আনিকা জীনাত, ঢাকা
দামি আসবাব, দুর্মূল্য অ্যান্টিক, বিদেশি শোপিস, অ্যাকুয়ারিয়ামে দামি রঙিন মাছ–কতভাবেই না আমরা ঘরের শোভা বাড়ানোর চেষ্টা করি। ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে এসবের সঙ্গে যোগ হয়েছে উদ্ভিদ। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো সাকুলেন্ট।
সারা বিশ্বে প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির সাকুলেন্ট আছে। প্রতিটি জাতের জন্যই সূর্যের আলো প্রয়োজন। দৈনিক ছয় ঘণ্টার বেশি রোদ পেলেই সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে সাকুলেন্ট। যত্ন-আত্তির প্রয়োজন কম বলে ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে সারা বিশ্বে এটি জনপ্রিয়।
বেশির ভাগ সাকুলেন্টের আদি বাড়ি আফ্রিকা। মরু অঞ্চলের গাছ বলেই এর পাতায় পানি জমা থাকে। শিকড় হয় অগভীর। অ্যালোভেরা, ক্যাকটাস ও অর্কিড সাকুলেন্ট জাতের উদ্ভিদ।
আমাদের বহু পরিচিত আনারসও এই জাতের উদ্ভিদ। এর মধ্যে শুধু অর্কিড বৃষ্টির পানিতেও টিকে থাকতে পারে। আনারস ছাড়া সাকুলেন্ট জাতের প্রায় কোনো উদ্ভিদই খাওয়া যায় না।
আকার ও রংভেদে সাকুলেন্ট চিনতে এর পাতা খেয়াল করতে হবে। এই উদ্ভিদের পাতা বেশ মোটা হয়। পাতায় হাত দিলে মনে হবে যেন রাবার ধরেছেন। একসঙ্গে অনেক ধরনের সাকুলেন্ট এক টবে লাগালে দেখতে বেশ ভালো লাগে।
কয়েকটি জনপ্রিয় সাকুলেন্ট:
জেড প্ল্যান্ট
পুরু পাতার এ গাছটিতে ফুল হয়। দিনে একবার রোদে দিলে তবেই গোলাপি ফুলের দেখা মিলবে, পাতার রংও লালচে হবে। ঘরের ভেতরেও গাছটি বেঁচে থাকে। তবে ফুল চাইলে রোদে দেওয়ার বিকল্প নেই। গাছে অতিরিক্ত পানি দেওয়া যাবে না। মাটি শুকনো হলে তবেই পানি দিতে হবে।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার পাতার ভেতরে যে জেলি থাকে, সেটা ভেষজগুণে ভরপুর। ত্বকে চুলকানি হলে বা রান্না করতে গিয়ে ছ্যাঁকা লাগলে অ্যালোভেরার কষ বেশ কাজে দেয়। অ্যালোভেরার জন্য কড়া রোদের প্রয়োজন নেই, এক সপ্তাহ পর পর পানি দিলেই এটি বেঁচে থাকে।
বুরোস টেইল
এই গাছ গাধার লেজ নামেও পরিচিত। ঝুলন্ত টবে বেশ ভালো হয়। এর লম্বা ডালগুলো টব বেয়ে ঝুলে পড়ে। আলো-বাতাসে রাখলে গ্রীষ্মকালে গাছটিতে লাল বা গোলাপি রঙের ফুল ফোটে। গোড়া শুকিয়ে গেলে তবেই পানি দিতে হয়।
ড্রাগনস ব্লাড
বাগানের সৌন্দর্য বাড়াতে চাইলে লাল-সবুজ পাতার সাকুলেন্টটি লাগাতে পারেন। যে মাটিতে অন্য কোনো গাছ হয় না, সেখানেও এই গাছ দিব্যি বড় হয়। সরাসরি রোদ সহ্য করতে পারে, ঠান্ডা আবহাওয়ায়েও টিকে থাকে এটি।
পিংক আইস
গাছটি ছয় ইঞ্চির বেশি লম্বা হয় না। মাটিতে গাছটি কার্পেটের মতো ছড়িয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে গোলাপি রঙের ফুল ফোটে। ছায়াতেও গাছটি বেঁচে থাকে। তবে সরাসরি রোদে রাখাই ভালো।
পান্ডা প্ল্যান্ট
গাছটি দুই ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। বড় হতে বেশ সময় লাগে। তাই ছোট টবে করে গাছটি জানালার পাশেও রাখা যায়। গোড়া যদি ভেজা থাকে, তবে পানি দেওয়া চলবে না। পানি দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পাতায় পানি না পড়ে। ভেজা পাতা পচে যেতে পারে।
বেবি নেকলেস
বেবি নেকলেস গাছটি ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। মাটিতে বা ঝুলন্ত টব, দুই জায়গাতেই গাছটি বেশ ভালো হয়। গাছটির জন্য কড়া রোদ প্রয়োজন হয়। তবে খানিকটা ছায়াঘেরা জায়গায়েও টিকে থাকে এটি।
গ্রীষ্মের শেষে গাছটিতে খুব ছোট
ছোট ফুল হয়।
ক্রিসমাস ক্যাকটাস
শীতকালে এতে লাল রঙের ফুল ফোটে। নামের সঙ্গে ‘ক্যাকটাস’ শব্দটি থাকলেও এর কাঁটা তেমন ধারালো নয়। আলোর জন্য জানালার পাশে রাখতে পারেন। ডিসেম্বরে ফুল ফোটে বলে একে বলা হয়
‘ক্রিসমাস ক্যাকটাস’।
জেব্রা হাওয়রথিয়া
ছোট গাছটির জন্য তেমন যত্নের প্রয়োজন হয় না। পাতার মধ্যে কাঁটা থাকে। গাছটির সঙ্গে অ্যালোভেরার মিল রয়েছে। গাছটিতে পানি দেওয়ার আগে আলো-বাতাস আছে এমন জায়গায় রাখতে হবে। গোড়া না শুকানো পর্যন্ত গাছে পানি দেওয়া যাবে না। গাছটি পাঁচ ইঞ্চি
পর্যন্ত লম্বা হয়।
সাকুলেন্টের যত্ন-আত্তি
যাঁরা বাসায় সময় দিতে পারেন না, তাঁদের জন্য সাকুলেন্ট বেশ উপযুক্ত। পানি দিতে ভুলে গেলেও গাছের কোনো ক্ষতি হবে না।
দামি আসবাব, দুর্মূল্য অ্যান্টিক, বিদেশি শোপিস, অ্যাকুয়ারিয়ামে দামি রঙিন মাছ–কতভাবেই না আমরা ঘরের শোভা বাড়ানোর চেষ্টা করি। ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে এসবের সঙ্গে যোগ হয়েছে উদ্ভিদ। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো সাকুলেন্ট।
সারা বিশ্বে প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির সাকুলেন্ট আছে। প্রতিটি জাতের জন্যই সূর্যের আলো প্রয়োজন। দৈনিক ছয় ঘণ্টার বেশি রোদ পেলেই সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে সাকুলেন্ট। যত্ন-আত্তির প্রয়োজন কম বলে ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে সারা বিশ্বে এটি জনপ্রিয়।
বেশির ভাগ সাকুলেন্টের আদি বাড়ি আফ্রিকা। মরু অঞ্চলের গাছ বলেই এর পাতায় পানি জমা থাকে। শিকড় হয় অগভীর। অ্যালোভেরা, ক্যাকটাস ও অর্কিড সাকুলেন্ট জাতের উদ্ভিদ।
আমাদের বহু পরিচিত আনারসও এই জাতের উদ্ভিদ। এর মধ্যে শুধু অর্কিড বৃষ্টির পানিতেও টিকে থাকতে পারে। আনারস ছাড়া সাকুলেন্ট জাতের প্রায় কোনো উদ্ভিদই খাওয়া যায় না।
আকার ও রংভেদে সাকুলেন্ট চিনতে এর পাতা খেয়াল করতে হবে। এই উদ্ভিদের পাতা বেশ মোটা হয়। পাতায় হাত দিলে মনে হবে যেন রাবার ধরেছেন। একসঙ্গে অনেক ধরনের সাকুলেন্ট এক টবে লাগালে দেখতে বেশ ভালো লাগে।
কয়েকটি জনপ্রিয় সাকুলেন্ট:
জেড প্ল্যান্ট
পুরু পাতার এ গাছটিতে ফুল হয়। দিনে একবার রোদে দিলে তবেই গোলাপি ফুলের দেখা মিলবে, পাতার রংও লালচে হবে। ঘরের ভেতরেও গাছটি বেঁচে থাকে। তবে ফুল চাইলে রোদে দেওয়ার বিকল্প নেই। গাছে অতিরিক্ত পানি দেওয়া যাবে না। মাটি শুকনো হলে তবেই পানি দিতে হবে।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরার পাতার ভেতরে যে জেলি থাকে, সেটা ভেষজগুণে ভরপুর। ত্বকে চুলকানি হলে বা রান্না করতে গিয়ে ছ্যাঁকা লাগলে অ্যালোভেরার কষ বেশ কাজে দেয়। অ্যালোভেরার জন্য কড়া রোদের প্রয়োজন নেই, এক সপ্তাহ পর পর পানি দিলেই এটি বেঁচে থাকে।
বুরোস টেইল
এই গাছ গাধার লেজ নামেও পরিচিত। ঝুলন্ত টবে বেশ ভালো হয়। এর লম্বা ডালগুলো টব বেয়ে ঝুলে পড়ে। আলো-বাতাসে রাখলে গ্রীষ্মকালে গাছটিতে লাল বা গোলাপি রঙের ফুল ফোটে। গোড়া শুকিয়ে গেলে তবেই পানি দিতে হয়।
ড্রাগনস ব্লাড
বাগানের সৌন্দর্য বাড়াতে চাইলে লাল-সবুজ পাতার সাকুলেন্টটি লাগাতে পারেন। যে মাটিতে অন্য কোনো গাছ হয় না, সেখানেও এই গাছ দিব্যি বড় হয়। সরাসরি রোদ সহ্য করতে পারে, ঠান্ডা আবহাওয়ায়েও টিকে থাকে এটি।
পিংক আইস
গাছটি ছয় ইঞ্চির বেশি লম্বা হয় না। মাটিতে গাছটি কার্পেটের মতো ছড়িয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে গোলাপি রঙের ফুল ফোটে। ছায়াতেও গাছটি বেঁচে থাকে। তবে সরাসরি রোদে রাখাই ভালো।
পান্ডা প্ল্যান্ট
গাছটি দুই ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। বড় হতে বেশ সময় লাগে। তাই ছোট টবে করে গাছটি জানালার পাশেও রাখা যায়। গোড়া যদি ভেজা থাকে, তবে পানি দেওয়া চলবে না। পানি দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পাতায় পানি না পড়ে। ভেজা পাতা পচে যেতে পারে।
বেবি নেকলেস
বেবি নেকলেস গাছটি ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। মাটিতে বা ঝুলন্ত টব, দুই জায়গাতেই গাছটি বেশ ভালো হয়। গাছটির জন্য কড়া রোদ প্রয়োজন হয়। তবে খানিকটা ছায়াঘেরা জায়গায়েও টিকে থাকে এটি।
গ্রীষ্মের শেষে গাছটিতে খুব ছোট
ছোট ফুল হয়।
ক্রিসমাস ক্যাকটাস
শীতকালে এতে লাল রঙের ফুল ফোটে। নামের সঙ্গে ‘ক্যাকটাস’ শব্দটি থাকলেও এর কাঁটা তেমন ধারালো নয়। আলোর জন্য জানালার পাশে রাখতে পারেন। ডিসেম্বরে ফুল ফোটে বলে একে বলা হয়
‘ক্রিসমাস ক্যাকটাস’।
জেব্রা হাওয়রথিয়া
ছোট গাছটির জন্য তেমন যত্নের প্রয়োজন হয় না। পাতার মধ্যে কাঁটা থাকে। গাছটির সঙ্গে অ্যালোভেরার মিল রয়েছে। গাছটিতে পানি দেওয়ার আগে আলো-বাতাস আছে এমন জায়গায় রাখতে হবে। গোড়া না শুকানো পর্যন্ত গাছে পানি দেওয়া যাবে না। গাছটি পাঁচ ইঞ্চি
পর্যন্ত লম্বা হয়।
সাকুলেন্টের যত্ন-আত্তি
যাঁরা বাসায় সময় দিতে পারেন না, তাঁদের জন্য সাকুলেন্ট বেশ উপযুক্ত। পানি দিতে ভুলে গেলেও গাছের কোনো ক্ষতি হবে না।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
৪ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
৪ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
৪ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
৪ দিন আগে