কাছের মানুষের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ১৭
Thumbnail image

প্রশ্ন: আমি স্নাতকে অধ্যয়নরত একজন শিক্ষার্থী। অথচ আমার সেই প্রাণোচ্ছল বিষয়টা এখন আর নেই। ক্লাসের সবার সঙ্গে মন খুলে মিশতে পারি না। এমনটা নয় যে মিশতে চাই না। সবার সঙ্গে কথা বলি অথচ কোথাও একটা দূরত্ব থেকে যায়। সবাই যখন আনন্দে মেতে থাকে, তখন আমার ভেতরে সংকোচ তৈরি হয়। আমার আশপাশের অনেকেই কারও না কারও প্রিয় বন্ধু। সেই জায়গায় তেমন কাউকে পাইনি। আমার প্রিয় বন্ধুর নাম বলতে বললে অনেকক্ষণ ভাবতে হয়। প্রেমের সম্পর্কে আজ পর্যন্ত কখনো জড়াইনি। এটা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামানো হয়নি। আমি নিজের পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের চিন্তাতেই ছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, হয়তো আমি কোনো রকম সম্পর্কে জড়াতে পারব না। নিজের মধ্যে সংকোচের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমি নিজের ওপর কোনোভাবেই ভরসা আনতে পারছি না। আমার কী করা উচিত?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা।

পরামর্শ: আপনার ভেতর আগের সেই প্রাণোচ্ছল বিষয়টি নেই—এ বিষয়টি আরেকটু স্পষ্ট করে বললে ভালো হতো। সবার সঙ্গে কথা বললেও দূরত্ব কী কারণে মনে হচ্ছে, সেটা আরেকটু পরিষ্কার করে জানা থাকলে সমস্যাটা কোন জায়গায় তা বোঝা যেত। বন্ধুত্ব, রিলেশন এ বিষয়গুলো নিয়ে আপনার মনে চিন্তা বেড়ে চলছে। সুযোগ থাকলে আপনার পরিবার বা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন এমন কারও কাছে সমস্যাগুলো শেয়ার করতে পারেন। আর শেয়ার করার মতো কেউ না থাকলে অনুভূতির কথা ডায়েরি বা খাতায় লিখে রাখতে পারেন। যেহেতু সমস্যা থেকে আপনি বের হতে পারছেন না, তাই সরাসরি একজন প্রফেশনাল মনোবিজ্ঞানী বা সাইকোথেরাপিস্টের সহযোগিতা নিতে পারেন।

প্রশ্ন: আমার বিয়ে হয়েছে ছয় মাস হলো। আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছি। বাসায় অনেক ঝামেলার পর এই বিয়ে। প্রেম করার সময় ঘুরতে গেলে খরচ আমিই করতাম। এখন বিয়ের পরও সব আমাকেই দিতে হয়। নইলে দেখা যায় কোথাও যাওয়াই হয় না। আমরা দুজনই চাকরি করি। অনেক দিন পর পর দেখা হয়। আমরা দুজন দুই শহরে থাকলেও ওর মধ্যে কোনো টান দেখি না। বিয়ে হয়েছে ছয় মাস। আমি ওকে দেখার জন্য পাগলের মতো হয়ে যাই। আমি জার্নি করে ওর কাছে যাই। কিন্তু ও আসতে চায় না। আমি কী করব, বুঝতে পারি না। প্রায় রাতেই আমার ঘুম হয় না। আমার মনে হয় আমি ওকে হারিয়ে ফেলব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কুমিল্লা।

পরামর্শ: আপনার বিয়ে-পরবর্তী যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আপনার স্বামীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ থাকলে কথা বলুন। আপনার স্বামীর প্রতি আপনার আকাঙ্ক্ষা, চিন্তা এ বিষয়গুলো তাঁকে বুঝিয়ে বলুন। আপনাকে নিয়ে তাঁর অনুভূতিগুলো জানার চেষ্টা করুন। যদি একসঙ্গে বসে আলোচনা করার সুযোগ না থাকে, তবে দুজন মিলে প্রফেশনাল কাপল কাউন্সেলর বা কাপল সাইকোথেরাপিস্টের সহযোগিতা নিতে পারেন।

পরামর্শ দিয়েছেন, নাঈমা ইসলাম অন্তরা, সাইকোলজিস্ট ও ট্রেইনার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত