ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে উঠে এসেছে দীর্ঘদিনের বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীনের নাম। শাহীনের রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসায় আনোয়ারুলকে খুনের ছক কষা হয়। শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও ঝিনাইদহে তাঁর পরিবারের সদস্যরা আছেন এবং তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও রয়েছে। কোটচাঁদপুরের নির্জন এলাকায় কাঁটাতারে ঘেরা তাঁর বাগানবাড়ি আছে এবং সেখানে রাতবিরাতে নানা গাড়ির আনাগোনা হয়।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা শহর থেকে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দূরে এলাঙ্গী গ্রামের নির্জন মাঠ। মাঠ পেরিয়ে চার পাশে জঙ্গল, কাঁটাতার ও ফুলে ঘেরা বেড়া। ভেতরের আমবাগানের এক প্রান্তে বিলাসবহুল দ্বিতল বাড়ি, যা দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। বাড়ির দ্বিতীয় তলার অধিকাংশ স্থানই কাচঘেরা। ঝুলছে বড় বড় পর্দা। অপর প্রান্তে দেখা যায়, একটি টিনশেড। যার সামনে ছাউনির নিচে রাখা আছে সাদা রঙের গাড়ি। প্রায় চার বছর আগে এই বাংলো বাড়িটি গড়ে তুলেছিলেন এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত আক্তারুজ্জামান শাহীন।
এলাকাবাসী জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গ্রামে এলে তিনি এই বাড়িতেই থাকতেন। তবে বাড়ির ভেতরে কী হতো, সেটি কখনো দেখতে পারেননি তাঁরা। তবে মাঝেমধ্যেই রাতের বেলায় বড় বড় গাড়ি ঢুকত সেখানে। বাগানবাড়ি থেকে বেজে উঠত গান। তবে থানা-পুলিশ কিংবা আইনের ভয়ে কেউই কখনো মুখ খোলেননি।
কোটচাঁদপুর উপজেলা ও এলাঙ্গী গ্রাম ঘুরে জানা যায়, শাহীনের বাবা আসাদুজ্জামান। তিনি আড়তদারি ব্যবসা এবং কৃষিকাজ করতেন। তাঁর তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে সহিদুজ্জামান সেলিম থাকেন কোটচাঁদপুর শহরের বাজারপাড়ার বাড়িতে। তিনি ব্যবসা করেন এবং তিনি কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র। আরেক ছেলে মনিরুজ্জামান মনির ১৯৮৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট শহরে থাকেন, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। মেয়ে খুকু থাকেন কখনো কানাডা, আবার কখনো ঢাকায়। ছোট ছেলে আক্তারুজ্জামান শাহীন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। অপর মেয়ে এলিন থাকে ঢাকায়।
আক্তারুজ্জামান শাহীন এলাকার কোটচাঁদপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং কে এম এইজ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে লেখাপড়া শেষে জাহাজে চাকরি নেন। চাকরির দুই বছরের মাথায় ওপি ওয়ান নামের একটি লটারির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ পান। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন তিনি, সেখানকার নাগরিকও হয়ে যান।
তবে তিনি কত সালে আমেরিকায় যান, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তাঁর বড় ভাই এবং কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম। যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর থেকেই শাহীন নানা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হন। বিভিন্ন ধরনের মালামাল বাংলাদেশ, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রতে আমদানি-রপ্তানির কাজ করতেন তিনি। এসব দেশে তাঁর যাতায়াতও ছিল। গেল পৌরসভা নির্বাচনের সময় ভাইয়ের পক্ষে (সহিদুজ্জামান সেলিম) ভোটের আগে-পরে কয়েক দিন বেশ সক্রিয় ছিলেন তিনি।
চার বছর আগে কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে নিজের ও পরিবারের প্রায় (বেশির ভাগ জমির অংশ শাহীনের) ৩০ বিঘা জমিতে গড়ে তোলেন বিলাসবহুল দ্বিতল বাড়ি। এলাকায় এলে সেখানেই থাকতেন। এই জমি একসময় ইটের ভাটা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। পরে ভাটা বন্ধ হলে পারিবারিক ভাগে জমির অংশ পান তিনি।
শাহীনের এলাঙ্গী গ্রামের বাগানবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির খয়েরি রঙের গেটটি তালাবদ্ধ। ডান সাইডে ওপরেই লাগানো রয়েছে দুটি সিসি ক্যামেরা। এ ছাড়া বাগানবাড়ির চারপাশে অনেক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এই বাগানবাড়ির ভেতরে রয়েছে পুকুর, গরুর খামার। রিসোর্ট হিসেবেও এটিকে রূপান্তরের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। বাড়ির দারোয়ানকে পাওয়া না গেলেও সফি উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘যাওয়া-আসার পথে দেখি গেটে লেখা, কুকুর হইতে সাবধান, আর ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেয় না। তবে কিছু সময় লোকজন আসে, ভেতরে ঢোকে। মাঝে মাঝে রাতে গানবাজনা হয়, মাইক বাজে। প্রায়ই মাইক্রোসহ এ জাতীয় গাড়ি নিয়ে ভেতরে ঢোকে। দিনে ও রাতের বেলায় কেউ মোটরসাইকেল নিয়েও ঢোকে।’
আজ বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুর শহরের বাজারপাড়ার বাসায় কথা হয় শাহীনের বড় ভাই পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শাহীনের সঙ্গে সর্বশেষ ছয় দিন আগে কথা হয় হোয়াটসঅ্যাপে। তবে শাহীন তখন কোন দেশে ছিল জানি না। শাহীনের স্ত্রী-সন্তানেরা মাঝেমধ্যে বেড়াতে আসে। শাহীন এলাঙ্গীতে বাগানবাড়ি করার পর আমার বাড়িতেও থাকে না। সর্বশেষ ছয় মাস আগে থেকেছে এক রাত।’
সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘শাহীন এত বড় একটি হত্যা ঘটাবে, এটা বিশ্বাস হয়নি আমাদের। তবে প্রশাসনের উচিত সঠিক তদন্ত করা। যদি ভাই দোষী হয় তাহলে প্রচলিত আইনে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হোক, এটা আমরা চাই। এমপি আনারের সঙ্গে তাঁর একটা পারিবারিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল, যেটা আমি জানতে পেরেছি গত পাঁচ-ছয় বছর আগে। তবে কী ব্যবসা ছিল, তা আমরা কখনো জানতে পারিনি।’
কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান মিঠু মালিথা বলেন, ‘আমরা এমপি হত্যার বিচার চাই। শুধু শাহীনের দ্বারা হয়তো এমনটি হয়নি, এর পেছনে আরও অনেকেই জড়িত আছে। তাদের খুঁজে বের করুক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘এমপির লাশ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছে। দেখলাম, জানলাম ছয়জন ধরা পড়েছে। এদের আড়ালে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। যে যাওয়ার সে চলে গেছে, কিন্তু আমাদের প্রিয় নেতা আনারের লাশটা শেষবারের মতো দেখতে চাই, দেখতে চাই আসামিদের শাস্তি।’
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় পরিকল্পনাকারী হিসেবে উঠে এসেছে দীর্ঘদিনের বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীনের নাম। শাহীনের রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসায় আনোয়ারুলকে খুনের ছক কষা হয়। শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও ঝিনাইদহে তাঁর পরিবারের সদস্যরা আছেন এবং তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও রয়েছে। কোটচাঁদপুরের নির্জন এলাকায় কাঁটাতারে ঘেরা তাঁর বাগানবাড়ি আছে এবং সেখানে রাতবিরাতে নানা গাড়ির আনাগোনা হয়।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা শহর থেকে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দূরে এলাঙ্গী গ্রামের নির্জন মাঠ। মাঠ পেরিয়ে চার পাশে জঙ্গল, কাঁটাতার ও ফুলে ঘেরা বেড়া। ভেতরের আমবাগানের এক প্রান্তে বিলাসবহুল দ্বিতল বাড়ি, যা দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। বাড়ির দ্বিতীয় তলার অধিকাংশ স্থানই কাচঘেরা। ঝুলছে বড় বড় পর্দা। অপর প্রান্তে দেখা যায়, একটি টিনশেড। যার সামনে ছাউনির নিচে রাখা আছে সাদা রঙের গাড়ি। প্রায় চার বছর আগে এই বাংলো বাড়িটি গড়ে তুলেছিলেন এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত আক্তারুজ্জামান শাহীন।
এলাকাবাসী জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গ্রামে এলে তিনি এই বাড়িতেই থাকতেন। তবে বাড়ির ভেতরে কী হতো, সেটি কখনো দেখতে পারেননি তাঁরা। তবে মাঝেমধ্যেই রাতের বেলায় বড় বড় গাড়ি ঢুকত সেখানে। বাগানবাড়ি থেকে বেজে উঠত গান। তবে থানা-পুলিশ কিংবা আইনের ভয়ে কেউই কখনো মুখ খোলেননি।
কোটচাঁদপুর উপজেলা ও এলাঙ্গী গ্রাম ঘুরে জানা যায়, শাহীনের বাবা আসাদুজ্জামান। তিনি আড়তদারি ব্যবসা এবং কৃষিকাজ করতেন। তাঁর তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে সহিদুজ্জামান সেলিম থাকেন কোটচাঁদপুর শহরের বাজারপাড়ার বাড়িতে। তিনি ব্যবসা করেন এবং তিনি কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র। আরেক ছেলে মনিরুজ্জামান মনির ১৯৮৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট শহরে থাকেন, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। মেয়ে খুকু থাকেন কখনো কানাডা, আবার কখনো ঢাকায়। ছোট ছেলে আক্তারুজ্জামান শাহীন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। অপর মেয়ে এলিন থাকে ঢাকায়।
আক্তারুজ্জামান শাহীন এলাকার কোটচাঁদপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং কে এম এইজ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে লেখাপড়া শেষে জাহাজে চাকরি নেন। চাকরির দুই বছরের মাথায় ওপি ওয়ান নামের একটি লটারির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ পান। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন তিনি, সেখানকার নাগরিকও হয়ে যান।
তবে তিনি কত সালে আমেরিকায় যান, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তাঁর বড় ভাই এবং কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম। যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পর থেকেই শাহীন নানা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হন। বিভিন্ন ধরনের মালামাল বাংলাদেশ, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রতে আমদানি-রপ্তানির কাজ করতেন তিনি। এসব দেশে তাঁর যাতায়াতও ছিল। গেল পৌরসভা নির্বাচনের সময় ভাইয়ের পক্ষে (সহিদুজ্জামান সেলিম) ভোটের আগে-পরে কয়েক দিন বেশ সক্রিয় ছিলেন তিনি।
চার বছর আগে কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে নিজের ও পরিবারের প্রায় (বেশির ভাগ জমির অংশ শাহীনের) ৩০ বিঘা জমিতে গড়ে তোলেন বিলাসবহুল দ্বিতল বাড়ি। এলাকায় এলে সেখানেই থাকতেন। এই জমি একসময় ইটের ভাটা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। পরে ভাটা বন্ধ হলে পারিবারিক ভাগে জমির অংশ পান তিনি।
শাহীনের এলাঙ্গী গ্রামের বাগানবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির খয়েরি রঙের গেটটি তালাবদ্ধ। ডান সাইডে ওপরেই লাগানো রয়েছে দুটি সিসি ক্যামেরা। এ ছাড়া বাগানবাড়ির চারপাশে অনেক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এই বাগানবাড়ির ভেতরে রয়েছে পুকুর, গরুর খামার। রিসোর্ট হিসেবেও এটিকে রূপান্তরের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। বাড়ির দারোয়ানকে পাওয়া না গেলেও সফি উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘যাওয়া-আসার পথে দেখি গেটে লেখা, কুকুর হইতে সাবধান, আর ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেয় না। তবে কিছু সময় লোকজন আসে, ভেতরে ঢোকে। মাঝে মাঝে রাতে গানবাজনা হয়, মাইক বাজে। প্রায়ই মাইক্রোসহ এ জাতীয় গাড়ি নিয়ে ভেতরে ঢোকে। দিনে ও রাতের বেলায় কেউ মোটরসাইকেল নিয়েও ঢোকে।’
আজ বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুর শহরের বাজারপাড়ার বাসায় কথা হয় শাহীনের বড় ভাই পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শাহীনের সঙ্গে সর্বশেষ ছয় দিন আগে কথা হয় হোয়াটসঅ্যাপে। তবে শাহীন তখন কোন দেশে ছিল জানি না। শাহীনের স্ত্রী-সন্তানেরা মাঝেমধ্যে বেড়াতে আসে। শাহীন এলাঙ্গীতে বাগানবাড়ি করার পর আমার বাড়িতেও থাকে না। সর্বশেষ ছয় মাস আগে থেকেছে এক রাত।’
সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘শাহীন এত বড় একটি হত্যা ঘটাবে, এটা বিশ্বাস হয়নি আমাদের। তবে প্রশাসনের উচিত সঠিক তদন্ত করা। যদি ভাই দোষী হয় তাহলে প্রচলিত আইনে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হোক, এটা আমরা চাই। এমপি আনারের সঙ্গে তাঁর একটা পারিবারিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল, যেটা আমি জানতে পেরেছি গত পাঁচ-ছয় বছর আগে। তবে কী ব্যবসা ছিল, তা আমরা কখনো জানতে পারিনি।’
কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান মিঠু মালিথা বলেন, ‘আমরা এমপি হত্যার বিচার চাই। শুধু শাহীনের দ্বারা হয়তো এমনটি হয়নি, এর পেছনে আরও অনেকেই জড়িত আছে। তাদের খুঁজে বের করুক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘এমপির লাশ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছে। দেখলাম, জানলাম ছয়জন ধরা পড়েছে। এদের আড়ালে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। যে যাওয়ার সে চলে গেছে, কিন্তু আমাদের প্রিয় নেতা আনারের লাশটা শেষবারের মতো দেখতে চাই, দেখতে চাই আসামিদের শাস্তি।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়
৩৭ মিনিট আগেগণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করবে বলে জানিয়েছেন কমিশনটির প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘যদি কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশের খসড়া প্রকাশ করা সম্ভব হবে। সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে দে
১ ঘণ্টা আগেজাপান বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি জানান, জাপান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে