ফিরে দেখা ২০২৪
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারকে সহায়তা করেছিল, দায়িত্ব নিয়েই তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত সরকারের সময় বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার পথ তৈরি করে দিলেও স্বস্তিতে ছিল না সরকার। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আন্তক্যাডার দ্বন্দ্ব আরও দানা বেঁধেছে।
বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়েও জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা প্রাণ দিলেও সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে সুবিধা আদায় করে নেন আমলারা। এক্ষেত্রে নিজেদের বঞ্চিত হিসেবে সামনে রাখেন তারা। এই প্রশাসনে যেসব কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন, তারাও নিজেদের বঞ্চিতদের সারিতে রেখে সুবিধার ভাগীদার হয়েছেন। বছরের শুরুতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও সব থেকে বেশি সুবিধা পেয়েছেন এই আমলারা।
নতুন সরকার গঠনের পর তড়িঘড়ি প্রশাসন সাজাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার। ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে অনেকগুলো প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়। অনিয়ম-দুর্নীতিতে অভিযুক্তরাও বঞ্চিত শ্রেণিতে সুবিধা আদায় করে নেন। নানা ক্ষেত্রে সরকারের সমন্বয়হীনতা অনেকের চোখে পড়ে। সরকার গঠনের পর সব ডিসিকে প্রত্যাহার করা হয়। নতুন ডিসি পদায়ন নিয়ে সচিবালয়ে কর্মকর্তারা নজিরবিহীন হট্টগোল করেন, এ জন্য সাজাও পান কয়েকজন।
গত সরকারের সময় পদোন্নতি বঞ্চিত থেকে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারা আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এসব আবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে পরে সরকার কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি ৭৬৪ জনকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতিসহ আর্থিক সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এখন ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির প্রজ্ঞাপনের দাবিতে বঞ্চিতরা মাঝেমধ্যেই সচিবালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
গত সরকারের সময় সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া বেশিরভাগ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়; বাতিল করা হয় সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। অনেককে পাঠানো হয় বাধ্যতামূলক অবসরে। অন্যদিকে অনেক আগে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়ায় নিয়মিত কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ।
উপসচিব পুলের কোটা এবং পদোন্নতির প্রক্রিয়া নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রস্তাব ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো প্রশাসন। প্রশাসন ক্যাডারের বিপরীতমুখী অবস্থানে গিয়ে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা সারা দেশে কলমবিরতি ও মানববন্ধন করেন। আর প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে নজিরবিহীন অবস্থান কর্মসূচি এবং ঢাকায় সভা করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং জনপ্রশাসন সচিবকে হুঁশিয়ারি দেন। ফলে আন্তক্যাডার দ্বন্দ্ব আরও প্রকট আকার ধারণ করে। নতুন সরকার গঠনের পর দাবি আদায়ে আনসার সদস্য এবং শিক্ষার্থীরাও সচিবালয় ঘেরাও করে। ২৫ ক্যাডারের উপসচিবেরা পদোন্নতির দাবিতে কয়েক দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন; নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা পদোন্নতির দাবি জানান।
বিধি বহির্ভূতভাবে যারা আন্দোলন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সরকারের একজন উপদেষ্টা। ফলে এই সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে যারা গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, তাদেরও অনেকেই এখন স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না।
জনপ্রশাসনে অস্থিরতার মধ্যেও অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ বছর করেছে। বিসিএসসহ সব ধরনের সরকারি চাকরির পরীক্ষা ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা করা হয়েছে। বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। সব সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বছরের শেষ দিকে ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে সচিবালয়ের একটি ভবনের চারটি ফ্লোর। নতুন বছরে জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা কতটুকু ফেরে সেই দিকেই চোখ রাখবেন অনেকে।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারকে সহায়তা করেছিল, দায়িত্ব নিয়েই তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত সরকারের সময় বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার পথ তৈরি করে দিলেও স্বস্তিতে ছিল না সরকার। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আন্তক্যাডার দ্বন্দ্ব আরও দানা বেঁধেছে।
বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়েও জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা প্রাণ দিলেও সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে সুবিধা আদায় করে নেন আমলারা। এক্ষেত্রে নিজেদের বঞ্চিত হিসেবে সামনে রাখেন তারা। এই প্রশাসনে যেসব কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন, তারাও নিজেদের বঞ্চিতদের সারিতে রেখে সুবিধার ভাগীদার হয়েছেন। বছরের শুরুতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও সব থেকে বেশি সুবিধা পেয়েছেন এই আমলারা।
নতুন সরকার গঠনের পর তড়িঘড়ি প্রশাসন সাজাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার। ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে অনেকগুলো প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়। অনিয়ম-দুর্নীতিতে অভিযুক্তরাও বঞ্চিত শ্রেণিতে সুবিধা আদায় করে নেন। নানা ক্ষেত্রে সরকারের সমন্বয়হীনতা অনেকের চোখে পড়ে। সরকার গঠনের পর সব ডিসিকে প্রত্যাহার করা হয়। নতুন ডিসি পদায়ন নিয়ে সচিবালয়ে কর্মকর্তারা নজিরবিহীন হট্টগোল করেন, এ জন্য সাজাও পান কয়েকজন।
গত সরকারের সময় পদোন্নতি বঞ্চিত থেকে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারা আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এসব আবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে পরে সরকার কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি ৭৬৪ জনকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতিসহ আর্থিক সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এখন ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির প্রজ্ঞাপনের দাবিতে বঞ্চিতরা মাঝেমধ্যেই সচিবালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
গত সরকারের সময় সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া বেশিরভাগ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়; বাতিল করা হয় সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। অনেককে পাঠানো হয় বাধ্যতামূলক অবসরে। অন্যদিকে অনেক আগে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়ায় নিয়মিত কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ।
উপসচিব পুলের কোটা এবং পদোন্নতির প্রক্রিয়া নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রস্তাব ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো প্রশাসন। প্রশাসন ক্যাডারের বিপরীতমুখী অবস্থানে গিয়ে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা সারা দেশে কলমবিরতি ও মানববন্ধন করেন। আর প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে নজিরবিহীন অবস্থান কর্মসূচি এবং ঢাকায় সভা করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং জনপ্রশাসন সচিবকে হুঁশিয়ারি দেন। ফলে আন্তক্যাডার দ্বন্দ্ব আরও প্রকট আকার ধারণ করে। নতুন সরকার গঠনের পর দাবি আদায়ে আনসার সদস্য এবং শিক্ষার্থীরাও সচিবালয় ঘেরাও করে। ২৫ ক্যাডারের উপসচিবেরা পদোন্নতির দাবিতে কয়েক দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন; নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা পদোন্নতির দাবি জানান।
বিধি বহির্ভূতভাবে যারা আন্দোলন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সরকারের একজন উপদেষ্টা। ফলে এই সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে যারা গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, তাদেরও অনেকেই এখন স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না।
জনপ্রশাসনে অস্থিরতার মধ্যেও অন্তর্বর্তী সরকার সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ বছর করেছে। বিসিএসসহ সব ধরনের সরকারি চাকরির পরীক্ষা ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা করা হয়েছে। বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। সব সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বছরের শেষ দিকে ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে সচিবালয়ের একটি ভবনের চারটি ফ্লোর। নতুন বছরে জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা কতটুকু ফেরে সেই দিকেই চোখ রাখবেন অনেকে।
প্রধান উপদেষ্টার সম্প্রতি চীন সফরের ফলাফল পর্যালোচনা এবং বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতা দ্রুততর করতে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁরা এ সাক্ষাৎ করেন।
৩ ঘণ্টা আগেএজেন্সিগুলোর গাফিলতির কারণে চলতি বছর প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ব্যক্তির হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পর তৎপরতা বাড়িয়েছে এজেন্সিগুলো। এতে অনিশ্চয়তা প্রায় কেটে গেছে। হজযাত্রীদের ভিসাপ্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর মহাপরিচালক পদে (২০২৫-২৯) মেক্সিকোর প্রার্থী গ্যাব্রিয়েলা রামোস পাটিনা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মেক্সিকোর অনাবাসিক
৪ ঘণ্টা আগেজুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আবেদনটি আগামী ১৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির...
৫ ঘণ্টা আগে