Ajker Patrika

গণ-অভ্যুত্থান ডিসিপ্লিনের মধ্যে হয় না: গণভবন ও ৩২ নম্বরে অরাজকতা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৪, ১৭: ৩৩
গণ-অভ্যুত্থান ডিসিপ্লিনের মধ্যে হয় না: গণভবন ও ৩২ নম্বরে অরাজকতা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে মানুষের ঢল নামে। যে যা পারে নিয়ে যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু অনেকে ফেরতও দিয়েছে। ৫ আগস্টে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরেও হামলা করা হয় এবং আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। 

আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকেরা। সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন, এসব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না। 

জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘যেকোনো ধ্বংস কাম্য নয়, এগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ। ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। যারা এটা করেছে...আমি নিন্দা করি। আমি আশা করব, স্টুডেন্টরা যারা এখনো রাস্তায় আছে, তারা এটা আর করতে দেবে না। এটা কারও ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। আমি এটার নিন্দা করি।’

এ সময় ইতিহাসের অন্যান্য গণ-অভ্যুত্থানের উদাহরণ দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সারা বিশ্বে গণ-অভ্যুত্থান হয়, এটা কখনো ডিসিপ্লিনের মধ্যে হয় না। কিছুদিন আগে একটা দেশে (শ্রীলঙ্কা) দেখেন, মধ্যপ্রাচ্যে আরব বসন্ত দেখেন, আমরা রুশ কিছু দেশে, রাশিয়াতে দেখেছি। এটা হয়। কিন্তু আমরা গরিব দেশ, অত্যন্ত গরিব দেশ, এমন দেশে, দুইটা মেট্রোরেলের স্টেশন ভাঙা হয়েছে। এখন (মেট্রোরেল) চলছে না। এগুলা আমাদের সম্পত্তি। এগুলা কেউ পকেটে করে নিয়ে যেতে পারে না। কারও বাপ–দাদার সম্পত্তি নয়। এগুলো রক্ষা করতে হবে।’ 

গণভবন থেকে বিভিন্ন মালপত্র নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ঠিক আছে, এগুলা জোশের মাথায় কিছু করেছে। গণভবন থেকে পাঙাশ মাছ, মুরগি, কবুতর নিয়ে যাচ্ছে, এগুলা কেমন দেখাল সারা দুনিয়াতে!’ 

৫ আগস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের খবর প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যাদের মাইনরিটি বলি। সংখ্যালঘুদের রক্ষা সংখ্যাগুরুদের একান্ত পবিত্র কর্তব্য। আপনারা যদি না করেন, মসজিদে গিয়ে সারাক্ষণ নামাজ পড়েন, সেটার হিসাব আপনাকেও দিতে হবে। আপনি কেন তাদের রক্ষা করতে পারলেন না। তারা আপনার কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিল। এটা তো আমাদের ধর্মেই আছে। মাইনরিটি ভাইদের কাছে মাফ চাই। কারণ, একটা বিশৃঙ্খলার ভেতর দিয়ে আমরা এখনো যাচ্ছি, কিছু কিছু জায়গায় আমি শুনেছি সোসাইটি প্রটেক্ট করেছে। আমি ক্ষমা চাচ্ছি। পুলিশ, র‍্যাব অন্যান্য বাহিনীকে যাদের মোতায়েন করতে পারতাম, তাদের এখনো অবস্থা তেমন ভালো নয়। তবে ফিরে আসবে। আমি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে বলব, তারা তো আপনাদের ভাই, এক সাথে বড় হয়েছেন, খাওয়াদাওয়া করেছেন। তাদের রক্ষা করুন। যেকোনো নিপীড়িতকে রক্ষা করবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত