মইনুল হাসান, ফ্রান্স
ফ্রান্সের দক্ষিণে ভূমধ্যসাগরের তীর ঘেঁষে আল্পসের ঢালে সুন্দর ছোট শহর গ্রাসকে বলা হয় ‘পারফিউমের রাজধানী’ বা ‘সুগন্ধি শহর’। ফ্রান্সের বিশ্বখ্যাত সুগন্ধি তৈরির কারখানাগুলো সেখানেই। জুঁই-বেলি, ল্যাভেন্ডার, রজনীগন্ধা, নার্সিসাস, জেরানিয়াম, আইরিস, গোলাপের দিগন্ত বিস্তীর্ণ মাঠ আছে সেখানে। সৌন্দর্য ও বৈভবের অপার্থিব এক ফুলের রাজ্য গ্রাস। পারফিউমের তীর্থ এই অঞ্চলের মানুষের হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রিত হয় ফুলের সুবাসে।
প্রতিবছর আগস্ট মাসের প্রথম শুক্র, শনি ও রবিবার—এই তিন দিন উদ্যাপিত হয় জুঁই বা জেসমিন ফুলের এক জমজমাট উৎসব। সেই ১৯৪৬ সাল থেকে পৃথিবীর একমাত্র জুঁই উৎসব ফ্রান্সের গ্রাসেই আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ বছর আগস্ট মাসের ৪, ৫ ও ৬ এই তিন দিন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭৭তম বর্ণাঢ্য এ উৎসব। জুঁই ফুলের ওপর ভিত্তি করে আয়োজন করা হয়েছিল বহু বিচিত্র্য এবং আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানের। ফুলেল সাজে শিল্পীদের চোখধাঁধানো শোভাযাত্রা, নাচ, গান আর প্রার্থনায় পার্বত্য এ ছোট্ট শহরটি গ্রীষ্মের এই তিন দিন বিপুলসংখ্যক দেশি-বিদেশিকে ধরে রাখে একরাশ মুগ্ধতায়। সুসজ্জিত তরুণীরা রাস্তার দুধারে দাঁড়ানো উৎসুক দর্শকদের বিতরণ করে জুঁই ফুলের সুবাসিত পাপড়ি। দমকল বাহিনীর সদস্যরা দর্শনার্থীদের উদ্দেশে ছিটিয়ে দেন জুঁই ফুলের সুবাসে ‘জুঁই-জল’। মানুষের ঢল নামে এমন সুগন্ধি উৎসবের অলৌকিক সৌন্দর্য নিজের চোখে দেখার জন্য।
জুঁই ফুলের নির্যাস বহু পারফিউমের অন্যতম উপাদান। এ কারণেই এই অঞ্চলে বহুবর্ষজীবী শক্ত লতার উদ্ভিদটির ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। প্রতিবছর জুলাই থেকে অক্টোবর জুঁই ফুল তোলা হয়। এ সময় গ্রাসে বেড়াতে এলে দেখা যাবে দিগন্ত ছুঁয়ে যাওয়া বাগানে লাখো তারার মতো ফুটে আছে শ্বেত শুভ্র জুঁই ফুল। খুব ভোরে দক্ষিণের সুন্দরীরা একমনে নুয়ে নুয়ে ফুল তুলে যাচ্ছেন। ফুল তোলার এ কাজ অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে করতে পারেন নারীরা। তাই এ কাজে পুরুষ শ্রমিকদের দেখা মেলে খুব কম। ৮ থেকে ১০ হাজার ফুলের ওজন হয় ১ কেজি। একজন দক্ষ শ্রমিক দিনে সর্বোচ্চ ৩ কেজি ফুল তুলতে পারেন। জুঁই ফুলের প্রায় ২০০টি প্রজাতি আছে। এর মধ্যে সৌগন্ধিকদের পছন্দ প্রধানত দুটি প্রজাতির জুঁই—জেসমিনিয়াম গ্র্যান্ডিফ্লোরাম ও সাম্বাক।
ইউরোপে জুঁই চাষ শুরু হয় ষোড়শ শতাব্দী থেকে। গ্যাব্রিয়েল শ্যানেলের কিংবদন্তি ‘শ্যানেল ফাইভ’ সুগন্ধির অনেক উপাদানের একটি হচ্ছে জুঁই ফুলের নির্যাস। ফলে গ্রাসের ফুলচাষিরা শ্যানেল ফাইভের জন্য জুঁই ফুলের ব্যাপক চাষ শুরু করেন। এই অঞ্চলে প্রতিবছর প্রায় ১৩ টন জুঁই ফুল উৎপাদিত হয়।
জেসমিন নামে খুব বেশি পরিচিত হলেও বাংলায় জুঁই, যূথী, যূথিকা নামের এই ফুলের চমৎকার উদ্ভিদটির উৎপত্তি হিমালয়ের পাদদেশে। নারীত্ব এবং সৌন্দর্যের প্রতীক ‘জেসমিন’ শব্দটি আরবি ‘ইয়াসমিন’ থেকে এসেছে। ইয়াসমিন অর্থ ‘ঈশ্বরের উপহার’। তবে ফারসি ‘ইয়াসমিন’ শব্দটির অর্থ ‘সুগন্ধি’। ঈশ্বরের উপহার সুগন্ধি জুঁই ফুল নিয়ে মানুষের এমন বর্ণাঢ্য উৎসব শুধু এই গ্রাস শহরেই আয়োজন করা হয়। এই উৎসবের তুলনা নেই।
ফ্রান্সের দক্ষিণে ভূমধ্যসাগরের তীর ঘেঁষে আল্পসের ঢালে সুন্দর ছোট শহর গ্রাসকে বলা হয় ‘পারফিউমের রাজধানী’ বা ‘সুগন্ধি শহর’। ফ্রান্সের বিশ্বখ্যাত সুগন্ধি তৈরির কারখানাগুলো সেখানেই। জুঁই-বেলি, ল্যাভেন্ডার, রজনীগন্ধা, নার্সিসাস, জেরানিয়াম, আইরিস, গোলাপের দিগন্ত বিস্তীর্ণ মাঠ আছে সেখানে। সৌন্দর্য ও বৈভবের অপার্থিব এক ফুলের রাজ্য গ্রাস। পারফিউমের তীর্থ এই অঞ্চলের মানুষের হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রিত হয় ফুলের সুবাসে।
প্রতিবছর আগস্ট মাসের প্রথম শুক্র, শনি ও রবিবার—এই তিন দিন উদ্যাপিত হয় জুঁই বা জেসমিন ফুলের এক জমজমাট উৎসব। সেই ১৯৪৬ সাল থেকে পৃথিবীর একমাত্র জুঁই উৎসব ফ্রান্সের গ্রাসেই আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ বছর আগস্ট মাসের ৪, ৫ ও ৬ এই তিন দিন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭৭তম বর্ণাঢ্য এ উৎসব। জুঁই ফুলের ওপর ভিত্তি করে আয়োজন করা হয়েছিল বহু বিচিত্র্য এবং আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানের। ফুলেল সাজে শিল্পীদের চোখধাঁধানো শোভাযাত্রা, নাচ, গান আর প্রার্থনায় পার্বত্য এ ছোট্ট শহরটি গ্রীষ্মের এই তিন দিন বিপুলসংখ্যক দেশি-বিদেশিকে ধরে রাখে একরাশ মুগ্ধতায়। সুসজ্জিত তরুণীরা রাস্তার দুধারে দাঁড়ানো উৎসুক দর্শকদের বিতরণ করে জুঁই ফুলের সুবাসিত পাপড়ি। দমকল বাহিনীর সদস্যরা দর্শনার্থীদের উদ্দেশে ছিটিয়ে দেন জুঁই ফুলের সুবাসে ‘জুঁই-জল’। মানুষের ঢল নামে এমন সুগন্ধি উৎসবের অলৌকিক সৌন্দর্য নিজের চোখে দেখার জন্য।
জুঁই ফুলের নির্যাস বহু পারফিউমের অন্যতম উপাদান। এ কারণেই এই অঞ্চলে বহুবর্ষজীবী শক্ত লতার উদ্ভিদটির ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। প্রতিবছর জুলাই থেকে অক্টোবর জুঁই ফুল তোলা হয়। এ সময় গ্রাসে বেড়াতে এলে দেখা যাবে দিগন্ত ছুঁয়ে যাওয়া বাগানে লাখো তারার মতো ফুটে আছে শ্বেত শুভ্র জুঁই ফুল। খুব ভোরে দক্ষিণের সুন্দরীরা একমনে নুয়ে নুয়ে ফুল তুলে যাচ্ছেন। ফুল তোলার এ কাজ অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে করতে পারেন নারীরা। তাই এ কাজে পুরুষ শ্রমিকদের দেখা মেলে খুব কম। ৮ থেকে ১০ হাজার ফুলের ওজন হয় ১ কেজি। একজন দক্ষ শ্রমিক দিনে সর্বোচ্চ ৩ কেজি ফুল তুলতে পারেন। জুঁই ফুলের প্রায় ২০০টি প্রজাতি আছে। এর মধ্যে সৌগন্ধিকদের পছন্দ প্রধানত দুটি প্রজাতির জুঁই—জেসমিনিয়াম গ্র্যান্ডিফ্লোরাম ও সাম্বাক।
ইউরোপে জুঁই চাষ শুরু হয় ষোড়শ শতাব্দী থেকে। গ্যাব্রিয়েল শ্যানেলের কিংবদন্তি ‘শ্যানেল ফাইভ’ সুগন্ধির অনেক উপাদানের একটি হচ্ছে জুঁই ফুলের নির্যাস। ফলে গ্রাসের ফুলচাষিরা শ্যানেল ফাইভের জন্য জুঁই ফুলের ব্যাপক চাষ শুরু করেন। এই অঞ্চলে প্রতিবছর প্রায় ১৩ টন জুঁই ফুল উৎপাদিত হয়।
জেসমিন নামে খুব বেশি পরিচিত হলেও বাংলায় জুঁই, যূথী, যূথিকা নামের এই ফুলের চমৎকার উদ্ভিদটির উৎপত্তি হিমালয়ের পাদদেশে। নারীত্ব এবং সৌন্দর্যের প্রতীক ‘জেসমিন’ শব্দটি আরবি ‘ইয়াসমিন’ থেকে এসেছে। ইয়াসমিন অর্থ ‘ঈশ্বরের উপহার’। তবে ফারসি ‘ইয়াসমিন’ শব্দটির অর্থ ‘সুগন্ধি’। ঈশ্বরের উপহার সুগন্ধি জুঁই ফুল নিয়ে মানুষের এমন বর্ণাঢ্য উৎসব শুধু এই গ্রাস শহরেই আয়োজন করা হয়। এই উৎসবের তুলনা নেই।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে