বিভাবরী রায়
ভোরের আলো সবে ফুটেছে। বের হতে হবে কিছুক্ষণ পরই। দিনটি একুশে ফেব্রুয়ারি। কালো একটা শাড়ি পরেছে সুরঞ্জনা। জমিনে বর্ণমালা ফুটে আছে রুপালি রঙে, আঁচলে শহীদ মিনার আঁকা। চোখে আলতো করে কাজল টেনে কপালে ছোট্ট টিপ তুলে দিয়ে হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে এবার সে রওনা দিল শহীদ মিনারের উদ্দেশে। এই সকালটা সাদামাটা, তবে বাতাসের প্রতিটি কণা যেন গৌরবে পূর্ণ হয়ে আছে।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। নব্বইয়ের দশকে ফিরে তাকালেই দেখা যায়, একরঙা কালো ব্লাউজের সঙ্গে কালো পেড়ে সাদা শাড়ি পরে খালি পায়ে হাতে ফুল নিয়ে মেয়েরা প্রভাতফেরিতে অংশ নিত। এদিন সাজপোশাকে আড়ম্বর থাকত না। অন্যদিকে ছেলেরা সাদা বা কালো রঙের আটপৌরে পাজামা-পাঞ্জাবি পরেই শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যেত।
এখন অবশ্য বিশেষ দিনগুলোয় নিজেদের পরিধেয় নিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন হয়েছে মানুষ। দিবসভেদে এসেছে নানান মোটিফ। ফ্যাশন-সচেতন মানুষের রুচি, পছন্দ আর বিশেষ দিনগুলোর কথা বিবেচনায় রেখে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোও নিয়ে আসে সময়োপযোগী পোশাক-আশাক। সব বয়সী মানুষেরাই এখন দিবসগুলোকে ধারণ করে। ধারণ করে দিবসের প্রতীকী রং। ফলে সেসব রং বিবেচনায় রেখে তৈরি হচ্ছে নারী-পুরুষ ও শিশুদের নিত্যনতুন পোশাক।
নিকট অতীতে অনেক বছর ধরে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো একুশে ফেব্রুয়ারিকে বিবেচনায় রেখে পোশাকের রঙে ও নকশায় তুলে ধরছে বাংলাদেশের নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ভিন্ন ভিন্ন ধারায় পোশাকে নকশা করছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শহীদ মিনার, বাংলা বর্ণমালা, বাংলা কবি, কবিতা ইত্যাদি। এভাবেই পোশাকের নকশার মাধ্যমে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকশা করা পোশাকের মধ্যে নকশিকাঁথার ফোঁড়, ব্লক, অ্যাপ্লিক, ক্যাটওয়াক, স্ক্রিন, হ্যান্ডপেইন্ট, এমব্রয়ডারির কাজ এবার দেখা যাচ্ছে।
একুশের চেতনার সঙ্গে মিলিয়ে পোশাকে সাদা-কালো রঙের প্রাধান্য থাকলেও এখন আর তা এই দুটি রঙের মধ্যে আটকে নেই। সাদা, কালো, লাল, সবুজ, ছাই—সব রঙেই সাজছে একুশের পোশাক। কাপড়ের ক্ষেত্রে সুতির প্রাধান্য থাকলেও তাঁত, মসলিন, সিল্ক প্রভৃতির ব্যবহারও বাড়ছে।
দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে আনা পোশাকে বর্ণমালা, শহীদ মিনার, কবিতার পঙ্ক্তি ব্যবহার করছে। এসব ছাড়া একরঙা সাদার ওপর কালো ফ্লোরাল মোটিফের শাড়ি, সাদা-কালো স্ট্রাইপের সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট ইত্যাদিও পাওয়া যাচ্ছে শোরুমগুলোয়।
তবে বরাবরের মতো ভাষার মাসের বিশেষ রং হিসেবে প্রায় সব ফ্যাশন হাউস ও পোশাক ব্র্যান্ড ব্যবহার করেছে সাদা আর কালো রং; পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে লাল এবং ছাই রংও।
নামী দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো ছাড়াও ফেসবুকের অনলাইন শাড়ির পেজগুলো একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে এনেছে বিশেষ শাড়ি। একুশে ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন বিশেষ দিনগুলোয় শাড়িতে তারা বিশেষ ছাড় দেয়। যাঁরা ঘরে বসে একুশের পোশাক কিনতে চান, তাঁরা সাতকাহন, কইন্যা, শাড়িজ বিডি, কৃষ্ণকলী, নন্দিনী, ক-তে কাপড়ের ফেসবুক পেজ ঘুরে দেখতে পারেন। এসব পেজে হাফসিল্ক, সুতি, হ্যান্ডলুম, জামদানি, সিল্ক ও তসরের শাড়ি পাওয়া যায়। এসব শাড়ি ৯৫০ থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ টাকায় মিলবে। অনলাইনে অর্ডার করলে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছে যাবে ঘরে।
ভোরের আলো সবে ফুটেছে। বের হতে হবে কিছুক্ষণ পরই। দিনটি একুশে ফেব্রুয়ারি। কালো একটা শাড়ি পরেছে সুরঞ্জনা। জমিনে বর্ণমালা ফুটে আছে রুপালি রঙে, আঁচলে শহীদ মিনার আঁকা। চোখে আলতো করে কাজল টেনে কপালে ছোট্ট টিপ তুলে দিয়ে হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে এবার সে রওনা দিল শহীদ মিনারের উদ্দেশে। এই সকালটা সাদামাটা, তবে বাতাসের প্রতিটি কণা যেন গৌরবে পূর্ণ হয়ে আছে।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। নব্বইয়ের দশকে ফিরে তাকালেই দেখা যায়, একরঙা কালো ব্লাউজের সঙ্গে কালো পেড়ে সাদা শাড়ি পরে খালি পায়ে হাতে ফুল নিয়ে মেয়েরা প্রভাতফেরিতে অংশ নিত। এদিন সাজপোশাকে আড়ম্বর থাকত না। অন্যদিকে ছেলেরা সাদা বা কালো রঙের আটপৌরে পাজামা-পাঞ্জাবি পরেই শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যেত।
এখন অবশ্য বিশেষ দিনগুলোয় নিজেদের পরিধেয় নিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন হয়েছে মানুষ। দিবসভেদে এসেছে নানান মোটিফ। ফ্যাশন-সচেতন মানুষের রুচি, পছন্দ আর বিশেষ দিনগুলোর কথা বিবেচনায় রেখে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোও নিয়ে আসে সময়োপযোগী পোশাক-আশাক। সব বয়সী মানুষেরাই এখন দিবসগুলোকে ধারণ করে। ধারণ করে দিবসের প্রতীকী রং। ফলে সেসব রং বিবেচনায় রেখে তৈরি হচ্ছে নারী-পুরুষ ও শিশুদের নিত্যনতুন পোশাক।
নিকট অতীতে অনেক বছর ধরে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো একুশে ফেব্রুয়ারিকে বিবেচনায় রেখে পোশাকের রঙে ও নকশায় তুলে ধরছে বাংলাদেশের নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ভিন্ন ভিন্ন ধারায় পোশাকে নকশা করছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শহীদ মিনার, বাংলা বর্ণমালা, বাংলা কবি, কবিতা ইত্যাদি। এভাবেই পোশাকের নকশার মাধ্যমে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকশা করা পোশাকের মধ্যে নকশিকাঁথার ফোঁড়, ব্লক, অ্যাপ্লিক, ক্যাটওয়াক, স্ক্রিন, হ্যান্ডপেইন্ট, এমব্রয়ডারির কাজ এবার দেখা যাচ্ছে।
একুশের চেতনার সঙ্গে মিলিয়ে পোশাকে সাদা-কালো রঙের প্রাধান্য থাকলেও এখন আর তা এই দুটি রঙের মধ্যে আটকে নেই। সাদা, কালো, লাল, সবুজ, ছাই—সব রঙেই সাজছে একুশের পোশাক। কাপড়ের ক্ষেত্রে সুতির প্রাধান্য থাকলেও তাঁত, মসলিন, সিল্ক প্রভৃতির ব্যবহারও বাড়ছে।
দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে আনা পোশাকে বর্ণমালা, শহীদ মিনার, কবিতার পঙ্ক্তি ব্যবহার করছে। এসব ছাড়া একরঙা সাদার ওপর কালো ফ্লোরাল মোটিফের শাড়ি, সাদা-কালো স্ট্রাইপের সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট ইত্যাদিও পাওয়া যাচ্ছে শোরুমগুলোয়।
তবে বরাবরের মতো ভাষার মাসের বিশেষ রং হিসেবে প্রায় সব ফ্যাশন হাউস ও পোশাক ব্র্যান্ড ব্যবহার করেছে সাদা আর কালো রং; পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে লাল এবং ছাই রংও।
নামী দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো ছাড়াও ফেসবুকের অনলাইন শাড়ির পেজগুলো একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে এনেছে বিশেষ শাড়ি। একুশে ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন বিশেষ দিনগুলোয় শাড়িতে তারা বিশেষ ছাড় দেয়। যাঁরা ঘরে বসে একুশের পোশাক কিনতে চান, তাঁরা সাতকাহন, কইন্যা, শাড়িজ বিডি, কৃষ্ণকলী, নন্দিনী, ক-তে কাপড়ের ফেসবুক পেজ ঘুরে দেখতে পারেন। এসব পেজে হাফসিল্ক, সুতি, হ্যান্ডলুম, জামদানি, সিল্ক ও তসরের শাড়ি পাওয়া যায়। এসব শাড়ি ৯৫০ থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ টাকায় মিলবে। অনলাইনে অর্ডার করলে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছে যাবে ঘরে।
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
২০ ঘণ্টা আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
২১ ঘণ্টা আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
২১ ঘণ্টা আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে