জাফর সাদেক

পূর্ব আফ্রিকার সাভানায় তাঁবুতে শুয়ে আছি। সারা দিনের গেম ড্রাইভ জার্নিতে কিছুটা ক্লান্ত। আশপাশে হঠাৎ শোরগোল শুরু হয়ে গেল। আমাদের ক্যাম্প সাইটের পাশে হায়েনার দল ঘুরঘুর করছে! ভয়ে হিম হওয়ার দশা। তাঁবুর চেইন পরখ করে ঝিম ধরে পড়ে রইলাম।
সেরেংগেটি রিজার্ভ ফরেস্টে সেদিন এমন আশ্চর্য রাত ছিল! ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের কল্যাণে আফ্রিকান সাভানা সম্পর্কে জেনেছিলাম।
আজ আমি সেই সাভানার শত শত মাইল ঘুরে এসে খোলা আকাশের নিচে পাতা তাঁবুতে শুয়ে আছি। আর তাঁবুর পাশে ঘুরছে হায়েনার দল! দূরে বাফেলোর দল বেঁধে আশ্রয়ের দিকে ছুটছে। হাজার হাজার মাইলের তৃণভূমিতে কোথায় তাদের নিবাস, কে জানে।
ভোরবেলায় হাঁকডাক শুরু হয়ে গেল। প্রভাতের আলো ফোটার আগেই গেম ড্রাইভে বেরিয়ে যেতে হবে। আফ্রিকার বিগ ফাইভ মাংসাশী প্রাণীরা ভোরবেলায় শিকারে বের হয়। সিংহ, চিতা, গন্ডার, হাতি আর বাফেলো—এই পাঁচটি প্রাণীকে একত্রে বিগ ফাইভ বলে। আর এই বিগ ফাইভের বিচরণ, শিকার ও জীবনচক্র দেখার জন্যই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযাত্রীরা ছুটে এসেছেন সাভানায়।
আপাতদৃষ্টিকটু মনে হলেও এটাই দুনিয়ার অমোঘ নিয়ম। এখানে কোনো কোনো প্রাণী হিংস্র আর শিকার করেই ক্ষুন্নিবৃত্তি করে। আছে শত শত প্রজাতির পশু। তৃণভোজী। ভোরবেলায় খাবারের সন্ধানে যখন তৃণভোজী প্রাণীরা দল বেঁধে বেরিয়ে আসে, তখন সুযোগসন্ধানী হিংস্র প্রাণী, বিশেষ করে চিতা, বন্য কুকুর, হায়েনা ও সিংহের পাল তাদের আক্রমণ করে। যুগ যুগ ধরে এভাবেই চলে আসছে। প্রকৃতির এ বৈচিত্র্যময় দৃশ্য দেখতে আমরা এই প্রান্তরে জড়ো হয়েছি।
ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িতে ছয়জনের দল নিয়ে তানজানিয়ার আরোশা শহর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে সেরেংগেটির দিকে রওনা হওয়ার আগে আমরা কেউ কাউকে চিনতাম না। চলতি পথে আলাপ আর পরিচয়পর্ব শেষে আমাদের প্রথম দিনের গন্তব্য টারাঙ্গির সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দিকে। টারাঙ্গির হলো তানজানিয়ার মানিয়ারা অঞ্চলের একটি সংরক্ষিত জাতীয় উদ্যান। এই বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে টারাঙ্গির নদী বয়ে চলেছে। এই অঞ্চলের মিষ্টি জলের প্রাথমিক উৎস এ নদী। শুষ্ক মৌসুমে হাজার হাজার ওয়াইল্ডবিস্ট ও জেব্রার পাল দূরদূরান্ত থেকে পিপাসা মেটাতে এই নদীতীরে ছুটে আসে।
টারাঙ্গিরের আয়তন আনুমানিক ২ হাজার ৮৫০ বর্গকিলোমিটার। এটি একটি গ্রানাটিক পর্বতমালা, নদী, উপত্যকা আর জলাভূমির সমন্বয়ে গঠিত। বিস্তীর্ণ এই অঞ্চলে রয়েছে নানা প্রজাতির ফণীমনসা, বাবলাসহ কাঁটাযুক্ত গুল্মজাতীয় গাছপালা, মৌসুমি প্লাবিত তৃণভূমি ও বাওবাবগাছের সারি। এখানে শত শত হাতি, জেব্রা, ওয়াইল্ডবিস্ট এবং বাফেলোর পালের পাশাপাশি দেখা মিলল ওয়াটারবাক, জিরাফ, ডিক ডিক, ইমপালা, উটপাখি, গ্রান্টস গাজেল, ভারভেট বানর, ব্যান্ডেড মঙ্গুজ, অলিভ বেবুনসহ নাম না জানা অসংখ্য পশুপাখি।
বহু প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আফ্রিকার বিখ্যাত বাওবাবগাছের দেখা পেয়ে একটির ফোকরে গিয়ে ফটাফট ছবি তুলে নিলাম। এ গাছগুলো পাঁচ শ থেকে এক হাজার বছরের প্রাচীন। পাতাহীন গাছের ডালপালায় হাজার হাজার পাখির বাসা ও আশ্রয় দেখা যায়। পড়ন্ত বিকেলে ফিরতি পথ ধরার সময় গাড়ির পথে ওয়াইল্ডবিস্ট, জেব্রা আর হাতি দল বেঁধে রাস্তা পারাপার হচ্ছে দেখে আমরা গাড়ি থামিয়ে অসংখ্য ছবি আর ভিডিও তুলে নিলাম। হাত বাড়ানো দূরত্বে উটপাখির দল গলা উঁচু করে আমাদের পরখ করছে। এত বন্য প্রাণীর বিচরণ দৃশ্য চোখের সামনে দেখার মুগ্ধতা নিয়ে সন্ধ্যাবেলায় সানবাইট ক্যাম্প সাইটে রাতের আশ্রয়ের জন্য ছুটে গেলাম।
পরদিন ছিল আরও বেশি রোমাঞ্চকর। সানবাইট ক্যাম্প সাইট থেকে সকালবেলা ড্রাইভার এসে আমাদের তুলে নিয়ে যায় সেরেংগেটির জাতীয় উদ্যানে। এটি বন্য প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ। গ্রেট মাইগ্রেশন হিসেবে পরিচিত ওয়াইল্ডবিস্ট ও জেব্রাদের মহান স্থানান্তরের জায়গা এ সেরেংগেটি।
চিরায়ত আফ্রিকার এই সাভানায় বন্য প্রাণীর অবাধ বিচরণ। এর পশ্চিম করিডরটি গ্রুমেটি নদী দিয়ে বিভক্ত, যেখানে বন ও ঘন ঝোপ রয়েছে। উত্তরে লোবো এলাকা কেনিয়ার মাসাইমারা রিজার্ভের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে সেরেংগেটি থেকে মারে নদী পেরিয়ে কেনিয়ার মাসাইমারার দিকে লাখ লাখ ওয়াইল্ডবিস্ট, জেব্রা সারিবদ্ধভাবে চলতে থাকে। এই স্থানান্তর গ্রেট মাইগ্রেশন নামে পরিচিত। এই মাইগ্রেশন অনেক জটিল ও কঠিন বিষয়। ওয়াইল্ডবিস্ট ও জেব্রা পালের স্থানান্তর হওয়ার পথে ওত পেতে থাকে চিতা, হায়েনা আর সিংহের মতো হিংস্র প্রাণী। এ ছাড়া মারে নদীতে লুকিয়ে থাকে বিশাল কুমির। জলে কুমির, ডাঙায় হিংস্র প্রাণী। সেরেংগেটির তীব্র উত্তাপ ও শুষ্কতার ফলে খাবারের অভাবে তৃণভোজী প্রাণীদের এই কঠিন পথ বিচরণ করা ছাড়া উপায় থাকে না। শুষ্ক মৌসুমে সেরেংগেটি থেকে মাসাইমারা আবার বর্ষা মৌসুমে বিপরীত পথে গ্রেট মাইগ্রেশন প্রকৃতির এক আশ্চর্য লীলাখেলা।
সেরেংগেটি যাওয়ার পথে দেখতে পাই মাসাই উপজাতির বসতি। মাসাই ভাষায় সেরেংগেটি অর্থ অন্তহীন সমভূমি। মাসাইরা যুগ যুগ ধরে বন্য পরিবেশে হিংস্র প্রাণীদের পাশাপাশি বাস করছে। শিকার, পশুপালন, কৃষিকাজ ও মধু আহরণের মাধ্যমে তাদের জীবন-জীবিকা চলে। তারা দুরন্ত সাহসী হিসেবে পরিচিত। বুনো পরিবেশে বিশেষভাবে তৈরি মাসাইদের আবাস। এদের বিচিত্র বর্ণের পোশাক, অলংকার যে কাউকেই আকৃষ্ট করে। দর্শনার্থীদের জন্য মাসাই গ্রামে গিয়ে তাঁদের সংস্কৃতি পরখ করার সুযোগ আছে। ফিরতি পথে দেখব বলে মাসাই গ্রাম পেরিয়ে ৩ ঘণ্টা যাত্রার পর ওল্ডুভাই গর্জ নামের একটি জাদুঘরের সামনে যাত্রাবিরতি। এখান থেকে সেরেংগেটি ন্যাশনাল পার্কে যেতে আরও ৪ ঘণ্টার মতো লাগে। ওল্ডুভাই গর্জ হলো পূর্ব সেরেংগেটি সমভূমিতে অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, যেখানে মানুষের বিচরণের অস্তিত্ব এবং পৃথিবীর প্রথম দিকের মানুষের জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছিল। ওল্ডুভাই গর্জের জাদুঘরে তিন মিলিয়ন বছর আগে বিচরণকারী পৃথিবীর আদিম মানুষের ফসিল দেখে বিস্মিত হয়েছি। চারপাশের আশ্চর্যজনক ল্যান্ডস্কেপ আর আগ্নেয়গিরির প্রভাবে লাখ লাখ বছর আগে সৃষ্ট গ্রেট রিফ্ট ভ্যালির সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
হাজার হাজার মাইলের এই তৃণভূমিতে কোনো বসতি নেই। এখানে প্রচণ্ড উত্তাপে সব পুড়ে ছাই হয়ে আছে। আবার পাশেই আছে উঁচু তৃণভূমি। পর্যটকদের গাড়ি নির্দিষ্ট পথ ধরে চলে। খোলা প্রান্তর বলে যেখানে-সেখানে গাড়ি চালানোর কোনো সুযোগ নেই। চলতি পথে অলস ভঙ্গিতে সিংহকে শুয়ে থাকতে দেখলাম। কিছুদূর যাওয়ার পর একপাল হায়েনার দেখা। রাস্তার বিপরীত পাশে শত শত ইমপালা বিচরণ করছে। এ যেন এক নতুন পৃথিবী! তারপর গভীর সন্ধ্যায় সেরোনেরা ওয়াইল্ডলাইফ ক্যাম্পে যাত্রাবিরতি। এভাবেই সেরেংগেটিতে সকাল ও বিকেলে গেম ড্রাইভ চলছে সমানতালে।
তৃতীয় দিনের ভোরবেলার সূর্যোদয়ের দৃশ্য ছিল স্বর্গীয়। শত শত গাড়িতে পর্যটকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ বেছে নিয়েছেন প্রাইভেট বিমান, আবার কেউ চড়েছেন হট বেলুনে। এলাহি কাণ্ড চলছে সাভানাজুড়ে। একটা জায়গায় দেখলাম অর্ধডজন সিংহ অলস ভঙ্গিতে শুয়ে আছে। গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ, হট বেলুনের আওয়াজ—কোনো কিছুতেই তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই। পাশ ফিরে দেখি, মায়ের সঙ্গে নয়টি সিংহশাবক হেঁটে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরার শাটার কাউন্ট শুরু হয়ে গেল। এমন মধুর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী না করে উপায় আছে! তাদের চলে যাওয়ার দৃশ্য কখনো ভোলার নয়। তিন দিনের স্মৃতি নিয়ে এবার অন্য গন্তব্যের পানে যেতে হবে।
পঞ্চম দিনের গন্তব্য ছিল ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এনগরংগোরো। মাসাই লোকজন গবাদিপশুর গলায় বিশেষ ঘণ্টা বেঁধে রাখত। আর নিজেরাও বাহারি অলংকার পরত। চলার পথে গড়গড় শব্দ হতো বলেই এ জায়গার নাম হয়ে যায় এনগরংগোরো। এর অবস্থান উত্তর তানজানিয়ার ক্রেটার হাইল্যান্ডস ভূতাত্ত্বিক এলাকার মধ্যে। একটি বড় আগ্নেয়গিরি ক্যালডেরার কারণে এলাকাটির নামকরণ করা হয়েছে এনগরংগোরো ক্রেটার। এটি বিশ্বের বৃহত্তম নিষ্ক্রিয়, অক্ষত এবং অপূর্ণ আগ্নেয়গিরি। ২ থেকে ৩ মিলিয়ন বছর আগে একটি আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে জায়গাটি ধসে পড়ার ফলে সৃষ্টি হয় ২ হাজার ফুট গভীর গর্ত। এর মেঝের আয়তন ২৬০ বর্গকিলোমিটার। ক্রেটার রিম ২ হাজার ২০০ মিটার উঁচু হওয়ার এখানে জলবায়ু একদম আলাদা। এখানে রয়েছে তৃণভূমি, জলাভূমি, মুঙ্গে নদী, সোডিয়াম হ্রদ। এখানে খেলা করে ঝাঁকে ঝাঁকে রঙিন ফ্ল্যামিঙ্গোসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। আরও দেখা যায় কালো গন্ডার, সিংহ, চিতাবাঘ, হায়েনা, জলহস্তী, অ্যান্টিলোপ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী।
পাঁচ কিলোমিটার নিচে নামার পর এনগরংগোরো ক্রেটারের প্রবেশমুখে কেপ বাফেলোর পাল দেখা গেল। এখানে তীব্র ঠান্ডা বিরাজমান থাকলেও বাইরের দৃশ্যের মুগ্ধতায় সবকিছু ভুলে গেছি। হাজার হাজার ওয়াইল্ডবিস্ট আর জেব্রা এক লাইন ধরে দ্রুত ছুটে যাচ্ছে। তাদের গন্তব্য কোথায়, কেউ জানে না। জলাভূমিতে নাম না জানা অনেক প্রজাতির পাখি দেখলাম। লেকের জলে হাজার হাজার ফ্ল্যামিঙ্গো, জলহস্তী পানিতে গা ডুবিয়ে রয়েছে। চার-পাঁচটি জলহস্তী পানির ওপরে উঠে এল। উঁচু গাছের পাতাহীন ডালে চিল আর শকুনজাতীয় পাখিদের দেখা পেলাম। বিস্ময়কর ছিল সিংহের বাফেলো শিকারের দৃশ্য। তিনটি সিংহ এসে চোখের সামনে একটি বাফেলোকে ধরে টেনে ছিঁড়ে ফেলার দৃশ্য সহজে ভোলার নয়।

পূর্ব আফ্রিকার সাভানায় তাঁবুতে শুয়ে আছি। সারা দিনের গেম ড্রাইভ জার্নিতে কিছুটা ক্লান্ত। আশপাশে হঠাৎ শোরগোল শুরু হয়ে গেল। আমাদের ক্যাম্প সাইটের পাশে হায়েনার দল ঘুরঘুর করছে! ভয়ে হিম হওয়ার দশা। তাঁবুর চেইন পরখ করে ঝিম ধরে পড়ে রইলাম।
সেরেংগেটি রিজার্ভ ফরেস্টে সেদিন এমন আশ্চর্য রাত ছিল! ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের কল্যাণে আফ্রিকান সাভানা সম্পর্কে জেনেছিলাম।
আজ আমি সেই সাভানার শত শত মাইল ঘুরে এসে খোলা আকাশের নিচে পাতা তাঁবুতে শুয়ে আছি। আর তাঁবুর পাশে ঘুরছে হায়েনার দল! দূরে বাফেলোর দল বেঁধে আশ্রয়ের দিকে ছুটছে। হাজার হাজার মাইলের তৃণভূমিতে কোথায় তাদের নিবাস, কে জানে।
ভোরবেলায় হাঁকডাক শুরু হয়ে গেল। প্রভাতের আলো ফোটার আগেই গেম ড্রাইভে বেরিয়ে যেতে হবে। আফ্রিকার বিগ ফাইভ মাংসাশী প্রাণীরা ভোরবেলায় শিকারে বের হয়। সিংহ, চিতা, গন্ডার, হাতি আর বাফেলো—এই পাঁচটি প্রাণীকে একত্রে বিগ ফাইভ বলে। আর এই বিগ ফাইভের বিচরণ, শিকার ও জীবনচক্র দেখার জন্যই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযাত্রীরা ছুটে এসেছেন সাভানায়।
আপাতদৃষ্টিকটু মনে হলেও এটাই দুনিয়ার অমোঘ নিয়ম। এখানে কোনো কোনো প্রাণী হিংস্র আর শিকার করেই ক্ষুন্নিবৃত্তি করে। আছে শত শত প্রজাতির পশু। তৃণভোজী। ভোরবেলায় খাবারের সন্ধানে যখন তৃণভোজী প্রাণীরা দল বেঁধে বেরিয়ে আসে, তখন সুযোগসন্ধানী হিংস্র প্রাণী, বিশেষ করে চিতা, বন্য কুকুর, হায়েনা ও সিংহের পাল তাদের আক্রমণ করে। যুগ যুগ ধরে এভাবেই চলে আসছে। প্রকৃতির এ বৈচিত্র্যময় দৃশ্য দেখতে আমরা এই প্রান্তরে জড়ো হয়েছি।
ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িতে ছয়জনের দল নিয়ে তানজানিয়ার আরোশা শহর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে সেরেংগেটির দিকে রওনা হওয়ার আগে আমরা কেউ কাউকে চিনতাম না। চলতি পথে আলাপ আর পরিচয়পর্ব শেষে আমাদের প্রথম দিনের গন্তব্য টারাঙ্গির সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দিকে। টারাঙ্গির হলো তানজানিয়ার মানিয়ারা অঞ্চলের একটি সংরক্ষিত জাতীয় উদ্যান। এই বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে টারাঙ্গির নদী বয়ে চলেছে। এই অঞ্চলের মিষ্টি জলের প্রাথমিক উৎস এ নদী। শুষ্ক মৌসুমে হাজার হাজার ওয়াইল্ডবিস্ট ও জেব্রার পাল দূরদূরান্ত থেকে পিপাসা মেটাতে এই নদীতীরে ছুটে আসে।
টারাঙ্গিরের আয়তন আনুমানিক ২ হাজার ৮৫০ বর্গকিলোমিটার। এটি একটি গ্রানাটিক পর্বতমালা, নদী, উপত্যকা আর জলাভূমির সমন্বয়ে গঠিত। বিস্তীর্ণ এই অঞ্চলে রয়েছে নানা প্রজাতির ফণীমনসা, বাবলাসহ কাঁটাযুক্ত গুল্মজাতীয় গাছপালা, মৌসুমি প্লাবিত তৃণভূমি ও বাওবাবগাছের সারি। এখানে শত শত হাতি, জেব্রা, ওয়াইল্ডবিস্ট এবং বাফেলোর পালের পাশাপাশি দেখা মিলল ওয়াটারবাক, জিরাফ, ডিক ডিক, ইমপালা, উটপাখি, গ্রান্টস গাজেল, ভারভেট বানর, ব্যান্ডেড মঙ্গুজ, অলিভ বেবুনসহ নাম না জানা অসংখ্য পশুপাখি।
বহু প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আফ্রিকার বিখ্যাত বাওবাবগাছের দেখা পেয়ে একটির ফোকরে গিয়ে ফটাফট ছবি তুলে নিলাম। এ গাছগুলো পাঁচ শ থেকে এক হাজার বছরের প্রাচীন। পাতাহীন গাছের ডালপালায় হাজার হাজার পাখির বাসা ও আশ্রয় দেখা যায়। পড়ন্ত বিকেলে ফিরতি পথ ধরার সময় গাড়ির পথে ওয়াইল্ডবিস্ট, জেব্রা আর হাতি দল বেঁধে রাস্তা পারাপার হচ্ছে দেখে আমরা গাড়ি থামিয়ে অসংখ্য ছবি আর ভিডিও তুলে নিলাম। হাত বাড়ানো দূরত্বে উটপাখির দল গলা উঁচু করে আমাদের পরখ করছে। এত বন্য প্রাণীর বিচরণ দৃশ্য চোখের সামনে দেখার মুগ্ধতা নিয়ে সন্ধ্যাবেলায় সানবাইট ক্যাম্প সাইটে রাতের আশ্রয়ের জন্য ছুটে গেলাম।
পরদিন ছিল আরও বেশি রোমাঞ্চকর। সানবাইট ক্যাম্প সাইট থেকে সকালবেলা ড্রাইভার এসে আমাদের তুলে নিয়ে যায় সেরেংগেটির জাতীয় উদ্যানে। এটি বন্য প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ। গ্রেট মাইগ্রেশন হিসেবে পরিচিত ওয়াইল্ডবিস্ট ও জেব্রাদের মহান স্থানান্তরের জায়গা এ সেরেংগেটি।
চিরায়ত আফ্রিকার এই সাভানায় বন্য প্রাণীর অবাধ বিচরণ। এর পশ্চিম করিডরটি গ্রুমেটি নদী দিয়ে বিভক্ত, যেখানে বন ও ঘন ঝোপ রয়েছে। উত্তরে লোবো এলাকা কেনিয়ার মাসাইমারা রিজার্ভের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে সেরেংগেটি থেকে মারে নদী পেরিয়ে কেনিয়ার মাসাইমারার দিকে লাখ লাখ ওয়াইল্ডবিস্ট, জেব্রা সারিবদ্ধভাবে চলতে থাকে। এই স্থানান্তর গ্রেট মাইগ্রেশন নামে পরিচিত। এই মাইগ্রেশন অনেক জটিল ও কঠিন বিষয়। ওয়াইল্ডবিস্ট ও জেব্রা পালের স্থানান্তর হওয়ার পথে ওত পেতে থাকে চিতা, হায়েনা আর সিংহের মতো হিংস্র প্রাণী। এ ছাড়া মারে নদীতে লুকিয়ে থাকে বিশাল কুমির। জলে কুমির, ডাঙায় হিংস্র প্রাণী। সেরেংগেটির তীব্র উত্তাপ ও শুষ্কতার ফলে খাবারের অভাবে তৃণভোজী প্রাণীদের এই কঠিন পথ বিচরণ করা ছাড়া উপায় থাকে না। শুষ্ক মৌসুমে সেরেংগেটি থেকে মাসাইমারা আবার বর্ষা মৌসুমে বিপরীত পথে গ্রেট মাইগ্রেশন প্রকৃতির এক আশ্চর্য লীলাখেলা।
সেরেংগেটি যাওয়ার পথে দেখতে পাই মাসাই উপজাতির বসতি। মাসাই ভাষায় সেরেংগেটি অর্থ অন্তহীন সমভূমি। মাসাইরা যুগ যুগ ধরে বন্য পরিবেশে হিংস্র প্রাণীদের পাশাপাশি বাস করছে। শিকার, পশুপালন, কৃষিকাজ ও মধু আহরণের মাধ্যমে তাদের জীবন-জীবিকা চলে। তারা দুরন্ত সাহসী হিসেবে পরিচিত। বুনো পরিবেশে বিশেষভাবে তৈরি মাসাইদের আবাস। এদের বিচিত্র বর্ণের পোশাক, অলংকার যে কাউকেই আকৃষ্ট করে। দর্শনার্থীদের জন্য মাসাই গ্রামে গিয়ে তাঁদের সংস্কৃতি পরখ করার সুযোগ আছে। ফিরতি পথে দেখব বলে মাসাই গ্রাম পেরিয়ে ৩ ঘণ্টা যাত্রার পর ওল্ডুভাই গর্জ নামের একটি জাদুঘরের সামনে যাত্রাবিরতি। এখান থেকে সেরেংগেটি ন্যাশনাল পার্কে যেতে আরও ৪ ঘণ্টার মতো লাগে। ওল্ডুভাই গর্জ হলো পূর্ব সেরেংগেটি সমভূমিতে অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, যেখানে মানুষের বিচরণের অস্তিত্ব এবং পৃথিবীর প্রথম দিকের মানুষের জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছিল। ওল্ডুভাই গর্জের জাদুঘরে তিন মিলিয়ন বছর আগে বিচরণকারী পৃথিবীর আদিম মানুষের ফসিল দেখে বিস্মিত হয়েছি। চারপাশের আশ্চর্যজনক ল্যান্ডস্কেপ আর আগ্নেয়গিরির প্রভাবে লাখ লাখ বছর আগে সৃষ্ট গ্রেট রিফ্ট ভ্যালির সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
হাজার হাজার মাইলের এই তৃণভূমিতে কোনো বসতি নেই। এখানে প্রচণ্ড উত্তাপে সব পুড়ে ছাই হয়ে আছে। আবার পাশেই আছে উঁচু তৃণভূমি। পর্যটকদের গাড়ি নির্দিষ্ট পথ ধরে চলে। খোলা প্রান্তর বলে যেখানে-সেখানে গাড়ি চালানোর কোনো সুযোগ নেই। চলতি পথে অলস ভঙ্গিতে সিংহকে শুয়ে থাকতে দেখলাম। কিছুদূর যাওয়ার পর একপাল হায়েনার দেখা। রাস্তার বিপরীত পাশে শত শত ইমপালা বিচরণ করছে। এ যেন এক নতুন পৃথিবী! তারপর গভীর সন্ধ্যায় সেরোনেরা ওয়াইল্ডলাইফ ক্যাম্পে যাত্রাবিরতি। এভাবেই সেরেংগেটিতে সকাল ও বিকেলে গেম ড্রাইভ চলছে সমানতালে।
তৃতীয় দিনের ভোরবেলার সূর্যোদয়ের দৃশ্য ছিল স্বর্গীয়। শত শত গাড়িতে পর্যটকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ বেছে নিয়েছেন প্রাইভেট বিমান, আবার কেউ চড়েছেন হট বেলুনে। এলাহি কাণ্ড চলছে সাভানাজুড়ে। একটা জায়গায় দেখলাম অর্ধডজন সিংহ অলস ভঙ্গিতে শুয়ে আছে। গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ, হট বেলুনের আওয়াজ—কোনো কিছুতেই তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই। পাশ ফিরে দেখি, মায়ের সঙ্গে নয়টি সিংহশাবক হেঁটে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরার শাটার কাউন্ট শুরু হয়ে গেল। এমন মধুর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী না করে উপায় আছে! তাদের চলে যাওয়ার দৃশ্য কখনো ভোলার নয়। তিন দিনের স্মৃতি নিয়ে এবার অন্য গন্তব্যের পানে যেতে হবে।
পঞ্চম দিনের গন্তব্য ছিল ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এনগরংগোরো। মাসাই লোকজন গবাদিপশুর গলায় বিশেষ ঘণ্টা বেঁধে রাখত। আর নিজেরাও বাহারি অলংকার পরত। চলার পথে গড়গড় শব্দ হতো বলেই এ জায়গার নাম হয়ে যায় এনগরংগোরো। এর অবস্থান উত্তর তানজানিয়ার ক্রেটার হাইল্যান্ডস ভূতাত্ত্বিক এলাকার মধ্যে। একটি বড় আগ্নেয়গিরি ক্যালডেরার কারণে এলাকাটির নামকরণ করা হয়েছে এনগরংগোরো ক্রেটার। এটি বিশ্বের বৃহত্তম নিষ্ক্রিয়, অক্ষত এবং অপূর্ণ আগ্নেয়গিরি। ২ থেকে ৩ মিলিয়ন বছর আগে একটি আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে জায়গাটি ধসে পড়ার ফলে সৃষ্টি হয় ২ হাজার ফুট গভীর গর্ত। এর মেঝের আয়তন ২৬০ বর্গকিলোমিটার। ক্রেটার রিম ২ হাজার ২০০ মিটার উঁচু হওয়ার এখানে জলবায়ু একদম আলাদা। এখানে রয়েছে তৃণভূমি, জলাভূমি, মুঙ্গে নদী, সোডিয়াম হ্রদ। এখানে খেলা করে ঝাঁকে ঝাঁকে রঙিন ফ্ল্যামিঙ্গোসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। আরও দেখা যায় কালো গন্ডার, সিংহ, চিতাবাঘ, হায়েনা, জলহস্তী, অ্যান্টিলোপ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী।
পাঁচ কিলোমিটার নিচে নামার পর এনগরংগোরো ক্রেটারের প্রবেশমুখে কেপ বাফেলোর পাল দেখা গেল। এখানে তীব্র ঠান্ডা বিরাজমান থাকলেও বাইরের দৃশ্যের মুগ্ধতায় সবকিছু ভুলে গেছি। হাজার হাজার ওয়াইল্ডবিস্ট আর জেব্রা এক লাইন ধরে দ্রুত ছুটে যাচ্ছে। তাদের গন্তব্য কোথায়, কেউ জানে না। জলাভূমিতে নাম না জানা অনেক প্রজাতির পাখি দেখলাম। লেকের জলে হাজার হাজার ফ্ল্যামিঙ্গো, জলহস্তী পানিতে গা ডুবিয়ে রয়েছে। চার-পাঁচটি জলহস্তী পানির ওপরে উঠে এল। উঁচু গাছের পাতাহীন ডালে চিল আর শকুনজাতীয় পাখিদের দেখা পেলাম। বিস্ময়কর ছিল সিংহের বাফেলো শিকারের দৃশ্য। তিনটি সিংহ এসে চোখের সামনে একটি বাফেলোকে ধরে টেনে ছিঁড়ে ফেলার দৃশ্য সহজে ভোলার নয়।

আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
৮ ঘণ্টা আগে
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
১০ ঘণ্টা আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
১২ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি ঘটে। অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশি চিনি বা ক্যালরি খেয়ে ফেলার পরদিন সকালে আমাদের মনে দানা বাঁধে অপরাধ বোধ, আর শুরু হয় নিজেকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার পালা। আমরা ভাবি, আজ খাবার না খেয়ে বা খুব কম খেয়ে আগের রাতের ঘাটতি পুষিয়ে নেব। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাসটিই আমাদের স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
অতিরিক্ত খাবার বা চিনি খেয়ে ফেলাটা জীবনের এক অতি স্বাভাবিক অংশ। এর জন্য নিজেকে শাস্তি দেওয়া বা ক্লিনসিং করার প্রয়োজন নেই। বরং প্রচুর পানি পান, হালকা ব্যায়াম, ভারসাম্যপূর্ণ খাবার এবং নিজের প্রতি মমতা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি। মনে রাখবেন, আপনার সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে আপনার বড় ক্যানভাসের জীবনধারা দিয়ে, একটি মাত্র রাত দিয়ে নয়। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ডায়েটিশিয়ান ভিক্টোরিয়া হুইটিংটন এবং সাম্প্রতিক পুষ্টি গবেষণার আলোকে জেনে নিন, একদিনের অনিয়ম সামলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার বিজ্ঞানসম্মত উপায়।

১. নিজেকে বঞ্চিত করবেন না
বেশি খেয়ে ফেলার পরদিন না খেয়ে থাকা বা খুব অল্প খাওয়ার যে প্রবণতা, তা আসলে উল্টো ফল আনে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার নিয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করলে খাবারের প্রতি আকর্ষণ আরও বেড়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আবার অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। তাই অতিরিক্ত চিনি খেয়ে ফেলার পরদিন খাবার কমিয়ে দেওয়ার বদলে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভালো ফ্যাটের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসে ফিরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. সকালের নাশতা হোক প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ
অনিয়মের পরদিন সকালের শুরুটা হওয়া চাই জুতসই। গবেষণা বলছে, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সকালের নাশতা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত ফাইবার যোগ করলে তা রক্তে গ্লুকোজের আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং সারা দিন আপনাকে তৃপ্ত রাখে। খাবার বাদ দিলে শরীরে ‘ঘ্রেলিন’ বা ক্ষুধা উদ্দীপক হরমোন বেড়ে যায়, যা দিনশেষে আপনাকে আবারও বেশি খেতে প্ররোচিত করতে পারে।
৩. শরীরকে সচল রাখুন এবং পানি পান করুন
অতিরিক্ত খাওয়ার পর শরীরে যে অলসতা বা ভারী ভাব কাজ করে, তার পেছনে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার বড় ভূমিকা থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয়। পাশাপাশি হালকা শারীরিক পরিশ্রম বা অল্প হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। এতে আমাদের পেশিগুলো রক্তে জমে থাকা শর্করাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

৪. ‘পারফেকশন’ নয়, গুরুত্ব দিন সামগ্রিক অভ্যাসে
পুষ্টিবিদ হুইটিংটন জোর দিয়ে বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য মূলত আপনার নিয়মিত অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে, কোনো একদিনের অনিয়মের ওপর নয়। নার্সেস হেলথ স্টাডির মতো বড় বড় গবেষণাও বলছে, কোনো একটি নির্দিষ্ট দিনের খাদ্যাভ্যাস নয়; বরং আপনার দীর্ঘদিনের খাদ্যাভ্যাসের ধরনই নির্ধারণ করে আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি। তাই একদিন বেশি খেয়ে ফেললে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্য মানে নিখুঁত হওয়া নয়; বরং একটি সুস্থ ধারায় থাকা।
৫. নিজের প্রতি সদয় হোন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, নিজেকে ক্ষমা করা। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিজেদের প্রতি সদয় থাকেন, তাঁরা আবেগতাড়িত হয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাসটি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারেন। নিজেকে দোষারোপ না করে বরং বোঝার চেষ্টা করুন, সে মুহূর্তে আপনার কিসের প্রয়োজন ছিল। সমালোচনা নয়, কৌতূহলী মন নিয়ে নিজের আচরণ বিশ্লেষণ করলে আপনি ভবিষ্যতে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল

আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি ঘটে। অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশি চিনি বা ক্যালরি খেয়ে ফেলার পরদিন সকালে আমাদের মনে দানা বাঁধে অপরাধ বোধ, আর শুরু হয় নিজেকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার পালা। আমরা ভাবি, আজ খাবার না খেয়ে বা খুব কম খেয়ে আগের রাতের ঘাটতি পুষিয়ে নেব। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাসটিই আমাদের স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে।
অতিরিক্ত খাবার বা চিনি খেয়ে ফেলাটা জীবনের এক অতি স্বাভাবিক অংশ। এর জন্য নিজেকে শাস্তি দেওয়া বা ক্লিনসিং করার প্রয়োজন নেই। বরং প্রচুর পানি পান, হালকা ব্যায়াম, ভারসাম্যপূর্ণ খাবার এবং নিজের প্রতি মমতা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি। মনে রাখবেন, আপনার সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে আপনার বড় ক্যানভাসের জীবনধারা দিয়ে, একটি মাত্র রাত দিয়ে নয়। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ডায়েটিশিয়ান ভিক্টোরিয়া হুইটিংটন এবং সাম্প্রতিক পুষ্টি গবেষণার আলোকে জেনে নিন, একদিনের অনিয়ম সামলে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার বিজ্ঞানসম্মত উপায়।

১. নিজেকে বঞ্চিত করবেন না
বেশি খেয়ে ফেলার পরদিন না খেয়ে থাকা বা খুব অল্প খাওয়ার যে প্রবণতা, তা আসলে উল্টো ফল আনে। গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার নিয়ে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করলে খাবারের প্রতি আকর্ষণ আরও বেড়ে যায়, যা পরবর্তী সময়ে আবার অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। তাই অতিরিক্ত চিনি খেয়ে ফেলার পরদিন খাবার কমিয়ে দেওয়ার বদলে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভালো ফ্যাটের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাসে ফিরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ।
২. সকালের নাশতা হোক প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ
অনিয়মের পরদিন সকালের শুরুটা হওয়া চাই জুতসই। গবেষণা বলছে, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সকালের নাশতা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত ফাইবার যোগ করলে তা রক্তে গ্লুকোজের আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করে এবং সারা দিন আপনাকে তৃপ্ত রাখে। খাবার বাদ দিলে শরীরে ‘ঘ্রেলিন’ বা ক্ষুধা উদ্দীপক হরমোন বেড়ে যায়, যা দিনশেষে আপনাকে আবারও বেশি খেতে প্ররোচিত করতে পারে।
৩. শরীরকে সচল রাখুন এবং পানি পান করুন
অতিরিক্ত খাওয়ার পর শরীরে যে অলসতা বা ভারী ভাব কাজ করে, তার পেছনে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার বড় ভূমিকা থাকে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া সহজ হয়। পাশাপাশি হালকা শারীরিক পরিশ্রম বা অল্প হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। এতে আমাদের পেশিগুলো রক্তে জমে থাকা শর্করাকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

৪. ‘পারফেকশন’ নয়, গুরুত্ব দিন সামগ্রিক অভ্যাসে
পুষ্টিবিদ হুইটিংটন জোর দিয়ে বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য মূলত আপনার নিয়মিত অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে, কোনো একদিনের অনিয়মের ওপর নয়। নার্সেস হেলথ স্টাডির মতো বড় বড় গবেষণাও বলছে, কোনো একটি নির্দিষ্ট দিনের খাদ্যাভ্যাস নয়; বরং আপনার দীর্ঘদিনের খাদ্যাভ্যাসের ধরনই নির্ধারণ করে আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি। তাই একদিন বেশি খেয়ে ফেললে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্য মানে নিখুঁত হওয়া নয়; বরং একটি সুস্থ ধারায় থাকা।
৫. নিজের প্রতি সদয় হোন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, নিজেকে ক্ষমা করা। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিজেদের প্রতি সদয় থাকেন, তাঁরা আবেগতাড়িত হয়ে বেশি খাওয়ার অভ্যাসটি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারেন। নিজেকে দোষারোপ না করে বরং বোঝার চেষ্টা করুন, সে মুহূর্তে আপনার কিসের প্রয়োজন ছিল। সমালোচনা নয়, কৌতূহলী মন নিয়ে নিজের আচরণ বিশ্লেষণ করলে আপনি ভবিষ্যতে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল

পূর্ব আফ্রিকার সাভানায় তাঁবুতে শুয়ে আছি। সারা দিনের গেম ড্রাইভ জার্নিতে কিছুটা ক্লান্ত। আশপাশে হঠাৎ শোরগোল শুরু হয়ে গেল। আমাদের ক্যাম্প সাইটের পাশে হায়েনার দল ঘুরঘুর করছে! ভয়ে হিম হওয়ার দশা। তাঁবুর চেইন পরখ করে ঝিম ধরে পড়ে রইলাম। সেরেংগেটি রিজার্ভ ফরেস্টে সেদিন এমন আশ্চর্য রাত ছিল! ন্যাশনাল জিওগ্
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
১০ ঘণ্টা আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
১২ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

‘চাকরি ছেড়ে কৃষিতে লাখপতি’ কিংবা ‘যুবকের ভাগ্য ফিরল কৃষিতে’। এমন সংবাদ আমরা প্রায়ই দেখি সংবাদমাধ্যমে। এই যুবকেরা কখনো কখনো নীরবে বদলে দেয় পুরো জনপদের শত শত কৃষকের জীবন। এসব ঘটনা যে শুধু বাংলাদেশেই ঘটে, তা নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটে থাকে। নেপালেও এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। তা প্রকাশিত হয়েছে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’-এ।
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প। সেখানে এই সোনালি-হলুদ ফলটি বদলে দিয়েছে শত শত কৃষকের ভাগ্য এবং পুরো গ্রামের জীবনযাত্রা।
ঘরের আঙিনায় চকচকে সাফল্য
এই পরিবর্তনের উজ্জ্বল প্রতীক তরুণ কৃষক রেবতি ভট্টরাই। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। সেখানে প্রায় এক দশক হাড়ভাঙা খাটুনির পর কিছু অর্থ নিয়ে দেশে ফিরে এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পৈতৃক জমিতে প্রচলিত দানাদার শস্যের চাষ বাদ দিয়ে তৈরি করেন কমলার বাগান। আজ তাঁর ৫৩৫টি কমলাগাছ ফলে ভরপুর। গত বছর ১৭০ কুইন্টাল কমলা বিক্রি করে তিনি ৯ লাখ রুপি আয় করেছেন। এবার ফলন আরও ভালো হওয়ায় ২০০ কুইন্টাল উৎপাদনের আশা করছেন তিনি। রেবতি বলেন, ‘বিদেশের চাকরির চেয়ে কমলার চাষ আমার জীবনকে বেশি বদলে দিয়েছে। এখন আর আমাকে বাজারের পেছনে ছুটতে হয় না। ফল পাকার আগেই ব্যবসায়ীরা এসে বাগান বুক করে নেন।’ কমলার আয়েই তিনি সিমলেতে আড়াই তলা একটি পাকা বাড়ি তুলেছেন।
পেনশনের চেয়েও বেশি আয়
শুধু তরুণেরাই নন, এ বিপ্লবে শামিল হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও। তাঁদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত কৃষি টেকনিশিয়ান দধি রাম গৌতম। পাঁচ বছর ধরে তিনি বাণিজ্যিক কমলা চাষ করছেন। তাঁর ২৫০টি গাছের কমলা থেকে বছরে যে আয় হয়, তা তাঁর সরকারি পেনশনের চেয়ে তিন গুণ বেশি। বুটওয়াল, পাল্পা ও পোখারা থেকে ব্যবসায়ীরা গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে নগদ টাকায় কমলা কিনে নিয়ে যান।
কমলা চাষে এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও পিছিয়ে নেই। ওয়ার্ড চেয়ারম্যান চন্দ্রকান্ত পাউডেল তাঁর জনসেবামূলক কাজের পাশাপাশি ৬০০টি কমলাগাছের বিশাল বাগান সামলাচ্ছেন। এ বছর শিলাবৃষ্টি বা পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার, যা আরও বেশি লাভের আশা জোগাচ্ছে।
কমলার এক নতুন হাব
পাণিনি-১-এর সলেরি টোল গ্রামে এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমলার বাগান রয়েছে। গ্রামের কৃষকেরা নিজেদের সংগঠিত করতে গঠন করেছেন পাখাপানি কৃষক দল। ৪৫টি পরিবারের মধ্যে ৩০টিই এখন এই দলের সদস্য। গ্রামের বড় চাষি টুক বাহাদুর দারলামি গত বছর ৩ দশমিক ৫ লাখ রুপি আয় করেছেন কমলা চাষ করে। তিনি জানিয়েছেন, পুরো সলেরি গ্রাম এখন কমলার হাবে পরিণত হয়েছে। ফলে তাঁদের জমিগুলো আর অনাবাদি থাকছে না এবং গ্রাম থেকে মানুষের শহরে চলে যাওয়ার প্রবণতাও কমেছে।
অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক প্রভাব
কৃষকদের এ সাফল্যে হাত বাড়িয়েছে অ্যাগ্রিকালচার নলেজ সেন্টার। সেচের সুবিধার জন্য তারা বড় বড় পানির ট্যাংক তৈরি করে দিয়েছে গ্রামটিতে। কৃষি টেকনিশিয়ান শারদা আচার্যের মতে, সিমলে গ্রামের এই ব্যাপক সাফল্য দেখে প্রতিবেশী গ্রামগুলোও এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে ঝুঁকছে। শুধু সিমলে গ্রাম থেকেই বছরে ৩ কোটি রুপিরও বেশি কমলা বিক্রি হয়। গত বছর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কমলার দাম ছিল ৬০ রুপি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ রুপিতে। কমলার আয়ে কৃষকেরা সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিচ্ছেন, ঘরবাড়ি সংস্কার করছেন এবং গবাদিপশুর আধুনিক খামার গড়ে তুলছেন।
আরঘাখাঁচির এই জনপদে কমলা এখন আর কেবল একটি ফল নয়—স্বনির্ভরতার প্রতীক। যখন পুরো গ্রাম কমলার হলুদ রঙে ঝলমল করে ওঠে, তখন তা কেবল ঋতু পরিবর্তনের জানান দেয় না; বরং এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের গল্প শোনায়।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট

‘চাকরি ছেড়ে কৃষিতে লাখপতি’ কিংবা ‘যুবকের ভাগ্য ফিরল কৃষিতে’। এমন সংবাদ আমরা প্রায়ই দেখি সংবাদমাধ্যমে। এই যুবকেরা কখনো কখনো নীরবে বদলে দেয় পুরো জনপদের শত শত কৃষকের জীবন। এসব ঘটনা যে শুধু বাংলাদেশেই ঘটে, তা নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটে থাকে। নেপালেও এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। তা প্রকাশিত হয়েছে দেশটির জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘কাঠমান্ডু পোস্ট’-এ।
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প। সেখানে এই সোনালি-হলুদ ফলটি বদলে দিয়েছে শত শত কৃষকের ভাগ্য এবং পুরো গ্রামের জীবনযাত্রা।
ঘরের আঙিনায় চকচকে সাফল্য
এই পরিবর্তনের উজ্জ্বল প্রতীক তরুণ কৃষক রেবতি ভট্টরাই। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ভাগ্যের অন্বেষণে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। সেখানে প্রায় এক দশক হাড়ভাঙা খাটুনির পর কিছু অর্থ নিয়ে দেশে ফিরে এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পৈতৃক জমিতে প্রচলিত দানাদার শস্যের চাষ বাদ দিয়ে তৈরি করেন কমলার বাগান। আজ তাঁর ৫৩৫টি কমলাগাছ ফলে ভরপুর। গত বছর ১৭০ কুইন্টাল কমলা বিক্রি করে তিনি ৯ লাখ রুপি আয় করেছেন। এবার ফলন আরও ভালো হওয়ায় ২০০ কুইন্টাল উৎপাদনের আশা করছেন তিনি। রেবতি বলেন, ‘বিদেশের চাকরির চেয়ে কমলার চাষ আমার জীবনকে বেশি বদলে দিয়েছে। এখন আর আমাকে বাজারের পেছনে ছুটতে হয় না। ফল পাকার আগেই ব্যবসায়ীরা এসে বাগান বুক করে নেন।’ কমলার আয়েই তিনি সিমলেতে আড়াই তলা একটি পাকা বাড়ি তুলেছেন।
পেনশনের চেয়েও বেশি আয়
শুধু তরুণেরাই নন, এ বিপ্লবে শামিল হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাও। তাঁদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত কৃষি টেকনিশিয়ান দধি রাম গৌতম। পাঁচ বছর ধরে তিনি বাণিজ্যিক কমলা চাষ করছেন। তাঁর ২৫০টি গাছের কমলা থেকে বছরে যে আয় হয়, তা তাঁর সরকারি পেনশনের চেয়ে তিন গুণ বেশি। বুটওয়াল, পাল্পা ও পোখারা থেকে ব্যবসায়ীরা গাড়ি নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে নগদ টাকায় কমলা কিনে নিয়ে যান।
কমলা চাষে এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও পিছিয়ে নেই। ওয়ার্ড চেয়ারম্যান চন্দ্রকান্ত পাউডেল তাঁর জনসেবামূলক কাজের পাশাপাশি ৬০০টি কমলাগাছের বিশাল বাগান সামলাচ্ছেন। এ বছর শিলাবৃষ্টি বা পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার, যা আরও বেশি লাভের আশা জোগাচ্ছে।
কমলার এক নতুন হাব
পাণিনি-১-এর সলেরি টোল গ্রামে এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কমলার বাগান রয়েছে। গ্রামের কৃষকেরা নিজেদের সংগঠিত করতে গঠন করেছেন পাখাপানি কৃষক দল। ৪৫টি পরিবারের মধ্যে ৩০টিই এখন এই দলের সদস্য। গ্রামের বড় চাষি টুক বাহাদুর দারলামি গত বছর ৩ দশমিক ৫ লাখ রুপি আয় করেছেন কমলা চাষ করে। তিনি জানিয়েছেন, পুরো সলেরি গ্রাম এখন কমলার হাবে পরিণত হয়েছে। ফলে তাঁদের জমিগুলো আর অনাবাদি থাকছে না এবং গ্রাম থেকে মানুষের শহরে চলে যাওয়ার প্রবণতাও কমেছে।
অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক প্রভাব
কৃষকদের এ সাফল্যে হাত বাড়িয়েছে অ্যাগ্রিকালচার নলেজ সেন্টার। সেচের সুবিধার জন্য তারা বড় বড় পানির ট্যাংক তৈরি করে দিয়েছে গ্রামটিতে। কৃষি টেকনিশিয়ান শারদা আচার্যের মতে, সিমলে গ্রামের এই ব্যাপক সাফল্য দেখে প্রতিবেশী গ্রামগুলোও এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষে ঝুঁকছে। শুধু সিমলে গ্রাম থেকেই বছরে ৩ কোটি রুপিরও বেশি কমলা বিক্রি হয়। গত বছর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কমলার দাম ছিল ৬০ রুপি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ রুপিতে। কমলার আয়ে কৃষকেরা সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিচ্ছেন, ঘরবাড়ি সংস্কার করছেন এবং গবাদিপশুর আধুনিক খামার গড়ে তুলছেন।
আরঘাখাঁচির এই জনপদে কমলা এখন আর কেবল একটি ফল নয়—স্বনির্ভরতার প্রতীক। যখন পুরো গ্রাম কমলার হলুদ রঙে ঝলমল করে ওঠে, তখন তা কেবল ঋতু পরিবর্তনের জানান দেয় না; বরং এক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের গল্প শোনায়।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট

পূর্ব আফ্রিকার সাভানায় তাঁবুতে শুয়ে আছি। সারা দিনের গেম ড্রাইভ জার্নিতে কিছুটা ক্লান্ত। আশপাশে হঠাৎ শোরগোল শুরু হয়ে গেল। আমাদের ক্যাম্প সাইটের পাশে হায়েনার দল ঘুরঘুর করছে! ভয়ে হিম হওয়ার দশা। তাঁবুর চেইন পরখ করে ঝিম ধরে পড়ে রইলাম। সেরেংগেটি রিজার্ভ ফরেস্টে সেদিন এমন আশ্চর্য রাত ছিল! ন্যাশনাল জিওগ্
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
৮ ঘণ্টা আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
১২ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

রূপচর্চায় বেসন খুব পরিচিত একটি উপকরণ। একসময় ত্বক পরিষ্কার করতে সাবানের পরিবর্তে বেসন ব্যবহার করা হতো। শীতে ত্বকের নির্জীব ভাব নিয়ে যাঁরা চিন্তায় রয়েছেন, তাঁরা সহজলভ্য এই উপকরণটি রোজকার ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে নানা উপকার পেতে পারেন।
এ কথা তো সবাই জানেন, শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব জরুরি। পাশাপাশি ত্বক দূষণমুক্ত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।
বেসন ও এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেলের প্যাক

পুরো শরীরের ত্বকে মাখার জন্য বেসন নিন। এতে কয়েক চামচ এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ দুধ মেশাতে পারেন। প্যাক তৈরিতে যতটুকু পানি প্রয়োজন, তা যোগ করুন। এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধা শুকনো হওয়া পর্যন্ত। এরপর আলতো করে কুসুম গরম পানিতে পুরো শরীর ধুয়ে নিন। নারকেল তেল ও দুধ রুক্ষ ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি জোগায় ও ময়শ্চারাইজ করে। পাশাপাশি এ প্যাক ত্বকের ডিপ ক্লিনজিংয়েও সহায়তা করে। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাদের জন্য এ প্যাক খুবই ভালো কাজ করে।
বেসন, টক দই ও হলুদের প্যাক
এ সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। পুরো শরীরে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে শরীর আলতো ঘষে প্যাক দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। টক দই ত্বকের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবেও দুর্দান্ত কাজ করে। অন্যদিকে হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, দাগছোপ কমায় ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
বেসন ও গাঁদা ফুল বাটার প্যাক
বেসনের সঙ্গে সমপরিমাণ গাঁদা ফুল বাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এই প্যাক মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্কতা কমাতে ও নরম করতে এ প্যাক ভালো কাজ করে। যাঁদের ত্বকে ব্রণ ও দাগ রয়েছে তাঁরা প্রতি সপ্তাহে একবার করে এই প্যাক মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিপ ক্লিনজিং প্যাক
যাঁরা সকালে মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে ফেসওয়াশ ব্যবহার এড়াতে চান তাঁরা ১ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দুধ, সামান্য হলুদ এবং ৩ ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে ফেসওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন সকালে। এতে ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হবে ও ধীরে ধীরে জেল্লাদার হয়ে উঠবে।
বেসন, মধু ও গোলাপজল
বেসন, মধু, গোলাপজল ও অল্প পানি মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকাতে শুরু করলে হালকা করে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। মধু প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। এটি ত্বক নরম রাখে। গোলাপজল ত্বক সতেজ করতে সাহায্য করে। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই একটি ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
মেছতার দাগ হালকা করতে
বেসনের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মেছতার ওপর লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এক দিন অন্তর এ প্যাক ব্যবহার করুন। দাগ কমে এলে ধীরে ধীরে প্যাক ব্যবহারও কমিয়ে আনুন। যেমন সপ্তাহে একবার, তারপর ১৫ দিনে একবার, তারপর মাসে একবার। এভাবে এই প্যাক ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে দাগ একেবারে হালকা হয়ে আসবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

রূপচর্চায় বেসন খুব পরিচিত একটি উপকরণ। একসময় ত্বক পরিষ্কার করতে সাবানের পরিবর্তে বেসন ব্যবহার করা হতো। শীতে ত্বকের নির্জীব ভাব নিয়ে যাঁরা চিন্তায় রয়েছেন, তাঁরা সহজলভ্য এই উপকরণটি রোজকার ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে নানা উপকার পেতে পারেন।
এ কথা তো সবাই জানেন, শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব জরুরি। পাশাপাশি ত্বক দূষণমুক্ত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।
বেসন ও এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেলের প্যাক

পুরো শরীরের ত্বকে মাখার জন্য বেসন নিন। এতে কয়েক চামচ এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ দুধ মেশাতে পারেন। প্যাক তৈরিতে যতটুকু পানি প্রয়োজন, তা যোগ করুন। এই প্যাক ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আধা শুকনো হওয়া পর্যন্ত। এরপর আলতো করে কুসুম গরম পানিতে পুরো শরীর ধুয়ে নিন। নারকেল তেল ও দুধ রুক্ষ ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি জোগায় ও ময়শ্চারাইজ করে। পাশাপাশি এ প্যাক ত্বকের ডিপ ক্লিনজিংয়েও সহায়তা করে। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাদের জন্য এ প্যাক খুবই ভালো কাজ করে।
বেসন, টক দই ও হলুদের প্যাক
এ সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। পুরো শরীরে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে শরীর আলতো ঘষে প্যাক দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। টক দই ত্বকের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবেও দুর্দান্ত কাজ করে। অন্যদিকে হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, দাগছোপ কমায় ও ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
বেসন ও গাঁদা ফুল বাটার প্যাক
বেসনের সঙ্গে সমপরিমাণ গাঁদা ফুল বাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এই প্যাক মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের শুষ্কতা কমাতে ও নরম করতে এ প্যাক ভালো কাজ করে। যাঁদের ত্বকে ব্রণ ও দাগ রয়েছে তাঁরা প্রতি সপ্তাহে একবার করে এই প্যাক মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিপ ক্লিনজিং প্যাক
যাঁরা সকালে মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে ফেসওয়াশ ব্যবহার এড়াতে চান তাঁরা ১ টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ দুধ, সামান্য হলুদ এবং ৩ ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়ে ফেসওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন প্রতিদিন সকালে। এতে ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার হবে ও ধীরে ধীরে জেল্লাদার হয়ে উঠবে।
বেসন, মধু ও গোলাপজল
বেসন, মধু, গোলাপজল ও অল্প পানি মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকাতে শুরু করলে হালকা করে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। মধু প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। এটি ত্বক নরম রাখে। গোলাপজল ত্বক সতেজ করতে সাহায্য করে। মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই একটি ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
মেছতার দাগ হালকা করতে
বেসনের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মেছতার ওপর লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এক দিন অন্তর এ প্যাক ব্যবহার করুন। দাগ কমে এলে ধীরে ধীরে প্যাক ব্যবহারও কমিয়ে আনুন। যেমন সপ্তাহে একবার, তারপর ১৫ দিনে একবার, তারপর মাসে একবার। এভাবে এই প্যাক ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে দাগ একেবারে হালকা হয়ে আসবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য

পূর্ব আফ্রিকার সাভানায় তাঁবুতে শুয়ে আছি। সারা দিনের গেম ড্রাইভ জার্নিতে কিছুটা ক্লান্ত। আশপাশে হঠাৎ শোরগোল শুরু হয়ে গেল। আমাদের ক্যাম্প সাইটের পাশে হায়েনার দল ঘুরঘুর করছে! ভয়ে হিম হওয়ার দশা। তাঁবুর চেইন পরখ করে ঝিম ধরে পড়ে রইলাম। সেরেংগেটি রিজার্ভ ফরেস্টে সেদিন এমন আশ্চর্য রাত ছিল! ন্যাশনাল জিওগ্
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
৮ ঘণ্টা আগে
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
১০ ঘণ্টা আগে
পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু...
১৪ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু সুন্দর করে সেলিব্রেট করতে পারেন।
আলো ও উষ্ণতার আমেজ
শীতকাল মানেই ঠান্ডা আর কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। সন্ধ্যার দিকে ঘরে কিছু ওয়ার্ম লাইট ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিন। রাতে ছাদে বা উঠানে আগুন জ্বালিয়ে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলে এর চারপাশে বসুন। আগুনের উষ্ণতা একটা শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে। এটি শুধু যে অন্ধকার দূর করে, তা-ই নয়; বরং শীতে একটা সুন্দর, স্নিগ্ধ ও উষ্ণ ভাব এনে দেয়। আগুনের তাপের সঙ্গে এই আয়োজনে থাকে সম্পর্কের উত্তাপও।

পুরোনো জিনিস সরিয়ে ঘর পরিষ্কার করুন
শীতকালে ঘর পরিষ্কার করে একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন। নেতিবাচকতা দূর করতে ঘর পরিষ্কার করে ধূপ বা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। আবার শীতের আমেজ আনতে ঘরে দারুচিনি, এলাচি বা লবঙ্গ জাতীয় মসলার সুগন্ধ ব্যবহার করুন। চুলায় পানি গরম করে তাতে এসব দিয়ে ফুটতে দিন, ধীরে ধীরে পুরো বাসায় সুবাস ছড়িয়ে পড়বে। ঘর পরিষ্কার থাকলে মনও শান্ত থাকে আর নতুন দিনগুলোকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
একটা সালতামামি হয়ে যাক
এ সময়টিতে নিজেকে নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন। এ বছর কী কী ভালো-খারাপ হলো বা কী কী শিখলেন, তা নিয়ে একটু ভাবুন। একটি ডায়েরিতে আপনার চিন্তাগুলো লিখে রাখতে পারেন। যেসব অভ্যাস এখন আর আপনার কাজে আসছে না, সেগুলো বাদ দিয়ে নিজের ভালো হয়—এমন কিছু ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলুন। নতুন বছরে কী কী করতে চান, সে লক্ষ্য ঠিক করে লিখে রাখুন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
জীবনে ছোট-বড় যা কিছু ভালো আছে, সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। একটি তালিকা তৈরি করুন, যেখানে আপনার অর্জন, প্রিয় মানুষ, ব্যক্তিগত ভালো লাগা ও সুন্দর মুহূর্তগুলোর কথা লিখে রাখবেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে মনে শান্তি পাবেন এবং অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাবেন।
নিজের যত্ন নিন
শীতকাল হলো নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ার সময়। প্রতিদিন হালকা ইয়োগা, হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং করে শরীর সচল রাখুন। নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন এবং নিজেকে কিছু উপহার দিন। নিজের জন্য সময় বের করে নিজের অস্তিত্ব সেলিব্রেট করার জন্য শীতকাল হলো উপযুক্ত সময়।

প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকুন
শীতের সকাল বা বিকেলে প্রকৃতির কাছে থাকার চেষ্টা করুন। শিশিরভেজা ঘাসে খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন এবং শীতের নরম রোদ গায়ে মাখুন, যা আপনার মন ভালো করার পাশাপাশি শরীরে শক্তি জোগাবে। শীতকালীন ফুলগাছ বারান্দায় রাখুন ও মাটির তৈরি জিনিস দিয়ে ঘর সাজান। দেখবেন এই ছোট কাজগুলো ঘরে একটা স্নিগ্ধ ও সতেজ ভাব আনবে।
প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান
শীতকাল মানেই পিঠাপুলির উৎসব। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পিঠার আয়োজন করুন। একসঙ্গে গল্প, হাসি আর খাবার সম্পর্কগুলোকে আরও মজবুত করবে এবং সময় আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলবে।
এবার ‘না’ বলতে শিখুন
শীতকাল মানেই বিভিন্ন রকম দাওয়াত। সেগুলোকে পাশে রেখে সামাজিক বা অন্যান্য কাজের চাপ এড়িয়ে চলুন। কোনো অনুষ্ঠানে যেতে বা কোনো কাজ করতে যদি একেবারেই ইচ্ছা না করে তবে, অযথা চাপ অনুভব না করে বিনীতভাবে এড়িয়ে চলুন। এ সময় নিজের বিশ্রাম ও মানসিক শান্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়াটাই বেশি জরুরি।
সূত্র: রিদমস অব প্লে ও অন্যান্য

পৌষের রোদমাখা দিন চলে এল। টানা দুই মাস শীতের হিম শীতল দিন কাটানোর পালা। শীতকাল মানে যেন একটু আরাম আরাম ভাব, একটু অলসতা আর ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। এ সবই হয় মূলত বছরের এই বিশেষ সময়টিতে সবকিছু গুছিয়ে নতুন একটা বছরের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে ঘরোয়া উষ্ণতা ও আনন্দ নিয়ে শীতকালটাকে একটু সুন্দর করে সেলিব্রেট করতে পারেন।
আলো ও উষ্ণতার আমেজ
শীতকাল মানেই ঠান্ডা আর কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। সন্ধ্যার দিকে ঘরে কিছু ওয়ার্ম লাইট ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিন। রাতে ছাদে বা উঠানে আগুন জ্বালিয়ে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলে এর চারপাশে বসুন। আগুনের উষ্ণতা একটা শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে। এটি শুধু যে অন্ধকার দূর করে, তা-ই নয়; বরং শীতে একটা সুন্দর, স্নিগ্ধ ও উষ্ণ ভাব এনে দেয়। আগুনের তাপের সঙ্গে এই আয়োজনে থাকে সম্পর্কের উত্তাপও।

পুরোনো জিনিস সরিয়ে ঘর পরিষ্কার করুন
শীতকালে ঘর পরিষ্কার করে একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন। নেতিবাচকতা দূর করতে ঘর পরিষ্কার করে ধূপ বা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। আবার শীতের আমেজ আনতে ঘরে দারুচিনি, এলাচি বা লবঙ্গ জাতীয় মসলার সুগন্ধ ব্যবহার করুন। চুলায় পানি গরম করে তাতে এসব দিয়ে ফুটতে দিন, ধীরে ধীরে পুরো বাসায় সুবাস ছড়িয়ে পড়বে। ঘর পরিষ্কার থাকলে মনও শান্ত থাকে আর নতুন দিনগুলোকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
একটা সালতামামি হয়ে যাক
এ সময়টিতে নিজেকে নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন। এ বছর কী কী ভালো-খারাপ হলো বা কী কী শিখলেন, তা নিয়ে একটু ভাবুন। একটি ডায়েরিতে আপনার চিন্তাগুলো লিখে রাখতে পারেন। যেসব অভ্যাস এখন আর আপনার কাজে আসছে না, সেগুলো বাদ দিয়ে নিজের ভালো হয়—এমন কিছু ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলুন। নতুন বছরে কী কী করতে চান, সে লক্ষ্য ঠিক করে লিখে রাখুন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
জীবনে ছোট-বড় যা কিছু ভালো আছে, সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। একটি তালিকা তৈরি করুন, যেখানে আপনার অর্জন, প্রিয় মানুষ, ব্যক্তিগত ভালো লাগা ও সুন্দর মুহূর্তগুলোর কথা লিখে রাখবেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে মনে শান্তি পাবেন এবং অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাবেন।
নিজের যত্ন নিন
শীতকাল হলো নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ার সময়। প্রতিদিন হালকা ইয়োগা, হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচিং করে শরীর সচল রাখুন। নিজের পছন্দের কাজগুলো করুন এবং নিজেকে কিছু উপহার দিন। নিজের জন্য সময় বের করে নিজের অস্তিত্ব সেলিব্রেট করার জন্য শীতকাল হলো উপযুক্ত সময়।

প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকুন
শীতের সকাল বা বিকেলে প্রকৃতির কাছে থাকার চেষ্টা করুন। শিশিরভেজা ঘাসে খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন এবং শীতের নরম রোদ গায়ে মাখুন, যা আপনার মন ভালো করার পাশাপাশি শরীরে শক্তি জোগাবে। শীতকালীন ফুলগাছ বারান্দায় রাখুন ও মাটির তৈরি জিনিস দিয়ে ঘর সাজান। দেখবেন এই ছোট কাজগুলো ঘরে একটা স্নিগ্ধ ও সতেজ ভাব আনবে।
প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান
শীতকাল মানেই পিঠাপুলির উৎসব। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পিঠার আয়োজন করুন। একসঙ্গে গল্প, হাসি আর খাবার সম্পর্কগুলোকে আরও মজবুত করবে এবং সময় আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলবে।
এবার ‘না’ বলতে শিখুন
শীতকাল মানেই বিভিন্ন রকম দাওয়াত। সেগুলোকে পাশে রেখে সামাজিক বা অন্যান্য কাজের চাপ এড়িয়ে চলুন। কোনো অনুষ্ঠানে যেতে বা কোনো কাজ করতে যদি একেবারেই ইচ্ছা না করে তবে, অযথা চাপ অনুভব না করে বিনীতভাবে এড়িয়ে চলুন। এ সময় নিজের বিশ্রাম ও মানসিক শান্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়াটাই বেশি জরুরি।
সূত্র: রিদমস অব প্লে ও অন্যান্য

পূর্ব আফ্রিকার সাভানায় তাঁবুতে শুয়ে আছি। সারা দিনের গেম ড্রাইভ জার্নিতে কিছুটা ক্লান্ত। আশপাশে হঠাৎ শোরগোল শুরু হয়ে গেল। আমাদের ক্যাম্প সাইটের পাশে হায়েনার দল ঘুরঘুর করছে! ভয়ে হিম হওয়ার দশা। তাঁবুর চেইন পরখ করে ঝিম ধরে পড়ে রইলাম। সেরেংগেটি রিজার্ভ ফরেস্টে সেদিন এমন আশ্চর্য রাত ছিল! ন্যাশনাল জিওগ্
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আপনি কি মিষ্টি খেতে বেশ ভালোবাসেন? মিষ্টি দেখলেই নিজেকে সামলে রাখতে পারেন না? এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের মিষ্টি নিয়ে অবসেশন কাজ করে। তাঁরা টিভি দেখতে দেখতে এক টব আইসক্রিম সাবাড় করে ফেলতে পারেন। কেউ আবার বন্ধুর জন্মদিনে বড় এক টুকরা কেক খেয়ে ফেলেন কোনো কিছু না ভেবেই। এমন ঘটনা আমাদের সবার জীবনেই কম-বেশি
৮ ঘণ্টা আগে
হিমালয়কন্যা নেপালের জেলা আরঘাখাঁচি। সেই জেলার পাণিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলে এলাকা এখন এক অপূর্ব দৃশ্যে সেজেছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারিবদ্ধ গাছগুলো পাকা কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে। আর এতেই পুরো জনপদ যেন সেজেছে সোনালি-হলুদ রঙে। কিন্তু এ দৃশ্য কেবল চোখের প্রশান্তি নয়; বরং এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লবের গল্প...
১০ ঘণ্টা আগে
বেসন ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করে। যাঁরা ভাবছেন, বেসন ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, তাঁরা জেনে রাখুন বিশেষ কয়েকটি উপাদান মেশালে বেসনের তৈরি প্যাকও ত্বক আর্দ্র রেখে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এসব ব্যবহারে ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণও দূর হবে।...
১২ ঘণ্টা আগে