সৌদি আরবে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য নতুন বিমা, মিলবে বকেয়া বেতন ও ফিরতি ফ্লাইটের টিকিট 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩: ৫২
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৪: ৪৫

আর্থিক জটিলতায় থাকা বেসরকারি কোম্পানির প্রবাসী শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের জন্য নতুন বিমা পলিসি চালু করেছে সৌদি আরব। এর আওতায় প্রবাসী কর্মীদের বকেয়া বেতন ও ফিরতি ফ্লাইটের টিকিটের ব্যবস্থা থাকবে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সৌদি গ্যাজেট এ তথ্য জানিয়েছে।

সৌদি গ্যাজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির বিমা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় দেশটির  মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণলয় বিমা পণ্য চালু করেছে। প্রবাসী কর্মীদের সুরক্ষা দেওয়া এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে বেতন দিতে কোম্পানির অপারগতার ক্ষেত্রে আর্থিক অধিকার বঞ্চিত হওয়ার প্রভাব মোকাবিলা এই উদ্যোগের লক্ষ্য।

গত ৬ অক্টোবর থেকে বিমা পলিসির আওতাভুক্ত প্রবাসী কর্মীদের জন্য এই বিমা সুবিধা চালু হয়েছে বলে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। 

তাতে বলা হয়, সৌদি বিমা কোম্পানিগুলো এই বিমা পরিচালনা করবে। এর আওতায় নিয়োগকর্তারা বেতনের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে ব্যর্থ হলে বিমা কোম্পানি প্রবাসী শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করবে। তবে বিমা পলিসিতে বর্ণিত শর্তাবলি এবং প্রাসঙ্গিক বিধান ও পদ্ধতি মেনে এ সুবিধা দেওয়া হবে।

মন্ত্রণালয় বলেছে, এই বিমা সুবিধার আওতায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মীদের জন্য ফিরতি ফ্লাইটের টিকিট দেওয়া হবে।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে সৌদি আরবে বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মী গেছে ৬ লাখের বেশি। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে গত তিন বছরে শ্রমিক যাওয়ার সংখ্যা প্রায় চার গুণ বেড়েছে। তবে সেই তুলনায় রেমিট্যান্স আয় বাড়ছে না।

২০২০-২১ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ সালে তা ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় হুন্ডির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রত্যাশা অনুযায়ী চাকরি না পাওয়া, প্রতারণার শিকার হওয়াকে কারণ হিসেবে ধরা হয়।

সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি আছেন। গত কয়েক বছরের মধ্যে যাঁরা গেছেন, তাঁরা মূলত নির্মাণশ্রমিক, প্ল্যান্টেশন, কৃষি, সার্ভিস বা উৎপাদন খাতে কাজ করেন ৷ তাঁদের অধিকাংশই অদক্ষ শ্রমিক। এ কারণে মজুরির দিক থেকেও তাঁরা বেশ পিছিয়ে। 

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ২০১৯ সালের তথ্যমতে, একজন বাংলাদেশি কর্মী প্রতি মাসে যেখানে গড়ে ২০৩ ডলার দেশে পাঠাতে পারেন, সেখানে একজন ফিলিপিনো পাঠান ৫৪৬ ডলার।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত