আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে ট্যুরিজম ব্যবসায়ীদের প্রথম সংকট কী?
মো. রাফেউজ্জামান: সরকার লজিস্টিক এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাপোর্ট দিচ্ছে না। যেমন, আমাদের ট্যুর অপারেটর-ট্যুর গাইডের যে আইন রয়েছে, সেখানে অসামঞ্জস্য বিধি রয়েছে। যেমন, ৩ লাখ টাকা জামানত, ১০ লাখ টাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং অনেক অসংগতি। যে অসংগতিগুলো পর্যটনশিল্প বিকাশে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যাঁরা এই মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে, এ ধরনের আইন তাঁদের নিরুৎসাহিত করছে। দ্বিতীয়ত, ট্যুর অপারেটররা বিদেশি পর্যটক এনে শতভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে, যার মাধ্যমে সরকার উপকৃত হয়।
কিন্তু সরকার এই সেক্টরে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে, তা পর্যটনশিল্পের জন্য অন্তরায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় এই শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ট্যুর অপারেটররা চাইছেন সর্বোচ্চ পেশাদারি বজায় রাখতে। এ কারণে বিদেশ থেকে ট্যাক্স ফ্রি যানবাহন আনবে, যেখানে আমাদের নম্বরপ্লেট থাকবে, আমাদের কালার থাকবে। রাজনৈতিক ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যেও ট্যুরিস্ট বাহনগুলো পর্যটকদের নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। এ বিষয়েও সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
শুধু তা-ই নয়, আমরা ট্যুর অপারেটররা চাচ্ছি কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সিলেট ছাড়াও বিদেশের অনেক জায়গায় সরকার নজর দিক এবং আমাদের যোগাযোগ বৃদ্ধি পাক। সবকিছু পরিকল্পনামতো হোক। এতে স্থানীয় আন্তর্জাতিক ট্যুরিজম আরও বেগবান হবে। এতে ট্যুর অপারেটররা আরও বিদেশি পর্যটক আনতে সক্ষম হবে। আর দেশি পর্যটকদের বিদেশভ্রমণে আন্তর্জাতিক সেবা দিয়ে উৎসাহিত করবে।
এ জন্য আমরা বরাবরই বলে আসছি, পর্যটনশিল্পের ওপর সরকার গুরুত্ব আরোপ করুক। বাজেট বৃদ্ধি হোক, বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে ব্র্যান্ডিং করুক, প্রতিটা জায়গায় ট্যুর অপারেটরদের পরিচর্যা করুক। এই বিষয়গুলোতে সরকার যদি সুদৃষ্টি দেয়, তাহলে পর্যটন বেশ এগোবে।
আজকের পত্রিকা: ট্যাক্সের বিষয়টি?
মো. রাফেউজ্জামান: প্রতিটি ক্ষেত্রেই তো সাধারণত ট্যাক্স দেওয়া হয়। রুম ভাড়া, খাওয়াদাওয়া থেকে টিকিট—প্রতিটি খাতে ভ্যাট দেওয়া হয়। এ ছাড়া পর্যটকদের কাছে যে প্যাকেজ বিক্রি হয়, সেখানেও ভ্যাট থাকে। তাহলে আবার কেন?
আজকের পত্রিকা: বিদেশি পর্যটকেরা ফিরে যাওয়ার সময় তাঁদের মন্তব্য কেমন থাকে?
মো. রাফেউজ্জামান: সব পর্যটক বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ। আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে তাঁরা অভিভূত। কিন্তু আমাদের এখানে সিস্টেমটা নেই। এয়ারপোর্টে পৌঁছানো থেকে ইমিগ্রেশন পার করা—সবখানে বিশৃঙ্খলা। আমাদের এখানে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশি পর্যটকদের জন্য অনুমতি নিতে হয়। এ ছাড়া পর্যটকেরা দেশে আসার পর, পাসপোর্টের কপি জমা দেওয়ার পর অনেক সময় দুই-তিন সপ্তাহ লেগে যায়। সে ক্ষেত্রে পর্যটকেরা বিড়ম্বনায় পড়েন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিক্ষোভ, যানজট, ট্রেনের সময়সূচিতে বদল, বিভিন্ন অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং পরিবেশ নিয়ে পর্যটকেরা সন্তুষ্ট থাকেন না। তাঁরা যাওয়ার আগে এই বিষয়গুলো আমাদের জানিয়ে যান। কিন্তু আমাদের জনগণের প্রতি তাঁরা খুব সন্তুষ্ট।
আজকের পত্রিকা: অনেক ট্যুর অপারেটরের অন্য অনেক ব্যবসা আছে। অভিযোগ রয়েছে এর মাধ্যমে অনেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় বিদেশে লোক পাঠিয়ে থাকে। এটাকে অনেক ক্ষেত্রে মানব পাচার বলে। এ নিয়ে কী বলবেন?
মো. রাফেউজ্জামান: সাধারণত ট্রেড লাইসেন্স থাকলে পর্যটন ব্যবসা, ট্যুর অপারেটরস এবং ট্রাভেল এজেন্সির জন্য টোয়াব (ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) মেম্বারশিপ দেয়। অনেকের একাধিক ব্যবসা থাকতে পারে। একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক যদি বৈধ লাইসেন্স নিয়ে বিদেশে মানুষ পাঠানোর কাজ করেন তাহলে টোয়াব আপত্তি জানাতে পারবে না।
আর টোয়াবের কোনো সদস্যের ট্যুরিস্ট ভিসার নামে মানব পাচার করার সুযোগ নেই। ভিসা করার সময় টোয়াবের সদস্যরা শুধু তাঁদের কাগজপত্র প্যাসেঞ্জারের পক্ষে এম্বাসিতে সাবমিট করে। এম্বাসি সব যাচাই করার পর ভিসা দেয়। টোয়াবের পক্ষে সম্ভব নয় এসব জায়গা পার করে যাত্রীকে বিদেশে পাঠানো। টোয়াবের সদস্যরা শুধু যাত্রীর প্যাকেজটা করে দেন।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে ট্যুরিজম ব্যবসায়ীদের প্রথম সংকট কী?
মো. রাফেউজ্জামান: সরকার লজিস্টিক এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাপোর্ট দিচ্ছে না। যেমন, আমাদের ট্যুর অপারেটর-ট্যুর গাইডের যে আইন রয়েছে, সেখানে অসামঞ্জস্য বিধি রয়েছে। যেমন, ৩ লাখ টাকা জামানত, ১০ লাখ টাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং অনেক অসংগতি। যে অসংগতিগুলো পর্যটনশিল্প বিকাশে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যাঁরা এই মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে, এ ধরনের আইন তাঁদের নিরুৎসাহিত করছে। দ্বিতীয়ত, ট্যুর অপারেটররা বিদেশি পর্যটক এনে শতভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে, যার মাধ্যমে সরকার উপকৃত হয়।
কিন্তু সরকার এই সেক্টরে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে, তা পর্যটনশিল্পের জন্য অন্তরায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় এই শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ট্যুর অপারেটররা চাইছেন সর্বোচ্চ পেশাদারি বজায় রাখতে। এ কারণে বিদেশ থেকে ট্যাক্স ফ্রি যানবাহন আনবে, যেখানে আমাদের নম্বরপ্লেট থাকবে, আমাদের কালার থাকবে। রাজনৈতিক ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যেও ট্যুরিস্ট বাহনগুলো পর্যটকদের নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। এ বিষয়েও সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
শুধু তা-ই নয়, আমরা ট্যুর অপারেটররা চাচ্ছি কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সিলেট ছাড়াও বিদেশের অনেক জায়গায় সরকার নজর দিক এবং আমাদের যোগাযোগ বৃদ্ধি পাক। সবকিছু পরিকল্পনামতো হোক। এতে স্থানীয় আন্তর্জাতিক ট্যুরিজম আরও বেগবান হবে। এতে ট্যুর অপারেটররা আরও বিদেশি পর্যটক আনতে সক্ষম হবে। আর দেশি পর্যটকদের বিদেশভ্রমণে আন্তর্জাতিক সেবা দিয়ে উৎসাহিত করবে।
এ জন্য আমরা বরাবরই বলে আসছি, পর্যটনশিল্পের ওপর সরকার গুরুত্ব আরোপ করুক। বাজেট বৃদ্ধি হোক, বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বে ব্র্যান্ডিং করুক, প্রতিটা জায়গায় ট্যুর অপারেটরদের পরিচর্যা করুক। এই বিষয়গুলোতে সরকার যদি সুদৃষ্টি দেয়, তাহলে পর্যটন বেশ এগোবে।
আজকের পত্রিকা: ট্যাক্সের বিষয়টি?
মো. রাফেউজ্জামান: প্রতিটি ক্ষেত্রেই তো সাধারণত ট্যাক্স দেওয়া হয়। রুম ভাড়া, খাওয়াদাওয়া থেকে টিকিট—প্রতিটি খাতে ভ্যাট দেওয়া হয়। এ ছাড়া পর্যটকদের কাছে যে প্যাকেজ বিক্রি হয়, সেখানেও ভ্যাট থাকে। তাহলে আবার কেন?
আজকের পত্রিকা: বিদেশি পর্যটকেরা ফিরে যাওয়ার সময় তাঁদের মন্তব্য কেমন থাকে?
মো. রাফেউজ্জামান: সব পর্যটক বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ। আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে তাঁরা অভিভূত। কিন্তু আমাদের এখানে সিস্টেমটা নেই। এয়ারপোর্টে পৌঁছানো থেকে ইমিগ্রেশন পার করা—সবখানে বিশৃঙ্খলা। আমাদের এখানে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশি পর্যটকদের জন্য অনুমতি নিতে হয়। এ ছাড়া পর্যটকেরা দেশে আসার পর, পাসপোর্টের কপি জমা দেওয়ার পর অনেক সময় দুই-তিন সপ্তাহ লেগে যায়। সে ক্ষেত্রে পর্যটকেরা বিড়ম্বনায় পড়েন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিক্ষোভ, যানজট, ট্রেনের সময়সূচিতে বদল, বিভিন্ন অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং পরিবেশ নিয়ে পর্যটকেরা সন্তুষ্ট থাকেন না। তাঁরা যাওয়ার আগে এই বিষয়গুলো আমাদের জানিয়ে যান। কিন্তু আমাদের জনগণের প্রতি তাঁরা খুব সন্তুষ্ট।
আজকের পত্রিকা: অনেক ট্যুর অপারেটরের অন্য অনেক ব্যবসা আছে। অভিযোগ রয়েছে এর মাধ্যমে অনেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় বিদেশে লোক পাঠিয়ে থাকে। এটাকে অনেক ক্ষেত্রে মানব পাচার বলে। এ নিয়ে কী বলবেন?
মো. রাফেউজ্জামান: সাধারণত ট্রেড লাইসেন্স থাকলে পর্যটন ব্যবসা, ট্যুর অপারেটরস এবং ট্রাভেল এজেন্সির জন্য টোয়াব (ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) মেম্বারশিপ দেয়। অনেকের একাধিক ব্যবসা থাকতে পারে। একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক যদি বৈধ লাইসেন্স নিয়ে বিদেশে মানুষ পাঠানোর কাজ করেন তাহলে টোয়াব আপত্তি জানাতে পারবে না।
আর টোয়াবের কোনো সদস্যের ট্যুরিস্ট ভিসার নামে মানব পাচার করার সুযোগ নেই। ভিসা করার সময় টোয়াবের সদস্যরা শুধু তাঁদের কাগজপত্র প্যাসেঞ্জারের পক্ষে এম্বাসিতে সাবমিট করে। এম্বাসি সব যাচাই করার পর ভিসা দেয়। টোয়াবের পক্ষে সম্ভব নয় এসব জায়গা পার করে যাত্রীকে বিদেশে পাঠানো। টোয়াবের সদস্যরা শুধু যাত্রীর প্যাকেজটা করে দেন।
১৯৬০ সালের দিকে স্যাম পানাপুলোস এবং তাঁর ভাই ঐতিহ্যবাহী পিৎজায় এক নতুন উপাদান যোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী পিৎজার উপাদানের সঙ্গে যুক্ত হলো প্যাকেটজাত আনারস। এর নাম রাখা হয় হাওয়াইয়ান পিৎজা। মাসখানেকের...
২ দিন আগেঅ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য নেপাল উপযুক্ত জায়গা। উঁচু পাহাড়ে ট্রেকিং থেকে শুরু করে প্যারাগ্লাইডিং কিংবা বাঞ্জি জাম্পিংয়ের মতো দুর্দান্ত সব কর্মকাণ্ডের জন্য এক নামে পরিচিত দেশটি। তবে এসব অ্যাকটিভিটি ছাড়াও সব ধরনের ভ্রমণপিয়াসির জন্য নেপালে কিছু না কিছু কর্মকাণ্ড রয়েছে।
২ দিন আগেপাহাড় বলতে বান্দরবানই আমাকে বেশি মুগ্ধ করে। এর নৈসর্গিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুখে বলে কিংবা ছবিতে দেখিয়ে শেষ করা যাবে না।
২ দিন আগেপঞ্চাশ হাজার ফুলের বীজ থেকে তৈরি হয়েছে ৩৬০ বর্গমিটার দীর্ঘ একটি কার্পেট। এতে আরও যোগ হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জ্যামিতিক নকশা ও মার্বেল পাথর। সেটি দেখতে ভিড় জমেছে পর্যটকের।
২ দিন আগে