অনলাইন ডেস্ক
জাপানের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে কেবল প্রতি পাঁচজনে একজন প্রথম চুম্বনের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। জাপানি সেক্স এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক জরিপে এমন চিত্র উঠে এসেছে। ১৯৭৪ সালে সংগঠনটি প্রথমবারের মতো তরুণদের যৌন আচরণ নিয়ে জরিপ শুরু করার পর এটিই সবচেয়ে কম হার।
সংগঠনটির সর্বশেষ জরিপটি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছিল। একই বয়সের মেয়েদের তথ্যও এই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই জরিপে অংশ নেওয়া ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ মেয়ে তাদের প্রথম চুম্বনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের প্রথম চুম্বনের অভিজ্ঞতা ২২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৭ সালের পর ছেলেদের চুম্বন অভিজ্ঞতা কমেছে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং মেয়েদের কমেছে ১১ দশমিক ১ শতাংশ।
জাপানের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম চুম্বনের অভিজ্ঞতার হার ২০০৫ সাল থেকে অব্যাহতভাবে কমছে। এসব শিক্ষার্থীর বয়স ১৫–১৮ বছরের মধ্যে। ২০০৫ সালে তাদের প্রতি দুজনের একজনের প্রথম চুমুর অভিজ্ঞতা ছিল, এটি সেই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যা।
জাপানের সংবাদপত্র মেইনিচি শিম্বুনের মতে, জাপানি সেক্স এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের ৫০ বছরের মধ্যে নবম জরিপ এটি। জরিপটিতে বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে জুনিয়র হাই স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও মতামত নেওয়া হয়েছে। এই জরিপে সব বয়সী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চুম্বন সম্পর্কিত উত্তর দেওয়ার হার ২০১৭ সালের চেয়ে কম ছিল।
সংগঠনটি সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে জরিপটি পরিচালনা করে। জরিপে ১২ শতাংশ হাই স্কুলের জুনিয়র ও সিনিয়র শিক্ষার্থীরা স্বীকার করেছে, তাদের শারীরিক মিলনের অভিজ্ঞতা রয়েছে, যার মধ্যে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ মেয়ে। তবে ২০১৭ সালের পর থেকে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে।
তবে জরিপে একক যৌন অভ্যাস নিয়ে ভিন্ন প্রবণতা ধরা পড়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী তিনটি গ্রুপের সবাই (জুনিয়র হাই স্কুল, সিনিয়র হাই স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী) হস্তমৈথুন করার হার বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন।
চুম্বন ও যৌন সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ কমার কারণ হিসেবে কোভিড–১৯ মহামারিকে দায়ী করেছে সংগঠনটি। সেসময় স্কুল বন্ধের পাশাপাশি ‘তিনটি সি’ (সংকীর্ণ স্থান, ভিড়ের এলাকা এবং ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ) এড়িয়ে চলার জন্য পরামর্শ দেয় সরকার।
মুসাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইউসুকে হায়াশি এই জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, মহামারির সময় স্কুল বন্ধ এবং ঘনিষ্ঠ হওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। জুনিয়র ও সিনিয়র হাই স্কুলে পড়া শিক্ষার্থীরা তাদের যৌনতা নিয়ে আগ্রহী হতে শুরু করে। তাই এটি তাদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল সময়।
ইউসুফ হায়াশি মেইনিচি শিম্বুনকে বলেন, তরুণদের মধ্যে হস্তমৈথুনের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে আসল কারণ হতে পারে যৌন বিষয়ক ছবি ও মাঙ্গা (বিভিন্ন ধরনের জাপানি কমিক বুক)।
কলামিস্ট ও সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক তামাকি কাওয়াসাকি বলেন, জরিপের ফলাফল থেকে বোঝা যায় যে, মহামারি পরবর্তী সময়ে তরুণ জাপানিরা যৌনতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মহামারির পর যৌনতা বিষয়ে সক্রিয় হওয়াটা স্বাভাবিক প্রবণতা হওয়ার কথা। কিন্তু মানুষ বাস্তব শারীরিক যৌন কার্যকলাপ থেকে সরে যাচ্ছে।
তাদের মধ্যে আরও প্রবল একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে, তারা বাড়িতে বসে এককভাবে যৌনতা বিষয়ক কনটেন্ট দেখছে। যদি এইভাবে চলতে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে জাপানের জন্মহার কমে যাওয়ার প্রবণতা ঠেকানো কঠিন হবে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
জাপানের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে কেবল প্রতি পাঁচজনে একজন প্রথম চুম্বনের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। জাপানি সেক্স এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক জরিপে এমন চিত্র উঠে এসেছে। ১৯৭৪ সালে সংগঠনটি প্রথমবারের মতো তরুণদের যৌন আচরণ নিয়ে জরিপ শুরু করার পর এটিই সবচেয়ে কম হার।
সংগঠনটির সর্বশেষ জরিপটি ২০২৩ শিক্ষাবর্ষকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছিল। একই বয়সের মেয়েদের তথ্যও এই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই জরিপে অংশ নেওয়া ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ মেয়ে তাদের প্রথম চুম্বনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের প্রথম চুম্বনের অভিজ্ঞতা ২২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৭ সালের পর ছেলেদের চুম্বন অভিজ্ঞতা কমেছে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং মেয়েদের কমেছে ১১ দশমিক ১ শতাংশ।
জাপানের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম চুম্বনের অভিজ্ঞতার হার ২০০৫ সাল থেকে অব্যাহতভাবে কমছে। এসব শিক্ষার্থীর বয়স ১৫–১৮ বছরের মধ্যে। ২০০৫ সালে তাদের প্রতি দুজনের একজনের প্রথম চুমুর অভিজ্ঞতা ছিল, এটি সেই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যা।
জাপানের সংবাদপত্র মেইনিচি শিম্বুনের মতে, জাপানি সেক্স এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের ৫০ বছরের মধ্যে নবম জরিপ এটি। জরিপটিতে বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে জুনিয়র হাই স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও মতামত নেওয়া হয়েছে। এই জরিপে সব বয়সী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চুম্বন সম্পর্কিত উত্তর দেওয়ার হার ২০১৭ সালের চেয়ে কম ছিল।
সংগঠনটি সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে জরিপটি পরিচালনা করে। জরিপে ১২ শতাংশ হাই স্কুলের জুনিয়র ও সিনিয়র শিক্ষার্থীরা স্বীকার করেছে, তাদের শারীরিক মিলনের অভিজ্ঞতা রয়েছে, যার মধ্যে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ মেয়ে। তবে ২০১৭ সালের পর থেকে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে।
তবে জরিপে একক যৌন অভ্যাস নিয়ে ভিন্ন প্রবণতা ধরা পড়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী তিনটি গ্রুপের সবাই (জুনিয়র হাই স্কুল, সিনিয়র হাই স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী) হস্তমৈথুন করার হার বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন।
চুম্বন ও যৌন সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ কমার কারণ হিসেবে কোভিড–১৯ মহামারিকে দায়ী করেছে সংগঠনটি। সেসময় স্কুল বন্ধের পাশাপাশি ‘তিনটি সি’ (সংকীর্ণ স্থান, ভিড়ের এলাকা এবং ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ) এড়িয়ে চলার জন্য পরামর্শ দেয় সরকার।
মুসাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইউসুকে হায়াশি এই জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, মহামারির সময় স্কুল বন্ধ এবং ঘনিষ্ঠ হওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। জুনিয়র ও সিনিয়র হাই স্কুলে পড়া শিক্ষার্থীরা তাদের যৌনতা নিয়ে আগ্রহী হতে শুরু করে। তাই এটি তাদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল সময়।
ইউসুফ হায়াশি মেইনিচি শিম্বুনকে বলেন, তরুণদের মধ্যে হস্তমৈথুনের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে আসল কারণ হতে পারে যৌন বিষয়ক ছবি ও মাঙ্গা (বিভিন্ন ধরনের জাপানি কমিক বুক)।
কলামিস্ট ও সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক তামাকি কাওয়াসাকি বলেন, জরিপের ফলাফল থেকে বোঝা যায় যে, মহামারি পরবর্তী সময়ে তরুণ জাপানিরা যৌনতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মহামারির পর যৌনতা বিষয়ে সক্রিয় হওয়াটা স্বাভাবিক প্রবণতা হওয়ার কথা। কিন্তু মানুষ বাস্তব শারীরিক যৌন কার্যকলাপ থেকে সরে যাচ্ছে।
তাদের মধ্যে আরও প্রবল একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে, তারা বাড়িতে বসে এককভাবে যৌনতা বিষয়ক কনটেন্ট দেখছে। যদি এইভাবে চলতে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে জাপানের জন্মহার কমে যাওয়ার প্রবণতা ঠেকানো কঠিন হবে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
১৯৬০ সালের দিকে স্যাম পানাপুলোস এবং তাঁর ভাই ঐতিহ্যবাহী পিৎজায় এক নতুন উপাদান যোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী পিৎজার উপাদানের সঙ্গে যুক্ত হলো প্যাকেটজাত আনারস। এর নাম রাখা হয় হাওয়াইয়ান পিৎজা। মাসখানেকের...
২ দিন আগেঅ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য নেপাল উপযুক্ত জায়গা। উঁচু পাহাড়ে ট্রেকিং থেকে শুরু করে প্যারাগ্লাইডিং কিংবা বাঞ্জি জাম্পিংয়ের মতো দুর্দান্ত সব কর্মকাণ্ডের জন্য এক নামে পরিচিত দেশটি। তবে এসব অ্যাকটিভিটি ছাড়াও সব ধরনের ভ্রমণপিয়াসির জন্য নেপালে কিছু না কিছু কর্মকাণ্ড রয়েছে।
২ দিন আগেপাহাড় বলতে বান্দরবানই আমাকে বেশি মুগ্ধ করে। এর নৈসর্গিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুখে বলে কিংবা ছবিতে দেখিয়ে শেষ করা যাবে না।
২ দিন আগেপঞ্চাশ হাজার ফুলের বীজ থেকে তৈরি হয়েছে ৩৬০ বর্গমিটার দীর্ঘ একটি কার্পেট। এতে আরও যোগ হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জ্যামিতিক নকশা ও মার্বেল পাথর। সেটি দেখতে ভিড় জমেছে পর্যটকের।
২ দিন আগে