মাহবুবুর রহমান রাজন
চলছে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার কাল। পঞ্চগড়ের যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে সোজা উত্তর দিকে তাকালে যে পাহাড় চূড়া দেখা যায়, সেটিই কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই শুভ্র চূড়াটি দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পঞ্চগড়ে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা।
ভিক্টোরিয়ান ধাঁচে কোচবিহার রাজার বানানো পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় খুব ভালো। অবশ্য এটি দেখার অনেকগুলো ভিউ পয়েন্ট আছে। সাধারণত অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা ভালোভাবে দেখা যায়। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার ভালো সময় সাধারণত সূর্যোদয়ের পর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আলো বাড়ার সঙ্গে এর রূপের বদল হতে থাকে বলে বেশ কয়েকটি রূপে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।
শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা নয়, পুরো পঞ্চগড়ে দেখার আছে অনেক কিছু। দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম রকস মিউজিয়াম, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, ভিতরগড়, মহারাজার পুকুর, মির্জাপুর শাহি মসজিদ ইত্যাদি।
ভারত-পাকিস্তানের ওয়াগা বর্ডার দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের প্যারেডের জন্য বিখ্যাত। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরেও তেমন প্যারেড দেখা যায় প্রতি সোম ও মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে গিয়ে এই প্যারেড দেখা বাদ দেবেন না। সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় পঞ্চগড়ের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা। একই ইউনিয়নের চাওয়াই ব্রিজের পাশে পঞ্চগড় মুক্তাঞ্চল পার্ক চালু হয়েছে এ বছর।
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে আছে শাহি মসজিদ এবং বারো আউলিয়ার মাজার। জেলা শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ মসজিদটি মোগল আমলের নিদর্শন। শাহি মসজিদ ১৬৫৬ সালে নির্মাণ করা হয় বলে ধারণা করেন গবেষকেরা। প্রচলিত আছে, দুটি বাঘ ও দুটি সাপ পাহারা দিত বারো আউলিয়ার মাজার। মির্জাপুরের বারো আউলিয়ার মাজারে গেলে তাঁদের আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অনেক চিত্তাকর্ষক গল্প শুনতে পাওয়া যায়। কথিত আছে, সতেরো শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে হেমায়েত আলী শাহ (র.), নিয়ামত উল্লাহ শাহ (র.), কেরামত আলী শাহ (র.), আজহার আলী শাহ (র.), হাকিম আলী শাহ (র.), মনসুর আলী শাহ (র.), মমিনুল শাহ (র.), শেখ গরীবুল্লাহ (র.), আমজাদ আলী মোল্লা (র.), ফরিদউদ্দিন আখতার (র.), শাহ্ মোক্তার আলী (র.) ও শাহ্ অলিউল্লাহ (র.) চট্টগ্রাম শহরে এসে আস্তানা গড়েন। পরে তাঁরা ইসলাম প্রচার করতে উত্তরবঙ্গে এসে মির্জাপুরেও একটি আস্তানা গড়ে তোলেন। মৃত্যুর পর সেই বারোজন সুফি সাধককে সেখানেই সমাহিত করা হয়। তাঁদের সমাধিকে কেন্দ্র করে মাজার গড়ে উঠেছে। প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার তাঁদের স্মরণে এখানে অনুষ্ঠান হয়।
পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে আছে দেশের একমাত্র পাথরের জাদুঘর বা রকস মিউজিয়াম। ১৯৯৭ সালে অধ্যক্ষ নাজমুল হক এই জাদুঘর গড়ে তোলেন। জাদুঘরে বিভিন্ন রং, আকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের পাথর সংরক্ষিত আছে। হাজার বছরের পুরোনো পাথর ছাড়াও এখানে প্রাচীন ইমারতের ইট এবং পোড়ামাটির বিভিন্ন মূর্তি আছে। জাদুঘরের জাতিতাত্ত্বিক সংগ্রহশালায় আছে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র। এখানে আছে শালগাছ দিয়ে তৈরি ২২ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩০০ বছর পুরোনো দুটি নৌকা।
কীভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রথমে যেতে হবে পঞ্চগড়। সেখান থেকে তেঁতুলিয়া। ঢাকা থেকে সরাসরি এসি ও নন-এসি বাসে তেঁতুলিয়া যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত ট্রেনও আছে। ট্রেনে গেলে সেখানে নেমে তেঁতুলিয়া যেতে হবে। দুই দিনের সাশ্রয়ী ভ্রমণে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকার মতো ব্যয় হবে।
কোথায় থাকবেন
তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোয় থাকতে চাইলে আগে অনুমতি নিতে হবে। তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা পঞ্চগড়ের এনডিসি এই অনুমতি দেন। এ ছাড়া পঞ্চগড় শহরে বেশ কিছু হোটেল পাবেন থাকার জন্য।
চলছে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার কাল। পঞ্চগড়ের যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে সোজা উত্তর দিকে তাকালে যে পাহাড় চূড়া দেখা যায়, সেটিই কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই শুভ্র চূড়াটি দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পঞ্চগড়ে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা।
ভিক্টোরিয়ান ধাঁচে কোচবিহার রাজার বানানো পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় খুব ভালো। অবশ্য এটি দেখার অনেকগুলো ভিউ পয়েন্ট আছে। সাধারণত অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা ভালোভাবে দেখা যায়। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার ভালো সময় সাধারণত সূর্যোদয়ের পর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আলো বাড়ার সঙ্গে এর রূপের বদল হতে থাকে বলে বেশ কয়েকটি রূপে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।
শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা নয়, পুরো পঞ্চগড়ে দেখার আছে অনেক কিছু। দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম রকস মিউজিয়াম, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, ভিতরগড়, মহারাজার পুকুর, মির্জাপুর শাহি মসজিদ ইত্যাদি।
ভারত-পাকিস্তানের ওয়াগা বর্ডার দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের প্যারেডের জন্য বিখ্যাত। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরেও তেমন প্যারেড দেখা যায় প্রতি সোম ও মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে গিয়ে এই প্যারেড দেখা বাদ দেবেন না। সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় পঞ্চগড়ের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা। একই ইউনিয়নের চাওয়াই ব্রিজের পাশে পঞ্চগড় মুক্তাঞ্চল পার্ক চালু হয়েছে এ বছর।
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে আছে শাহি মসজিদ এবং বারো আউলিয়ার মাজার। জেলা শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ মসজিদটি মোগল আমলের নিদর্শন। শাহি মসজিদ ১৬৫৬ সালে নির্মাণ করা হয় বলে ধারণা করেন গবেষকেরা। প্রচলিত আছে, দুটি বাঘ ও দুটি সাপ পাহারা দিত বারো আউলিয়ার মাজার। মির্জাপুরের বারো আউলিয়ার মাজারে গেলে তাঁদের আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অনেক চিত্তাকর্ষক গল্প শুনতে পাওয়া যায়। কথিত আছে, সতেরো শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে হেমায়েত আলী শাহ (র.), নিয়ামত উল্লাহ শাহ (র.), কেরামত আলী শাহ (র.), আজহার আলী শাহ (র.), হাকিম আলী শাহ (র.), মনসুর আলী শাহ (র.), মমিনুল শাহ (র.), শেখ গরীবুল্লাহ (র.), আমজাদ আলী মোল্লা (র.), ফরিদউদ্দিন আখতার (র.), শাহ্ মোক্তার আলী (র.) ও শাহ্ অলিউল্লাহ (র.) চট্টগ্রাম শহরে এসে আস্তানা গড়েন। পরে তাঁরা ইসলাম প্রচার করতে উত্তরবঙ্গে এসে মির্জাপুরেও একটি আস্তানা গড়ে তোলেন। মৃত্যুর পর সেই বারোজন সুফি সাধককে সেখানেই সমাহিত করা হয়। তাঁদের সমাধিকে কেন্দ্র করে মাজার গড়ে উঠেছে। প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার তাঁদের স্মরণে এখানে অনুষ্ঠান হয়।
পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে আছে দেশের একমাত্র পাথরের জাদুঘর বা রকস মিউজিয়াম। ১৯৯৭ সালে অধ্যক্ষ নাজমুল হক এই জাদুঘর গড়ে তোলেন। জাদুঘরে বিভিন্ন রং, আকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের পাথর সংরক্ষিত আছে। হাজার বছরের পুরোনো পাথর ছাড়াও এখানে প্রাচীন ইমারতের ইট এবং পোড়ামাটির বিভিন্ন মূর্তি আছে। জাদুঘরের জাতিতাত্ত্বিক সংগ্রহশালায় আছে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র। এখানে আছে শালগাছ দিয়ে তৈরি ২২ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩০০ বছর পুরোনো দুটি নৌকা।
কীভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রথমে যেতে হবে পঞ্চগড়। সেখান থেকে তেঁতুলিয়া। ঢাকা থেকে সরাসরি এসি ও নন-এসি বাসে তেঁতুলিয়া যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত ট্রেনও আছে। ট্রেনে গেলে সেখানে নেমে তেঁতুলিয়া যেতে হবে। দুই দিনের সাশ্রয়ী ভ্রমণে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকার মতো ব্যয় হবে।
কোথায় থাকবেন
তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোয় থাকতে চাইলে আগে অনুমতি নিতে হবে। তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা পঞ্চগড়ের এনডিসি এই অনুমতি দেন। এ ছাড়া পঞ্চগড় শহরে বেশ কিছু হোটেল পাবেন থাকার জন্য।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে