অনলাইন ডেস্ক
নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের একটি ক্লিপ দেখে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই একজন ট্রেডার হতে চেয়েছিলেন প্যাট্রিক শুল্টে। পরে তিনি বিষয়টি শিখেও ফেলেন। চলে যান শিকাগোতে। সেখানে গিয়ে সব ধরনের ট্রেডিং শুরু করেন।
কাজটা ভালোই চলছিল। জীবনও ছিল সুন্দর। তবু প্যাট্রিক এবং তাঁর স্ত্রী এলি ভেবেছিলেন, বাচ্চা-কাচ্চা জন্ম দিয়ে শহরে বাস করার মতো অবস্থায় তাঁরা নেই। তাই তাঁরা তাদের সবকিছু বিক্রি করে একটি নৌকা কিনে ফেলেন। সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা হলো—নৌকা চালানোর কোনো অভিজ্ঞতা না থাকার পরও তাঁরা এটি নিয়ে পৃথিবী ঘুরে দেখতে বেরিয়ে পড়েন।
২০০৩ সালে প্যাট্রিক এবং তাঁর স্ত্রী নৌকায় চড়ে শিকাগো ছাড়েন এবং পরবর্তী ৪ বছরে তাঁরা ৪৫টি দেশ ভ্রমণ করেন। এই চার বছরে নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তাঁরা নৌকা চালানোটাও ভালো করে শিখে ফেলেন।
প্যাট্রিক বলেন, ‘আমরা এই জীবনযাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম।’ ভাসমান জীবন নিয়ে কোনো সমস্যাও হচ্ছিল না। কারণ ভ্রমণ করা অবস্থায়ই প্যাট্রিক তাঁর ট্রেডিংয়ের কাজটি ঠিকঠাক করে যাচ্ছিলেন। ট্রেডিংকে তিনি সব সময় ভ্রমণের মধ্যে থেকেও করা যায় এমন একটি কাজ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমার শুধু একটি ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট সংযোগ দরকার। এগুলো হলে আমি পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় থাকতে পারি।’
চার বছর নৌকায় চড়ে বেড়ানোর পর প্যাট্রিক আর এলি তাঁদের নৌকাটি বিক্রি করে দেন। আর কিনে ফেলেন একটি ১৯৫৮ সালের ভক্সওয়াগন বাস। এই বাসই পরে তাঁদের বাড়ি-ঘর হয়ে যায়। চলন্ত এই বাড়িতে করে পরবর্তী দুই বছর তাঁরা আলাস্কা থেকে দক্ষিণ আমেরিকা এবং পরে ইউরোপ ভ্রমণ করেন।
দীর্ঘ এই সফরের মধ্যেই গর্ভবতী হয়ে যান এলি। এরপর তাঁরা একটি পোরশে কিনে মেক্সিকো চলে যান এবং পুয়ের্তো ভ্যালার্টাতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
কন্যার জন্মের পর আবারও নৌকার জীবনে ফিরে যান প্যাট্রিক ও এলি। নৌকাতেই তাঁদের আরও একটি সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে পরিবারটি একটি ক্যারাভানে বসবাস করছেন। যখন যেখানে খুশি, সেখানে গিয়েই বসবাস করছেন।
প্যাট্রিক ও এলি দম্পতির জীবন নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি। নিজেদের ভ্রমণ নিয়ে প্যাট্রিক জানান, আপাতদৃষ্টিতে তাঁদের ভ্রমণটিকে অনেক ব্যয়বহুল মনে হতে পারে। কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসের চেয়েও এটি অনেক কম খরচে সম্ভব হয়েছে। প্রথমবার বিশ্বভ্রমণের সময় তাঁদের খরচ অনেক কম হয়েছে। খরচের খাতগুলো ছিল মূলত—খাবার, বিনোদন ও জ্বালানি।
প্যাট্রিক বলেন, ‘নৌকার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। কারণ থাকার জন্য কাউকে কোনো ভাড়া দিতে হয় না।’
প্যাট্রিক জানান, অনেকেই তাঁর পেশা ও জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন করেন। তাই ২০১৬ সালে ‘লাইভ অন দ্য মার্জিন’ নামে একটি বই লিখেন তিনি। অনলাইনে মানুষকে ট্রেডিংও শেখান তিনি। তাঁর কাছে যারা ট্রেডিং শিখতে আসেন তাঁরা পূর্ণকালীন ভ্রমণের চিন্তা থেকেই আসেন।
সব সময় ভ্রমণে থাকার মতো অপ্রচলিত একটি জীবনকে সম্ভব করতে প্যাট্রিকের পরামর্শ হলো—‘খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই সেই কাজটা করে ফেলুন, যা আপনি চাইছেন। এখনই শুরু করুন। এটিকে কখনোই একপাশে সরিয়ে রাখবেন না।’
সবশেষে তিনি বলেন, ‘সরলভাবে বাঁচতে শিখুন।’
নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের একটি ক্লিপ দেখে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই একজন ট্রেডার হতে চেয়েছিলেন প্যাট্রিক শুল্টে। পরে তিনি বিষয়টি শিখেও ফেলেন। চলে যান শিকাগোতে। সেখানে গিয়ে সব ধরনের ট্রেডিং শুরু করেন।
কাজটা ভালোই চলছিল। জীবনও ছিল সুন্দর। তবু প্যাট্রিক এবং তাঁর স্ত্রী এলি ভেবেছিলেন, বাচ্চা-কাচ্চা জন্ম দিয়ে শহরে বাস করার মতো অবস্থায় তাঁরা নেই। তাই তাঁরা তাদের সবকিছু বিক্রি করে একটি নৌকা কিনে ফেলেন। সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা হলো—নৌকা চালানোর কোনো অভিজ্ঞতা না থাকার পরও তাঁরা এটি নিয়ে পৃথিবী ঘুরে দেখতে বেরিয়ে পড়েন।
২০০৩ সালে প্যাট্রিক এবং তাঁর স্ত্রী নৌকায় চড়ে শিকাগো ছাড়েন এবং পরবর্তী ৪ বছরে তাঁরা ৪৫টি দেশ ভ্রমণ করেন। এই চার বছরে নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তাঁরা নৌকা চালানোটাও ভালো করে শিখে ফেলেন।
প্যাট্রিক বলেন, ‘আমরা এই জীবনযাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম।’ ভাসমান জীবন নিয়ে কোনো সমস্যাও হচ্ছিল না। কারণ ভ্রমণ করা অবস্থায়ই প্যাট্রিক তাঁর ট্রেডিংয়ের কাজটি ঠিকঠাক করে যাচ্ছিলেন। ট্রেডিংকে তিনি সব সময় ভ্রমণের মধ্যে থেকেও করা যায় এমন একটি কাজ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমার শুধু একটি ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট সংযোগ দরকার। এগুলো হলে আমি পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় থাকতে পারি।’
চার বছর নৌকায় চড়ে বেড়ানোর পর প্যাট্রিক আর এলি তাঁদের নৌকাটি বিক্রি করে দেন। আর কিনে ফেলেন একটি ১৯৫৮ সালের ভক্সওয়াগন বাস। এই বাসই পরে তাঁদের বাড়ি-ঘর হয়ে যায়। চলন্ত এই বাড়িতে করে পরবর্তী দুই বছর তাঁরা আলাস্কা থেকে দক্ষিণ আমেরিকা এবং পরে ইউরোপ ভ্রমণ করেন।
দীর্ঘ এই সফরের মধ্যেই গর্ভবতী হয়ে যান এলি। এরপর তাঁরা একটি পোরশে কিনে মেক্সিকো চলে যান এবং পুয়ের্তো ভ্যালার্টাতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
কন্যার জন্মের পর আবারও নৌকার জীবনে ফিরে যান প্যাট্রিক ও এলি। নৌকাতেই তাঁদের আরও একটি সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে পরিবারটি একটি ক্যারাভানে বসবাস করছেন। যখন যেখানে খুশি, সেখানে গিয়েই বসবাস করছেন।
প্যাট্রিক ও এলি দম্পতির জীবন নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি। নিজেদের ভ্রমণ নিয়ে প্যাট্রিক জানান, আপাতদৃষ্টিতে তাঁদের ভ্রমণটিকে অনেক ব্যয়বহুল মনে হতে পারে। কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসের চেয়েও এটি অনেক কম খরচে সম্ভব হয়েছে। প্রথমবার বিশ্বভ্রমণের সময় তাঁদের খরচ অনেক কম হয়েছে। খরচের খাতগুলো ছিল মূলত—খাবার, বিনোদন ও জ্বালানি।
প্যাট্রিক বলেন, ‘নৌকার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। কারণ থাকার জন্য কাউকে কোনো ভাড়া দিতে হয় না।’
প্যাট্রিক জানান, অনেকেই তাঁর পেশা ও জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন করেন। তাই ২০১৬ সালে ‘লাইভ অন দ্য মার্জিন’ নামে একটি বই লিখেন তিনি। অনলাইনে মানুষকে ট্রেডিংও শেখান তিনি। তাঁর কাছে যারা ট্রেডিং শিখতে আসেন তাঁরা পূর্ণকালীন ভ্রমণের চিন্তা থেকেই আসেন।
সব সময় ভ্রমণে থাকার মতো অপ্রচলিত একটি জীবনকে সম্ভব করতে প্যাট্রিকের পরামর্শ হলো—‘খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই সেই কাজটা করে ফেলুন, যা আপনি চাইছেন। এখনই শুরু করুন। এটিকে কখনোই একপাশে সরিয়ে রাখবেন না।’
সবশেষে তিনি বলেন, ‘সরলভাবে বাঁচতে শিখুন।’
সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস আপনার দৈনন্দিন জীবন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে। এটি মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাকে বাড়িয়ে তোলে। এখানে সকালে ঘুম থেকে ওঠার ১০টি উল্লেখযোগ্য উপকারিতা তুলে ধরা হলো:
৩ ঘণ্টা আগেবহু পুরোনো জরাজীর্ণ মন্দির। মন্দিরের দেয়াল থেকে খসে পড়া আস্তরণের ওপরে উঠেছে তৃণলতাসহ বিভিন্ন ধরনের আগাছা। ভেতরে রয়েছে চতুর্ভুজ আকৃতির কুণ্ডলী। সে কুণ্ডলীতে থাকা স্বচ্ছ জলের তলা থেকে বুদ্বুদ শব্দে ওপরে উঠছে পানি।
১০ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের সুদর্শন ও চৌকস গুপ্তচর জেমস বন্ডের জন্ম নভেম্বর মাসে বলে ধরে নেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে খানিক বিতর্ক আছে। জন পিয়ারসনের কল্পিত জীবনী ‘জেমস বন্ড: দ্য অথরাইজড বায়োগ্রাফি অব ০০৭ ’-এ বন্ডের জন্মতারিখ ১১ নভেম্বর ১৯২০ হিসেবে লেখা হয়েছে। আবার বন্ড বিশেষজ্ঞ জন গ্রিসওল্ড...
১৯ ঘণ্টা আগেসূর্য অস্ত যেতে তখনো অনেক সময় বাকি। কপোতাক্ষ নদে নৌকার সারি। পাল নেই। পালের জায়গায় শোভা পাচ্ছে রংবেরঙের বেলুন। নৌকার ওপর বসেছে সাত-আটজন। মোটর লাগানো নৌকা বেশ গতিশীল। এর নাম কপোতাক্ষ বিনোদন বোট।
১৯ ঘণ্টা আগে