায়, সেটিই ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া তিলের তেল, আমন্ড অয়েল কিংবা অলিভ অয়েলও হাতে লাগাতে পারেন। তবে সেগুলো মাত্র কয়েক ফোঁটাই যথেষ্ট। হাত অতিরিক্ত শুকিয়ে গেলে হট অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন। ২ টেবিল চামচ বেসনের মধ্যে সামান্য দুধ অথবা টক দই এবং এক ফোঁটা হলুদের গুঁড়া দিয়ে মিহি মিশ্রণ তৈরি করুন। স্নানের আগে দুই হাতে ভালো করে সেই মিশ্রণ মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জলে হাত ধুয়ে নিতে পারেন।
অতিরিক্ত শুষ্ক হাতের জন্য
অতিরিক্ত শুষ্ক হাত থেকে রেহাই পেতে ২ চামচ সানফ্লাওয়ার অয়েল, ২ চামচ পাতিলেবুর রস ও ৩ চামচ চিনি মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। অল্প গ্লিসারিনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে দুই হাতে ভালো করে ম্যাসাজও করতে পারেন। এতে হাত নরম হবে। হাত নরম ও সতেজ রাখার জন্য অনেকেই নানা কিছু ব্যবহার করেন। তবে বেশি জরুরি ময়েশ্চারাইজার।
প্যাক ব্যবহার
মুখের মতো হাতের যত্নেও মাঝে মাঝে প্যাক ব্যবহার করতে হবে। প্যাক বানাতে ডিমের কুসুম ফেটিয়ে নিন ভালো করে। হাতের ত্বকে মেখে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর কোমল সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া ১ টেবিল চামচ চিনির সঙ্গে আধা চা-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে দুই হাতে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন কুসুম গরম পানি দিয়ে।
অ্যালোভেরা জেল ব্লেন্ড করে নিন মিহি করে। হাতের ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। হাত ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
সবশেষে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, রোদের প্রকোপ থেকে হাত বাঁচাতে চাইলে ফুলহাতা জামা পরতে হবে। হাতের রঙের সামঞ্জস্য আনতে সপ্তাহে দুদিন ভালো মানের উপটান ব্যবহার করা উচিত। উপটান প্রথমে হাত, তারপর পুরো শরীরে লাগাতে হবে। তবেই সম্পূর্ণ ত্বকের রং একই রকম থাকবে।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে