অনলাইন ডেস্ক
পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা চলমান থাকায় আপাতত জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠন হচ্ছে না বলে গতকাল রোববার আদালতকে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই হত্যাযজ্ঞে ও নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড ঘিরে প্রকৃত সত্য বের করতে ‘জাতীয় স্বাধীন কমিটি’ গঠন চেয়ে আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষ এ তথ্য জানানোর পর ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এ বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের স্বাধীন একটি তদন্ত প্রয়োজন বলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
‘বিডিআর হত্যাকান্ড তদন্ত
বিডিআর হত্যাকান্ড তদন্ত বিষয়ে হাইকোর্টে রীট আবেদনকারীর আজকের একটি বক্তব্য নিয়ে কিছু অষ্পষ্টতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, সম্প্রতি দায়ের করা রিট মামলায় হাইকোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশ দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় উক্ত কমিটি গঠন করার বিষয়ে আইন মন্ত্রনালয়ের মতামত চায়। আইন মন্ত্রনালয় হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই মর্মে ৩ ডিসেম্বর মতামত প্রদান করে। অর্থাৎ উক্ত কমিটি গঠনের পক্ষে আইন মন্ত্রনালয় মতামত প্রদান করে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একটি স্মারকে (বা এর নামে প্রচারিত একটি স্মারকে) আপাতত এই কমিটি গঠন করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। এতে আইন মন্ত্রনালয়ের কোন মতামতের উল্লেখ করা হয়নি। এধরনের কমিটি গঠন করার এখতিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের, হাইকোর্ট-এর আদেশ অনুসারেও এটি করার কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবিষ্যতে বিডিআর হত্যাকান্ড বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করলে অবশ্যই আইন মন্ত্রনালয় এজন্য সকল সহযোগিতা প্রদান করবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বিডিআর হত্যাকান্ডের স্বাধীন একটি তদন্ত প্রয়োজন।’
রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বিডিআরের বিদ্রোহের নামে ওই ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে নৃশংস ও বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয়।
বিদ্রোহের নামে সংঘটিত ওই ঘটনার প্রকৃত কারণ ও চিত্র উদ্ঘাটনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি–পেশার মানুষের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। ওই ঘটনায় হাজারো বিডিআর সদস্য ও বেসামরিক ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হয়। শুরু থেকেই ওই বিচারের নিরপেক্ষতা, উদ্দেশ্য ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন ছিল। বিদ্যমান ফৌজদারি আইনে আনা মামলায় নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টেও রায় হয়। এ ঘটনায় আনা দুই মামলার মধ্যে হত্যাযজ্ঞের মামলার বিচার হাইকোর্ট বিভাগে সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলাটি এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন।
হত্যাযজ্ঞের মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ১৬০ জনের। ১০ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজা হয় ২৫৬ জনের। খালাস পান ২৭৮ জন। বিচারিক আদালতে দেওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে হাইকোর্টের তিন বিচারপতি সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর রায় দেয়। রায়ে ১৩৯ জনের ফাঁসি বহাল রাখা হয়। ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়। ২২৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। খালাস পান ৪৫ জন। উচ্চ আদালতে খালাস পাওয়া ও সাজা কমা ৮৩ জনের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ ‘লিভ টু আপিল’ (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করেছে। পাশাপাশি আসামিপক্ষেও ‘লিভ টু আপিল’ করা হয়েছে।
দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে বৃহত্তম এই মামলায় বাহিনীর সদস্য ছাড়াও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আসামি করা হয়েছিল। এ মামলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপির এই নেতার মৃত্যু হয়। তাঁকে মামলায় সম্পৃক্ত করা ও এ মৃত্যু নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে।
পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা চলমান থাকায় আপাতত জাতীয় স্বাধীন কমিটি গঠন হচ্ছে না বলে গতকাল রোববার আদালতকে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই হত্যাযজ্ঞে ও নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড ঘিরে প্রকৃত সত্য বের করতে ‘জাতীয় স্বাধীন কমিটি’ গঠন চেয়ে আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষ এ তথ্য জানানোর পর ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের শুনানি মুলতবি করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এ বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের স্বাধীন একটি তদন্ত প্রয়োজন বলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
‘বিডিআর হত্যাকান্ড তদন্ত
বিডিআর হত্যাকান্ড তদন্ত বিষয়ে হাইকোর্টে রীট আবেদনকারীর আজকের একটি বক্তব্য নিয়ে কিছু অষ্পষ্টতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, সম্প্রতি দায়ের করা রিট মামলায় হাইকোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশ দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় উক্ত কমিটি গঠন করার বিষয়ে আইন মন্ত্রনালয়ের মতামত চায়। আইন মন্ত্রনালয় হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই মর্মে ৩ ডিসেম্বর মতামত প্রদান করে। অর্থাৎ উক্ত কমিটি গঠনের পক্ষে আইন মন্ত্রনালয় মতামত প্রদান করে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একটি স্মারকে (বা এর নামে প্রচারিত একটি স্মারকে) আপাতত এই কমিটি গঠন করা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। এতে আইন মন্ত্রনালয়ের কোন মতামতের উল্লেখ করা হয়নি। এধরনের কমিটি গঠন করার এখতিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের, হাইকোর্ট-এর আদেশ অনুসারেও এটি করার কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবিষ্যতে বিডিআর হত্যাকান্ড বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করলে অবশ্যই আইন মন্ত্রনালয় এজন্য সকল সহযোগিতা প্রদান করবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বিডিআর হত্যাকান্ডের স্বাধীন একটি তদন্ত প্রয়োজন।’
রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বিডিআরের বিদ্রোহের নামে ওই ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে নৃশংস ও বর্বরোচিতভাবে হত্যা করা হয়।
বিদ্রোহের নামে সংঘটিত ওই ঘটনার প্রকৃত কারণ ও চিত্র উদ্ঘাটনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি–পেশার মানুষের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। ওই ঘটনায় হাজারো বিডিআর সদস্য ও বেসামরিক ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা হয়। শুরু থেকেই ওই বিচারের নিরপেক্ষতা, উদ্দেশ্য ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন ছিল। বিদ্যমান ফৌজদারি আইনে আনা মামলায় নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টেও রায় হয়। এ ঘটনায় আনা দুই মামলার মধ্যে হত্যাযজ্ঞের মামলার বিচার হাইকোর্ট বিভাগে সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলাটি এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন।
হত্যাযজ্ঞের মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ১৬০ জনের। ১০ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজা হয় ২৫৬ জনের। খালাস পান ২৭৮ জন। বিচারিক আদালতে দেওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে হাইকোর্টের তিন বিচারপতি সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর রায় দেয়। রায়ে ১৩৯ জনের ফাঁসি বহাল রাখা হয়। ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়। ২২৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। খালাস পান ৪৫ জন। উচ্চ আদালতে খালাস পাওয়া ও সাজা কমা ৮৩ জনের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ ‘লিভ টু আপিল’ (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করেছে। পাশাপাশি আসামিপক্ষেও ‘লিভ টু আপিল’ করা হয়েছে।
দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে বৃহত্তম এই মামলায় বাহিনীর সদস্য ছাড়াও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আসামি করা হয়েছিল। এ মামলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপির এই নেতার মৃত্যু হয়। তাঁকে মামলায় সম্পৃক্ত করা ও এ মৃত্যু নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে।
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ধর্মের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণেরা খুবই পক্ষপাতহীন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তরুণেরা দেশকে নতুন করে গড়তে চান।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিশন। দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের কার্যক্রম এবং আটক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ‘বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা জনসমক্ষে একটি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে...
৪ ঘণ্টা আগেআন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসনে উপসচিব পদে মেধার ভিত্তিতে শতভাগ পদোন্নতি এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আগামী মঙ্গলবার দেশের সব অফিসে এক ঘণ্টা কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করবেন ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা। শনিবার পূর্ত ভবনে আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সভায় মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর
৪ ঘণ্টা আগেদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আস্থার সংকট ও অব্যবস্থাপনার কারণে বিদেশে সেবা নিতে যাচ্ছেন রোগীরা। এতে দেশে অর্থনৈতিক খাতে প্রভাব পড়ছে। ‘চিকিৎসা সেবায় বিদেশমুখীতা: আমাদের উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশীজনদের আলোচনায় এসব বিষয় উঠে এসেছে। আজ শনিবার রাজধানীর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়...
৫ ঘণ্টা আগে