আমি তো শীর্ষ সন্ত্রাসীর মা...

বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২১, ০৯: ০০
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ৩২

ঘণ্টা দুয়েক বসিয়ে রেখে রাত ১০টার পর কথা বলতে রাজি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান, নামকরা চিকিৎসক সুলতানা জাহান। একে একে সব রোগী বিদায় করলেন, তারপর ডাকলেন আমাকে। দেখি, বিশাল ঘরটার এক কোণে তিনি একাই বসে।

ষাটোর্ধ্ব এই নারীকে প্রথম দেখায় বেশ হকচকিয়ে গেলাম। চোখধাঁধানো নীল ক্রেপ জর্জেটের শাড়ির সঙ্গে সোনালি ফ্রেমের চশমা, কানে মোটিফ দেওয়া সোনার দুল। গলায় সীতাহার কিংবা নেকলেস, কানের সঙ্গে মিল করা হাতের বালা। ঠোঁটে গ্লসি লিপস্টিক, আলোয় চিকচিক করছে। রোজকার জীবনে এরকম সাজ কিছুটা অস্বাভাবিক। দেখে মনে হতে পারে, এইমাত্র বিয়েবাড়ি থেকে এলেন।

অনভ্যস্ত চোখে একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কোনো অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বুঝি?

মুচকি হাসলেন, বললেন সাজগোজ দেখে বলছেন? আমি সব সময় এ রকমই সাজি। সাজলে মন ভালো থাকে। এবার বলেন, আপনি কী জানতে চান?

সামনের চেয়ারটা টেনে বসতে বসতে বললাম, আপনার ছেলে সম্পর্কে জানতে এসেছি।

হাসি হাসি মুখটা মুহূর্তে কালো হয়ে গেল। ভ্রু কুঁচকে তাকালেন, চোখমুখে বিরক্তির ছাপ। চুপচাপ কিছুক্ষণ। কিছুই বলছেন না, আমিও নীরব। এ রকম পিনপতন নীরবতা ভেঙে হঠাৎ বেশ উচ্চৈঃস্বরে বলে উঠলেন, ‘সাংবাদিক সাহেব, আপনি নিষ্ঠুরতা দেখেছেন? নিষ্ঠুরতা!’

কী বলব বুঝতে পারছি না, হাঁ করে তাকিয়ে আছি।

তিনিও আমার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করলেন না, বলতে থাকলেন। ‘ধরেন, এই ঘরটাতে আপনাকে রোজ বেঁধে মারধর করা হবে। ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো হবে। পা ওপরের দিকে তুলে বেঁধে রাখা হবে। কান ধরে চার ঘণ্টা এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। পারবেন সহ্য করতে?’

আমি বললাম, না, অসম্ভব!

এবার একটু উত্তেজিত গলায় বললেন, ‘এটা আমার পরিবারে হয়েছে, ভাবতে পারেন? আমার পরিবার মানে আমার নিজের ঘরে। এক দিন-দুই দিন নয়, দিনের পর দিন।’

বলতে বলতে কাঁদতে শুরু করলেন। চোখের পানিতে মুখের মেকআপ গলে পড়ছে। আমি টেবিল থেকে টিস্যু বক্সটা সামনে এনে ধরি। তিনি দুই হাতে মুখ ঢেকে বেশ জোরে কেঁদে ওঠেন। বললেন, ‘আমি তো মা। কাকে বলব এ কথা?’

একটু শান্ত হলে আমি জানতে চাইলাম, কে এটা করেছে?

–‘আপনি যার সম্পর্কে জানতে এসেছেন, সে এই নির্মমতা চালিয়েছে তার আপন ভাইয়ের ওপর। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস।’

তো আপনারা সব দেখে চুপ থাকলেন?

‘দেখুন, আমরা স্বামী–স্ত্রী দুজনেই ডাক্তার, নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে দিনরাত ব্যস্ত থেকেছি। কোনো দিন সংসারের দিকে তাকানোর সময় পাইনি। যখন তাকালাম, তখন সব শেষ। ভাইয়ের হাতে মার খেতে খেতে আমার এক ছেলে অপ্রকৃতিস্থ হয়ে গেল।’ তিনি আর বলতে পারছেন না। গলা ধরে আসছে। এরপর কিছুক্ষণ চুপচাপ। এরপর আমাকে বসিয়ে রেখে খাসকামরায় গেলেন। ফিরে এলেন হাতে টাওয়াল নিয়ে। দেখি মুখে কোনো মেকআপ নেই। গলার ভারী গয়নাটাও নেই। এই সুলতানা জাহান একেবারে ভিন্ন এক মানুষ।

‘আপনি ইমন সম্পর্কে কতটা জানেন? প্রশ্ন করলেন সুলতানা জাহান। বললাম, পুলিশ ফাইলে যা আছে, সেটুকুই।

‘জানেন, ইমন কত নিষ্ঠুর! সে শুধু নিজের ভাইকেই মারেনি। প্রতিপক্ষ ভেবে নিজের বোনের স্বামীকে মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। জেলের ভেতরে তাঁকে মারধর করিয়েছে। তার জন্য আমাদের বারবার হেনস্তা হতে হয়েছে। অফিসের লোকজন আমাকে চেনে শীর্ষ সন্ত্রাসীর মা হিসেবে। এটা কি কোনো মায়ের পরিচয় হতে পারে?’

বললাম, এটা কেন হলো?

সুলতানা জাহান একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লেন, বললেন, ‘এসএসসি পাসের পর তাকে একটা মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলাম। সেটাই আমার কাল হলো। ওই মোটরসাইকেলের কারণেই সন্ত্রাসী হয়ে গেল ইমন। আরেকটি কথা বলি, ছোটবেলা থেকেই ইমন খুব ঠান্ডা মাথায় অন্যায় কাজ করত। তার মিথ্যে কথা সত্যির চেয়েও শক্ত। অনেক সময় আমি নিজেও গুলিয়ে ফেলেছি।’

–তো এখন কি আপনার সঙ্গে সম্পর্ক আছে?

‘সম্পর্ক সেই অর্থে নেই। কিন্তু নিজের সন্তান তো, পেটে ধরেছি—অস্বীকার করব কী করে?’

সুলতানা জাহানের সঙ্গে তাঁর ধানমন্ডির চেম্বারে বসে এই আলাপচারিতায় ততক্ষণে প্রায় ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে শুরু হলো ঝুম বৃষ্টি। বাইরে খোলা আকাশের নিচে আমার মোটরসাইকেল পার্ক করা। বৃষ্টিতে হেলমেট ভিজে গেছে। হেলমেট ছাড়া আমি বাইক চালাতে পারি না, কানে বাতাস লাগে। কিন্তু উঠতেও পারছি না। তিনি বলেই যাচ্ছেন। হাতের ডিজিটাল রেকর্ড অন করা, সবই ধারণ করা হচ্ছে তাতে।

এই আলাপচারিতা ছিল ২০০৮ সালের ১৬ মার্চের। এর কয়েক দিন আগে (৭ মার্চ, ২০০৮) সুলতানা জাহানের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয় কলকাতা পুলিশ। সেই থেকে কারাগারেই আছেন পুলিশের তালিকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন।

ঢাকায় ফিরিয়ে আনা ইমনকে সে সময় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিআইডি পুলিশ। সেই রিপোর্টের জন্যই সুলতানা জাহানের কাছে যাওয়া। শুরুতে তিনি কোনো কথা বলতে চাইছিলেন না। অনেক অনুরোধের পর রাজি হন।

পুলিশের তালিকাভুক্ত বা এর বাইরে বাংলাদেশে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়, তাদের বেশির ভাগই নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে আসা। সেই তুলনায় ইমন ব্যতিক্রম। তাঁর পরিবার উচ্চশিক্ষিত ও উচ্চবিত্ত। সন্ত্রাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খুনের অভিযোগ ছিল ইমনের বিরুদ্ধে। তাঁর সঙ্গে বিএনপি নেতা প্রয়াত নাসির উদ্দীন আহাম্মেদ পিন্টু ও আওয়ামী লীগের নেতা প্রয়াত মকবুল হোসেনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

সুলতানা জাহানের কথায় জানা গেল, চার ভাই এক বোনের মধ্যে ইমন তৃতীয়। বাবা মল্লিক আবদুল্লাহ হারুন মারা গেছেন অনেক আগে। সুলতানা জাহান ২০০৬ সালে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গাইনি ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অবসর নেন। ইমনের বড় ভাই সোহান অসুস্থ হয়ে মারা যান। আরেক ভাই সুমন শেরপুরে খুন হন প্রতিপক্ষের হাতে। ছোট ভাই লিমন যাঁকে ইমন মারধর করতেন, তিনি এখন ঘরবন্দী মানসিক রোগী। তাঁকে সব সময় বাসায় আটকে রাখা হয়। ছোট বোন মল্লিকা এখন মায়ের সঙ্গেই থাকেন।

ইমনকে বিয়ে করাননি—প্রশ্ন করতেই সুলতানা জাহান বললেন, ‘সন্ত্রাসীকে কে বিয়ে করবে?’

‘টিটনের নাম শুনেছেন?’ বললাম, শুনেছি। সুলতানা জাহান বললেন, ‘টিটনের ছোট বোন শাহনাজ পারভিন লীনাকে বিয়ে করেছিল '৯৬–৯৭ সালের দিকে। একটি ছেলে আছে।’

বললাম, নাতিকে দেখেছেন? কাছে রাখতে ইচ্ছে করেনি? একটা টানা নিঃশ্বাস ফেলে সুলতানা জাহান বললেন, ‘আমার জীবন তো স্বাভাবিক মানুষের জীবন না রে ভাই। কী করব?’

সুলতানা জাহান আমাকে বলেছিলেন, ইমন এসএসসি পাসের পর বখাটে হয়ে যান। তিনি এইচএসসিতে ভালো ফল করেননি। এরপর পড়াশোনা ছেড়ে পুরোপুরি সন্ত্রাসী হয়ে ওঠেন।

কীভাবে ইমন বাজে লোকদের পাল্লায় পড়লেন, তার প্রথম ঘটনাটি আপনার মনে আছে?

সুলতানা জাহান একটু থামলেন। এরপর বললেন, ‘এটা ’৯০–৯১ হবে। সম্ভবত ডিসেম্বর মাস। গলাকাটা সাত্তার নামের এক সন্ত্রাসীর সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে ঝগড়া হলো ইমনের। এরপর হঠাৎ শুনি কে বা কারা ইমনকে ছুরিকাঘাত করেছে। ইমন বলেছিল, রফিক ও পাং বাবু নাকি তাকে ছুরিকাঘাত করেছিল।

এরপর বেশ কয়েক দিন বাসায় ছিল। একটু সুস্থ হয়েই শুরু করল দৌড়াদৌড়ি। ছুরিকাঘাতের প্রতিশোধ নেবে। এই প্রতিশোধ নিতে গিয়ে একটার পর একটা ঘটনা ঘটতে থাকল। কয়েক দিন পর থেকে বাসায় পুলিশ আসা শুরু হলো। ইমন আর বাড়ি থাকে না। এই শুরু হলো পলাতক জীবন। সে জীবন আর শেষ হলো না। কখনো এখানে, কখনো ওখানে। কোনো ঠিকঠিকানা নেই। এই ঢাকায় তো পরের দিন কলকাতায়—এভাবেই এত দিন কাটছিল।’

আমি বললাম, আপনার সঙ্গে সর্বশেষ কবে দেখা হয়েছে? সুলতানা জাহান বললেন, ‘মাঝে মাঝে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করত। ১৯৯৭ সালে দিল্লিতে সরকারি সফরে গিয়েছিলাম। খবর পেয়ে সে কলকাতা থেকে দিল্লিতে হোটেলে আমার সঙ্গে দেখা করতে এল। আমি তাকে নিয়ে আজমির শরিফে গেলাম। খাজা বাবার মাজার ছুঁয়ে শপথ করাই সন্ত্রাসী কাজ না করার জন্য। কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কথা, পথ আর ছাড়ল না। এরপর ১০ বছর আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না। কাগজে দেখলাম, কলকাতা পুলিশ তাকে ফেরত দিয়েছে।’

ভারতে ইমনের জীবন কেমন ছিল, সেটা কি জানতেন? বা তাঁর বাড়িতে কখনো গিয়েছেন? সুলতানা জাহান বললেন, ‘আমি তো দিল্লি থেকেই চলে এসেছিলাম। কলকাতায় আর যাওয়া হয়নি। তবে কলকাতায় সে বউ নিয়ে থাকত, সেটা জানতাম। মাঝে মাঝে ফোন করত।’

ভারত থেকে ফেরত আনার পর মালিবাগ সিআইডি অফিসে ইমনকে অনেক দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন ইমন পুলিশকে বলেছিলেন, ২০০৭ সালের ৮ ডিসেম্বর কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিটের ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ঢাকায় এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলার সূত্র ধরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে ইমন কারাগারেই আছেন।

সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, ইমন ঢাকায় এক ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন। সেই ফোনের সূত্র ধরে ঢাকার সিআইডি পুলিশ বিষয়টি কলকাতা পুলিশকে জানায়। এরপর কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ইমন সেখানে নিজের নাম পাল্টে রেখেছিলেন স্বপন সরকার। সেই নামে সব পরিচয়পত্র জোগাড় করেছিলেন কলকাতায়।

এই গ্রেপ্তারের আগে ২০০১ সালের ৩০ জুন ইমন প্রথম ধরা পড়েছিলেন কলকাতা পুলিশের হাতে। তখন ইমন স্ত্রী লীনাকে নিয়ে থাকতেন মির্জা গালিব স্ট্রিটের উত্তরা কটেজে। ধরা পড়ার পর এঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে (ফরেনার্স আইন) কলকাতায় মামলা হয়। ইমনের স্ত্রী লীনা আদালতে দোষ স্বীকার করে মুক্তি পান। আর ইমনের ছয় মাসের জেল হয়।

১৯৯৮ সালে বনানী ট্রাম্পস ক্লাবে চিত্রনায়িকা দিতির স্বামী সোহেল চৌধুরী খুনের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ইমনকে গ্রেপ্তার করে। কয়েক মাস জেল খাটার পর তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে ভারতে চলে যান। কলকাতার গড়িয়াহাটের কনক সরকারের বাড়িতে ওঠেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুন কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ২০০১ সালে জামিন পান। সে বছরের অক্টোবরে ইমন দেশে ফেরেন। ২০০৪ সালে র‍্যাবের ধাওয়া খেয়ে তিনি আবার কলকাতায় চলে যান।

একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাং বাবুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসীর তালিকায় নাম ওঠে ইমনের। এ হত্যা মামলায় তাঁকে প্রধান আসামি করা হলেও কোনো দিন বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি। ’৯১ থেকে ’৯৬ পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে একাধিক প্রভাবশালী মন্ত্রীর বদৌলতে পুলিশ এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পাং বাবু খুনের পর ইমন ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার মামুন, শীর্ষ সন্ত্রাসী হেলাল ও জোসেফকে নিয়ে নিজের বাহিনী গড়ে তোলেন। এই বাহিনী একসময় ‘ইমন-মামুন গ্রুপ’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল। পরে অস্ত্র মামলায় মামুনের সাজা হয়। এদের হাতে এক ডজনের বেশি মানুষ খুন হয়।

ইমনের মায়ের সঙ্গে আমার আলাপচারিতা বেশ বড় করে ছাপা হয় কাগজে (১৭ মার্চ, ২০০৮, প্রথম আলো)। এরপর অনেক দিন সুলতানা জাহানের সঙ্গে আর দেখা হয়নি। বছর দুয়েক পর একটি বিপণিবিতানে দেখা। আমাকে দেখেই চিনলেন। বললেন, ‘আমি ভেবেছিলাম সেই রিপোর্টে আপনি আমাকে ডোবাবেন, কিন্তু কেন ডোবালেন না? আমি তো সন্ত্রাসীর মা। লোকে আমাকে সেটাই মনে করে।’ আমি কিছু বললাম না। তিনি হেসে বিদায় নিলেন। আমিও অনুভব করলাম এক মায়ের বুকফাটা কষ্ট। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত