ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বাবাকে রাজধানী শহর দেখানো এক ছেলের স্বপ্ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ওসমান গণি তেমন স্বপ্নই দেখেছিলেন। ৫৩তম সমাবর্তনে অংশ না নিয়ে সেই টাকা দিয়ে তিনি তাঁর বাবাকে ঢাকা শহর ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন।
ওসমান গণির বাবার নাম বুলু আকন্দ। বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হাঁসরাজ গ্রামে তাঁর বাড়ি। ওসমান গণির মা রওশন আরা বেগম গৃহিণী। ওসমানের একমাত্র বড় ভাই অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।
বুলু আকন্দ একজন দিনমজুর। দিনমজুরের পাশাপাশি কলার ব্যবসাও আছে তাঁর। ওসমানও বসতেন কলার দোকানে। খেতখামারের কাজেও বাবাকে সহযোগিতা করতেন।
হরিখালী উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন ওসমান। অবশেষে চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। ছেলে যেহেতু ঢাকায় তাই বাবা ও মায়ের স্বপ্ন ছিল ঢাকা দেখবেন। বাড়িতে কেউ না থাকায় দুজনকে একসঙ্গে ঢাকায় আনা কঠিন বলে সমাবর্তনে নিয়ে এসেছেন বাবাকে। ওসমান গণি জানান, চাকরি করলে মাকেও নিয়ে আসবেন ঢাকা দেখাতে।
গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ওসমান গণির বাবা বুলু আকন্দ ঢাকায় আসেন। সমাবর্তনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি বাবাকে বুঝতে দেননি ওসমান। বন্ধুদের কাছ থেকে গাউন ধার করে ছবিও তুলেছেন তিনি। সেসব ছবি ফেসবুকে শেয়ারও করেন। সেখানে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমাকে গড়ার মূল কারিগর বাবা আমার ক্যাম্পাসে। ৫৩তম সমাবর্তন, ঢাবি।’ ফেসবুকে ছবি দেওয়ার পর অনেকের প্রশংসা পান তিনি।
ওসমান গণি জানিয়েছেন, দারিদ্র্যের কারণে কখনো ভালো প্যান্ট-শার্ট পরতে পারেননি তিনি। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছেন। টিউশন করে চলেছেন। কারণ, বাড়ি থেকে কখনো কখনো টাকা পাঠাতে পারতেন না তাঁর বাবা। সরকারি চাকরি করলে সংসারের অভাব শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করেন ওসমানের মা-বাবা। ওসমান বলেন, ‘আমি বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ওসমান তাঁর বাবাকে ঢাকার সদরঘাট, লালবাগ কেল্লা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, সংসদ ভবন, গণভবন, বঙ্গভবন, চিড়িয়াখানা, বুয়েট ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। বাবার যেখানে খেতে মন চেয়েছে, সেখানে খাইয়েছেন। পকেটে টাকা না থাকলে বন্ধুদের কাছ থেকে ধার নিয়েছেন। কখনো তাঁর বাবা ওসমানের পকেটে কিছু টাকা গুঁজে দিয়েছেন। ঢাকা শহর ঘোরা শেষ হলে তিনি বাবাকে নিয়ে গেছেন পদ্মা সেতু দেখাতে।
গণমাধ্যমে ওসমান গণির এ কথা পড়ে তথ্যমন্ত্রী তাঁকে ডেকে উপহার দিয়েছেন।
অনুভূতি জানতে চাইলে ওসমান গণির বাবা বুলু আকন্দ জানিয়েছেন, ‘কইলজাটা অনেক বড় হয়ে গেছে। আমি তো সারা দিন আমার ছেলের জন্য দোয়া করতেছি। আমার ছেলে বড় হোক। আমারে দেইখা লোকে কয়, তোমার কপাল তো খুইল্লা গেছে, কী ছোওয়াল জন্ম দিলা! ভালো ছোওয়াল। বাজারে গেলে লোকজন আমার দিকে তাকায়, আমারে নতুন নামে চিনে।…ঢাহা দেখছি! আমার আর চাওয়া নাই। আমার ছেলে খারাপ হবে না কখনো। সে সব সময় ভালো থাকবে।’
বাবাকে রাজধানী শহর দেখানো এক ছেলের স্বপ্ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ওসমান গণি তেমন স্বপ্নই দেখেছিলেন। ৫৩তম সমাবর্তনে অংশ না নিয়ে সেই টাকা দিয়ে তিনি তাঁর বাবাকে ঢাকা শহর ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন।
ওসমান গণির বাবার নাম বুলু আকন্দ। বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হাঁসরাজ গ্রামে তাঁর বাড়ি। ওসমান গণির মা রওশন আরা বেগম গৃহিণী। ওসমানের একমাত্র বড় ভাই অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।
বুলু আকন্দ একজন দিনমজুর। দিনমজুরের পাশাপাশি কলার ব্যবসাও আছে তাঁর। ওসমানও বসতেন কলার দোকানে। খেতখামারের কাজেও বাবাকে সহযোগিতা করতেন।
হরিখালী উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন ওসমান। অবশেষে চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। ছেলে যেহেতু ঢাকায় তাই বাবা ও মায়ের স্বপ্ন ছিল ঢাকা দেখবেন। বাড়িতে কেউ না থাকায় দুজনকে একসঙ্গে ঢাকায় আনা কঠিন বলে সমাবর্তনে নিয়ে এসেছেন বাবাকে। ওসমান গণি জানান, চাকরি করলে মাকেও নিয়ে আসবেন ঢাকা দেখাতে।
গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ওসমান গণির বাবা বুলু আকন্দ ঢাকায় আসেন। সমাবর্তনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি বাবাকে বুঝতে দেননি ওসমান। বন্ধুদের কাছ থেকে গাউন ধার করে ছবিও তুলেছেন তিনি। সেসব ছবি ফেসবুকে শেয়ারও করেন। সেখানে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমাকে গড়ার মূল কারিগর বাবা আমার ক্যাম্পাসে। ৫৩তম সমাবর্তন, ঢাবি।’ ফেসবুকে ছবি দেওয়ার পর অনেকের প্রশংসা পান তিনি।
ওসমান গণি জানিয়েছেন, দারিদ্র্যের কারণে কখনো ভালো প্যান্ট-শার্ট পরতে পারেননি তিনি। অভাবের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছেন। টিউশন করে চলেছেন। কারণ, বাড়ি থেকে কখনো কখনো টাকা পাঠাতে পারতেন না তাঁর বাবা। সরকারি চাকরি করলে সংসারের অভাব শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করেন ওসমানের মা-বাবা। ওসমান বলেন, ‘আমি বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ওসমান তাঁর বাবাকে ঢাকার সদরঘাট, লালবাগ কেল্লা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, সংসদ ভবন, গণভবন, বঙ্গভবন, চিড়িয়াখানা, বুয়েট ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। বাবার যেখানে খেতে মন চেয়েছে, সেখানে খাইয়েছেন। পকেটে টাকা না থাকলে বন্ধুদের কাছ থেকে ধার নিয়েছেন। কখনো তাঁর বাবা ওসমানের পকেটে কিছু টাকা গুঁজে দিয়েছেন। ঢাকা শহর ঘোরা শেষ হলে তিনি বাবাকে নিয়ে গেছেন পদ্মা সেতু দেখাতে।
গণমাধ্যমে ওসমান গণির এ কথা পড়ে তথ্যমন্ত্রী তাঁকে ডেকে উপহার দিয়েছেন।
অনুভূতি জানতে চাইলে ওসমান গণির বাবা বুলু আকন্দ জানিয়েছেন, ‘কইলজাটা অনেক বড় হয়ে গেছে। আমি তো সারা দিন আমার ছেলের জন্য দোয়া করতেছি। আমার ছেলে বড় হোক। আমারে দেইখা লোকে কয়, তোমার কপাল তো খুইল্লা গেছে, কী ছোওয়াল জন্ম দিলা! ভালো ছোওয়াল। বাজারে গেলে লোকজন আমার দিকে তাকায়, আমারে নতুন নামে চিনে।…ঢাহা দেখছি! আমার আর চাওয়া নাই। আমার ছেলে খারাপ হবে না কখনো। সে সব সময় ভালো থাকবে।’
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
২ দিন আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
২ দিন আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
২ দিন আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
২ দিন আগে