নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় টিকটক ভিডিও করলে, অভিযান চলাকালীন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়লে, সেসব পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা টিকটকার ও ফেইসবুকার পুলিশ সদস্যদের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছেন।
টিকটকার পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘পুলিশের নির্ধারিত পোশাক পরা অবস্থায় কোনো পুলিশ সদস্য টিকটক ভিডিওতে অংশ নিতে পারবেন না। এসব করতে চাইলে পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়ে করতে হবে।’
গতকাল বুধবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সদর দপ্তরের ত্রৈমাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকায়- ‘কাজ ফেলে, পোশাক পরে ফেসবুক-টিকটকে পুলিশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কনস্টেবল থেকে শুরু করে উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) মতো উচ্চ পদ মর্যাদার ৭০ জনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আইডি বিশ্লেষণ করে তথ্য তুলে ধরা হয় সেই প্রতিবেদনে।
তাতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টিকটকে দেখা মিলছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পোস্ট, রিল, ভিডিও, ভ্লগ। কেউ কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে জ্ঞান বিতরণ করছেন, কেউ অভিযানের ভিডিও ছাড়ছেন। অথচ দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যক্তিগত ব্যবহার পরিহারের নির্দেশনা রয়েছে। যা তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
অনুসন্ধানী এই প্রতিবেদনের প্রকাশের পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ সদর দপ্তরসহ এই বাহিনীর নানা ইউনিট।
টিকটক নিয়ে পুলিশ সদস্যদের কঠোর বার্তা দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
ডিএমপি অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ধরনের পোস্ট করতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স বারণ করেছে, সেই ধরনের পোস্ট কেউ করছে, অথবা শেয়ার করছে বা লাইক-কমেন্ট করছে। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন অবশ্যই যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অথবা টিকটক যে অ্যাপসটি রয়েছে, সেই অ্যাপসটি ব্যবহার করে সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে যে, আমাদের কতিপয় পুলিশ সদস্য, সংখ্যায় তারা খুবই নগণ্য। তারপরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য এই টিকটক ব্যবহার করে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করছে। তারা বিভিন্ন কিছু লাইভ করছে, অনেক সময় দেখা যাচ্ছে তারা ড্যান্স করছে... এ ধরনের নানা কিছু তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত পেশাদার। পুলিশের একটি ইউনিট হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এই ইউনিটও অত্যন্ত পেশাদার। আমাদের এই পেশাদার প্রতিষ্ঠানটির মূল নীতিমালাই হচ্ছে শৃঙ্খলা। কাজেই শৃঙ্খলার কোনো ধরনের ব্যতিক্রম কোনোভাবেই পুলিশ বাহিনীতে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না এবং এটি পেশাদারির স্পষ্ট লঙ্ঘন। কোনো একটি অপারেশন কেউ লাইভ করছে। এটি করা অবশ্যই অনুচিত। এটি করা যাবে না, পুলিশ সদর দপ্তরের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কোনো একটি অপারেশনে গেলে অবশ্যই সেটি গোপন রাখতে হবে এবং সেই অপারেশন কখনোই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা যাবে না, সদর দপ্তরের বিনা অনুমতিতে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রণীত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা (পুলিশ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কতটুকু ব্যবহার করতে পারব, কোন মাত্রায় ব্যবহার করতে পারব, ব্যক্তিগত প্রচার-প্রচারণা সেখানে চালানো যাবে কী, যাবে না-সেগুলোর সুস্পষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। গাইডলাইনের বাইরে যে কোনো পদ মর্যাদার, যে কোনো কর্মকর্তা যদি অপেশাদার আচরণ করে, যদি কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব কাজ করা নিষিদ্ধ, পুলিশের জন্য সেই কাজগুলো করে থাকে, তাহলে পুলিশের শাস্তির বিধান অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় টিকটক ভিডিও করলে, অভিযান চলাকালীন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়লে, সেসব পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা টিকটকার ও ফেইসবুকার পুলিশ সদস্যদের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছেন।
টিকটকার পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘পুলিশের নির্ধারিত পোশাক পরা অবস্থায় কোনো পুলিশ সদস্য টিকটক ভিডিওতে অংশ নিতে পারবেন না। এসব করতে চাইলে পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়ে করতে হবে।’
গতকাল বুধবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সদর দপ্তরের ত্রৈমাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকায়- ‘কাজ ফেলে, পোশাক পরে ফেসবুক-টিকটকে পুলিশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কনস্টেবল থেকে শুরু করে উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) মতো উচ্চ পদ মর্যাদার ৭০ জনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আইডি বিশ্লেষণ করে তথ্য তুলে ধরা হয় সেই প্রতিবেদনে।
তাতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টিকটকে দেখা মিলছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পোস্ট, রিল, ভিডিও, ভ্লগ। কেউ কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে জ্ঞান বিতরণ করছেন, কেউ অভিযানের ভিডিও ছাড়ছেন। অথচ দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যক্তিগত ব্যবহার পরিহারের নির্দেশনা রয়েছে। যা তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
অনুসন্ধানী এই প্রতিবেদনের প্রকাশের পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ সদর দপ্তরসহ এই বাহিনীর নানা ইউনিট।
টিকটক নিয়ে পুলিশ সদস্যদের কঠোর বার্তা দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
ডিএমপি অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ধরনের পোস্ট করতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স বারণ করেছে, সেই ধরনের পোস্ট কেউ করছে, অথবা শেয়ার করছে বা লাইক-কমেন্ট করছে। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন অবশ্যই যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অথবা টিকটক যে অ্যাপসটি রয়েছে, সেই অ্যাপসটি ব্যবহার করে সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে যে, আমাদের কতিপয় পুলিশ সদস্য, সংখ্যায় তারা খুবই নগণ্য। তারপরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য এই টিকটক ব্যবহার করে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করছে। তারা বিভিন্ন কিছু লাইভ করছে, অনেক সময় দেখা যাচ্ছে তারা ড্যান্স করছে... এ ধরনের নানা কিছু তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত পেশাদার। পুলিশের একটি ইউনিট হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এই ইউনিটও অত্যন্ত পেশাদার। আমাদের এই পেশাদার প্রতিষ্ঠানটির মূল নীতিমালাই হচ্ছে শৃঙ্খলা। কাজেই শৃঙ্খলার কোনো ধরনের ব্যতিক্রম কোনোভাবেই পুলিশ বাহিনীতে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না এবং এটি পেশাদারির স্পষ্ট লঙ্ঘন। কোনো একটি অপারেশন কেউ লাইভ করছে। এটি করা অবশ্যই অনুচিত। এটি করা যাবে না, পুলিশ সদর দপ্তরের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কোনো একটি অপারেশনে গেলে অবশ্যই সেটি গোপন রাখতে হবে এবং সেই অপারেশন কখনোই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা যাবে না, সদর দপ্তরের বিনা অনুমতিতে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রণীত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা (পুলিশ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কতটুকু ব্যবহার করতে পারব, কোন মাত্রায় ব্যবহার করতে পারব, ব্যক্তিগত প্রচার-প্রচারণা সেখানে চালানো যাবে কী, যাবে না-সেগুলোর সুস্পষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। গাইডলাইনের বাইরে যে কোনো পদ মর্যাদার, যে কোনো কর্মকর্তা যদি অপেশাদার আচরণ করে, যদি কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব কাজ করা নিষিদ্ধ, পুলিশের জন্য সেই কাজগুলো করে থাকে, তাহলে পুলিশের শাস্তির বিধান অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও বিশিষ্টজনদের করা পৃথক রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার বিএনপির পক্ষ থেকে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। এর আগে বিএনপি
৪ ঘণ্টা আগেআমরা রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে ঢুকতে চাই না। আমরা রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চাই না। আমরা আইন-কানুন, বিধিবিধানের মধ্যে থাকব। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই...
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ফার্মগেটে একটি রেস্তোরাঁয় ঝড়ের গতিতে ১০-১২ জন যুবক ঢুকে পড়লেন। একজন ম্যানেজারকে বললেন, ‘তোরে না কইছি ভাই পাঠাইছে, আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা কর। নইলে ঢাকা ছাড়।’ কয়েক দিন আগে রাত ৯টার দিকে হুমকি দেওয়ার সময় এ প্রতিবেদক সেখানে খাবার খাচ্ছিলেন...
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশে যেকোনো সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এমন বাস্তবতায় দেশটির ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়েছে ছয় মাস আগে। তবে ওয়াশিংটনে পালাবদলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান...
৭ ঘণ্টা আগে