সৈকত দে
বাংলা ভ্রমণসাহিত্যের সঙ্গে আমাদের বয়সীদের প্রথম পরিচয় পাঠ্যবইয়ে পড়া সরস গল্প ‘রসগোল্লা’ দিয়ে। গল্পের দুটি বিষয় মুগ্ধ করেছিল; প্রথমত, ইমিগ্রেশন অফিসারের বঙ্গীয়করণ—চুঙ্গিওয়ালা। আর ট্রাভেলব্যাগের শরীরে ‘জাতবেজাতের হোটেলের লেবেল’। কচি মনে ভ্রমণের একটা মায়া স্বপ্ন বুনে দিয়েছিল হাসির ছলে। বড় হতে হতে বুঝলাম, গল্পটির লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। জন্মেছিলেন অখণ্ড বাংলার সিলেটে। তারপর ছড়িয়ে পড়েছেন বিশ্বে, রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাদ নিয়ে।
৫ নভেম্বর ১৯১৯, ১৯ কার্তিক ১৩২৬ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন প্রথম পা রাখলেন মুজতবা আলীর জন্মশহরে, সেদিনই গুরু-শিষ্যের দেখা হয়েছিল। আগরতলার মহারাজার ঠিকানায় চিঠি লিখে বসলেন রবীন্দ্রনাথকে, জ্ঞাতব্য বিষয় একটিই—‘আকাঙ্ক্ষা উচ্চ করতে হলে কী করতে হবে?’ আসমানি রঙের খাম ও চিঠির কাগজে উত্তর এল, ‘আকাঙ্ক্ষা উচ্চ করিতে হইবে, এই কথাটার মোটামুটি অর্থ এই স্বার্থই যেন মানুষের কাম্য না হয়। দেশের মঙ্গলের জন্য ও জনসেবার জন্য স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ কামনাই মানুষকে কল্যাণের পথে নিয়ে যায়। তোমার পক্ষে কী করা উচিত তা এত দূর থেকে বলে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে তোমার অন্তরের শুভেচ্ছাই তোমাকে কল্যাণের পথে নিয়ে যাবে।’ পরে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ চিঠি প্রাপকের বাবা সৈয়দ সিকান্দার আলীকে চিঠি লিখে পুত্রকে পড়তে পাঠানোর আহ্বান জানান। ১৯২১ সালের ২১ জুন বীরভূম বোলপুরের শান্তিনিকেতনে পড়তে গেলেন তিনি। ১৯২৭ সালে বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে গুরুর পা
ছুঁয়ে সনদ গ্রহণ করেছিলেন।
মুজতবা বলতেন, তাঁর অন্তর্জগৎ রবীন্দ্রনাথের গড়া।
প্রথম ভ্রমণ আফগানিস্তান। রাজা আমানুল্লাহ খানের আমন্ত্রণে। উদার হৃদয়ের রাজাকে প্রিয় ছাত্রের নাম প্রস্তাব করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। লিখেছিলেন একবার মুজতবা—‘নিতান্ত বিপদে না পড়লে আমি আপন গাঁ ছেড়ে যেতে রাজি হইনে। দেশ ভ্রমণ আমার দু চোখের দুশমন।’
‘দেশে-বিদেশে’ বইটিকে বাংলা ভাষার সার্থক ভ্রমণসাহিত্যের মর্যাদা দেওয়া হয়। দুই খণ্ডের এই বইয়ের প্রথম খণ্ড কলকাতা থেকে রেলযোগে কাবুলযাত্রার এক মনোজ্ঞ বিবরণ। যাত্রাপথের বন্ধু নানা সরস, সরল চরিত্র; তাদের কথা লিখেছেন। যেতে যেতে অতিক্রান্ত অঞ্চলের সংস্কৃতি, রাজনীতি, ইতিহাস, জনমানুষের কৌতুক নথিবদ্ধ করেছেন অনুকরণীয় ভঙ্গিতে। কলকাতার ফিরিঙ্গি সহযাত্রীকে দিয়ে এই বর্ণবহুল অভিযাত্রার শুরু, তারপর পশ্চিম ভারতের ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের মানুষেরা উঁকি দিয়েছে তাঁর কলমের ডগায়, পাঞ্জাব আর পেশোয়ারের রাস্তায় শিখ সরদার এবং পাঠানদের কথা লিখেছেন হৃদয় খুলে। দ্বিতীয় খণ্ড রাজা আমানুল্লার প্রগতিশীল শাসন ও প্রতিবিপ্লবে শাসকের পতন—এই দুই বিরাট ইতিহাসের কালানুক্রমিক বিবরণ। ‘দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশের সময় বাঙালি পাঠককে গভীরভাবে আপ্লুত করেছিল এ বই।
২. ‘জলে ডাঙ্গায়’ গ্রন্থে বিবৃত ভ্রমণের যাত্রাপথটি এমন, মাদ্রাজ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু, কলম্বো বন্দর হয়ে আরব সাগর অতিক্রম করে জিবুতি বন্দরে। তার পরের যাত্রা সুয়েজ বন্দর ঘুরে সুয়েজ খাল পাড়ি দিয়ে সঈদ বন্দরে। তখন তিনি নেমে পড়লেন। সুয়েজ খাল পার হতে প্রায় এক দিন লাগে। ওই ফাঁকে সৈয়দ সাহেব বন্ধুদের নিয়ে কায়রো শহর আর পিরামিড দেখবেন। এখানে একটি বিবরণ পড়ি—‘কাইরোর রান্নার খুশবাইয়ে রাস্তা ম-ম করছে। মাঝে মাঝে নাকে এসে এমন ধাক্কা লাগায় যে মনে হয় নেমে পড়ে এখানেই চারটি খেয়ে যাই। অবশ্য রেস্তোরাঁগুলো আমাদের পাড়ার চায়ের দোকানের মতো নোংরা।
কে যেন বলছে, “নোংরা” রেস্তোরাঁতেই রান্না হয় ভালো। কালো গাই কি সাদা দুধ দেয় না?’ তা, কী খাবার খেলেন তিনি কায়রোতে? তাঁর কলমেই দেখা যাক—
‘পাশের টেবিলে দেখি একটা লোক তার প্লেটে দুটি শসা নিয়ে খেতে বসেছে। দুটি শসা—তা সে যত তিন ডাবল সাইজই হোক না—কী করে মানুষের সম্পূর্ণ ডিনার হতে পারে, বহু চিন্তা করেও তার সমাধান করতে পারলাম না। দেখি সেই লোকটা শসা চিবুতে আরম্ভ না করে তার মাঝখানে দিলে দুহাতে চাপ। অমনি হরহর করে বেরিয়ে এলো পোলাও জাতীয় কি যেন বস্তু এবং তাতেও আবার কি যেন মেশানো। আমি অবাক। হোটেলওয়ালাকে গিয়ে বললাম, যা আছে কুলকপালে, আমি ওই শসাই খাব।’ বইয়ের উৎসর্গপত্রটি আশ্চর্য সুন্দর ও মর্মস্পর্শী অথচ হাস্যোজ্জ্বল, ‘বাবা ফিরোজ, ভ্রমণ কাহিনী তুমি যেদিন পড়তে শুরু করবে, সেদিন খুব সম্ভব আমি গ্রহে সূর্যে তারায়-তারায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। সে বড় মজার ভ্রমণ। তাতে টিকিট লাগে না, ‘‘ভিজার’’ ও দরকার নেই, কিন্তু হায়, সেখান থেকে ভ্রমণ কাহিনী পাঠাবার কোন ব্যবস্থা এখনো হয়নি। ফেরবারও উপায় নেই। তাই এই বেলাই এটা লিখে রাখছি।’
৩. ভ্রমণে আমাদের মন প্রশান্ত হয়। আমরা সবাই কমবেশি ভ্রমণে আনন্দ পাই, দিনানুদিনের গ্লানি পেরিয়ে। কেউ কেউ পারি না। সাধ সত্ত্বেও সাধ্য না থাকায় তখন সৈয়দ মুজতবা আলী অনিবার্য বন্ধুর মতো আমাদের মানস ভ্রমণের সঙ্গী হতে প্ররোচনা দেন এবং সেই ভ্রমণ অনন্ত আনন্দে ভরা, ক্লান্তিহীন। কেননা আমাদের জন্য ইতিহাসবোধ শাণিত করবার পাশাপাশি হাসির ব্যবস্থা ছিল। এই হাসি নির্মল ও সম্প্রসারণশীল।
সৈয়দ মুজতবা আলীর কাছ থেকে সমকালীন ভ্রমণসাহিত্য চিন্তার রসদ নিতে পারলে বাংলা ভাষা উপকৃত হতো, সেই সঙ্গে আমরাও।
বাংলা ভ্রমণসাহিত্যের সঙ্গে আমাদের বয়সীদের প্রথম পরিচয় পাঠ্যবইয়ে পড়া সরস গল্প ‘রসগোল্লা’ দিয়ে। গল্পের দুটি বিষয় মুগ্ধ করেছিল; প্রথমত, ইমিগ্রেশন অফিসারের বঙ্গীয়করণ—চুঙ্গিওয়ালা। আর ট্রাভেলব্যাগের শরীরে ‘জাতবেজাতের হোটেলের লেবেল’। কচি মনে ভ্রমণের একটা মায়া স্বপ্ন বুনে দিয়েছিল হাসির ছলে। বড় হতে হতে বুঝলাম, গল্পটির লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। জন্মেছিলেন অখণ্ড বাংলার সিলেটে। তারপর ছড়িয়ে পড়েছেন বিশ্বে, রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাদ নিয়ে।
৫ নভেম্বর ১৯১৯, ১৯ কার্তিক ১৩২৬ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন প্রথম পা রাখলেন মুজতবা আলীর জন্মশহরে, সেদিনই গুরু-শিষ্যের দেখা হয়েছিল। আগরতলার মহারাজার ঠিকানায় চিঠি লিখে বসলেন রবীন্দ্রনাথকে, জ্ঞাতব্য বিষয় একটিই—‘আকাঙ্ক্ষা উচ্চ করতে হলে কী করতে হবে?’ আসমানি রঙের খাম ও চিঠির কাগজে উত্তর এল, ‘আকাঙ্ক্ষা উচ্চ করিতে হইবে, এই কথাটার মোটামুটি অর্থ এই স্বার্থই যেন মানুষের কাম্য না হয়। দেশের মঙ্গলের জন্য ও জনসেবার জন্য স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ কামনাই মানুষকে কল্যাণের পথে নিয়ে যায়। তোমার পক্ষে কী করা উচিত তা এত দূর থেকে বলে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে তোমার অন্তরের শুভেচ্ছাই তোমাকে কল্যাণের পথে নিয়ে যাবে।’ পরে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ চিঠি প্রাপকের বাবা সৈয়দ সিকান্দার আলীকে চিঠি লিখে পুত্রকে পড়তে পাঠানোর আহ্বান জানান। ১৯২১ সালের ২১ জুন বীরভূম বোলপুরের শান্তিনিকেতনে পড়তে গেলেন তিনি। ১৯২৭ সালে বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে গুরুর পা
ছুঁয়ে সনদ গ্রহণ করেছিলেন।
মুজতবা বলতেন, তাঁর অন্তর্জগৎ রবীন্দ্রনাথের গড়া।
প্রথম ভ্রমণ আফগানিস্তান। রাজা আমানুল্লাহ খানের আমন্ত্রণে। উদার হৃদয়ের রাজাকে প্রিয় ছাত্রের নাম প্রস্তাব করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। লিখেছিলেন একবার মুজতবা—‘নিতান্ত বিপদে না পড়লে আমি আপন গাঁ ছেড়ে যেতে রাজি হইনে। দেশ ভ্রমণ আমার দু চোখের দুশমন।’
‘দেশে-বিদেশে’ বইটিকে বাংলা ভাষার সার্থক ভ্রমণসাহিত্যের মর্যাদা দেওয়া হয়। দুই খণ্ডের এই বইয়ের প্রথম খণ্ড কলকাতা থেকে রেলযোগে কাবুলযাত্রার এক মনোজ্ঞ বিবরণ। যাত্রাপথের বন্ধু নানা সরস, সরল চরিত্র; তাদের কথা লিখেছেন। যেতে যেতে অতিক্রান্ত অঞ্চলের সংস্কৃতি, রাজনীতি, ইতিহাস, জনমানুষের কৌতুক নথিবদ্ধ করেছেন অনুকরণীয় ভঙ্গিতে। কলকাতার ফিরিঙ্গি সহযাত্রীকে দিয়ে এই বর্ণবহুল অভিযাত্রার শুরু, তারপর পশ্চিম ভারতের ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের মানুষেরা উঁকি দিয়েছে তাঁর কলমের ডগায়, পাঞ্জাব আর পেশোয়ারের রাস্তায় শিখ সরদার এবং পাঠানদের কথা লিখেছেন হৃদয় খুলে। দ্বিতীয় খণ্ড রাজা আমানুল্লার প্রগতিশীল শাসন ও প্রতিবিপ্লবে শাসকের পতন—এই দুই বিরাট ইতিহাসের কালানুক্রমিক বিবরণ। ‘দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশের সময় বাঙালি পাঠককে গভীরভাবে আপ্লুত করেছিল এ বই।
২. ‘জলে ডাঙ্গায়’ গ্রন্থে বিবৃত ভ্রমণের যাত্রাপথটি এমন, মাদ্রাজ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু, কলম্বো বন্দর হয়ে আরব সাগর অতিক্রম করে জিবুতি বন্দরে। তার পরের যাত্রা সুয়েজ বন্দর ঘুরে সুয়েজ খাল পাড়ি দিয়ে সঈদ বন্দরে। তখন তিনি নেমে পড়লেন। সুয়েজ খাল পার হতে প্রায় এক দিন লাগে। ওই ফাঁকে সৈয়দ সাহেব বন্ধুদের নিয়ে কায়রো শহর আর পিরামিড দেখবেন। এখানে একটি বিবরণ পড়ি—‘কাইরোর রান্নার খুশবাইয়ে রাস্তা ম-ম করছে। মাঝে মাঝে নাকে এসে এমন ধাক্কা লাগায় যে মনে হয় নেমে পড়ে এখানেই চারটি খেয়ে যাই। অবশ্য রেস্তোরাঁগুলো আমাদের পাড়ার চায়ের দোকানের মতো নোংরা।
কে যেন বলছে, “নোংরা” রেস্তোরাঁতেই রান্না হয় ভালো। কালো গাই কি সাদা দুধ দেয় না?’ তা, কী খাবার খেলেন তিনি কায়রোতে? তাঁর কলমেই দেখা যাক—
‘পাশের টেবিলে দেখি একটা লোক তার প্লেটে দুটি শসা নিয়ে খেতে বসেছে। দুটি শসা—তা সে যত তিন ডাবল সাইজই হোক না—কী করে মানুষের সম্পূর্ণ ডিনার হতে পারে, বহু চিন্তা করেও তার সমাধান করতে পারলাম না। দেখি সেই লোকটা শসা চিবুতে আরম্ভ না করে তার মাঝখানে দিলে দুহাতে চাপ। অমনি হরহর করে বেরিয়ে এলো পোলাও জাতীয় কি যেন বস্তু এবং তাতেও আবার কি যেন মেশানো। আমি অবাক। হোটেলওয়ালাকে গিয়ে বললাম, যা আছে কুলকপালে, আমি ওই শসাই খাব।’ বইয়ের উৎসর্গপত্রটি আশ্চর্য সুন্দর ও মর্মস্পর্শী অথচ হাস্যোজ্জ্বল, ‘বাবা ফিরোজ, ভ্রমণ কাহিনী তুমি যেদিন পড়তে শুরু করবে, সেদিন খুব সম্ভব আমি গ্রহে সূর্যে তারায়-তারায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। সে বড় মজার ভ্রমণ। তাতে টিকিট লাগে না, ‘‘ভিজার’’ ও দরকার নেই, কিন্তু হায়, সেখান থেকে ভ্রমণ কাহিনী পাঠাবার কোন ব্যবস্থা এখনো হয়নি। ফেরবারও উপায় নেই। তাই এই বেলাই এটা লিখে রাখছি।’
৩. ভ্রমণে আমাদের মন প্রশান্ত হয়। আমরা সবাই কমবেশি ভ্রমণে আনন্দ পাই, দিনানুদিনের গ্লানি পেরিয়ে। কেউ কেউ পারি না। সাধ সত্ত্বেও সাধ্য না থাকায় তখন সৈয়দ মুজতবা আলী অনিবার্য বন্ধুর মতো আমাদের মানস ভ্রমণের সঙ্গী হতে প্ররোচনা দেন এবং সেই ভ্রমণ অনন্ত আনন্দে ভরা, ক্লান্তিহীন। কেননা আমাদের জন্য ইতিহাসবোধ শাণিত করবার পাশাপাশি হাসির ব্যবস্থা ছিল। এই হাসি নির্মল ও সম্প্রসারণশীল।
সৈয়দ মুজতবা আলীর কাছ থেকে সমকালীন ভ্রমণসাহিত্য চিন্তার রসদ নিতে পারলে বাংলা ভাষা উপকৃত হতো, সেই সঙ্গে আমরাও।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে