Ajker Patrika

পাহাড়ে যাবেন, নাকি জঙ্গলে?

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২: ০৮
পাহাড়ে যাবেন, নাকি জঙ্গলে?

বর্ষা পেরিয়ে এখন চলছে শরৎ। এ সময় পাহাড়ের রং থাকে সবুজ। কোথাও কোথাও এখনো দেখতে পাবেন জুমের ফসল তোলার দৃশ্য। ঝরনা-ঝিরিতেও যথেষ্ট পানি আছে। এদিকে বৃষ্টি কমে আসায় জঙ্গল-পাহাড় ভ্রমণে বিপত্তিতে পড়ার সুযোগ কম। কাজেই সবুজ পাহাড়-বনানী, পাহাড়ি নদী, ঝিরি ভ্রমণের জন্য সময়টা আদর্শ। আপনার জন্য বাড়তি পাওয়া শরতের নীল আকাশ। আজ বিশ্ব পর্যটন দিবসে থাকছে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়, অরণ্যময় দশটি জায়গার গল্প। 

সাঙ্গু নদী ধরে রেমাক্রি
বান্দরবানের থানচির সাঙ্গু নদী থেকে শুরু করবেন আশ্চর্য এই নৌকা ভ্রমণ। মিনিট পনেরো-কুড়ি পরেই এমন এক জায়গায় চলে আসবেন যেখানে মনে হবে পানি ফুটছে। নৌকাটা যখন তীব্র গতিতে জায়গাটি পেরোতে থাকবে তখন কেমন ভয় ভয় করবে, তার চেয়েও বেশি যেটা অনুভব করবেন সেটা রোমাঞ্চ। রেমাক্রি পর্যন্ত এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন বারবার। নদীটা চড়াই-উতরাই পথে বয়ে যাওয়া ও নিচের ছোট ছোট পাথরের কারণে এ কাণ্ড। এখানটায় স্রোতও বেশি। 

শুরু থেকেই দুই পাশের গাছ-গাছালিতে ঠাসা সবুজ পাহাড় মন কেড়ে নেবে আপনার। ভাগ্য ভালো থাকলে হয়তো পাহাড়ের দেয়াল বেয়ে উঠতে দেখবেন কোনো বন ছাগলকে। অথবা হঠাৎ এক পলকের জন্য দেখবেন সবুজের মাঝখানে লাল একটা শরীর, মায়া হরিণ। 

তিন্দু ছাড়ানোর একটু পরেই ছোট ও মাঝারি আকারের প্রচুর পাথর দেখবেন নদীতে। তারপরই চলে আসবেন আশ্চর্য সুন্দর এক জগতে। রাজা পাথর, বড় পাথর এমনই নানা নামের বিশাল সব পাথর যেখানে নদীর দখল নিতে মহাব্যস্ত। চারপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে এক সময় পৌঁছে যাবেন রেমাক্রিতে। শুরুতেই রেমাক্রি ঝরনায় মুগ্ধ হবেন। তারপর রেমাক্রি বাজারের আশপাশে স্থানীয়দের কোনো একটি হোটেলে উঠে পড়বেন রাত কাটানোর জন্য। সেখান থেকেই সাঙ্গু নদী আর চারপাশের পাহাড় দেখেও কাটিয়ে দিতে পারবেন অনেকটা সময়। রেমাক্রি পর্যন্ত ঘুরে আসতে পারবেন পরিবার নিয়েই। 

পর্যটকদের প্রিয় সাজেক
পর্যটকদের প্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের লিস্টিতে সাজেক কয়েক বছর ধরেই আছে ওপরের দিকে। পুরোনো সেই সাজেকের সঙ্গে এখন আর হোটেল-মোটেল-রিসোর্টে গিজগিজ করা সাজেককে মেলাতে পারি না আর। আগের সেই বুনো সৌন্দর্যের অভাব অনুভব করলেও এখনো সাজেকে পর্যটকের মন কেড়ে নেওয়ার মতো অনেক কিছুই আছে। হোটেল কিংবা রিসোর্টের বারান্দায় দাঁড়ালে মনে হবে যেন অন্য এক পৃথিবীর দুয়ার খুলে গিয়েছে। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ পাহাড়। সাদা মেঘেরা যখন পাহাড়ের সবুজ শরীর ঢেকে দেয় তখন জন্ম হয় অন্য রকম এক সৌন্দর্যের। 

কখনো কখনো রুইলুই পাড়ার পাকা সড়কটি ধরে হাঁটার সময়ও আশপাশে ওড়াউড়ি করতে দেখবেন মেঘেদের। রাঙামাটি জেলায় পড়লেও সাজেক যাওয়াটা সহজ খাগড়াছড়ি থেকেই। বাঘাইহাট থেকে সেনা সদস্যদের এসকর্ট নিয়ে যখন চান্দের গাড়িটা পাহাড়ি উঁচু-নিচু পথে চলা শুরু করবে রোমাঞ্চে গা কাটা দেবে আপনার। পাহাড়ি সৌন্দর্য দেখতে দেখতে এক সময় পৌঁছে যাবেন সাজেকে। রুইলুই পাড়ার হেলিপ্যাড, লুসাই জাদুঘর কিংবা কংলাক পাহাড়ে তো যাবেনই। যদি ভিড়-বাট্টা বেশি মনে হয় তবে পাহাড়ের কোনো পাকদণ্ডী ধরে একাকী বেশ কতকটা হাঁটতে পারেন। 

রেমা-কালেঙ্গার অরণ্যে
মৌলভীবাজার জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অবস্থান। চুপচাপ থেকে বনপথ ধরে কিছুটা সময় হাঁটলেই ভাগ্য ভালো থাকলে মুখপোড়া কিংবা চশমা হনুমানদের দেখা পেয়ে যাবেন। খুব ভোরে যদি বেরোতে পারেন তাহলে হয়তো মায়া হরিণেরও দেখা মিলে যেতে পারে। রাতে আবার দেখা মিলতে পারে লাজুক স্বভাবের লজ্জাবতী বানরদের। 

বনের রেমা বিটে শকুনদের একটি দলের আবাস। রেমার আশপাশে কয়েকটি চা বাগান আছে। বনের পাশাপাশি এসব চা-বাগানেও কখনো কখনো বন মোরগের দেখা মেলে। রেমার বনের পাহাড়ি ছড়াগুলোর ওপরের সিঁকো পেরিয়ে যেতেও অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ অনুভব করবেন। কালেঙ্গার লেকটির আশপাশে ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা পেয়ে যেতে পারেন ভোঁদড়দের। 

প্রাকৃতিক বন, বন্যপ্রাণী, চা বাগান, পাহাড়ি ছড়া সবকিছু মিলিয়ে প্রকৃতিপ্রেমিকদের জন্য চমৎকার এক জায়গা রেমা-কালেঙ্গা। তবে অরণ্যপথে হাঁটার সময় জোঁক ও সাপের ব্যাপারে সতর্ক থাকাটা জরুরি। 

অপরূপ লোভাছড়া
সিলেট জেলার কানাইঘাটের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা এক এলাকা লোভাছড়া। লোভাছড়া যাওয়া যায় দুইভাবে—একটি হলো নদী ধরে, অপরটি সড়কপথে। তবে লোভাছড়ায় যাওয়ার রাস্তাটার অবস্থা সুবিধের নয়, তাই সুরমা নদীর ঘাট থেকে একটি নৌকা ভাড়া করে তাতে চেপে বসাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এক জায়গায় এসে দেখবেন হঠাৎ অনেক চওড়া হয়ে গেল নদী। একটু খেয়াল করতেই বুঝবেন তিন নদী এক হয়েছে এখানে। সুরমা ছাড়া বাকি দুটি নদী হলো বরাক আর লোভাছড়া। 

লোভাছড়া নাম হলেও এটি আসলে নদী। নদী থেকে সীমান্তের ওপাশের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড় থেকে চোখ সরাতে পারবেন না। এক সময় চলে আসবেন নদীর ঘাঁটে। তারপর ঘুরে দেখবেন লোভাছড়ার চা-বাগান। চা বাগানের সীমানায় ব্রিটিশ আমলে বানানো ঝুলন্ত সেতুটা দেখবেন। লোভাছাড়া বাগানের খরে ছাওয়া বিশাল বাংলোটাও মুগ্ধ করবে আপনাকে। বাগানের কোনো চা বাগান শ্রমিক হয়তো আপনাকে শুনাবে বছর কয়েক আগে ওপাশের পাহাড় থেকে বাগানে চিতা বাঘ নামার গল্প। লোভাছড়া নদীতে ফিরে এসে স্বচ্ছ জলের তলে নানা আকারের পাথর দেখবেন। 

বন্যপ্রাণী দেখতে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে
কর্ণফুলী নদীর এক পাশে সীতা পাহাড়, অপর পাশে রাম পাহাড়। নদীর কিনারা থেকে ওঠে যাওয়া সীতা পাহাড়ের দিকে তাকালে কিছু কিছু অংশে এখনো গহিন বনের দেখা পাবেন। উঁচু সব বৃক্ষ, নানা ধরনের লতা মিলিয়ে আদিম কোনো জঙ্গলের কথাই মনে করিয়ে দেবে। নিচ থেকে পাহাড়চূড়ায় গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়ানো বানরদের দেখাবে লিলিপুটদের মতো। 

ওপাশে রাম পাহাড়ে গিয়ে শুনবেন গাছ বাওয়ায় দক্ষ লতা বাঘ বা মেঘলা চিতাদের গল্প। রাম পাহাড়ের ঝিরির শীতল জলে পা ভিজিয়েও অনেক আনন্দ পাবেন। কর্ণফুলী বিট বা কাপ্তাই মুখ খালের জঙ্গলে গেলে দেখা মিলতে পারে বুনো হাতিদের। আবার রাঙামাটি থেকে কাপ্তাই লেকের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া পথেও বুনো হাতিদের সাক্ষাৎ মিলে যেতে পারে। ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে কাপ্তাই যাওয়া যায়, তেমনি যেতে পারেন রাঙামাটি হয়েও। কাপ্তাই থেকে হ্রদ ধরে বিলাইছড়ি যাওয়ার পথটাও ভারি সুন্দর। 

ছোট্ট বন সাতছড়ি
হবিগঞ্জ জেলার ছোট্ট এক বন সাতছড়ি। ঢাকা-সিলেটর পুরোনো মহাসড়কটি ধরে গেলে দেখা মিলবে চুনারুঘাটের সাতছড়ি বনের। বনে পৌঁছাবার আগেই সুরমা আর সাতছড়ি চা বাগান মনটা আনন্দে ভরিয়ে দেবে। ছোট্ট বন হলে কী হবে ভালুক ও বন্য কুকুরের মতো প্রাণীদেরও দেখা মেলে এখানে। বালুময় বনপথ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে দেখবেন মায়া হরিণ কিংবা বুনো শূকরের পায়ের ছাপ। বিশাল চাপালিশ গাছগুলো থেকে পড়া ফলগুলো দেখে ভাববেন আরে কাঁঠালের মিনি সংস্করণ নাকি! 

সাতছড়ির চমৎকার ওয়াচ টাওয়ার থেকে চারপাশের বন ছাড়াও নানা জাতের পাখিদের দেখা পাওয়া সহজ। বন বিভাগের অফিসের সামনের বনে নিয়মিতই দেখা মেলে হনুমানদের। এদিকে পাম বাগানে মেলা বসে বানরদের। বাসে গেলে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ নেমে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন বনটিতে। ট্রেনে গেলে নামতে পারেন নয়াপাড়া স্টেশনে। 

নদী আর চা বাগানের লালা খাল
লালাখাল পড়েছে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায়। নৌকায় চেপে যখন লালাখাল ভ্রমণ করতে করতে খালের এমন একটি জায়গায় পৌঁছে যাবেন যেখানে আর এগোনোর সুযোগ নেই। কারণ তারপর থেকেই পাশের দেশ ভারতের সীমানা। তবে খালের স্বচ্ছ জল আর ওপাশের উঁচু পাহাড়গুলোর দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে যে সন্দেহ নেই। 

নৌকা থেকে নেমে বাংলাদেশের সীমানায় পাবেন ছোট পাহাড় আর চমৎকার কয়েকটি চা বাগান। পাহাড়ের ওপর থেকে খালসহ চারপাশের দৃশ্য দেখে ভুলে যাবেন উঁচু পাহাড়গুলোর বেশি কাছে যেতে না পারার দুঃখ। 

চলো যাই চন্দ্রনাথ পাহাড়ে
সীতাকুণ্ড-মিরসরাইয়ের উঁচু পাহাড়গুলো দেখে হঠাৎ মনে হতে পারে পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানায় চলে এলাম নাকি! আর পর্যটকদের কাছে এই এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণগন্তব্যগুলোর একটি চন্দ্রনাথ পাহাড়। হাজার ফুটের বেশি উঁচু পাহাড়টায় চড়া খুব কঠিন নয়। পাদদেশে পৌঁছাতেই দেখবেন দোকানে লাঠি ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এটা সঙ্গে নিলে পাহাড়ে ওঠাটা সহজ হবে। তবে ভ্রমণের আগে যদি বৃষ্টি হয় তবে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। 

পাহাড়ের চূড়া থেকে চারপাশের এলাকাটা দেখতে পাবেন পাখির চোখে। শিবচতুর্দশী মেলার সময় পাহাড়ের ওপরের চন্দ্রনাথ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। ওই সময় গেলে মেলাটি উপভোগ ও পাহাড়ে চড়া দুটোই হয়। তবে তখন ভিড়টা বেশি থাকে। শুক্র কিংবা শনিবার এড়িয়ে গেলে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবেন মন ভরে। 

জলের বন রাতারগুল
জলের রাজ্যে অসাধারণ এক অরণ্য রাতারগুল। বিশেষ করে বর্ষায় অরণ্যটি সবচেয়ে সুন্দর। অবশ্য শরতেও খারাপ লাগবে না। সরু খাল ধরে যখন ছোট নৌকায় চেপে যাবেন একেবারে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন। কখনো কখনো আশপাশের ডালের খোঁচা এড়াতে নিচু হয়ে যাবেন কখনো আবার হঠাৎ সামনে একটা ডাল আবিষ্কার করে মাথাটা নিচু করে ফেলবেন। পানি যখন কমে যায় তখন জঙ্গলের পথ ধরে হেঁটেও বেড়ানো যায়। 

জঙ্গলটিতে চমৎকার একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে। সেখান থেকে চারপাশের জল এবং জঙ্গলের রাজ্য ধরা দেবে মোহনীয় রূপে। বনে বানর আছে বেশ। নৌকা থেকে হঠাৎই হয়তো দেখবেন পাশের গাছটা ডালে বসে ভেংচি কাটছে এদের কোনো একটি। নানা ধরনের পাখিরও দেখা মেলে। তবে সাপের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকতে হবে রাতারগুল ভ্রমণে। সিলেট শহর থেকে খুব দূরে নয় বনটি। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন ঘাটে। তারপর বন বিভাগের নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে ডিঙি নৌকা ভাড়া করে প্রবেশ করবেন মনোমুগ্ধকর এক রাজ্যে। 

চলার পথে ডিম পাহাড়
থানচি থেকে আলীকদম যাওয়ার পথটা এমন যে একবার গেলে শুধুমাত্র ওই পথে ভ্রমণ করতেই সেখানে বারবার ছুটে যেতে ইচ্ছা করবে আপনার। এই পথ দিয়ে মোটরসাইকেল কিংবা অন্য কোনো যানবাহনে চেপে যাওয়ার সময় দেখা পাবেন ডিম পাহাড়ের। কখনো কখনো আপনার পথ আগলে দাঁড়াবে মেঘে। বর্ষায় কোনো কোনো সময় আশপাশের পাহাড়গুলোর এত ঘন সাদা মেঘে ঢেকে যায় যে আপনার মনে হবে এগুলোর ওপর কিছু পড়লে আটকে যাবে। 

হঠাৎ পথটা অনেকটা খাঁড়া ওপরের দিকে ওঠে গেছে, কখনো আবার নেমে গেছে। চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এমন একটা রোমাঞ্চকর পথে ভ্রমণের চেয়ে আনন্দদায়ক আর কী হতে পারে বলেন!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতে সব ধরনের চুলের জন্য ৫টি সেরা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

শীতকাল আমাদের জন্য উদ্‌যাপনের ঋতু হলেও চুলের জন্য আতঙ্কের। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে নির্জীব ভাব আসার পাশাপাশি আগা ফাটার সমস্যাও বাড়তে থাকে। তাই এই ঋতুতে চুলের ডিপ কন্ডিশনিং রীতিনীতি মেনে চলা অপরিহার্য। তবে রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন, কী কী ঘরোয়ার উপকরণ দিয়ে চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করবেন।

পাকা কলার প্যাক

কলা খুব ভালো ময়শ্চারাইজিং উপাদান। এটি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া চুল নিরাময়ে সহায়ক। কলা ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। ফলে এটি মাথার ত্বক ও চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। কেবল একটি পাকা কলা বেটে তার সঙ্গে মধু, ডিম ও সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন। এরপর এই পেস্ট মাথার ত্বক এবং পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহারে চুল খুব দ্রুত ঝলমলে হয়।

দইয়ের জাদুকরি প্যাক

দই মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস
দই মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস

প্রচুর প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিডে ভরা দই আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতেও সহায়ক। টক দই, কলা, মধু ও জলপাই তেল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সবশেষে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এটিকে বলা যেতে পারে জাদুকরি প্যাক। তবে যাঁদের ঠান্ডা লাগে, তাঁরা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।

চুলের তরতাজা ভাব ফেরাবে অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আপনার চুলে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে চুলে রেগুলার কন্ডিশনার মাখুন। নিজেই টের পাবেন চুলের তরতাজা ভাব। সপ্তাহে দুবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

অ্যালোভেরা জেল চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস
অ্যালোভেরা জেল চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। ছবি: পেক্সেলস

তৈলাক্ত চুলের সেরা কন্ডিশনার আপেল সিডার ভিনেগার

আপেল সিডার ভিনেগার অ্যাসিটিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এটি তৈলাক্ত মাথার ত্বক, খুশকি এবং কুঁকড়ে যাওয়া চুলের জন্য চমৎকার সমাধান। এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর জন্য চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বক ও চুলে ঢেলে দিন। ৫ মিনিট ধরে আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। হালকা করে চুল আবার শ্যাম্পু করে এরপর কন্ডিশনার মাখুন। সবশেষে সুন্দর করে চুল ধুয়ে নিন।

সহজ সমাধান নারকেল তেল

আমরা সবাই নারকেল তেলের বিস্ময়কর গুণাবলির কথা শুনে বড় হয়েছি। এই তেল যে চুলের যত্নে জাদুকরি উপাদান—এ কথা একেবারে মিথ্য়া নয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল করে তোলে নরম ও মসৃণ। নারকেল তেল দিয়ে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার তৈরি করতে, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার সময় এটি লাগান। ২০ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৬
আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

মেষ

সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে। পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে, যদি আপনি রিমোটের দখল ছেড়ে দেন। মানিব্যাগে সব সময় কিছু খুচরা টাকা রাখুন, ইজ্জত বাঁচতে পারে।

বৃষ

স্ত্রী বা পরিবারের কারোর মধুর ব্যবহারে আজ আপনি মুগ্ধ হতে পারেন, তবে এর পেছনে কোনো দামি শাড়ি, গয়না বা অনলাইন শপিংয়ের আবদার লুকিয়ে আছে কি না, তা ‘শার্লক হোমস’ স্টাইলে যাচাই করে নিন। সঞ্চয়ের জন্য দিনটি ভালো, কিন্তু লটারি জেতার আশায় অফিসের কলিগের কাছে ধার চাইবেন না। আবেগের চেয়ে আজ পেটভরা খাবারকে বেশি গুরুত্ব দিন। মিষ্টি কথায় ভুলে যাওয়ার আগে ব্যাংকের ব্যালেন্স চেক করুন।

মিথুন

মনের কথা বাড়ির লোককে বলে ফেলার জন্য আজ দারুণ দিন। তবে অফিসের বসের নামে কোনো ‘গোপন ছড়া’ বা ‘নিকনেম’ আবার ভুল করে বাড়ির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে দেবেন না! পুরোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে আবেগময় হয়ে পড়তে পারেন, সঙ্গে গামছা বা টিস্যু বক্স রাখুন। মেসেজ পাঠানোর আগে ‘রিসিভার’ কে, তা দুবার চেক করুন।

কর্কট

কারও কাছ থেকে আজ ধার নেবেন না, আর কাউকে দেবেনও না। কারণ, আজ যাকে টাকা দেবেন, তাকে খুঁজে পেতে ভবিষ্যতে আপনাকে ইন্টারপোল নিয়োগ করতে হতে পারে। সন্ধ্যার পর শরীর বেশ সতেজ থাকবে, চাইলে এক কাপ কড়া চা নিয়ে পাড়ার মোড়ে আড্ডা জমাতে পারেন। তবে পলিটিকস নিয়ে জ্ঞান দিতে যাবেন না। টাকা চাইলে ‘মানিব্যাগটা ধুতে দিয়েছি’ বলে এড়িয়ে যান।

সিংহ

বড় কোনো অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে সেই টাকা হাতে আসার আগেই অনলাইনে আইফোন বা দামি গ্যাজেটের রিভিউ দেখা শুরু করবেন না। অতিরিক্ত রাগ আপনার কর্মক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে। বসের ঝাড়ি খেয়েও আজ ‘মোনালিসা হাসি’ বজায় রাখার চেষ্টা করুন, এতে বস কনফিউজড হয়ে ঝাড়ি থামিয়ে দেবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসার প্র্যাকটিস করুন।

কন্যা

বাড়িতে যদি অবিবাহিত কেউ থাকে, তবে আজ তার বিয়ের আলোচনা তুঙ্গে উঠতে পারে। বিয়ের মেনুতে বিরিয়ানি থাকবে কি না, তা নিয়ে আজ থেকেই তর্ক শুরু হতে পারে। খাওয়ার অভ্যাসে বদল আনুন; রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার আগে বিক্রেতার হাত ধোয়া কি না, তা একটু জুম করে দেখে নিন। প্রবীণদের কথা শুনুন, মাঝেমধ্যে তারা ইন্টারনেটের চেয়েও ভালো সমাধান দেন! ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলবেন, পেটের অবস্থা ভালো নয়।

তুলা

হয়তো ভালো মনেই কাউকে উপদেশ দেবেন, কিন্তু লোকে সেটাকে পার্সোনাল অ্যাটাক হিসেবে ধরে নেবে। আজ আপনার মিষ্টি কথা মানুষের কানে ‘নিমপাতার জুস’ মনে হতে পারে। অফিসে আপনার নামে কেউ কানকথা দিতে পারে, কিন্তু উল্টো তাদের মিষ্টি খাইয়ে কনফিউজ করে দিন। চুপ থাকাই আজ আপনার সেরা অস্ত্র।

বৃশ্চিক

পাড়ার দুই খালা বা চাচির ঝগড়ায় বিচার করতে যাবেন না। অন্যের ঝামেলা মেটাতে গিয়ে নিজেই ‘ভিলেন’ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল হতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কথা বলুন। আজ আপনার কোনো পুরোনো শখ (যেমন গিটার বাজানো বা বাথরুমে গান গাওয়া) আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অন্যের ব্যাপারে বাঁ হাত ঢোকাবেন না।

ধনু

আজ আপনার মধ্যে আধুনিক চিন্তা কাজ করবে। অফিসের কাজে এআই ব্যবহার করে বসকে চমকে দিতে পারেন; তবে সাবধান, যেন ধরা না পড়েন! সৃজনশীল কাজে সাফল্য আসবে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে ব্যাগে ছাতা নিতে ভুলবেন না। কারণ, আবহাওয়া অফিস রোদ বললেও আজ বৃষ্টির সঙ্গে আপনার মোলাকাত হতে পারে। ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে রাখুন।

মকর

আপনার পকেটে আজ অদৃশ্য ফুটো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে শপিং মলে গেলে ক্রেডিট কার্ডটি বাসায় ফেলে যান। বিরোধীরা আজ আপনার ছোট কোনো ব্যাকরণগত ভুলকেও বড় করে দেখাতে পারে। তাই কথা বলার আগে মুখে ‘কাল্পনিক ফিল্টার’ ব্যবহার করুন। ‘সুলভ মূল্যে’ লেখা বোর্ড দেখলে উল্টো দিকে হাঁটুন।

কুম্ভ

দিনটি আপনার জন্য বেশ শুভ। নতুন কারোর সঙ্গে দেখা হতে পারে যে আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে (সেটা বিমা কোম্পানি বা এমএলএম মার্কেটিংয়ের লোকও হতে পারে, সাবধান!)। রাতে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যদি না মশার দল আপনার কানে গান গাওয়ার কনসার্ট আয়োজন করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের লোকদের থেকে দূরে থাকুন।

মীন

আজ সারা দিন অফিসের বা বাড়ির কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকবেন যে নিজের আয়নায় মুখ দেখার সময় পাবেন না। তবে এই ব্যস্ততার শেষে একটা মিষ্টি ক্লান্তি আসবে। সন্তানের বায়না মেটাতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। শরীরের প্রতি যত্ন নিন, লিফট থাকতে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে যাবেন না। দুপুরের খাবারটা ঠিক সময়ে খেয়ে নিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতের সকাল শুরু হোক সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর স্যুপ দিয়ে

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৭
চীনের লানঝাউ বিফ নুডলস স‍্যুপ। ছবি: উইকিপিডিয়া
চীনের লানঝাউ বিফ নুডলস স‍্যুপ। ছবি: উইকিপিডিয়া

আমাদের দেশে ধীরে ধীরে স্যুপ খাওয়াটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মূলত চায়নিজ রেস্তোরাঁগুলোর কারণে। সুস্বাদু ও বিচিত্র নুডলস স্যুপ পাওয়া যায় এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে। ভাবার কোনো কারণ নেই, স্যুপ শুধু রেস্তোরাঁয় গিয়েই খেতে হবে। বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন মজাদার বিভিন্ন স্যুপ। কিন্তু মনে রাখা চাই, মাংস দিয়ে কিছু স্যুপ রান্না করতে গেলে খানিক সময় লাগবে। তারপরই উপভোগ করা যাবে মজাদার স্যুপ।

আপনাদের জন্য দুটি স্যুপের রেসিপি রইল।

লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ, চীন

চীনে নুডলস দিয়ে তৈরি খাবার ও চায়নিজ নুডলস স্যুপ রেসিপির কোনো ঘাটতি নেই। বলা হয়, এর বৈচিত্র্য চীনের ভূগোলের মতোই বিশাল এবং প্রতিটি অত্যন্ত সুস্বাদু। কিন্তু অসংখ্য নুডলস ডিশের, বিশেষ করে নুডলস স্যুপের মধ্যে যেটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তা হলো লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ।

সুস্বাদু, স্বচ্ছ ঝোল, পাতলা করে কাটা গরুর মাংস, নরম চায়নিজ মুলার ফালি, প্রচুর ধনেপাতা ও পেঁয়াজ কলি, গাঢ় লাল মরিচের তেল এবং হাতে তৈরি নুডলস দিয়ে রান্না করা হয় লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ।

উপকরণ

৪ পাউন্ড গরুর মাংস, ১ কেজি গরুর হাঁটুর মাংস, অর্ধেক ভাজা মুরগি, ১০ কাপ পানি, ১ লিটার চিকেন স্টক, স্বাদ অনুযায়ী লবণ, ছোট চায়নিজ মুলার অর্ধেক, ১ পাউন্ড তাজা বা শুকনো সাদা নুডলস, গরম মরিচের তেল, পেঁয়াজ কলি, ধনেপাতা।

মসলা মিশ্রণের জন্য

৭টি তারকা মৌরি, ১২টি লবঙ্গ, ১টি দারুচিনি, ৫টি তেজপাতা, ৬টি বড় স্যান্ড জিঞ্জারের টুকরো, দেড় চা-চামচ মৌরি বীজ, ১ চা-চামচ জিরা বীজ, ২ চা-চামচ সিচুয়ান গোলমরিচ, দেড় চা-চামচ সাদা গোলমরিচ, ৫টি লিকোরিস মূলের টুকরো, ৩টি শুকনো কমলার খোসা, ১টি কালো এলাচি।

গরম মরিচের তেলের জন্য

এক কাপের ৪ ভাগের ৩ ভাগ তেল, ২টি তারকা মৌরি, ছোট দারুচিনির অর্ধেক, আধা চা-চামচ সিচুয়ান গোলমরিচ, ৩ টেবিল চামচ লাল মরিচ গুঁড়া, ১ চা-চামচ লবণ, সামান্য চিনি।

প্রস্তুত প্রণালি

মাংসের হাড়গুলো ধুয়ে নিন। ৪০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বেকিং শিটে ৪৫ মিনিট বেক করে নিন। একটি বড় পাত্রে পানি ফুটিয়ে তাতে গরুর হাঁটুর মাংস এবং মুরগির মাংস যোগ করুন। সবকিছু আবার ফুটতে দিন। একবার ফুটে উঠলে হাঁটুর মাংস এবং মুরগি বের করে নিয়ে পানি ফেলে দিন এবং পাত্রটি পরিষ্কার করে নিন।

এরপর গরুর হাঁটুর মাংস এবং মুরগি আবার পাত্রে দিন। সঙ্গে বেক করে নেওয়া হাড়। এর সঙ্গে আরও ১০ কাপ পানি এবং ৪ কাপ চিকেন স্টক যোগ করুন। মসলার সব উপকরণ একত্র করে একটি পাতলা কাপড়ে পুঁটলি করে শক্তভাবে বেঁধে মসলার মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি পাত্রে রেখে দিন। এরপর পাত্রে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে সবকিছু ফুটতে দিন।

একবার ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সেদ্ধ হতে দিন। ২ ঘণ্টা পরে গরুর হাঁটুর মাংস বের করে সরিয়ে রাখুন। বাকি অংশে কাটা মুলা যোগ করে আরও ঘণ্টাখানেক সেদ্ধ হতে দিন। তারপর মসলার ব্যাগ, মুরগির হাড় বের করে ফেলে দিন। ঝোলে লবণের স্বাদ নিন এবং প্রয়োজন হলে মসলা সমন্বয় করুন। এতে স্যুপের বেজ তৈরি হয়ে যাবে।

উপকরণগুলো সেদ্ধ হওয়ার সময় মরিচের তেল তৈরি করে ফেলুন। একটি ছোট পাত্রে তেল, তারকা মৌরি, দারুচিনি এবং সিচুয়ান গোলমরিচ নিন। খুব কম আঁচে সবকিছু ধীরে ধীরে ১৫ মিনিট একসঙ্গে ভুনে নিন। একটি ছাঁকনি চামচ দিয়ে মসলাগুলো তেল থেকে আলাদা করে নিন। এরপর প্রায় ৫ মিনিট তেল ঠান্ডা করে তাতে মরিচগুঁড়া যোগ করে সেই হালকা গরম তেলে ধীরে ধীরে ভুনে নিন; যতক্ষণ না খুব সুগন্ধ ছড়ায়। লাল হয়ে গেলে তাতে লবণ ও চিনি মেশাতে হবে।

একবার ঝোল ও মরিচের তেল তৈরি হয়ে গেলে, আলাদা পাত্রে প্যাকেটের নির্দেশ অনুযায়ী নুডলস রান্না করুন। সেদ্ধ নুডলস ৬টি বাটিতে ভাগ করুন। ঠান্ডা হওয়া গরুর হাঁটুর মাংস পাতলা করে কেটে নুডলসের ওপর সাজান। এরপর তাতে একে একে ঝোল, মুলা, এক চামচ গরম মরিচের তেল এবং এক মুঠো করে কুচি করা পেঁয়াজ কলি এবং ধনেপাতা যোগ করে পরিবেশন করুন।

তুরস্কের ইয়াইলা চোর্বসি স‍্যুপ। ছবি: উইকিপিডিয়া
তুরস্কের ইয়াইলা চোর্বসি স‍্যুপ। ছবি: উইকিপিডিয়া

ইয়াইলা চোর্বাসি, তুরস্ক

তুরস্কের স্যুপের নাম ইয়াইলা চোর্বাসি। এর প্রধান উপকরণ সেদ্ধ চাল বা বার্লি। এর সঙ্গে যোগ করা হয় দই। বিশ্বাস করা হয়, এটি শীতকালে সর্দি প্রতিরোধ করে; কিছু তুর্কি হাসপাতালে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের দই স্যুপ পরিবেশন করা হয়।

শুকনো পুদিনা গুঁড়া দইয়ের হালকা টক স্বাদকে ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে। তাজা পাউরুটির সঙ্গে এটি পরিবেশন করুন।

উপকরণ

বাসমতী বা জেসমিনসহ যেকোনো ধরনের সাদা চাল, গ্রিক দই বা সাধারণ দই, স্যুপ ঘন করতে ডিম ও ময়দার সংমিশ্রণ, শুকনো পুদিনাপাতার গুঁড়া। 

প্রস্তুত প্রণালি

যে চাল ব্যবহার করবেন, স্বাভাবিকের চেয়ে তাতে বেশি পানি দিয়ে প্রথমে নরম করে ভাত রান্না করুন। পানি ও ভাত এই স্যুপের ভিত্তি। একটি বাটিতে দই, ডিম, ময়দা ও লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। পানি কমে গেলে ভাতে আরও পানি যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়ুন। হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এরপর সুবিধামতো পাত্র নিয়ে ধীরে ধীরে ভাত ও পানি দই ও ডিমের মিশ্রণে যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। এরপর এই পুরো মিশ্রণ আবারও গরম পানিতে দিয়ে মাঝারি আঁচে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ফুটতে দিন। এ সময়েও মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। চেখে দেখুন। লাগলে প্রয়োজনে আরও লবণ যোগ করুন।

একটি ছোট প্যানে মাখন গলিয়ে সুগন্ধ বের হওয়া পর্যন্ত শুকনো পুদিনা সেদ্ধ করে নিন। তারপর এটি স্যুপে যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়ুন। তারপর নামিয়ে পরিবেশন করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেপালের মহাপরিকল্পনায় এভারেস্ট রক্ষা পাবে তো?

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ১৪
এভারেস্ট ধীরে ধীরে ‘বিশ্বের উচ্চতম ডাস্টবিনে’ পরিণত হচ্ছে, এই আন্তর্জাতিক সমালোচনা বন্ধ করতে নেপাল সরকার নিয়েছে দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ। ছবি: ফ্রিপিক
এভারেস্ট ধীরে ধীরে ‘বিশ্বের উচ্চতম ডাস্টবিনে’ পরিণত হচ্ছে, এই আন্তর্জাতিক সমালোচনা বন্ধ করতে নেপাল সরকার নিয়েছে দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ। ছবি: ফ্রিপিক

সাগরপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৮৪৮ দশমিক ৮৬ মিটার উঁচু মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গটি মানুষের অদম্য সাহসের শেষ সীমানা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এসব তকমা ও শ্বেতশুভ্র সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক করুণ চিত্র। ২০০০ সালে জাপানি পর্বতারোহী কেন নগুচি যখন এভারেস্টে প্রথম সংগঠিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেন, তখন তিনি যা দেখেছিলেন, তা ছিল রীতিমতো মর্মান্তিক। নগুচি বলেছিলেন, ‘টিভিতে এভারেস্টের যে সুন্দর ছবি দেখতাম, ভেবেছিলাম পাহাড়টি তেমনই হবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি চারদিকে শুধু আবর্জনা।’ সেই শুরু; নগুচি ২০০০ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে প্রায় ৯০ টন বর্জ্য সরিয়েছিলেন। কিন্তু আজ এখন সমস্যাটি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

সম্প্রতি নেপাল সরকার প্রথমবারের মতো একটি ব্যাপক নীতিমালাসহ এভারেস্ট ক্লিনিং অ্যাকশন প্ল্যান (২০২৫-২০২৯) ঘোষণা করেছে। এভারেস্ট যে ধীরে ধীরে ‘বিশ্বের উচ্চতম ডাস্টবিনে’ পরিণত হচ্ছে, সেই আন্তর্জাতিক সমালোচনা বন্ধ করতেই এই দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ।

ক্রমবর্ধমান অভিযাত্রীর চাপে নাজুক হয়ে পড়েছে এভারেস্টের পরিবেশ। ছবি: ফ্রিপিক
ক্রমবর্ধমান অভিযাত্রীর চাপে নাজুক হয়ে পড়েছে এভারেস্টের পরিবেশ। ছবি: ফ্রিপিক

সংকটের নেপথ্যে: প্লাস্টিক ও জলবায়ু পরিবর্তন

দশকের পর দশক ধরে আরোহী, গাইড এবং শেরপাদের ফেলে আসা অক্সিজেন সিলিন্ডার, প্লাস্টিকের বোতল, নাইলনের দড়ি এবং মানুষের মলমূত্রে পাহাড়ের ঢালগুলো বিষিয়ে উঠেছে; বিশেষ করে প্লাস্টিক এখন মূর্তিমান আতঙ্ক; একটি প্লাস্টিক ব্যাগ প্রকৃতিতে মিশে যেতে প্রায় ৫০০ বছর সময় নেয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বরফ গলে বেরিয়ে আসছে পুরোনো আবর্জনা এবং দীর্ঘদিনের চাপা পড়া মৃতদেহ, যা নিচের জনপদগুলোর পানীয় জলের উৎসকে দূষিত করছে।

নতুন পরিকল্পনা: একনজরে সরকারের রোডম্যাপ

খুম্বু হিমবাহের ওপর অবস্থিত বর্তমান বেস ক্যাম্পটি তাপমাত্রা ও আবর্জনার চাপে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ায় সেটি সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে নেপাল সরকার। ছবি: ফ্রিপিক
খুম্বু হিমবাহের ওপর অবস্থিত বর্তমান বেস ক্যাম্পটি তাপমাত্রা ও আবর্জনার চাপে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ায় সেটি সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে নেপাল সরকার। ছবি: ফ্রিপিক

নেপাল সরকারের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ঘোষিত পাঁচ বছর মেয়াদি এই পরিকল্পনায় বেশ কিছু বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো,

বেস ক্যাম্প স্থানান্তর: খুম্বু হিমবাহের ওপর অবস্থিত বর্তমান বেস ক্যাম্পটি ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা ও আবর্জনার চাপে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। তাই এটি অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া যায় কি না, তার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।

বর্জ্য ফেরাতে কড়া নজরদারি: আরোহীদের ব্যবহৃত প্রতিটি সরঞ্জাম, মই ও দড়ির তালিকা এন্ট্রি পয়েন্টে জমা দিতে হবে এবং নামার সময় তা মিলিয়ে দেখা হবে। প্রত্যেক আরোহী দলকে তাদের ব্যবহৃত সব সরঞ্জাম এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ পুরোনো আবর্জনা পাহাড় থেকে নামিয়ে আনতে হবে।

ক্যাম্প-২-এ বর্জ্য সংগ্রহ কেন্দ্র: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ৭৫০ মিটার উঁচুতে ক্যাম্প-২-এ বর্জ্য সংগ্রহের জন্য একটি অস্থায়ী কেন্দ্র করা হবে। এটি চেকপয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে, যাতে উচ্চতর ক্যাম্পগুলোতে কেউ আবর্জনা ফেলে আসতে না পারে।

মাউন্টেন রেঞ্জার ও ড্রোন: পাহাড়ের ওপর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তদারক করতে প্রশিক্ষিত আরোহীদের নিয়ে একটি মাউন্টেইন রেঞ্জার দল গঠন করা হবে। এমনকি দুর্গম এলাকা থেকে আবর্জনা সংগ্রহে ড্রোনের ব্যবহারও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আর্থিক নীতিমালা ও রয়্যালটি: বর্তমানে আরোহীদের ৪ হাজার ডলারের যে ডিপোজিট দিতে হয়, সেটিকে একটি অফেরতযোগ্য ফিতে রূপান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনায়, যা সরাসরি পাহাড়ের কল্যাণে ব্যয় হবে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এভারেস্টের রয়্যালটি ১১ হাজার ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার ডলার করা হয়েছে।

আদালতের আদেশ ও সচেতনতা

এই মহাপরিকল্পনা মূলত গত বছর দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশের ফল। আদালত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল পাহাড়ের ধারণক্ষমতা মেপে আরোহীদের পারমিট সংখ্যা নির্ধারণ করতে। এ ছাড়া ২০২৪ সাল থেকে বেস ক্যাম্পের ওপর ‘পুপ ব্যাগ’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকার এখন পরিবেশ-সচেতনতাকে জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা করছে।

একটি বিশাল কর্মযজ্ঞের শুরু

২০২৪ সালের বসন্ত মৌসুমে এভারেস্ট থেকে প্রায় ৮৫ টন বর্জ্য এবং ২৮ টন মানুষের মলমূত্র সরানো হয়েছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করতে বড় অঙ্কের বাজেট প্রয়োজন, যা ১০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এভারেস্টের চূড়ায় আরোহীদের দীর্ঘ সারি আর যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ এখন বিশ্ববাসীর নজরে। এই পাঁচ বছরের মহাপরিকল্পনা কি পারবে বিশ্বের ছাদকে আবার তার আদি অকৃত্রিম রূপ ফিরিয়ে দিতে? সেটি সময় বলবে, তবে নেপাল সরকারের এই কাঠামোগত উদ্যোগ হিমালয়প্রেমীদের মনে আশার আলো জাগাচ্ছে।

সূত্র: দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

জুলাইকে দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে নব্য ফ্যাসিবাদী শক্তি: উদীচী

ভারতে নিকাব বিতর্ক: কাজে যোগ দেননি সেই নারী চিকিৎসক

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত