ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
রাঙামাটির ঘাঘড়া-বরইছড়ি সড়কের বটতলী এলাকার পূর্ব পাশের একটি পাহাড়ি পথ ধরে কিলোমিটার তিনেক হাঁটবেন। এ সময় কয়েকটি ছড়া অতিক্রম করবেন। যাবেন পাগলী মুখপাড়া, পাগলী মধ্যমপাড়ার মাঝখান দিয়ে। সাজানো–গোছানো গ্রামগুলোয় বেশ কিছু তঞ্চঙ্গ্যা পরিবারের বসবাস। তার পরই চলে আসবেন পাগলী ওপরপাড়ার অদ্ভুত সুন্দর এক ঝরনার সামনে। বর্ষায় সে রূপের ডালি মেলে দিয়েছে। পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা জলের ধারা, আশপাশের সবুজ গাছগাছালি আর পাখির কলকাকলি—সব মিলিয়ে অসাধারণ এক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ মিলে যাবে আপনার।
রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাগলী ওপরপাড়ায় ফকির মুরং ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ দিনে দিনে বাড়ছে। আশপাশের ছোট-বড় কয়েকটি ঝরনা জায়গাটির আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে। ঝরনার চারপাশের জঙ্গল থেকে ভেসে আসে নানা পাখির কিচিরমিচির। বিশেষ করে বর্ষায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে ঝরনাটি। প্রতিদিনই তাই এখানে ভিড় লেগে থাকে প্রকৃতিপ্রেমীদের।
এলাকার বাসিন্দা সংগীতশিল্পী সূর্য সেন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আমরা দাদুদের মুখ থেকে শুনেছি, আজ থেকে শত বছর আগে এই পাহাড়ে এক সাধক বা ফকির ধ্যান করতেন। লোকজন পূজা দিত, মানত করত। ফকির ধ্যান করতেন বলে স্থানীয়রা এই ঝরনার নাম দিয়েছেন ফকির মুরং বা ফকির কুয়া বা ফইরা মুরং ঝরনা। তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় মুরং শব্দের অর্থ পাহাড়।’
বুধবার ঝরনা দেখতে আসা কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে বলেন, এই ঝরনায় আসার পথে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছোট ছোট ঘর, ঝিরি থেকে বয়ে যাওয়া হিমশীতল পানি সত্যিই উপভোগ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজমের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, তারই আলোকে এই ঝরনার সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবকাঠামো নির্মাণ করে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলা হবে।
এই ঝরনা দেখতে যাওয়া কাপ্তাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, এখানে আসার পর ঝরনাটির দিকে তাকালে সত্যি প্রাণ ভরে যায়।
ঝরনা দেখতে আসা পর্যটক খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ ও ঝিমি চাকমা বলেন, ফকিরা মুরং ঝরনা যেন প্রকৃতি দেবীর অপূর্ব নিদর্শন। বিশেষ করে ঝরনায় আসার সময় দূর থেকে পানি পড়ার শব্দ আমাদের মুগ্ধ করেছে।
১০০ নম্বর ওয়াগ্গা মৌজার হেডম্যান অরুণ তালুকদার বলেন, স্থানীয় ভাষায় এটা ফইরা মুরং ঝরনা নামে পরিচিত। যদি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে উন্নয়ন করা হয়, তাহলে পর্যটকের আগমন আরও বাড়বে।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তপন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘এই ঝরনা দেখতে প্রচুর পর্যটক আসেন। তবে আমরা মাঝেমধ্যে দেখতে পাই অনেক পর্যটক নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করেন এবং আশপাশে মানুষের ফলমূল নষ্ট করেন। আমরা এলাকাবাসী এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে পর্যটকদের অনুরোধ জানাই। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই, যেন এই ঝরনায় আসার পথটুকু আরও মেরামত করে দেয়। সেই সঙ্গে এখানে যেন ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হয়।’
রাঙামাটির ঘাঘড়া-বরইছড়ি সড়কের বটতলী এলাকার পূর্ব পাশের একটি পাহাড়ি পথ ধরে কিলোমিটার তিনেক হাঁটবেন। এ সময় কয়েকটি ছড়া অতিক্রম করবেন। যাবেন পাগলী মুখপাড়া, পাগলী মধ্যমপাড়ার মাঝখান দিয়ে। সাজানো–গোছানো গ্রামগুলোয় বেশ কিছু তঞ্চঙ্গ্যা পরিবারের বসবাস। তার পরই চলে আসবেন পাগলী ওপরপাড়ার অদ্ভুত সুন্দর এক ঝরনার সামনে। বর্ষায় সে রূপের ডালি মেলে দিয়েছে। পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা জলের ধারা, আশপাশের সবুজ গাছগাছালি আর পাখির কলকাকলি—সব মিলিয়ে অসাধারণ এক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ মিলে যাবে আপনার।
রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাগলী ওপরপাড়ায় ফকির মুরং ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ দিনে দিনে বাড়ছে। আশপাশের ছোট-বড় কয়েকটি ঝরনা জায়গাটির আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে। ঝরনার চারপাশের জঙ্গল থেকে ভেসে আসে নানা পাখির কিচিরমিচির। বিশেষ করে বর্ষায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে ঝরনাটি। প্রতিদিনই তাই এখানে ভিড় লেগে থাকে প্রকৃতিপ্রেমীদের।
এলাকার বাসিন্দা সংগীতশিল্পী সূর্য সেন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আমরা দাদুদের মুখ থেকে শুনেছি, আজ থেকে শত বছর আগে এই পাহাড়ে এক সাধক বা ফকির ধ্যান করতেন। লোকজন পূজা দিত, মানত করত। ফকির ধ্যান করতেন বলে স্থানীয়রা এই ঝরনার নাম দিয়েছেন ফকির মুরং বা ফকির কুয়া বা ফইরা মুরং ঝরনা। তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় মুরং শব্দের অর্থ পাহাড়।’
বুধবার ঝরনা দেখতে আসা কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে বলেন, এই ঝরনায় আসার পথে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছোট ছোট ঘর, ঝিরি থেকে বয়ে যাওয়া হিমশীতল পানি সত্যিই উপভোগ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজমের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, তারই আলোকে এই ঝরনার সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবকাঠামো নির্মাণ করে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলা হবে।
এই ঝরনা দেখতে যাওয়া কাপ্তাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, এখানে আসার পর ঝরনাটির দিকে তাকালে সত্যি প্রাণ ভরে যায়।
ঝরনা দেখতে আসা পর্যটক খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ ও ঝিমি চাকমা বলেন, ফকিরা মুরং ঝরনা যেন প্রকৃতি দেবীর অপূর্ব নিদর্শন। বিশেষ করে ঝরনায় আসার সময় দূর থেকে পানি পড়ার শব্দ আমাদের মুগ্ধ করেছে।
১০০ নম্বর ওয়াগ্গা মৌজার হেডম্যান অরুণ তালুকদার বলেন, স্থানীয় ভাষায় এটা ফইরা মুরং ঝরনা নামে পরিচিত। যদি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে উন্নয়ন করা হয়, তাহলে পর্যটকের আগমন আরও বাড়বে।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তপন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘এই ঝরনা দেখতে প্রচুর পর্যটক আসেন। তবে আমরা মাঝেমধ্যে দেখতে পাই অনেক পর্যটক নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করেন এবং আশপাশে মানুষের ফলমূল নষ্ট করেন। আমরা এলাকাবাসী এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে পর্যটকদের অনুরোধ জানাই। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই, যেন এই ঝরনায় আসার পথটুকু আরও মেরামত করে দেয়। সেই সঙ্গে এখানে যেন ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হয়।’
তরুণদের মধ্যে যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তাদের বলা হচ্ছে জেন জি বা জেনারেশন জেড। একাডেমিক পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে করোনা চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ শুরু করে এই প্রজন্ম। কিন্তু তাদের নিয়ে সবার যে প্রত্যাশা এরই মধ্যে তাতে ধুলো পড়তে শুরু করেছে।
২ দিন আগেআমন্ত্রণ নয়, রাজশাহী আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ছাতিমের সুগন্ধ ছাড়িয়ে রাজশাহী এখন ম-ম করছে হাঁসের মাংস ভুনার সুগন্ধে। সাদা ভাত আর গরম-গরম মাংস ভুনা। বিকেলে বাটার মোড়ের জিলাপির সঙ্গে নিমকি দিয়ে হালকা নাশতা। আলোর শহর রাজশাহী ঘুরে দেখার পর সন্ধ্যায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গরম-গরম রসগোল্লার সঙ্গে পুরি।
৩ দিন আগেশুধু কলাপাড়া বললে অনেকে হয়তো জায়গাটা চিনবেন না। কিন্তু কুয়াকাটার কথা বললে চিনবেন প্রায় সবাই। কুয়াকাটা সৈকতের জন্য কলাপাড়া এখন সুপরিচিত। এখানে আছে এক বিখ্যাত খাবার। জগার মিষ্টি।
৩ দিন আগেঢাকা শহরের গলিগুলো এখন খাবারের ঘ্রাণে উতলা থাকে। এদিক-ওদিক তাকালেই দেখবেন, কোথাও না কোথাও একটি লাইভ বেকারি। এতে বেক করা হচ্ছে পাউরুটি, বিভিন্ন ধরনের কেক-বিস্কুট কিংবা বাটার বান। কৌতূহল নিয়ে এক পিস কিনে মুখে পুরে দিতে পারেন। এগুলোর দামও যে খুব আহামরি, তা কিন্তু নয়।
৩ দিন আগে