গ্রামীণ ব্যাংক আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতিষ্ঠান: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৪, ১৪: ৪৩
Thumbnail image

গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতিষ্ঠান। আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির বিরুদ্ধে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে দীপু মনি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান নয়। এটি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারের প্রতিষ্ঠান। ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী কিংবা ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। যেভাবে বিশ্বে পরিচয় দেওয়া হয়, তা সঠিক নয়। এটি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এটি শুধু ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত। যদিও এরপরে নানা রকম ব্যবসা প্রসারিত করেছে চার্টারের বাইরে গিয়ে।’ 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত কোনো এনজিও বেআইনি কাজ করলে সেটির বিরুদ্ধে তথ্য দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান সমাজকল্যাণমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পাবলিক মানি যেটা এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের জন্য এ অর্থের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি করার ক্ষেত্রে যখনই সরকার কোনো উদ্যোগ নিয়েছে, তখনই বিদেশিদের নিয়ে সরকারের ঘাড়ের ওপর চড়াও হয়েছে।’ 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি পঙ্কজ নাথ বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণের নামে...কাগজে-কলমে বলছেন সাড়ে ১২ শতাংশ সুদ। ১০ হাজার টাকায় প্রতি সপ্তাহে আড়াই শ টাকা। প্রথম কিস্তিও আড়াই শ টাকা, শেষ কিস্তিও আড়াই শ টাকা। চারবার মাল্টিপ্লাই করেন, তাহলে দেখবেন কত শতাংশ সুদ আসে। প্যাকেজেস লিমিটেডে ঋণ নিলেন ৫ শতাংশ সুদে; ইউনূস সাহেবের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ টেলিকমের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিল ৫ শতাংশের কম সুদে।’ 
 
পঙ্কজ নাথ আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর ব্যাঙের ছাতার মতো যে এনজিওগুলো আছে, সেগুলো তদন্ত করে বন্ধ করা হোক। মুজাহিদ (যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ফাঁসি হওয়া জামায়াত নেতা) যখন মন্ত্রী ছিল, তখন ব্যাঙের ছাতার মতো এনজিওর লাইসেন্স দিয়েছিল। দয়া করে সেগুলো খুঁজে বন্ধ করুন।’ 

এনজিওগুলো গরিব মানুষের সন্তানদের জন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় করেছে কি না—জানতে চান পঙ্কজ নাথ। তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষের রক্তচোষা পয়সা যেন কারও ব্যক্তিগত কোষাগারে জমা না হয়। মানুষ যাতে লভ্যাংশের সুবিধা পায়। প্রধানমন্ত্রী সামাজিক নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশকে পাল্টে দিয়েছেন। মাইক্রো ক্রেডিটের নামে গরিবের রক্তচোষা বন্ধ করুন।’ এ সময় তিনি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানদের অধিকার রক্ষায় কমিশন গঠনের দাবি জানান। 

বিরোধী দলের সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আইন বড়লোকের জন্য। বিচারকের অভাব আছে। বিচারের জন্য এই দরজা ওই দরজা ঘুরত ঘুরতে মানুষের জীবন শেষ।’ তিনি প্রত্যেক বিভাগে হাইকোর্টের বেঞ্চ করার দাবি জানান। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সুন্দর সুন্দর ভবন হয়েছে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ মানুষ আদালতে ঘুরছে। মামলাজট বাড়ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত