Ajker Patrika

ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা নিয়ে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে যাচ্ছে ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪: ১৯
ত্রাণ নিয়ে মিয়ানমারের পথে ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। ছবি: আইএসপিআর
ত্রাণ নিয়ে মিয়ানমারের পথে ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। ছবি: আইএসপিআর

ত্রাণ, জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা নিয়ে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের উদ্দেশে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, সেনা কল্যাণ সংস্থা এবং রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় প্রাপ্ত ১২০ টন ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে—৭৭ মেট্রিক টন শুকনা খাবার, ৯ টনেরও অধিক তাঁবু এবং ব্যবহারযোগ্য বস্ত্র, ২৯ মেট্রিক টন বিশুদ্ধ খাবার পানি, ৪ মেট্রিক টন হাইজিন কিট এবং প্রায় ১ টন প্রয়োজনীয় ওষুধ।

আইএসপিআর জানায়, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে জাহাজটি প্রায় ১২০ মেট্রিক টন ত্রাণসহ মিয়ানমারের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। যাত্রার আগে পুরো কার্যক্রম পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।

আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাহাজটি আগামী ১১ এপ্রিল মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধিদলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হবে। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

ত্রাণ নিয়ে মিয়ানমারের পথে ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। ছবি: আইএসপিআর
ত্রাণ নিয়ে মিয়ানমারের পথে ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। ছবি: আইএসপিআর

গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে সংঘটিত ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশ সরকার এর মধ্যে দুই ধাপে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পরিবহন বিমানের মাধ্যমে ৩১.৫ মেট্রিক টন ত্রাণ সামগ্রী, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দল পাঠিয়েছে।

ত্রাণ নিয়ে মিয়ানমারের পথে ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। ছবি: আইএসপিআর
ত্রাণ নিয়ে মিয়ানমারের পথে ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। ছবি: আইএসপিআর

আইএসপিআর জানায়, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের দুর্যোগকালীন বাংলাদেশের এই সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ দুই দেশের পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসকে আরও বাড়াবে এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ২০২৩ সালে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কে বিমানযোগে ত্রাণ এবং উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা দল পাঠিয়েছিল। এ ছাড়া একই বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’তে বিপর্যস্ত মিয়ানমারের জনগণকে জাহাজযোগে ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছিল। ভবিষ্যতেও যেকোনো জাতীয় ও বৈদেশিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের নীতিমালার আলোকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত