সানজিদা সামরিন, ঢাকা
ঘর সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখার জন্য যে বড় বাজেটের প্রয়োজন নেই, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই ঠাহর হয়। নিজের প্রয়োজন, পছন্দ ও সাধ্য অনুযায়ীই এখন প্রত্য়েকে ঘর সাজান। চলতি সময়ে হোম ডেকর ভ্লগগুলোয় দেখা যাচ্ছে বাড়িতে ছোট্ট টি কর্নার রাখার ব্যাপারটি। নিঃসন্দেহে বাড়ির এক কোণে ছোট্ট টি-কর্নার রাখার স্বপ্ন প্রত্য়েক চা-প্রেমীরই থাকে। এখানেও প্রশ্ন, এর জন্য কি বড় বাজেটের প্রয়োজন? উত্তরটা সহজ; নিজের সাধ্য় ও পছন্দে মিল ঘটিয়ে সঠিক উপকরণের যোগান দিতে পারলেই কাজটা সহজ হয়ে যায়। আজ জাতীয় চা দিবসে জেনে নিন কী করে বাজেট ফ্রেন্ডলি উপায়ে ঘরেই বানিয়ে নেওয়া সম্ভব ছোট্ট চা-কর্নার।
জায়গা নির্বাচন
আপনি বাড়ির কোন জায়গায় বসে চা খেতে বেশি ভালোবাসেন, সেটা বুঝে চা-কর্নার কোথায় বানাবেন তা ঠিক করতে হবে। তা হতে পারে বারান্দা, ছাদের ছায়াঘেরা কোনো জায়গা, ডাইনিং ও বসার ঘরের মাঝখানের কোনো স্থান বা বসার ঘরেরই কোনো একটা কোনায়। এসব জায়গায় চা তৈরির টেবিল বা কেবিনেট, হ্যাঙিং স্ট্যান্ড, বসার টুল, ছোট সোফা বা চেয়ার, কুশন, ডেকোরেটিভ লাইট, ইনডোর প্ল্যান্ট ইত্যাদি সেট করেই বানিয়ে ফেলা যাবে ছোট্ট আকর্ষণীয় চা-কর্নার।
কেবিনেট ও টেবিল
জায়গা বশি থাকলে চা-কর্নারে কেবিনেট ও টেবিল দুটোই রাখা যেতে পারে। চা পানের টেবিল আকারে খুবই ছোট হয়। চারকোনা বা গোল ছোট টেবিলের সঙ্গে দুটি ছোট টুল বা চেয়ার রাখা যেতে পারে। টেবিল বসানোর জায়গা না থাকলে দেয়াল ঘেঁষে শুধু স্লিম কেবিনেট রাখতে পারেন। সেখানেই কেটলি, দুধ, চিনি, চা-পাতা রাখার পট সাজানো থাকবে। দেয়ালে ড্রিল করে মগ ঝোলানোর স্ট্যান্ড বসিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে স্ট্যান্ড বসানোর জন্যও যদি পর্যাপ্ত জায়গা না পাওয়া যায়, তাহলে ছোট কেবিনেট বানিয়ে দেয়ালেই সেট করে নেওয়া যেতে পারে। আর কেবিনেটের নিচে দুটো টুল রেখে দেওয়া যেতে পারে বসে চা পানের জন্য। এতে জায়গাও বাঁচবে। এ ধরনের কেবিনেট তৈরিতে খুব বেশি খরচের প্রয়োজন নেই। বড় বড় কাঠের দোকনে গিয়ে পুরোনো বোর্ড ও কাঠ দিয়ে বানিয়ে দিতে বললেই অল্প খলচে বানিয়ে নেওয়া যাবে শখের কেবিনেট। আর রংটা বাড়িতে বসে নিজেই করে ফেলুন।
উষ্ণ আলোর আমেজ
চা-কর্নারে কেবিনেট বা টেবিল যেখানে বসাবেন, সেই অংশের দেয়ালে চাইলে একটা ভিন্ন রং করে নেওয়া যেতে পারে। ঝামেলা এড়াতে দেওয়া স্টিকার বা ছোট ছোট কয়েকটা পেইন্টিং ঝুলিয়ে নিতে পারেন। এখানে ব্যবহার করা যেতে পারে ছোট্ট কোনো পেন্ডেন্ট লাইট বা এলইডির ওয়ার্ম ভার্সনের লাইটগুলো। জায়গাটায় প্রাণ ফেরা সবুজ কোনো ইনডোর প্ল্যান্টও রাখতে পারেন।
চায়ের জোগাড়যন্ত
এবার আসা যাক আসল প্রসঙ্গে; চা তৈরি ও পরিবেশনের জন্য কী কী লাগবে এবার সেটার তালিকা করে ফেলুন। এখন অনলাইনেও চা-পাতা, টি-ব্যাগ কফি, দুধ, চিনি, বিস্কুট ও অন্যান্য স্ন্যাকস রাখার জন্য সুন্দর সুন্দর কৌটো পাওয়া যায়। কিনে ফেলতে পারেন ভালো মানের একটা ইলেকট্রিক কেটলি ও ফ্লাস্ক। ছোট গ্যাস ও ইলেক্ট্রিক স্টোভও আজকাল অনলাইনে পাওয়া যায়। বিভিন্ন রং ও আকৃতির এই গ্যাস স্টোভও রাখা যেতে পারে চা-কর্নারে। চায়ের জন্য ডেকোরিটিভ কিছু কাপ, মগ রাখতে পারেন। সুন্দর কোনো কেটলি বা টিপটও রাখা যেতে পারে। অনলাইনে বিভিন্ন পেজে এখন শুধু চা-কর্নার সাজানোর জন্যই ডেকোরেটিভ আইটেম পাওয়া যায়। দাম একটু বেশি পড়লেও নান্দনিক সেই সব উপকরণ এখন অনেকেই ব্যবহার করছেন শখের এই কর্নারের সৌন্দর্যবর্ধনে।
পরিচ্ছন্নতায় অবহেলা নয়
যেহেতু চা তৈরির পর্বটাকে রান্নাঘর থেকে বের করে ঘরের দৃশ্য়মান অংশেই সরিয়ে ফেলার কথা হচ্ছে, সেহেতু এ কথাও মনে রাখতে হবে, এই চা-কর্নার যেন সব সময় গোছানো ও পরিচ্ছন্ন থাকে। কেবিনেটে যেন চিনি, চা-পাতা, গুঁড়ো দুধ, বিস্কুটের গুঁড়া পড়ে না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। চা তৈরি ও পানের পর সব সময়ই টেবিল বা কেবিনেট ভালো করে মুছে ফেলতে হবে। পিঁপড়া ও পোকামাকড় থেকে বাঁচাতে চা তৈরির উপকরণগুলো এয়ারটাইট বয়ামে রাখাটাই ভালো।
সূত্র: গুড হাউজ কিপিং ও আইকিয়া
ঘর সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখার জন্য যে বড় বাজেটের প্রয়োজন নেই, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই ঠাহর হয়। নিজের প্রয়োজন, পছন্দ ও সাধ্য অনুযায়ীই এখন প্রত্য়েকে ঘর সাজান। চলতি সময়ে হোম ডেকর ভ্লগগুলোয় দেখা যাচ্ছে বাড়িতে ছোট্ট টি কর্নার রাখার ব্যাপারটি। নিঃসন্দেহে বাড়ির এক কোণে ছোট্ট টি-কর্নার রাখার স্বপ্ন প্রত্য়েক চা-প্রেমীরই থাকে। এখানেও প্রশ্ন, এর জন্য কি বড় বাজেটের প্রয়োজন? উত্তরটা সহজ; নিজের সাধ্য় ও পছন্দে মিল ঘটিয়ে সঠিক উপকরণের যোগান দিতে পারলেই কাজটা সহজ হয়ে যায়। আজ জাতীয় চা দিবসে জেনে নিন কী করে বাজেট ফ্রেন্ডলি উপায়ে ঘরেই বানিয়ে নেওয়া সম্ভব ছোট্ট চা-কর্নার।
জায়গা নির্বাচন
আপনি বাড়ির কোন জায়গায় বসে চা খেতে বেশি ভালোবাসেন, সেটা বুঝে চা-কর্নার কোথায় বানাবেন তা ঠিক করতে হবে। তা হতে পারে বারান্দা, ছাদের ছায়াঘেরা কোনো জায়গা, ডাইনিং ও বসার ঘরের মাঝখানের কোনো স্থান বা বসার ঘরেরই কোনো একটা কোনায়। এসব জায়গায় চা তৈরির টেবিল বা কেবিনেট, হ্যাঙিং স্ট্যান্ড, বসার টুল, ছোট সোফা বা চেয়ার, কুশন, ডেকোরেটিভ লাইট, ইনডোর প্ল্যান্ট ইত্যাদি সেট করেই বানিয়ে ফেলা যাবে ছোট্ট আকর্ষণীয় চা-কর্নার।
কেবিনেট ও টেবিল
জায়গা বশি থাকলে চা-কর্নারে কেবিনেট ও টেবিল দুটোই রাখা যেতে পারে। চা পানের টেবিল আকারে খুবই ছোট হয়। চারকোনা বা গোল ছোট টেবিলের সঙ্গে দুটি ছোট টুল বা চেয়ার রাখা যেতে পারে। টেবিল বসানোর জায়গা না থাকলে দেয়াল ঘেঁষে শুধু স্লিম কেবিনেট রাখতে পারেন। সেখানেই কেটলি, দুধ, চিনি, চা-পাতা রাখার পট সাজানো থাকবে। দেয়ালে ড্রিল করে মগ ঝোলানোর স্ট্যান্ড বসিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে স্ট্যান্ড বসানোর জন্যও যদি পর্যাপ্ত জায়গা না পাওয়া যায়, তাহলে ছোট কেবিনেট বানিয়ে দেয়ালেই সেট করে নেওয়া যেতে পারে। আর কেবিনেটের নিচে দুটো টুল রেখে দেওয়া যেতে পারে বসে চা পানের জন্য। এতে জায়গাও বাঁচবে। এ ধরনের কেবিনেট তৈরিতে খুব বেশি খরচের প্রয়োজন নেই। বড় বড় কাঠের দোকনে গিয়ে পুরোনো বোর্ড ও কাঠ দিয়ে বানিয়ে দিতে বললেই অল্প খলচে বানিয়ে নেওয়া যাবে শখের কেবিনেট। আর রংটা বাড়িতে বসে নিজেই করে ফেলুন।
উষ্ণ আলোর আমেজ
চা-কর্নারে কেবিনেট বা টেবিল যেখানে বসাবেন, সেই অংশের দেয়ালে চাইলে একটা ভিন্ন রং করে নেওয়া যেতে পারে। ঝামেলা এড়াতে দেওয়া স্টিকার বা ছোট ছোট কয়েকটা পেইন্টিং ঝুলিয়ে নিতে পারেন। এখানে ব্যবহার করা যেতে পারে ছোট্ট কোনো পেন্ডেন্ট লাইট বা এলইডির ওয়ার্ম ভার্সনের লাইটগুলো। জায়গাটায় প্রাণ ফেরা সবুজ কোনো ইনডোর প্ল্যান্টও রাখতে পারেন।
চায়ের জোগাড়যন্ত
এবার আসা যাক আসল প্রসঙ্গে; চা তৈরি ও পরিবেশনের জন্য কী কী লাগবে এবার সেটার তালিকা করে ফেলুন। এখন অনলাইনেও চা-পাতা, টি-ব্যাগ কফি, দুধ, চিনি, বিস্কুট ও অন্যান্য স্ন্যাকস রাখার জন্য সুন্দর সুন্দর কৌটো পাওয়া যায়। কিনে ফেলতে পারেন ভালো মানের একটা ইলেকট্রিক কেটলি ও ফ্লাস্ক। ছোট গ্যাস ও ইলেক্ট্রিক স্টোভও আজকাল অনলাইনে পাওয়া যায়। বিভিন্ন রং ও আকৃতির এই গ্যাস স্টোভও রাখা যেতে পারে চা-কর্নারে। চায়ের জন্য ডেকোরিটিভ কিছু কাপ, মগ রাখতে পারেন। সুন্দর কোনো কেটলি বা টিপটও রাখা যেতে পারে। অনলাইনে বিভিন্ন পেজে এখন শুধু চা-কর্নার সাজানোর জন্যই ডেকোরেটিভ আইটেম পাওয়া যায়। দাম একটু বেশি পড়লেও নান্দনিক সেই সব উপকরণ এখন অনেকেই ব্যবহার করছেন শখের এই কর্নারের সৌন্দর্যবর্ধনে।
পরিচ্ছন্নতায় অবহেলা নয়
যেহেতু চা তৈরির পর্বটাকে রান্নাঘর থেকে বের করে ঘরের দৃশ্য়মান অংশেই সরিয়ে ফেলার কথা হচ্ছে, সেহেতু এ কথাও মনে রাখতে হবে, এই চা-কর্নার যেন সব সময় গোছানো ও পরিচ্ছন্ন থাকে। কেবিনেটে যেন চিনি, চা-পাতা, গুঁড়ো দুধ, বিস্কুটের গুঁড়া পড়ে না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। চা তৈরি ও পানের পর সব সময়ই টেবিল বা কেবিনেট ভালো করে মুছে ফেলতে হবে। পিঁপড়া ও পোকামাকড় থেকে বাঁচাতে চা তৈরির উপকরণগুলো এয়ারটাইট বয়ামে রাখাটাই ভালো।
সূত্র: গুড হাউজ কিপিং ও আইকিয়া
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
১২ ঘণ্টা আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
১২ ঘণ্টা আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
১২ ঘণ্টা আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে