Ajker Patrika

ইফতারে স্বাস্থ্যকর ৯ খাবার

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, ১৫: ৪৮
ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম
ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম

রমজান মাসে ইফতার গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কর্তব্য। সারা দিন পর এ সময়ে খাবার খাওয়া হয় বলে ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার থাকা উচিত। কিন্তু আমরা নিয়মিত যেসব খাবার দিয়ে ইফতার করি সেগুলোকে খুব একটা পুষ্টিকর খাবার বলছেন না পুষ্টিবিদেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এ সময়ের খাবার হতে হবে পুষ্টিকর, সহজে হজমযোগ্য এবং কম ক্যালরিযুক্ত। দেখে নিন এ সময়ের উত্তম খাবার কোনগুলো।

দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম

খেজুর

খেজুর ইফতারের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর খাবার। রোজা ভাঙার পর খেজুর খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি প্রাকৃতিক চিনি এবং শক্তির উৎস। দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ থাকে বলে হজমে এবং শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।

স্যুপ শরীরকে হাইড্রেট করে এবং পুষ্টিতে ভরপুর রাখে। ছবি: পেক্সেলস
স্যুপ শরীরকে হাইড্রেট করে এবং পুষ্টিতে ভরপুর রাখে। ছবি: পেক্সেলস

স্যুপ

স্যুপ শরীরকে হাইড্রেট করে এবং পুষ্টিতে ভরপুর রাখে। চিকেন বা মিক্সড ভেজিটেবল স্যুপ ইফতারের জন্য বেশ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। এটি শরীর সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে সাহায্য করে এবং এতে থাকা খাদ্য আঁশ পেটের জন্য বেশ উপকারী। তবে, ইফতারে ক্রিমি স্যুপ এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ তাতে থাকে অতিরিক্ত চর্বি ও ক্যালরি।

স্বাস্থ্যকর শর্করা

ইফতারে স্বাস্থ্যকর শর্করা খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ ধরণের খাবার আমাদের শরীরে দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি জোগায় এবং স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

মাছ, মুরগি বা টার্কি খুব ভালো প্রোটিনের উৎস। ছবি: পেক্সেলস
মাছ, মুরগি বা টার্কি খুব ভালো প্রোটিনের উৎস। ছবি: পেক্সেলস

প্রোটিনযুক্ত খাবার

ইফতার খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের উৎস থাকা খুবই জরুরি। তবে, যে প্রোটিন আপনি বেছে নেবেন তা যেন কম চর্বিযুক্ত হয়। মাছ, মুরগি বা টার্কি খুব ভালো প্রোটিনের উৎস। শাকাহারী হলে মসুর ডাল, মটরশুঁটি, সয়া, বাদাম বা তিল ভালো বিকল্প হতে পারে। প্রোটিন শরীরের কোষ পুনর্গঠন এবং মাংসপেশি তৈরি করতে সাহায্য করে।

দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর শরীরে বেড়ে যাওয়া চর্বির চাহিদা পুরন করে বিভিন্ন ধরণের বাদাম। ছবি: পেক্সেলস
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর শরীরে বেড়ে যাওয়া চর্বির চাহিদা পুরন করে বিভিন্ন ধরণের বাদাম। ছবি: পেক্সেলস

বাদাম

বাদাম ইফতারের জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে। বাদামে থাকা চর্বি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর শরীরের চর্বির চাহিদা বাড়ে। বাদাম তা পূরণ করতে সহায়তা করে। আপনি কাঁচা বাদাম, যেমন আখরোট, কাজু বা চিনাবাদাম খেতে পারেন।

ফল ও ফলের রস শরীরে প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পুরন করে শক্তি জোগায় এবং শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখে। ছবি: পেক্সেলস
ফল ও ফলের রস শরীরে প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পুরন করে শক্তি জোগায় এবং শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখে। ছবি: পেক্সেলস

তাজা ফলের রস এবং স্মুদি

তাজা ফলের রস বা স্মুদি ইফতারে খুবই পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার। ফলের রসে প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন ও খনিজ থাকে যা শরীরে শক্তি জোগায় এবং শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখে। তরমুজ, আম, কমলা, আপেল ইত্যাদি ফলের রস বা স্মুদি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং পানির ভারসাম্য নিশ্চিত করে। তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের ফলের রস পানের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

ফল

ইফাতরে নিয়মিত কোনো না কোনো থাকা উচিত। কারণ এটি শরীরকে দ্রুত তাজা করে তুলতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ফল শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে। তরমুজ, আঙুর, কমলা, আম, পেঁপেসহ যেকোনো মৌসুমি ফল ইফতারে খেতে পারেন। বিশেষ করে তরমুজ খুব দ্রুত শরীরের পানির চাহিদা পুরন করে শরীর শীতল রাখে। এ ছাড়া এটি ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ঠিক করতে সহায়তা করে।

শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পুরন করতে পারে সালাদ। ছবি: পেক্সেলস
শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পুরন করতে পারে সালাদ। ছবি: পেক্সেলস

সালাদ

শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের জন্য তাজা সবজির সালাদ খেতে পারেন। টমেটো, শসা, গাজর, পেঁপে, শাক ইত্যাদি সবজি নিয়ে তৈরি সালাদ আপনার ইফতারকে পুষ্টিকর করে তুলবে। সালাদে অলিভ অয়েল, লেবুর রস এবং একটু মসলাও যোগ করতে পারেন।

দই হজমের জন্য উপকারী। এতে থাকা প্রোবায়োটিকস শরীরের হজম ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। ছবি: পেক্সে
দই হজমের জন্য উপকারী। এতে থাকা প্রোবায়োটিকস শরীরের হজম ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। ছবি: পেক্সে

দই

এটি ইফতারে খুবই উপকারী খাবার। দই হজমের জন্য কার্যকরী। দই বা দই জাতীয় পানীয়, যেমন লাবান, ঘোল ইত্যাদি শরীরকে হাইড্রেট করে। এ ছাড়া এতে থাকা প্রোবায়োটিকস শরীরের হজম ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি পেটের অবস্থা ঠিক রেখে পরবর্তী দিনটি সুস্থভাবে রোজা রাখার জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করে।

ইফতারে খাবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর এবং সুষম খাবারের মাধ্যমে আপনি শরীর সুস্থ রাখতে পারবেন। তাই ইফতার সময় অতিরিক্ত তেল, চিনিযুক্ত খাবার, মিষ্টি এবং ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলা উচিত।

সূত্র: লাইফ কেয়ার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তৃতীয় বিশ্বের নেতা হওয়ার পথে দিল্লির বাধা চীনের উত্থান: ভারতীয় সেনাপ্রধান

আসামির জবানবন্দি: মাগুরার শিশুটির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধর্ষণ করা হয়

ইউএনওর ফেসবুক পেজ হ্যাক করে পোস্ট, ‘করলাম না এই প্রশাসনের চাকরি’

রেমিট্যান্সের নামে ৭৩০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছেন একজন, কার কথা বললেন এনবিআর চেয়ারম্যান

অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে খাওয়ার খরচ চায় পুলিশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত