মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
সাড়ে সাতটার শাটল ট্রেন থেকে নেমে কাটা পাহাড় সড়ক ধরে ফ্যাকাল্টির দিকে পা বাড়ালে কখনো চোখে পড়তে পারে মায়া হরিণ! পাহাড়ের কোলে আপন মনে ঘাস খাচ্ছে অথবা অপার বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে আপনার দিকে।
অথবা ধরুন, সন্ধ্যায় প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে ফরেস্ট্রি বিভাগের দিকে বেড়াতে গেছেন। হঠাৎ দেখলেন বিশাল এক অজগর, বুঝবেন পাহাড় থেকে খাবারের খোঁজে নেমে এসেছে নিচে। অথবা ঠিক সন্ধ্যা নামার আগে শীতের কুয়াশা ভেদ করে আপনার মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যেতে পারে পরিযায়ী পাখির দল! এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিনের চিত্র এটিই। যদি ভাবেন এটি বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, তাহলে ভুল করছেন। বলছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা।
২ হাজার ৩০০ একরের বিশাল এ ক্যাম্পাসের চারপাশে রয়েছে ছোট-বড় অনেক পাহাড়। এই পাহাড়ের কোলে বসবাস করছে তিন শর বেশি প্রজাতির বন্য প্রাণী! চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর গ্রামে এই ক্যাম্পাসের অবস্থান। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ অনুষদে ৫৪টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৫৫০। শিক্ষক আছেন ৯০০ জনের বেশি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার এই ক্যাম্পাস যে শুধু উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত তা নয়, দর্শনীয় স্থান হিসেবেও এটি দেশজুড়ে সমাদৃত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে আপনার মনে হবে না আপনি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসেছেন। ক্যাম্পাসের গাছে গাছে পাখির কলকাকলি আপনাকে মুগ্ধ করবে। কাঠবিড়ালি, শজারুদের দৌড়ঝাঁপ পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে যেতে যখন দুই চোখে ঘোর নামবে; তখন কলাভবনের পেছনে পাহাড়ের আবডালে থাকা মনমোহিনী ঝরনার ঝিরিঝিরি শব্দ আপনাকে চমকে দেবে। এরপরই অপেক্ষা করছে রাজ্যের বিস্ময়। এখানে আছে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষের প্রথম সারির পছন্দের চালন্দা গিরিপথ। কলার ঝুপড়ির পাশের ছড়া ধরে কিছুক্ষণ হাঁটলেই বন-পাহাড়ের মায়াবী জাদুর টানে আপন সৌন্দর্য সুধার স্বাদ নিতে মন্ত্রমুগ্ধের মতো আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে এই গিরিপথ।
এ তো গেল ঝরনা আর চালন্দার কথা। ক্যাম্পাসের প্রায় প্রতিটি অনুষদ ভবন বা আবাসিক হলের সামনে ও পেছনে রয়েছে অনেক পাহাড়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার
পর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার মতো দল বেঁধে পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানোটাও রুটিনে যুক্ত করে নেন এ ক্যাম্পাসে। ক্লাস শেষে, কখনোবা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে চষে বেড়ান
পাহাড় থেকে পাহাড়ে।
এই পাহাড়গুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় হলো টেলিটক পাহাড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পেছনে এর অবস্থান। পাহাড়ের চূড়ায় মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের টাওয়ার থাকায় এ পাহাড়টি শিক্ষার্থীদের কাছে টেলিটক পাহাড় বলে পরিচিত। কদিন আগে বন্ধুদের নিয়ে এই পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রাজবীর নাথ। অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘চারপাশ পাহাড়ে ঘেরা থাকায় প্রকৃতিপ্রেমীদের ভালো লাগবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে এই ক্যাম্পাসের পাহাড় আমাকে সব সময় আকৃষ্ট করে।
তাই সুযোগ পেলে বন্ধুদের নিয়ে অ্যাডভেঞ্চারে নেমে পড়ি।’
রাজবীরের মতো পাহাড় চষে বেড়ানোর শখ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র নুর নবী রবিনেরও। তিনি জানান, আপনি যদি প্রকৃতিকে ভালো না-ও বাসেন, এই ক্যাম্পাসে এলে আপনি প্রকৃতিকে ভালোবাসতে বাধ্যই হবেন। প্রকৃতি ক্যাম্পাসকে তেমন একটি অবয়ব দিয়েছে। ঋতুর পালাবদলে এই ক্যাম্পাস সাজে নতুন নতুন সাজে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যা আছে
জাদুঘর: এই জাদুঘরে আছে পাঁচটি গ্যালারি। গ্যালারিগুলোতে প্রদর্শিত হচ্ছে প্রাচীন শিলালিপি, অষ্টম শতকের পাহাড়পুর থেকে আনা পোড়ামাটির চিত্রফলক, বুদ্ধমূর্তি, মধ্যযুগের ১০ থেকে ১৫টি বিষ্ণুমূর্তি, সৈন্যদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, বিভিন্ন মুদ্রা, প্রাচীন পাথরের ভাস্কর্য, প্রাগৈতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিভিন্ন উপকরণ, ভাস্কর্য, ইসলামিক আর্ট, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকশিল্প এবং সমসাময়িক বিভিন্ন চিত্র।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে রয়েছে পাঠ সহায়ক প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর। এখানে ৫৪০টি প্রাণীর নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের একটি কক্ষে গড়ে তোলা হয়েছে সমুদ্রসম্পদ জাদুঘর। এখানে ৫৫০টির মতো সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণ করা হয়েছে।
শাটল ট্রেন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য রয়েছে নিজস্ব শাটল ট্রেন। সম্ভবত পৃথিবীর এই একটি বিশ্ববিদ্যালয়, যার রয়েছে এমন ট্রেন। চট্টগ্রাম শহরের বটতলী থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত সকাল থেকে রাত অবধি বিভিন্ন সময়সূচিতে চলে এই ট্রেন।
লাইব্রেরি: বিভিন্ন দেশের প্রায় সাড়ে চার লাখ বই নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে তিনতলাবিশিষ্ট বিশাল লাইব্রেরি। এখানে শিক্ষার্থী, গবেষক ও শিক্ষকদের জন্য আলাদা কক্ষ রয়েছে। বিরল বই সংগ্রহের দিক থেকে এ গ্রন্থাগার বাংলাদেশে অন্যতম। এ ছাড়া গ্রন্থাগারটিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রায় ১০ হাজার ব্রেইল বই ও বিশেষ কম্পিউটার।
এ ছাড়া রয়েছে পামবাগান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, স্লুইসগেট, বিশাল খেলার মাঠ, দৃষ্টিনন্দন ভবন, শহীদ মিনার, জয় বাংলা ভাস্কর্য, প্যাগোডা, লেক। প্রতি শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে পর্যটনকেন্দ্র। আপনি ছাত্র হিসেবে এই ক্যাম্পাসে পড়তে আসতে পারেন। আবার শুধু সৌন্দর্য উপভোগের জন্যও আসতে পারেন।
সাড়ে সাতটার শাটল ট্রেন থেকে নেমে কাটা পাহাড় সড়ক ধরে ফ্যাকাল্টির দিকে পা বাড়ালে কখনো চোখে পড়তে পারে মায়া হরিণ! পাহাড়ের কোলে আপন মনে ঘাস খাচ্ছে অথবা অপার বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে আপনার দিকে।
অথবা ধরুন, সন্ধ্যায় প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে ফরেস্ট্রি বিভাগের দিকে বেড়াতে গেছেন। হঠাৎ দেখলেন বিশাল এক অজগর, বুঝবেন পাহাড় থেকে খাবারের খোঁজে নেমে এসেছে নিচে। অথবা ঠিক সন্ধ্যা নামার আগে শীতের কুয়াশা ভেদ করে আপনার মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যেতে পারে পরিযায়ী পাখির দল! এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিনের চিত্র এটিই। যদি ভাবেন এটি বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, তাহলে ভুল করছেন। বলছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা।
২ হাজার ৩০০ একরের বিশাল এ ক্যাম্পাসের চারপাশে রয়েছে ছোট-বড় অনেক পাহাড়। এই পাহাড়ের কোলে বসবাস করছে তিন শর বেশি প্রজাতির বন্য প্রাণী! চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর গ্রামে এই ক্যাম্পাসের অবস্থান। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ অনুষদে ৫৪টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৫৫০। শিক্ষক আছেন ৯০০ জনের বেশি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার এই ক্যাম্পাস যে শুধু উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত তা নয়, দর্শনীয় স্থান হিসেবেও এটি দেশজুড়ে সমাদৃত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে আপনার মনে হবে না আপনি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসেছেন। ক্যাম্পাসের গাছে গাছে পাখির কলকাকলি আপনাকে মুগ্ধ করবে। কাঠবিড়ালি, শজারুদের দৌড়ঝাঁপ পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে যেতে যখন দুই চোখে ঘোর নামবে; তখন কলাভবনের পেছনে পাহাড়ের আবডালে থাকা মনমোহিনী ঝরনার ঝিরিঝিরি শব্দ আপনাকে চমকে দেবে। এরপরই অপেক্ষা করছে রাজ্যের বিস্ময়। এখানে আছে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষের প্রথম সারির পছন্দের চালন্দা গিরিপথ। কলার ঝুপড়ির পাশের ছড়া ধরে কিছুক্ষণ হাঁটলেই বন-পাহাড়ের মায়াবী জাদুর টানে আপন সৌন্দর্য সুধার স্বাদ নিতে মন্ত্রমুগ্ধের মতো আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে এই গিরিপথ।
এ তো গেল ঝরনা আর চালন্দার কথা। ক্যাম্পাসের প্রায় প্রতিটি অনুষদ ভবন বা আবাসিক হলের সামনে ও পেছনে রয়েছে অনেক পাহাড়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার
পর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার মতো দল বেঁধে পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানোটাও রুটিনে যুক্ত করে নেন এ ক্যাম্পাসে। ক্লাস শেষে, কখনোবা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে চষে বেড়ান
পাহাড় থেকে পাহাড়ে।
এই পাহাড়গুলোর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় হলো টেলিটক পাহাড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পেছনে এর অবস্থান। পাহাড়ের চূড়ায় মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটকের টাওয়ার থাকায় এ পাহাড়টি শিক্ষার্থীদের কাছে টেলিটক পাহাড় বলে পরিচিত। কদিন আগে বন্ধুদের নিয়ে এই পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রাজবীর নাথ। অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘চারপাশ পাহাড়ে ঘেরা থাকায় প্রকৃতিপ্রেমীদের ভালো লাগবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে এই ক্যাম্পাসের পাহাড় আমাকে সব সময় আকৃষ্ট করে।
তাই সুযোগ পেলে বন্ধুদের নিয়ে অ্যাডভেঞ্চারে নেমে পড়ি।’
রাজবীরের মতো পাহাড় চষে বেড়ানোর শখ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র নুর নবী রবিনেরও। তিনি জানান, আপনি যদি প্রকৃতিকে ভালো না-ও বাসেন, এই ক্যাম্পাসে এলে আপনি প্রকৃতিকে ভালোবাসতে বাধ্যই হবেন। প্রকৃতি ক্যাম্পাসকে তেমন একটি অবয়ব দিয়েছে। ঋতুর পালাবদলে এই ক্যাম্পাস সাজে নতুন নতুন সাজে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যা আছে
জাদুঘর: এই জাদুঘরে আছে পাঁচটি গ্যালারি। গ্যালারিগুলোতে প্রদর্শিত হচ্ছে প্রাচীন শিলালিপি, অষ্টম শতকের পাহাড়পুর থেকে আনা পোড়ামাটির চিত্রফলক, বুদ্ধমূর্তি, মধ্যযুগের ১০ থেকে ১৫টি বিষ্ণুমূর্তি, সৈন্যদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, বিভিন্ন মুদ্রা, প্রাচীন পাথরের ভাস্কর্য, প্রাগৈতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিভিন্ন উপকরণ, ভাস্কর্য, ইসলামিক আর্ট, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকশিল্প এবং সমসাময়িক বিভিন্ন চিত্র।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে রয়েছে পাঠ সহায়ক প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর। এখানে ৫৪০টি প্রাণীর নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের একটি কক্ষে গড়ে তোলা হয়েছে সমুদ্রসম্পদ জাদুঘর। এখানে ৫৫০টির মতো সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণ করা হয়েছে।
শাটল ট্রেন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য রয়েছে নিজস্ব শাটল ট্রেন। সম্ভবত পৃথিবীর এই একটি বিশ্ববিদ্যালয়, যার রয়েছে এমন ট্রেন। চট্টগ্রাম শহরের বটতলী থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত সকাল থেকে রাত অবধি বিভিন্ন সময়সূচিতে চলে এই ট্রেন।
লাইব্রেরি: বিভিন্ন দেশের প্রায় সাড়ে চার লাখ বই নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে তিনতলাবিশিষ্ট বিশাল লাইব্রেরি। এখানে শিক্ষার্থী, গবেষক ও শিক্ষকদের জন্য আলাদা কক্ষ রয়েছে। বিরল বই সংগ্রহের দিক থেকে এ গ্রন্থাগার বাংলাদেশে অন্যতম। এ ছাড়া গ্রন্থাগারটিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রায় ১০ হাজার ব্রেইল বই ও বিশেষ কম্পিউটার।
এ ছাড়া রয়েছে পামবাগান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, স্লুইসগেট, বিশাল খেলার মাঠ, দৃষ্টিনন্দন ভবন, শহীদ মিনার, জয় বাংলা ভাস্কর্য, প্যাগোডা, লেক। প্রতি শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে পর্যটনকেন্দ্র। আপনি ছাত্র হিসেবে এই ক্যাম্পাসে পড়তে আসতে পারেন। আবার শুধু সৌন্দর্য উপভোগের জন্যও আসতে পারেন।
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
২ দিন আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
২ দিন আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
২ দিন আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
২ দিন আগে