নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
বৈঠক শেষে অপেক্ষমাণ গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ও সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। এ সময় প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, ‘অনাবাসী হয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করা যাবে না, এ প্রস্তাব দিয়েছি। কেউ ঢাকায় বাস করে খাগড়াছড়ি বা দিনাজপুরের প্রতিনিধিত্ব করবেন না। এটা সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটে টাকার খেলা বন্ধে রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচনী প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। নারী আসনে সরাসরি ভোট হতে পারে চক্রাকার পদ্ধতিতে। অথবা তিনটি আসন মিলে একটি নারী আসন হবে, যেখানে সরাসরি নির্বাচন হবে।’
আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে অতীতে যেভাবে নির্বাচন প্রভাবিত করতে দেখেছি, সেই সুযোগ যেন না থাকে। আলোচনায় গণমাধ্যমকে গুরুত্ব দিয়ে এর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হলে অনেক আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য আইনের পরিমার্জন, পরিবর্তন করতে হবে। আর সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন এই সময়ে সম্ভব না। এটা সংসদের মাধ্যমে করতে হবে। কেননা, সেখান থেকে করতে না পারলে কার্যকর হবে না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর জোর দিয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, নির্বাচন কমিশন যতই শক্তিশালী হোক, দলীয় সরকারের অধীনে ভোট হলে তারা প্রভাব বিস্তার করে থাকে। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে। আর যন্ত্রে এনআইডি পাঞ্চ করে ভোটার হওয়ার উপযুক্ততা জানা গেলে ভালো হয়। কারণ ভোটার তালিকা হওয়ার ছয় মাস পর অনেকেরই বয়স ১৮ বছর হয়ে যায়। এতে তাঁরা ভোট দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মোস্তাফিজ শফি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে পারলে দলীয় সরকারের অধীনে যে সমস্যা হয়, তার ৮০ শতাংশ থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব। এটা সবার আগে ভাবতে হবে। এর সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনকেও ভাবতে হবে। তাদের প্রস্তাব সরকারের পাশাপাশি যেন গণমাধ্যমকেও দেওয়া হয়, যাতে দলগুলো বা অন্তর্বর্তী সরকার কতটুকু মানল, তা জানা যায়।
বিগত তিন কমিশনের কাছে তাদের আয়োজিত নির্বাচন নিয়ে কৈফিয়ত চাওয়ার প্রস্তাব দেন ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মোর্তজা। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন ভালো করার জন্য অতীতের তিন কমিশনের প্রধানের (সিইসি) সঙ্গে বসে প্রকৃত তথ্য জানা দরকার। যে সম্পাদকেরা বলেছিলেন, নির্বাচন ভালো হয়েছিল, তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসা করা হোক, কেন তাঁরা সে কথা বলেছিলেন। নির্বাচনী অপরাধের জন্য বড় শাস্তির সুপারিশ থাকা দরকার। গোলাম মোর্তজা তিন সিইসির কাছে ‘ভোটারবিহীন নির্বাচন’, ‘রাতের ভোট’, ‘ভোটারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া’ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করার তাগিদ দেন।
এ ছাড়া বৈঠকে কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনিয়মের বিষয়ে শুনতে গত তিন নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার কমিশন ডাকবে কি না জানতে চাইলে কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সাবেক তিন কমিশন নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আবার পর্যালোচনা করছি। নির্বাচনী অপরাধগুলো তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। আর এসব যাতে ভবিষ্যতে না হয়, তা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। গত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করে ওই শিক্ষা নিয়ে আমরা প্রস্তাব করব।’
ডাকলেও সাবেক ওই সব নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের আসার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেন বদিউল আলম। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উনারা কি আসবেন? আমার তো মনে হয় না। আমরা বিবেচনায় নেব।’
পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক
বিকেলে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পর সংস্কার কমিশনের সদস্য আব্দুল আলীম বলেন, স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার মূল বিষয় ছিল নিবন্ধনসহ তাঁদের মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জগুলো। তিনি বলেন, তাঁদের তহবিল রাজস্ব খাত থেকে এলে ভালো হয় বলে মত এসেছে। এ ছাড়া নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রসহ সর্বত্র বিনা বাধায় প্রবেশাধিকার কামনা করা হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের আরেকটি চাওয়া নির্বাচনের পরে তাঁদের প্রতিবেদনগুলো যেন কমিশন কাজে লাগায়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
বৈঠক শেষে অপেক্ষমাণ গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ও সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। এ সময় প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, ‘অনাবাসী হয়ে জনপ্রতিনিধিত্ব করা যাবে না, এ প্রস্তাব দিয়েছি। কেউ ঢাকায় বাস করে খাগড়াছড়ি বা দিনাজপুরের প্রতিনিধিত্ব করবেন না। এটা সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকে বঞ্চিত করা হয়। ভোটে টাকার খেলা বন্ধে রাষ্ট্রীয় খরচে নির্বাচনী প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। নারী আসনে সরাসরি ভোট হতে পারে চক্রাকার পদ্ধতিতে। অথবা তিনটি আসন মিলে একটি নারী আসন হবে, যেখানে সরাসরি নির্বাচন হবে।’
আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে অতীতে যেভাবে নির্বাচন প্রভাবিত করতে দেখেছি, সেই সুযোগ যেন না থাকে। আলোচনায় গণমাধ্যমকে গুরুত্ব দিয়ে এর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হলে অনেক আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য আইনের পরিমার্জন, পরিবর্তন করতে হবে। আর সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন এই সময়ে সম্ভব না। এটা সংসদের মাধ্যমে করতে হবে। কেননা, সেখান থেকে করতে না পারলে কার্যকর হবে না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর জোর দিয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, নির্বাচন কমিশন যতই শক্তিশালী হোক, দলীয় সরকারের অধীনে ভোট হলে তারা প্রভাব বিস্তার করে থাকে। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে। আর যন্ত্রে এনআইডি পাঞ্চ করে ভোটার হওয়ার উপযুক্ততা জানা গেলে ভালো হয়। কারণ ভোটার তালিকা হওয়ার ছয় মাস পর অনেকেরই বয়স ১৮ বছর হয়ে যায়। এতে তাঁরা ভোট দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মোস্তাফিজ শফি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে পারলে দলীয় সরকারের অধীনে যে সমস্যা হয়, তার ৮০ শতাংশ থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব। এটা সবার আগে ভাবতে হবে। এর সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনকেও ভাবতে হবে। তাদের প্রস্তাব সরকারের পাশাপাশি যেন গণমাধ্যমকেও দেওয়া হয়, যাতে দলগুলো বা অন্তর্বর্তী সরকার কতটুকু মানল, তা জানা যায়।
বিগত তিন কমিশনের কাছে তাদের আয়োজিত নির্বাচন নিয়ে কৈফিয়ত চাওয়ার প্রস্তাব দেন ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মোর্তজা। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন ভালো করার জন্য অতীতের তিন কমিশনের প্রধানের (সিইসি) সঙ্গে বসে প্রকৃত তথ্য জানা দরকার। যে সম্পাদকেরা বলেছিলেন, নির্বাচন ভালো হয়েছিল, তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসা করা হোক, কেন তাঁরা সে কথা বলেছিলেন। নির্বাচনী অপরাধের জন্য বড় শাস্তির সুপারিশ থাকা দরকার। গোলাম মোর্তজা তিন সিইসির কাছে ‘ভোটারবিহীন নির্বাচন’, ‘রাতের ভোট’, ‘ভোটারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া’ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করার তাগিদ দেন।
এ ছাড়া বৈঠকে কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনিয়মের বিষয়ে শুনতে গত তিন নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার কমিশন ডাকবে কি না জানতে চাইলে কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সাবেক তিন কমিশন নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আবার পর্যালোচনা করছি। নির্বাচনী অপরাধগুলো তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। আর এসব যাতে ভবিষ্যতে না হয়, তা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। গত তিন নির্বাচন পর্যালোচনা করে ওই শিক্ষা নিয়ে আমরা প্রস্তাব করব।’
ডাকলেও সাবেক ওই সব নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের আসার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেন বদিউল আলম। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উনারা কি আসবেন? আমার তো মনে হয় না। আমরা বিবেচনায় নেব।’
পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক
বিকেলে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পর সংস্কার কমিশনের সদস্য আব্দুল আলীম বলেন, স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার মূল বিষয় ছিল নিবন্ধনসহ তাঁদের মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জগুলো। তিনি বলেন, তাঁদের তহবিল রাজস্ব খাত থেকে এলে ভালো হয় বলে মত এসেছে। এ ছাড়া নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রসহ সর্বত্র বিনা বাধায় প্রবেশাধিকার কামনা করা হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের আরেকটি চাওয়া নির্বাচনের পরে তাঁদের প্রতিবেদনগুলো যেন কমিশন কাজে লাগায়।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
৫ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
৬ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের উপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন সাময়িকী টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছে, তিনি ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ম
১৪ ঘণ্টা আগে