অনলাইন ডেস্ক
জাপানের বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে বাসিন্দাদের একাকিত্ব কাটাতে অভিনব এক উপায় বের করা হয়েছে। বয়স্কদের সঙ্গ দিতে ও তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে ব্যতিক্রমী সব কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে জাপান। এই ব্যতিক্রমী কর্মীরা হলো অনূর্ধ্ব তিন বছরের শিশু।
বেতনে তাদের দেওয়া হচ্ছে বেবি ফর্মুলা ও ডায়পার এবং মনমতো কাজে আসার সুযোগ।
নিঃশব্দ বৃদ্ধাশ্রম যেখানে দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছুই শোনা যায় না, সেখানে এখন শিশুদের ছোট ছোট পায়ের পদধ্বনি, আধো আধো কথা আর হাসির শব্দে মুখর হয়ে থাকে। বয়স্ক বাসিন্দা, যাদের নিজের নাতি-নাতনিরা তাদের দেখতে খুব কমই আসে, তাদের দিন উজ্জ্বল করার জন্য এই শিশুকর্মীদের নিয়োগ করা হয়।
জাপানের এমনই এক বৃদ্ধাশ্রম ইকোয়ান নার্সিং হোম, যেখানে শ খানেক বয়স্ক মানুষের বাস। ১৮ মাস বয়সে সেখানে প্রায় প্রতি সপ্তাহে যেত রেনা শিনোহারা। হাসিমুখে ভবনের প্রত্যেক দরজায় ছুটে বেড়িয়ে বাসিন্দাদের মুখে হাসি ফোটাত সে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৯৩ বছর বয়সী তাতসু ওজিরো বলেন, ‘তাদের দেখে আমি দারুণ উৎসাহ পাই, এটি সত্যিই আমাকে ভালো থাকতে সাহায্য করে।’
আরেক বাসিন্দা আতসুকো ওকামুরা বলেন, ‘তারা যখন আসে, তারা খুব আদুরে হয়।’
শিশুদের উপস্থিতি বার্ধক্যের সঙ্গে প্রচলিত বিচ্ছিন্নতার অনুভূতিকে সহজ করে তোলে। বিশেষত জাপানের মতো দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশেরই বয়স ৬৫ বছরের বেশি, সেখানে বেশির ভাগ বয়স্ককেই এই একাকিত্বের মধ্যে থাকতে হয়। ২০২২ সালে জাপান সরকারের এক জরিপে উঠে এসেছে, দেশটির ৪০ শতাংশ মানুষই একাকিত্বে ভোগে।
২০২১ সালে জাপান সরকার প্রথম ‘একাকিত্বের মন্ত্রী’ নিয়োগ করে। বিশেষ করে করোনা মহামারির পরে সব বয়সের মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
নার্সিং হোমটির পরিচালক কিমি গনডো বলেন, চার বছর আগে তাঁর নাতনি নার্সিং হোমে আসার পর সবার মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়া দেখে তাঁর মাথায় শিশুকর্মী নিয়োগের ভাবনা আসে। তিনি বলেন, ‘যখন আমি বয়স্কদের হাসতে দেখলাম, তখন আমি বুঝতে পারলাম যে শিশুদের শক্তি কত। একটি শিশুকে ঘুরে বেড়াতে দেখেই তারা হাসে আর কথা বলতে শুরু করে।’
নার্সিং হোমটিতে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৭০টি শিশুকর্মী ছিল।
রেনার মা কানায়ে শিনোহারা বলেন, ‘এটা বেশ মজার ব্যাপার, আমার কোনো চাকরি নেই। কিন্তু রেনার আছে।’ প্রায় দুই বছর আগে শিনোহারা পরিবার জাপানের কিউশু দ্বীপে আসে। নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য রেনার মা তাকে নার্সিং হোমে নিয়ে আসে।
শিনোহারা বলেন, ‘এখানে রেনা তার বয়সের শিশু এবং দাদা-দাদিদের সঙ্গে দেখা করতে পারে।’ দাদা-দাদির সঙ্গ সহজে পাওয়া যায় না উল্লেখ করে নার্সিং হোমটির বাসিন্দাদের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা জীবন সম্পর্কে বেশ অভিজ্ঞ।’
রেনা আর তার অন্য খুদে সহকর্মীরা ইচ্ছামতো বৃদ্ধাশ্রমে আসে, সময় কাটায়। তবে তাদের এই চাকরি তিন বছর বয়স পর্যন্তই।
এ শিশুদের নিয়োগ দেওয়ার উল্লেখযোগ্য একটি কারণ—এরা কথা বলতে পারে না। গনডো বলেন, বয়স্ক মানুষদের কথা বলতে ও যোগাযোগ করতে বেশ কষ্ট হয়। বিশেষ করে অনেকের বোধশক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘একই রকম যোগাযোগের জন্য শব্দ প্রয়োজন।’
বৃদ্ধাশ্রমে শিশুদের নিয়োগের বিষয়টি বেশ ফলপ্রসূ প্রমাণিত হয়েছে। অনেকে দূর থেকেই শিশুদের দেখে হাসেন, কেউ কেউ শিশুদের সঙ্গে কথা বলতে হুইলচেয়ার ঠেলে এগিয়ে আসেন।
গনডো বলেন, ‘যারা বেশি কথা বলেন না, বেশি হাসেন না বা নড়াচড়া করতে পারেন না, শিশুদের দেখলে তাঁদেরও মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।’
জাপানের বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে বাসিন্দাদের একাকিত্ব কাটাতে অভিনব এক উপায় বের করা হয়েছে। বয়স্কদের সঙ্গ দিতে ও তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে ব্যতিক্রমী সব কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে জাপান। এই ব্যতিক্রমী কর্মীরা হলো অনূর্ধ্ব তিন বছরের শিশু।
বেতনে তাদের দেওয়া হচ্ছে বেবি ফর্মুলা ও ডায়পার এবং মনমতো কাজে আসার সুযোগ।
নিঃশব্দ বৃদ্ধাশ্রম যেখানে দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছুই শোনা যায় না, সেখানে এখন শিশুদের ছোট ছোট পায়ের পদধ্বনি, আধো আধো কথা আর হাসির শব্দে মুখর হয়ে থাকে। বয়স্ক বাসিন্দা, যাদের নিজের নাতি-নাতনিরা তাদের দেখতে খুব কমই আসে, তাদের দিন উজ্জ্বল করার জন্য এই শিশুকর্মীদের নিয়োগ করা হয়।
জাপানের এমনই এক বৃদ্ধাশ্রম ইকোয়ান নার্সিং হোম, যেখানে শ খানেক বয়স্ক মানুষের বাস। ১৮ মাস বয়সে সেখানে প্রায় প্রতি সপ্তাহে যেত রেনা শিনোহারা। হাসিমুখে ভবনের প্রত্যেক দরজায় ছুটে বেড়িয়ে বাসিন্দাদের মুখে হাসি ফোটাত সে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৯৩ বছর বয়সী তাতসু ওজিরো বলেন, ‘তাদের দেখে আমি দারুণ উৎসাহ পাই, এটি সত্যিই আমাকে ভালো থাকতে সাহায্য করে।’
আরেক বাসিন্দা আতসুকো ওকামুরা বলেন, ‘তারা যখন আসে, তারা খুব আদুরে হয়।’
শিশুদের উপস্থিতি বার্ধক্যের সঙ্গে প্রচলিত বিচ্ছিন্নতার অনুভূতিকে সহজ করে তোলে। বিশেষত জাপানের মতো দেশে, যেখানে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশেরই বয়স ৬৫ বছরের বেশি, সেখানে বেশির ভাগ বয়স্ককেই এই একাকিত্বের মধ্যে থাকতে হয়। ২০২২ সালে জাপান সরকারের এক জরিপে উঠে এসেছে, দেশটির ৪০ শতাংশ মানুষই একাকিত্বে ভোগে।
২০২১ সালে জাপান সরকার প্রথম ‘একাকিত্বের মন্ত্রী’ নিয়োগ করে। বিশেষ করে করোনা মহামারির পরে সব বয়সের মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
নার্সিং হোমটির পরিচালক কিমি গনডো বলেন, চার বছর আগে তাঁর নাতনি নার্সিং হোমে আসার পর সবার মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়া দেখে তাঁর মাথায় শিশুকর্মী নিয়োগের ভাবনা আসে। তিনি বলেন, ‘যখন আমি বয়স্কদের হাসতে দেখলাম, তখন আমি বুঝতে পারলাম যে শিশুদের শক্তি কত। একটি শিশুকে ঘুরে বেড়াতে দেখেই তারা হাসে আর কথা বলতে শুরু করে।’
নার্সিং হোমটিতে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৭০টি শিশুকর্মী ছিল।
রেনার মা কানায়ে শিনোহারা বলেন, ‘এটা বেশ মজার ব্যাপার, আমার কোনো চাকরি নেই। কিন্তু রেনার আছে।’ প্রায় দুই বছর আগে শিনোহারা পরিবার জাপানের কিউশু দ্বীপে আসে। নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য রেনার মা তাকে নার্সিং হোমে নিয়ে আসে।
শিনোহারা বলেন, ‘এখানে রেনা তার বয়সের শিশু এবং দাদা-দাদিদের সঙ্গে দেখা করতে পারে।’ দাদা-দাদির সঙ্গ সহজে পাওয়া যায় না উল্লেখ করে নার্সিং হোমটির বাসিন্দাদের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা জীবন সম্পর্কে বেশ অভিজ্ঞ।’
রেনা আর তার অন্য খুদে সহকর্মীরা ইচ্ছামতো বৃদ্ধাশ্রমে আসে, সময় কাটায়। তবে তাদের এই চাকরি তিন বছর বয়স পর্যন্তই।
এ শিশুদের নিয়োগ দেওয়ার উল্লেখযোগ্য একটি কারণ—এরা কথা বলতে পারে না। গনডো বলেন, বয়স্ক মানুষদের কথা বলতে ও যোগাযোগ করতে বেশ কষ্ট হয়। বিশেষ করে অনেকের বোধশক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘একই রকম যোগাযোগের জন্য শব্দ প্রয়োজন।’
বৃদ্ধাশ্রমে শিশুদের নিয়োগের বিষয়টি বেশ ফলপ্রসূ প্রমাণিত হয়েছে। অনেকে দূর থেকেই শিশুদের দেখে হাসেন, কেউ কেউ শিশুদের সঙ্গে কথা বলতে হুইলচেয়ার ঠেলে এগিয়ে আসেন।
গনডো বলেন, ‘যারা বেশি কথা বলেন না, বেশি হাসেন না বা নড়াচড়া করতে পারেন না, শিশুদের দেখলে তাঁদেরও মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।’
এই ফিউশন ফ্যাশনের যুগে কোনটা কী, তা ভেবে কখনো কখনো কনফিউশন তৈরি হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো কনফিউশন নেই যে নারীরা শাড়ি পছন্দ করে। আর বিষয়টি যদি হয় শাড়িতে ফিউশনের, তাহলে তো কথাই নেই। শাড়ির জগতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডেনিম শাড়ি।
২ দিন আগেশীতের হিমেল হাওয়ায় কমবেশি সবার ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে। কারণ, এ সময় আবহাওয়ায় আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়। আবার অনেকের বারো মাস রুক্ষ ত্বকের সমস্যা থাকে। তাদের শীতের সময় সমস্যা আরও বেশি হয়। শীত ছাড়াও অনেকের নানা কারণে ত্বক রুক্ষ হতে পারে। যেমন অনেকের জেনেটিক কারণে ত্বকে রুক্ষতা থাকে...
২ দিন আগেফ্যাশনের একটি অঙ্গ হয়ে উঠেছে চুলের সাজসজ্জা। আধুনিক স্টাইলিংয়ে মাথার ব্যান্ড অপরিহার্য অনুষঙ্গ। এটি শুধু চুল গুছিয়ে রাখার জন্য নয়, বরং ব্যক্তিত্ব প্রকাশ এবং ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে স্টাইলিংয়ের দুনিয়ায় বো টাই ব্যান্ড, ব্লসম ব্যান্ড ও বাটারফ্লাই ক্লিপ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে...
২ দিন আগেশখের জিনিসের পেছনে অনেক সময় বেহিসাবি টাকা খরচ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে অন্য খাতে ঝামেলায় পড়তে হয়। তবে কি শখের জিনিস কেনা বাদ যাবে? না, শখের জিনিসও থাকবে। তবে টাকা অপচয় রোধ করতে কিছুটা কৌশলী হতে হবে।
২ দিন আগে