নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপাতত হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে অ্যানেক্স ভবনের সামনে বিক্ষোভ স্থলে এসে এই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ তথ্য জানান তিনি। এই ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট এলাকা ছাড়েন।
১২ জন হলেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।
এর আগে কয়েকজন বিচারপতিকে ডেকে পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে একে একে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে আসেন ছয় বিচারপতি। তাঁরা হলেন বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামান, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম।
তবে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বের হওয়ার পর জানতে চাইলে কোনো বিচারপতি কিছু বলতে রাজি হননি।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের নেতারা আমার চেম্বারে বসেছিলেন। আমরা দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছি। প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও এটি নিয়ে কথা বলেছি। আপনারা জানেন, বিচারপতির পদত্যাগ বা অপসারণ—এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু বর্তমানে দেশে এ-সংক্রান্ত কোনো আইন বিদ্যমান নেই। বিগত (আওয়ামী লীগ) সরকার সংসদের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করে দিয়েছেন। সেটা আবার সরকার রিভিউ করেছে। আগামী ২০ অক্টোবর সেটি আপিল বিভাগে শুনানি হবে।’
আজিজ আহমদ ভূঞা আরও বলেন, ‘আপাতত ১২ জন বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। ষোড়শ সংশোধনী রিভিউ শুনানি আছে ২০ তারিখ। আশা করছি এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো শুরু হবে। বিচারপতি অপসারণের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এককভাবে জড়িত নন। রাষ্ট্রপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও আইন উপদেষ্টা জড়িত আছে।’
এর আগে হাইকোর্ট বিভাগের দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে সকাল থেকেই বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। পরে দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় এসে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওই সময় দলবাজ ও বিতর্কিত বিচারপতিদের ২টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সুপ্রিম কোর্ট অ্যানেক্স ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের স্থান আদালতে হবে না।
‘আওয়ামী লীগের সরবরাহ করা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে যে সংগঠনের সন্ত্রাসীরা আমাদের ভাইবোনদের ওপর গুলি চালিয়েছে, হত্যা করেছে, সেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদের যারা দোসর ছিল, তাদের দিয়ে আওয়ামী খুনি-সন্ত্রাসীদের বিচার করা সম্ভব নয়।
জানা গেছে, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি চলছে। ছুটি শেষে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলেই নতুন করে বেঞ্চ গঠন করা হবে।
আইনজীবীর সঙ্গে হাসনাতের বাগ্বিতণ্ডা
বেলা ১টার দিকে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ কয়েকজন আন্দোলনকারী সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে দেখা করতে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে তাঁদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেন শাহ মো. বাবার নামে একজন আইনজীবী। সে সময় দুজন বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালে চড়াও হয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন অর্ধশত আন্দোলনকারী। পরে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে কয়েকজন আইনজীবীর উপস্থিতিতে আইনজীবী বাবর দুঃখ প্রকাশ করলে বিষয়টি সুরাহা হয়।
আপাতত হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে অ্যানেক্স ভবনের সামনে বিক্ষোভ স্থলে এসে এই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ তথ্য জানান তিনি। এই ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট এলাকা ছাড়েন।
১২ জন হলেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান, বিচারপতি খিজির হায়াত, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।
এর আগে কয়েকজন বিচারপতিকে ডেকে পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে একে একে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে আসেন ছয় বিচারপতি। তাঁরা হলেন বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামান, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম।
তবে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বের হওয়ার পর জানতে চাইলে কোনো বিচারপতি কিছু বলতে রাজি হননি।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের নেতারা আমার চেম্বারে বসেছিলেন। আমরা দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছি। প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও এটি নিয়ে কথা বলেছি। আপনারা জানেন, বিচারপতির পদত্যাগ বা অপসারণ—এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু বর্তমানে দেশে এ-সংক্রান্ত কোনো আইন বিদ্যমান নেই। বিগত (আওয়ামী লীগ) সরকার সংসদের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করে দিয়েছেন। সেটা আবার সরকার রিভিউ করেছে। আগামী ২০ অক্টোবর সেটি আপিল বিভাগে শুনানি হবে।’
আজিজ আহমদ ভূঞা আরও বলেন, ‘আপাতত ১২ জন বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। ষোড়শ সংশোধনী রিভিউ শুনানি আছে ২০ তারিখ। আশা করছি এর মাধ্যমে পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো শুরু হবে। বিচারপতি অপসারণের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এককভাবে জড়িত নন। রাষ্ট্রপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও আইন উপদেষ্টা জড়িত আছে।’
এর আগে হাইকোর্ট বিভাগের দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে সকাল থেকেই বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। পরে দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় এসে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওই সময় দলবাজ ও বিতর্কিত বিচারপতিদের ২টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সুপ্রিম কোর্ট অ্যানেক্স ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের স্থান আদালতে হবে না।
‘আওয়ামী লীগের সরবরাহ করা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে যে সংগঠনের সন্ত্রাসীরা আমাদের ভাইবোনদের ওপর গুলি চালিয়েছে, হত্যা করেছে, সেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিবাদের যারা দোসর ছিল, তাদের দিয়ে আওয়ামী খুনি-সন্ত্রাসীদের বিচার করা সম্ভব নয়।
জানা গেছে, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি চলছে। ছুটি শেষে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলেই নতুন করে বেঞ্চ গঠন করা হবে।
আইনজীবীর সঙ্গে হাসনাতের বাগ্বিতণ্ডা
বেলা ১টার দিকে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ কয়েকজন আন্দোলনকারী সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে দেখা করতে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে তাঁদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেন শাহ মো. বাবার নামে একজন আইনজীবী। সে সময় দুজন বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালে চড়াও হয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন অর্ধশত আন্দোলনকারী। পরে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে কয়েকজন আইনজীবীর উপস্থিতিতে আইনজীবী বাবর দুঃখ প্রকাশ করলে বিষয়টি সুরাহা হয়।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের উপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন সাময়িকী টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছে, তিনি ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ম
৬ ঘণ্টা আগে‘আওয়ামী লীগও অন্য যে কোনো দলের মতো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। আমরা তাঁদের রাজনৈতিক ময়দানে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত। তবে এর আগে তাদের আচরণ এবং অতীতে সংঘটিত অপরাধের জন্য দায় মেনে নিতে হবে। একবার তাঁরা আইনি বাধাগুলো কাটিয়ে উঠলে নির্বাচনে তাদের স্বাগত জানানো হবে।’
৭ ঘণ্টা আগেমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্যপ্রাপ্তির আবেদন করতে দিলে এই আইন সম্পর্কে ধারণা ও বাস্তবায়ন বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
৮ ঘণ্টা আগেপুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে ৫৪ জন কর্মকর্তাকে বদলি ও নতুন কর্মস্থলে পদায়ন করা হয়েছে। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩১ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ২৩ জন সহকারী পুলিশ সুপার রয়েছেন। গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন বিদায়ী পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
৯ ঘণ্টা আগে