আনিকা জীনাত, ঢাকা
সমগ্র পৃথিবীতে এখন অন্যতম বড় চিন্তা নিরাপত্তা। আর যুগ যখন ডিজিটাল ও স্মার্ট প্রযুক্তির, তখন নিরাপত্তা সিস্টেমও আপনার হাতের মুঠোয়। বাড়ি, ফ্ল্যাট কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান– সব জায়গাতেই ব্যবহার করা সম্ভব নিরাপত্তা ডিভাইসগুলো। এগুলোর বড় সুবিধা, আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে ডিভাইসগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং নোটিফিকেশনও পাওয়া যায়। ফলে এগুলো দ্রুত সম্ভাব্য দুর্ঘটনা রোধ করতে পারে।
স্মার্ট ডোর লক
অনেকেই আছেন, যাঁরা মনের ভুলে দরজাতেই চাবি ঝুলিয়ে রাখেন। দরজা খোলা রেখে ঘুমালে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। আবার চাবি না থাকলেও প্রচলিত তালা বা লক খোলা খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। তাই নিশ্চিন্ত থাকতে চাইলে ঘরে স্মার্ট ডোর লক লাগাতে পারেন। বাড়িতে সর্বক্ষণিক ওয়াই-ফাই সচল থাকলে তবেই এটা কাজে দেবে। স্মার্ট ডোর লক লাগিয়ে নিলে বাড়ি থেকে চাবি নিয়ে বের হওয়ার প্রয়োজন নেই। অ্যাপ দিয়েই ঘরের দরজা লক করা যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনি বাইরে থাকলে স্মার্টফোনের মাধ্যমে দরজা খুলতে পারবেন।
আপনি বাসায় নেই। কোনো একটি জরুরি জিনিস নিতে আপনার বন্ধু বাড়ি এসেছেন। এমন অবস্থায় পড়লেও চিন্তা নেই। তাঁর জন্য দরজা খুলে দেওয়া কোনো ব্যাপারই নয় স্মার্ট ডোর লক থাকলে। একটি লক সর্বোচ্চ ১০০ জনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে পারে বা ফেস স্ক্যান করতে পারে।কখনো ফোন হারালেও এন্ট্রি কোড দিয়ে ঘরে ঢুকতে পারবেন। বিকল্প হিসেবে চাবিও ব্যবহার করা যাবে।
স্মার্ট লকেরও কিছু দুর্বল দিক আছে। হ্যাকাররা লক হ্যাক করতে পারে। তাই বিপদমুক্ত থাকতে নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। অন্য কাউকে পাসওয়ার্ড দেওয়া যাবে না। সংযুক্ত অ্যাপটি নিয়মিত আপডেট করতে হবে।
দরদাম
দেশের বাজারে ৯ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকার স্মার্ট ডোর লক পাওয়া যায়।
ভিডিও ডোরবেল
সিসিটিভি ক্যামেরা ও ভিডিও ডোরবেলের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। বাড়ির সদর দরজার সামনে এটি লাগানো হয়। কোনো অতিথি এলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নোটিফিকেশন চলে যায়। দরজার কাছে কে দাঁড়িয়ে আছে তার ছবি ও ভিডিও ফোনেই দেখা যায়।
খুব উন্নতমানের ভিডিও ডোরবেল, যেমন ইউফি হোমবেজ ২-তে ক্যামেরা থাকে দুটি। একটি দিয়ে অতিথির ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। এটির ক্যামেরা হয় ২-কে রেজল্যুশনের। আরেক ক্যামেরা দিয়ে বাড়িতে ডেলিভারি করা পণ্যের ছবি ও ভিডিও দেখা যায়। দরজার বাইরে থাকলেও ঝড়-বৃষ্টিতে নষ্ট হয় না ভিডিও ডোরবেল। ৬ মাসে একবার চার্জ দিলেই চলে। ৩ মাসের জন্য থাকবে ১৬ জিবি স্টোরেজ। বাড়িতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকলে ভিডিও ডোরবেল বেশ কাজে দেবে।
দরদাম
ভালো মানের ভিডিও ডোরবেলের দাম পড়বে প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
সিসিটিভি ক্যামেরা
আমাদের দেশে জনপ্রিয় নিরাপত্তা ডিভাইস এটি। বিভিন্নভাবে এই সিসিটিভি ক্যামেরা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
বাড়িতে চোর এলে তার ছবি তুলে রাখার দায়িত্ব সিসিটিভি ক্যামেরার। ভিডিও পজ করলেই দেখতে পাবেন কে, কী জিনিস নিয়ে গেছে। চোরের ছবি দেখে গ্যারেজ বা পার্কিং এরিয়া থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারের ঘটনাও কম নয়। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তো বটেই, পরীক্ষার হলেও লাগানো হচ্ছে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) সিস্টেম। কোনো অঘটন ঘটলে অপরাধী শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ ব্যবহার করতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
এমনকি বাসায় থাকা ছোট শিশুটি কখন কী করছে, তা নজরে রাখতেও অনেকে ঘরে ক্যামেরা লাগান। ক্যামেরা লাগালে দুর্ঘটনা বা অঘটন ঠেকানো যায় না, তবে কী ঘটেছিল তার রেকর্ড পাওয়া যায়। রেকর্ড করা ফুটেজ আপনাকে সুবিধা দিতে পারে। যেমন ধরুন বাসার গ্যারেজে আগুন লেগেছে। তাৎক্ষণিকভাবে হয়তো নিভিয়ে ফেলেছেন। তবে কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানতে হলে সিসিটিভির ফুটেজ দেখতে হবে।
মনিটর, ক্যামেরা ও অ্যাপ দিয়ে মোবাইল ফোনেই বাসার বিভিন্ন জায়গার ভিডিও দেখা যায়। ক্যামেরা যা ধারণ করে তার ভিডিও সরাসরি দেখা যায় মনিটরে। স্মার্টফোনে নির্দিষ্ট অ্যাপ নামিয়ে ভেরিফিকেশন কোড দিয়েও ফুটেজ দেখা যায়। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর পর খুব বেশি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন পড়ে না। মাঝেমধ্যে মুছে নিলেই হয়।
দরদাম
দেড় হাজার টাকা থেকে এর দাম শুরু। বাজারে ২২ হাজার টাকার ক্যামেরাও আছে। ৫টি ক্যামেরা দিয়ে বাড়ি নজরদারিতে রাখতে খরচ হবে প্রায় ৩৪ হাজার টাকা।
স্মার্ট স্মোক ডিটেক্টর
ঘর থেকে ধোঁয়া বের হওয়া মাত্র আপনাকে সতর্ক করবে স্মার্ট স্মোক ডিটেক্টর। এটি শুধু মোবাইল ফোনে অ্যালার্ম রিংটোন বাজাবে না, স্মার্টফোনে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যালার্ট নোটিফিকেশনও পাঠাবে। তাই বাসায় না থাকলেও রিয়েল টাইমে ধোঁয়া বের হওয়ার খবর পাওয়া যাবে।
দরদাম
স্মার্ট স্মোক ডিটেক্টরের দাম দেড় হাজার টাকা থেকে শুরু। বাসায় কটি স্থানে অ্যালার্ম লাগাতে চান তার ওপর খরচ নির্ভর করবে।
সমগ্র পৃথিবীতে এখন অন্যতম বড় চিন্তা নিরাপত্তা। আর যুগ যখন ডিজিটাল ও স্মার্ট প্রযুক্তির, তখন নিরাপত্তা সিস্টেমও আপনার হাতের মুঠোয়। বাড়ি, ফ্ল্যাট কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান– সব জায়গাতেই ব্যবহার করা সম্ভব নিরাপত্তা ডিভাইসগুলো। এগুলোর বড় সুবিধা, আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি দিয়ে ডিভাইসগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং নোটিফিকেশনও পাওয়া যায়। ফলে এগুলো দ্রুত সম্ভাব্য দুর্ঘটনা রোধ করতে পারে।
স্মার্ট ডোর লক
অনেকেই আছেন, যাঁরা মনের ভুলে দরজাতেই চাবি ঝুলিয়ে রাখেন। দরজা খোলা রেখে ঘুমালে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। আবার চাবি না থাকলেও প্রচলিত তালা বা লক খোলা খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। তাই নিশ্চিন্ত থাকতে চাইলে ঘরে স্মার্ট ডোর লক লাগাতে পারেন। বাড়িতে সর্বক্ষণিক ওয়াই-ফাই সচল থাকলে তবেই এটা কাজে দেবে। স্মার্ট ডোর লক লাগিয়ে নিলে বাড়ি থেকে চাবি নিয়ে বের হওয়ার প্রয়োজন নেই। অ্যাপ দিয়েই ঘরের দরজা লক করা যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনি বাইরে থাকলে স্মার্টফোনের মাধ্যমে দরজা খুলতে পারবেন।
আপনি বাসায় নেই। কোনো একটি জরুরি জিনিস নিতে আপনার বন্ধু বাড়ি এসেছেন। এমন অবস্থায় পড়লেও চিন্তা নেই। তাঁর জন্য দরজা খুলে দেওয়া কোনো ব্যাপারই নয় স্মার্ট ডোর লক থাকলে। একটি লক সর্বোচ্চ ১০০ জনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে পারে বা ফেস স্ক্যান করতে পারে।কখনো ফোন হারালেও এন্ট্রি কোড দিয়ে ঘরে ঢুকতে পারবেন। বিকল্প হিসেবে চাবিও ব্যবহার করা যাবে।
স্মার্ট লকেরও কিছু দুর্বল দিক আছে। হ্যাকাররা লক হ্যাক করতে পারে। তাই বিপদমুক্ত থাকতে নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। অন্য কাউকে পাসওয়ার্ড দেওয়া যাবে না। সংযুক্ত অ্যাপটি নিয়মিত আপডেট করতে হবে।
দরদাম
দেশের বাজারে ৯ হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকার স্মার্ট ডোর লক পাওয়া যায়।
ভিডিও ডোরবেল
সিসিটিভি ক্যামেরা ও ভিডিও ডোরবেলের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। বাড়ির সদর দরজার সামনে এটি লাগানো হয়। কোনো অতিথি এলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নোটিফিকেশন চলে যায়। দরজার কাছে কে দাঁড়িয়ে আছে তার ছবি ও ভিডিও ফোনেই দেখা যায়।
খুব উন্নতমানের ভিডিও ডোরবেল, যেমন ইউফি হোমবেজ ২-তে ক্যামেরা থাকে দুটি। একটি দিয়ে অতিথির ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়। এটির ক্যামেরা হয় ২-কে রেজল্যুশনের। আরেক ক্যামেরা দিয়ে বাড়িতে ডেলিভারি করা পণ্যের ছবি ও ভিডিও দেখা যায়। দরজার বাইরে থাকলেও ঝড়-বৃষ্টিতে নষ্ট হয় না ভিডিও ডোরবেল। ৬ মাসে একবার চার্জ দিলেই চলে। ৩ মাসের জন্য থাকবে ১৬ জিবি স্টোরেজ। বাড়িতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকলে ভিডিও ডোরবেল বেশ কাজে দেবে।
দরদাম
ভালো মানের ভিডিও ডোরবেলের দাম পড়বে প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
সিসিটিভি ক্যামেরা
আমাদের দেশে জনপ্রিয় নিরাপত্তা ডিভাইস এটি। বিভিন্নভাবে এই সিসিটিভি ক্যামেরা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
বাড়িতে চোর এলে তার ছবি তুলে রাখার দায়িত্ব সিসিটিভি ক্যামেরার। ভিডিও পজ করলেই দেখতে পাবেন কে, কী জিনিস নিয়ে গেছে। চোরের ছবি দেখে গ্যারেজ বা পার্কিং এরিয়া থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারের ঘটনাও কম নয়। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তো বটেই, পরীক্ষার হলেও লাগানো হচ্ছে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) সিস্টেম। কোনো অঘটন ঘটলে অপরাধী শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ ব্যবহার করতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
এমনকি বাসায় থাকা ছোট শিশুটি কখন কী করছে, তা নজরে রাখতেও অনেকে ঘরে ক্যামেরা লাগান। ক্যামেরা লাগালে দুর্ঘটনা বা অঘটন ঠেকানো যায় না, তবে কী ঘটেছিল তার রেকর্ড পাওয়া যায়। রেকর্ড করা ফুটেজ আপনাকে সুবিধা দিতে পারে। যেমন ধরুন বাসার গ্যারেজে আগুন লেগেছে। তাৎক্ষণিকভাবে হয়তো নিভিয়ে ফেলেছেন। তবে কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানতে হলে সিসিটিভির ফুটেজ দেখতে হবে।
মনিটর, ক্যামেরা ও অ্যাপ দিয়ে মোবাইল ফোনেই বাসার বিভিন্ন জায়গার ভিডিও দেখা যায়। ক্যামেরা যা ধারণ করে তার ভিডিও সরাসরি দেখা যায় মনিটরে। স্মার্টফোনে নির্দিষ্ট অ্যাপ নামিয়ে ভেরিফিকেশন কোড দিয়েও ফুটেজ দেখা যায়। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর পর খুব বেশি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন পড়ে না। মাঝেমধ্যে মুছে নিলেই হয়।
দরদাম
দেড় হাজার টাকা থেকে এর দাম শুরু। বাজারে ২২ হাজার টাকার ক্যামেরাও আছে। ৫টি ক্যামেরা দিয়ে বাড়ি নজরদারিতে রাখতে খরচ হবে প্রায় ৩৪ হাজার টাকা।
স্মার্ট স্মোক ডিটেক্টর
ঘর থেকে ধোঁয়া বের হওয়া মাত্র আপনাকে সতর্ক করবে স্মার্ট স্মোক ডিটেক্টর। এটি শুধু মোবাইল ফোনে অ্যালার্ম রিংটোন বাজাবে না, স্মার্টফোনে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যালার্ট নোটিফিকেশনও পাঠাবে। তাই বাসায় না থাকলেও রিয়েল টাইমে ধোঁয়া বের হওয়ার খবর পাওয়া যাবে।
দরদাম
স্মার্ট স্মোক ডিটেক্টরের দাম দেড় হাজার টাকা থেকে শুরু। বাসায় কটি স্থানে অ্যালার্ম লাগাতে চান তার ওপর খরচ নির্ভর করবে।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে