নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এ সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা অবলম্বন করা হয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ‘প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ সম্পর্কে পর্যালোচনা ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম। তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর মতো কালো আইন বাতিল করে এ-বিষয়ক অধ্যাদেশ প্রণয়ন এবং এর জন্য বর্তমান সরকার গত কয়েক মাসে কয়েকটি খসড়া প্রকাশ করে, সেখানে জনসাধারণকে মতামত দেওয়ার জন্য যে সুযোগ করে দিয়েছে, সেই প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র মারফত আমরা জেনেছি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। আমরা গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, জনসাধারণের মতামত দেওয়ার জন্য আলোচ্য অধ্যাদেশের যে খসড়া প্রচার করা হয়েছিল, তার বাইরে অনুমোদন পাওয়া অধ্যাদেশে এমন নতুন অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আইন প্রণয়নের সাধারণ চর্চার পরিপন্থী। ব্যাপারটিকে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
এরশাদুল করিম আরও বলেন, ‘অধ্যাদেশের সাধারণ পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আমরা মনে করি, এই অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা, সাইবার অপরাধ, সাইবার সুরক্ষা এবং মানুষের মত প্রকাশের অধিকার সম্পর্কিত বিধানগুলো একত্র করে ফেলেছে এবং অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কেবল কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিয়ে “জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি” গঠন প্রস্তাব করে ভবিষ্যতে এর প্রকৃত ও যথাযথ প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অধ্যাদেশে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়গুলো যথাযথভাবে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিবেচনা করার জন্য কমপক্ষে তিনটি আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যথা—১. কম্পিউটার বা সাইবার অপরাধ বা কম্পিউটার অপব্যবহার আইন, যেখানে কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের অপরাধ-সম্পর্কিত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২. সাইবার নিরাপত্তা, যা মূলত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোগুলো তথ্যব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে বিধান করে প্রণীত হবে এবং ৩. অনলাইন সুরক্ষায় আইন, যা অনলাইনে বা সাইবার জগতে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিধান অন্তর্ভুক্ত করবে।’
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে প্রথম দুটি বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কোনো দ্বিমত বা সমালোচনা হয় না বিধায় আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এই আইনগুলো প্রথমে করে ফেলা যেতে পারে। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো কিছুটা জটিল এবং সংবেদনশীল বলে ওই বিষয়ক আইন করার আগে সরকার ও নীতিনির্ধারকদের উচিত তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত করে তাদের মতামত নিয়ে তারপর আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা।’
সরকারি তথ্য, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক তথ্য ও জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আইনি কাঠামো ঠিক করা না হলে সাইবার সুরক্ষার বিষয়টি কোনোভাবেই সম্পূর্ণ হবে না উল্লেখ করে এরশাদুল করিম বলেন, ‘এ কারণে আমরা মনে করি যে, এই অধ্যাদেশকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারার অসংগতি তুলে ধরা হয়। ধারা-৪৬ সম্পর্কে বলা হয়, এই ধারার অধীনে ধারা ১৯-কে আমলযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, ধারা ১৯ (১)-এর দফা (ঙ) ও (চ) পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এই বিধান গুলোতে অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য বিরক্তিকর হতে পারে, কিন্তু এগুলো সাধারণত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা সাইবার জগতের ভৌত অবকাঠামোর ক্ষতি সাধন করে না বলে, এগুলোকে ভিন্ন অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এগুলোও অ-আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য করা যুক্তিযুক্ত।
ধারা ৪৭ সম্পর্কে বলা হয়, তাত্ত্বিকভাবে সাইবার জগৎ বলতে আমরা সাধারণত একটি কাল্পনিক জগৎকে বুঝে থাকি, সে কারণে এই ধারায় ব্যবহৃত ‘সাইবার উপকরণ’ বলতে যে বিষয়টির অবতারণা করা হয়েছে, তা না বলে শুধু ‘উপকরণ’ বলা যেতে পারে এবং তা বলা হলে এই ধারার মূল বক্তব্যে কোনো হেরফের হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিল করে এর পরিবর্তে নতুন একটি অধ্যাদেশ করার উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আইন অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় তড়িঘড়ি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটা আমরা সমর্থন করি না।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে আমাদের আপত্তি আছে। এ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা এমনটা আশা করি না। এ ধরনের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আইন কমিশনকে কেন এখানে সম্পৃক্ত করা হলো না?’
অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা একটা জগাখিচুড়ি আইন হয়েছে, যার ফলে সাইবার সুরক্ষার নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাই। অধিকারভিত্তিক কিছু আমরা এই অধ্যাদেশে দেখতে পাই না। বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এটা জনস্বার্থের প্রতিফলন করবে না, বরং বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে বলে আমরা মনে করি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এ সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা অবলম্বন করা হয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ‘প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ সম্পর্কে পর্যালোচনা ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম। তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর মতো কালো আইন বাতিল করে এ-বিষয়ক অধ্যাদেশ প্রণয়ন এবং এর জন্য বর্তমান সরকার গত কয়েক মাসে কয়েকটি খসড়া প্রকাশ করে, সেখানে জনসাধারণকে মতামত দেওয়ার জন্য যে সুযোগ করে দিয়েছে, সেই প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র মারফত আমরা জেনেছি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। আমরা গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, জনসাধারণের মতামত দেওয়ার জন্য আলোচ্য অধ্যাদেশের যে খসড়া প্রচার করা হয়েছিল, তার বাইরে অনুমোদন পাওয়া অধ্যাদেশে এমন নতুন অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আইন প্রণয়নের সাধারণ চর্চার পরিপন্থী। ব্যাপারটিকে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
এরশাদুল করিম আরও বলেন, ‘অধ্যাদেশের সাধারণ পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আমরা মনে করি, এই অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা, সাইবার অপরাধ, সাইবার সুরক্ষা এবং মানুষের মত প্রকাশের অধিকার সম্পর্কিত বিধানগুলো একত্র করে ফেলেছে এবং অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কেবল কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিয়ে “জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি” গঠন প্রস্তাব করে ভবিষ্যতে এর প্রকৃত ও যথাযথ প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অধ্যাদেশে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়গুলো যথাযথভাবে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিবেচনা করার জন্য কমপক্ষে তিনটি আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যথা—১. কম্পিউটার বা সাইবার অপরাধ বা কম্পিউটার অপব্যবহার আইন, যেখানে কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের অপরাধ-সম্পর্কিত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২. সাইবার নিরাপত্তা, যা মূলত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোগুলো তথ্যব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে বিধান করে প্রণীত হবে এবং ৩. অনলাইন সুরক্ষায় আইন, যা অনলাইনে বা সাইবার জগতে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিধান অন্তর্ভুক্ত করবে।’
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে প্রথম দুটি বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কোনো দ্বিমত বা সমালোচনা হয় না বিধায় আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এই আইনগুলো প্রথমে করে ফেলা যেতে পারে। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো কিছুটা জটিল এবং সংবেদনশীল বলে ওই বিষয়ক আইন করার আগে সরকার ও নীতিনির্ধারকদের উচিত তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত করে তাদের মতামত নিয়ে তারপর আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা।’
সরকারি তথ্য, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক তথ্য ও জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আইনি কাঠামো ঠিক করা না হলে সাইবার সুরক্ষার বিষয়টি কোনোভাবেই সম্পূর্ণ হবে না উল্লেখ করে এরশাদুল করিম বলেন, ‘এ কারণে আমরা মনে করি যে, এই অধ্যাদেশকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারার অসংগতি তুলে ধরা হয়। ধারা-৪৬ সম্পর্কে বলা হয়, এই ধারার অধীনে ধারা ১৯-কে আমলযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, ধারা ১৯ (১)-এর দফা (ঙ) ও (চ) পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এই বিধান গুলোতে অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য বিরক্তিকর হতে পারে, কিন্তু এগুলো সাধারণত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা সাইবার জগতের ভৌত অবকাঠামোর ক্ষতি সাধন করে না বলে, এগুলোকে ভিন্ন অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এগুলোও অ-আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য করা যুক্তিযুক্ত।
ধারা ৪৭ সম্পর্কে বলা হয়, তাত্ত্বিকভাবে সাইবার জগৎ বলতে আমরা সাধারণত একটি কাল্পনিক জগৎকে বুঝে থাকি, সে কারণে এই ধারায় ব্যবহৃত ‘সাইবার উপকরণ’ বলতে যে বিষয়টির অবতারণা করা হয়েছে, তা না বলে শুধু ‘উপকরণ’ বলা যেতে পারে এবং তা বলা হলে এই ধারার মূল বক্তব্যে কোনো হেরফের হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিল করে এর পরিবর্তে নতুন একটি অধ্যাদেশ করার উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আইন অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় তড়িঘড়ি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটা আমরা সমর্থন করি না।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে আমাদের আপত্তি আছে। এ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা এমনটা আশা করি না। এ ধরনের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আইন কমিশনকে কেন এখানে সম্পৃক্ত করা হলো না?’
অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা একটা জগাখিচুড়ি আইন হয়েছে, যার ফলে সাইবার সুরক্ষার নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাই। অধিকারভিত্তিক কিছু আমরা এই অধ্যাদেশে দেখতে পাই না। বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এটা জনস্বার্থের প্রতিফলন করবে না, বরং বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে বলে আমরা মনে করি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
দেশে বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৮৩। এসব নিরাময় কেন্দ্র সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগ ও অর্থায়নে পরিচালিত হয়। তবে প্রতি অর্থবছরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আবেদন সাপেক্ষে কিছু সরকারি অনুদান দিয়ে থাকে। পরিচালন ব্যয়ের তুলনায় সামান্য সেই অনুদান নিতে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা তদব
৩ ঘণ্টা আগেসারা দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে জুলাই-আগস্টে রক্ত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পতন ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের। কিন্তু এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এখনো ফেরেনি ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার। এ অবস্
১০ ঘণ্টা আগেনির্বাচন ভবনে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর গোয়েন্দা প্রতিবেদন চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ মঙ্গলবার ইসির সহকারী সচিব (জনবল ব্যবস্থাপনা শাখা-১) মোহাম্মদ শাহীনুর রহমান এ-সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করেন।
১২ ঘণ্টা আগেভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালে হতাহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এই অভিযোগ দাখিল করেন ওই সময় নিহত আসাদুল্লাহ রাতিনের বাবা মো. শফিকুল ইসলাম।
১২ ঘণ্টা আগে