জানি না ৩১ ডিসেম্বর ছাত্ররা কী ঘোষণা দেবে: ফরহাদ মজহার

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ১৯
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫২
Thumbnail image
কুমিল্লায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার। ছবি: আজকের পত্রিকা

৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েতে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল চাওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।

এ নিয়ে আজ সোমবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার।

চৌদ্দগ্রামের কুমিল্লার বিলকিছ আলম পাঠাগার আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুথান পরবর্তী সমাজসংস্কার ও বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন ফরহাদ মজহার।

৩১ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ মিনারে গণজমায়েত ও ঘোষণাপত্র পাঠ সম্পর্কে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমি জানি না, তারা ওই দিন কী ঘোষণা করতে যাচ্ছে। তবে তাদের উদ্দেশে আমি বলব, রাষ্ট্র ও সরকার এক নয়, জনগণ ও সার্বভৌমত্বই হচ্ছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্র এবং সরকার—এই দুই বিষয় আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা আশা করব, ছাত্ররা আমাদের কাছে এই বিষয়টি পরিষ্কার করবে।’

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা সকলে মিলেমিশে একটা সমাজ, এই সমাজে থাকবে রাজনীতি, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এবং সবাই মিলে হবে একটি সমাজ। এ সমাজ যদি সৃষ্টি করতে পারি, তাহলেই আমাদের মধ্যে কোনো ফ্যাসিজম হবে না। আর যদি না পারি, তবে আমাদের মধ্যে আবারও ফ্যাসিজম সৃষ্টি হবে।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান কোনো রাজনৈতিক দলের কৃতিত্বে হয় নাই। এর কৃতিত্ব সম্পূর্ণ ছাত্রদের। ছাত্রদের সঙ্গে পরবর্তী সময়ে এ দেশের আমজনতা একত্র হয়েছে। এরপরে হয়েছে গণ-অভ্যুত্থান।’

ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘ইতিহাস ভুলে যাওয়াকে ফ্যাসিজম বলে। রাজনীতি মানে আমাদের একটি সমাজ। ফ্যাসিজম আমাদের সবার মধ্যেই রয়েছে। আমরা যদি ইতিহাস ভুলে যাই, তবে আমরাও ফ্যাসিস্ট হয়ে যাব।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা থাকাকালীন শেখ হাসিনা ইতিহাসকে ভুলে গিয়েছিলেন। তার জন্য তারা ফ্যাসিস্ট হয়ে গিয়েছে।’

ফরহাদ মজহার তরুণ প্রজম্মকে বেশি বেশি বই পড়ে, ইতিহাস জানার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘তোমরা যত বেশি কোরআন, হাদিস ও বই পড়বে, তত বেশি ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে।’

মাওলানা মো. নূরুল আলম খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্যাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আগা আজাদ চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ড. সাহাব উদ্দিন আহমাদ, বানানের সভাপতি মো. রুমেল, তরুণ কবি সাংবাদিক ইমরান মাহফুজ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত