মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ৫ উপায়

ফারিয়া রহমান খান
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৭: ৩৩
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ২২

হরমোনের সমস্যা বা বংশগত কারণে অনেক নারীর মুখে অতিরিক্ত লোম গজায়। এই লোমগুলো আপাতদৃষ্টে ক্ষতিকর না হলেও মুখের সৌন্দর্য ম্লান করে দেয়। খুব সহজে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব লোম দূর করা সম্ভব। 

লেজার 
এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। লেজার ত্বকের লোমের সব কোষ নষ্ট করে দেয়। ফলে অনেক সময় লোম আর গজায় না। আবার অনেক সময় গজালেও তা এতই পাতলা হয় যে নজরে পড়ে না। লেজার করা ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেকে বাসায় লেজার কিট কিনে নিজে নিজে লোম অপসারণ করে থাকেন। কিন্তু এটি নিরাপদ নয়। লেজারের সাহায্যে লোম অপসারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই কোনো বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া উচিত।

হেয়ার রিমুভাল ক্রিম
বাজারে লোম দূর করার বিভিন্ন ক্রিম পাওয়া যায়। এসব ক্রিমে সোডিয়াম, টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড, ব্যারিয়ামসহ বিভিন্ন রাসায়নিক থাকে, যা লোমের প্রোটিন নষ্ট করে দেয়। ফলে লোম সহজে উঠে যায়। তবে এসব ক্রিম খুব সাবধানে ব্যবহার করতে হয়। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে তা মুখের চামড়া পুড়িয়ে দেয়। 

থ্রেডিং
ঠোঁটের ওপর ও চিবুকের লোম তুলতে এটি জনপ্রিয় উপায়। থ্রেডিংয়ের আগে মুখ ভালো করে হালকা গরম পানি দিয়ে মুছে ফেলুন। এরপর সুতার সাহায্যে থ্রেডিং করে নিন। যাঁদের ত্বকে অ্যালার্জি আছে, তাঁরা লোমের ওপর পাউডার না ছড়িয়ে বরং পানি স্প্রে করে নিন। এতে লোম তোলার পর র‍্যাশ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। থ্রেডিংয়ের ফলে অনেক সময় চামড়ায় জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। এ রকম হলে বরফ ঘষে নিলেই ঠিক হয়ে যাবে। মোটামুটি ১৫ থেকে ২০ দিন অবাঞ্ছিত লোম থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এতে। 

ওয়াক্সিং
আপনার যদি থ্রেডিং করার মতো সময় না থাকে, তবে ওয়াক্সিং আপনার জন্য আদর্শ। এ জন্য ওয়াক্স স্ট্রিপ কিনতে হবে। তারপর মুখের যে অংশের লোম তুলতে চাচ্ছেন, সেখানে লাগিয়ে টান দিলেই অবাঞ্ছিত লোম গোড়া থেকে উঠে আসবে। ওয়াক্সিং করলে বেশ কয়েক সপ্তাহ লোম নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন। 

শেভিং
এখন বাজারে নারীর ত্বকের উপযোগী বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন আকারের রেজর পাওয়া যায়। মুখে ছোট, বড় ও ভাঁজ রয়েছে, এমন অংশের জন্যও বিভিন্ন আকারের রেজরের সেট কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো বাড়িতে ব্যবহার করা সহজ। 
লোম অপসারণের আগে ক্লিনজার দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। খুব ভালো হয়, যদি হালকা গরম পানিতে মুখটা ধুয়ে নেওয়া যায়। এতে মুখের ত্বক নরম হবে। এরপর আস্তে আস্তে গালের ওপর থেকে রেজর নিচের দিকে নামিয়ে শেভ করে নিতে হবে। শেভিংয়ের জন্য মুখের ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে, এ জন্য ভারী ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ত্বক খুব বেশি সংবেদনশীল হলে এই পদ্ধতিতে লোম অপসারণ না করাই ভালো।  

সূত্র: হেলথ লাইন ও অন্যান্য

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত