নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ক্যাবিনেটে পাশ হয়েছে ২০১৮ সালে। ১৮টি কর্মক্ষেত্রে ৩৫টি মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট কাজ ধরা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি ও চলমান হিসেবে কাজ ভাগ করা হয়েছে। জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পর তিনটি অর্থ বাজেট পেরিয়ে গেলেও, সরকার প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে এক টাকাও বরাদ্দ দেয়নি।
আজ বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন অডিটোরিয়ামে ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও বাজেটে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও অবস্থান শীর্ষক সেমিনারে আলোচকেরা এ তথ্য তুলে ধরেন। সেমিনারের আয়োজন করেছে বেসরকারি সংস্থা ডিজঅ্যাবলড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন (ডিআরআরএ)।
অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সংস্থাটির উপদেষ্টা নাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুসারে বাংলাদেশে আনুমানিক দেড় কোটি প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছে। তবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের হিসেবে দেশে প্রতিবন্ধী রয়েছে ২৭ লাখ। প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে কেবল সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায়। বর্তমানে ১৪৩ স্কিমের মধ্যে প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৭ টি। যা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাজেটের মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভাবে প্রত্যেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য মাসিক বরাদ্দ মাত্র ৫৪২ টাকা। দৈনিক মাথাপিছু বরাদ্দ ২১ টাকা। যা ডলারের হিসেবে শূন্য দশমিক ২৫ সেন্ট। কিন্তু প্রতিদিন মাথাপিছু ব্যয় হচ্ছে ১ দশমিক ২৫ ডলার। ফলে দৈনিক ব্যয়ের বাকি এক ডলার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিজেই জোগাড় করতে হচ্ছে।’
নাফিজুর রহমান জানান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটা আলাদা চ্যাপটার আছে। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কি করা হবে এমন অনেক ভালো ভালো কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সরকার অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য কিছু মান নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তবে এই পরিকল্পনা কতটুকু বাস্তবায়ন হবে তা আগে থেকে বলা অনেক কঠিন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান সরকার অনেক বেশি প্রতিবন্ধী বান্ধব। আমরা প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করছি। সীমিত সম্পদের মধ্যেও ক্রমান্বয়ে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এটা ছড়ানো ছিটানো ভাবে করা হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট ভাবে এখনো প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে না। প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে অবশ্যই আলাদা করে বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। আমরা কসমেটিক উন্নয়ন চাই না। আমরা চাই সর্বত্র মানুষের উন্নয়ন হোক।’
ডিজঅ্যাবলড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিআরআরএ) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে ২৫ ধরে কাজ করছে ডিআরআরএ। দেশের প্রায় ১৫ লাখ প্রতিবন্ধী মানুষ আমাদের সংস্থা থেকে সরাসরি সহযোগিতা পেয়েছে। পরোক্ষভাবে পেয়েছে প্রায় ৩০ লাখ প্রতিবন্ধী মানুষ।’ প্রতিবন্ধী মানুষদের নিয়ে কার্যকরী উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য জরিপ করে সঠিক পরিসংখ্যান তৈরি করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ডিআরআরএ এর উপদেষ্টা স্বপনা রেজার উপস্থাপনায় এ আলোচনায় আরও অংশ নেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শিবানী ভট্টাচার্য, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের (এনডিডিপি) চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কেএম আলী রেজা প্রমুখ।
প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ক্যাবিনেটে পাশ হয়েছে ২০১৮ সালে। ১৮টি কর্মক্ষেত্রে ৩৫টি মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট কাজ ধরা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি ও চলমান হিসেবে কাজ ভাগ করা হয়েছে। জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পর তিনটি অর্থ বাজেট পেরিয়ে গেলেও, সরকার প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে এক টাকাও বরাদ্দ দেয়নি।
আজ বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন অডিটোরিয়ামে ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও বাজেটে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও অবস্থান শীর্ষক সেমিনারে আলোচকেরা এ তথ্য তুলে ধরেন। সেমিনারের আয়োজন করেছে বেসরকারি সংস্থা ডিজঅ্যাবলড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন (ডিআরআরএ)।
অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সংস্থাটির উপদেষ্টা নাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুসারে বাংলাদেশে আনুমানিক দেড় কোটি প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছে। তবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের হিসেবে দেশে প্রতিবন্ধী রয়েছে ২৭ লাখ। প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে কেবল সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায়। বর্তমানে ১৪৩ স্কিমের মধ্যে প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৭ টি। যা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাজেটের মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভাবে প্রত্যেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য মাসিক বরাদ্দ মাত্র ৫৪২ টাকা। দৈনিক মাথাপিছু বরাদ্দ ২১ টাকা। যা ডলারের হিসেবে শূন্য দশমিক ২৫ সেন্ট। কিন্তু প্রতিদিন মাথাপিছু ব্যয় হচ্ছে ১ দশমিক ২৫ ডলার। ফলে দৈনিক ব্যয়ের বাকি এক ডলার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিজেই জোগাড় করতে হচ্ছে।’
নাফিজুর রহমান জানান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একটা আলাদা চ্যাপটার আছে। প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কি করা হবে এমন অনেক ভালো ভালো কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সরকার অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য কিছু মান নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তবে এই পরিকল্পনা কতটুকু বাস্তবায়ন হবে তা আগে থেকে বলা অনেক কঠিন।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান সরকার অনেক বেশি প্রতিবন্ধী বান্ধব। আমরা প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করছি। সীমিত সম্পদের মধ্যেও ক্রমান্বয়ে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এটা ছড়ানো ছিটানো ভাবে করা হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট ভাবে এখনো প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে না। প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে অবশ্যই আলাদা করে বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। আমরা কসমেটিক উন্নয়ন চাই না। আমরা চাই সর্বত্র মানুষের উন্নয়ন হোক।’
ডিজঅ্যাবলড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিআরআরএ) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে ২৫ ধরে কাজ করছে ডিআরআরএ। দেশের প্রায় ১৫ লাখ প্রতিবন্ধী মানুষ আমাদের সংস্থা থেকে সরাসরি সহযোগিতা পেয়েছে। পরোক্ষভাবে পেয়েছে প্রায় ৩০ লাখ প্রতিবন্ধী মানুষ।’ প্রতিবন্ধী মানুষদের নিয়ে কার্যকরী উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য জরিপ করে সঠিক পরিসংখ্যান তৈরি করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ডিআরআরএ এর উপদেষ্টা স্বপনা রেজার উপস্থাপনায় এ আলোচনায় আরও অংশ নেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শিবানী ভট্টাচার্য, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের (এনডিডিপি) চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কেএম আলী রেজা প্রমুখ।
সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করবে বলে জানিয়েছেন কমিশনটির প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘যদি কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশের খসড়া প্রকাশ করা সম্ভব হবে। সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে দে
২৯ মিনিট আগেজাপান বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি জানান, জাপান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আজ রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান
২ ঘণ্টা আগেআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছে তাঁর প্রেস উইং। নৌপরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন নিয়ে মন্তব্যের পর এ বিষয়ে প্রেস উইং স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে