নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘যেভাবে র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, এটা অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। এ জন্য সরকার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
আজ রোববার সচিবালয়ে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তথ্য অধিদপ্তরের বিশেষ প্রকাশনা ‘মা ও শিশু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আশা করছি এ ক্ষেত্রে তারা আমাদের সেন্টিমেন্ট অনুধাবন করতে সমর্থ হবে। কারণ আমরা মনে করি, কোনো ধরনের যোগাযোগ ছাড়া হঠাৎ করে এভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘিত হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, এ ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই থাক। আমাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক, সেটির ওপর এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী এবং নানাভাবে আমাদের জাতির অগ্রগতিতে সহযোগিতা করে আসছে। সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ট্যাকটিক্যাল সহযোগিতা রয়েছে। তাদের সেই সহযোগিতা নিয়েই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো উপকৃত হয়েছে।
‘যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। তাদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ক্রমাগতভাবে বছরের পর বছর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। তাদের হেফাজতে যে মৃত্যু হয়, সেগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা রয়েছে। গুয়ানতানামো বে-তে বন্দীদের ওপর নির্যাতন করা হয়, সেগুলো নিয়ে বহু প্রতিবেদন বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত হয়েছে, সেটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদ হয়েছে, এখনো হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় অভিবাসীরা যখন সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেছে, তখন মা-বাবার কাছ থেকে যেভাবে শিশুদের আলাদা করে রাখা হয়েছে, সেটি অন্য কোনো দেশে হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ হয়েছে। ফ্রয়েডকে দিনের বেলায় গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে হত্যা করা হয়েছে, এমন ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি। আমাদের দেশে জঙ্গি দমনের সময় এনকাউন্টারে অনেক জঙ্গি মারা যায়। বোস্টনে যখন বোমা হামলা হয়, এরপর তাদেরও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো বড় দেশ ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা দেয় কি না, সেটি দেখার বিষয়।’
জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবে জনগণ। কোন দেশ কার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল, সেটি জনগণের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, কিন্তু ইসরাইলের কোনো কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দেখিনি। যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক, ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, সেসব দেশের কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দেখিনি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা মনে করি দিজ অ্যাকশন ইজ মিস লিডেড। কারণ আমাদের দেশের কিছু এনজিও, কিছু ব্যক্তিবিশেষ ক্রমাগতভাবে বিভিন্ন জায়গায় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বিভিন্ন দেশে ভুলভাবে তথ্যউপাত্ত সরবরাহ করে। ফেব্রিকেটেড, মিসলিডেড তথ্য-উপাত্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মনে করি।’
‘যেভাবে র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, এটা অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। এ জন্য সরকার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
আজ রোববার সচিবালয়ে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তথ্য অধিদপ্তরের বিশেষ প্রকাশনা ‘মা ও শিশু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আশা করছি এ ক্ষেত্রে তারা আমাদের সেন্টিমেন্ট অনুধাবন করতে সমর্থ হবে। কারণ আমরা মনে করি, কোনো ধরনের যোগাযোগ ছাড়া হঠাৎ করে এভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘিত হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, এ ঘটনা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই থাক। আমাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক, সেটির ওপর এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী এবং নানাভাবে আমাদের জাতির অগ্রগতিতে সহযোগিতা করে আসছে। সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ট্যাকটিক্যাল সহযোগিতা রয়েছে। তাদের সেই সহযোগিতা নিয়েই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো উপকৃত হয়েছে।
‘যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। তাদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ক্রমাগতভাবে বছরের পর বছর মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। তাদের হেফাজতে যে মৃত্যু হয়, সেগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা রয়েছে। গুয়ানতানামো বে-তে বন্দীদের ওপর নির্যাতন করা হয়, সেগুলো নিয়ে বহু প্রতিবেদন বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত হয়েছে, সেটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদ হয়েছে, এখনো হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় অভিবাসীরা যখন সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেছে, তখন মা-বাবার কাছ থেকে যেভাবে শিশুদের আলাদা করে রাখা হয়েছে, সেটি অন্য কোনো দেশে হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ হয়েছে। ফ্রয়েডকে দিনের বেলায় গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে হত্যা করা হয়েছে, এমন ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেনি। আমাদের দেশে জঙ্গি দমনের সময় এনকাউন্টারে অনেক জঙ্গি মারা যায়। বোস্টনে যখন বোমা হামলা হয়, এরপর তাদেরও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো বড় দেশ ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা দেয় কি না, সেটি দেখার বিষয়।’
জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবে জনগণ। কোন দেশ কার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল, সেটি জনগণের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, কিন্তু ইসরাইলের কোনো কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দেখিনি। যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভালো সম্পর্ক, ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, সেসব দেশের কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে দেখিনি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা মনে করি দিজ অ্যাকশন ইজ মিস লিডেড। কারণ আমাদের দেশের কিছু এনজিও, কিছু ব্যক্তিবিশেষ ক্রমাগতভাবে বিভিন্ন জায়গায় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বিভিন্ন দেশে ভুলভাবে তথ্যউপাত্ত সরবরাহ করে। ফেব্রিকেটেড, মিসলিডেড তথ্য-উপাত্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে মনে করি।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
৮ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করবে বলে জানিয়েছেন কমিশনটির প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘যদি কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশের খসড়া প্রকাশ করা সম্ভব হবে। সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে দে
৮ ঘণ্টা আগেজাপান বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি জানান, জাপান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে