ভীতিকর অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করেছি: শেখ হাসিনা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ মে ২০২৩, ১৫: ০৬
Thumbnail image

বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে বাংলাদেশে ইসলামের নামে মানুষ হত্যা, খুন, বোমাবাজি নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেই ভীতিকর অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করেছে তাঁর সরকার। শান্তির ধর্ম ইসলামে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই বলেও জানান তিনি। আজ শুক্রবার রাজধানীর আশকোনার হজ ক্যাম্পে হজ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত আমলের সব অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে আমরা হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন এনেছি। এর ফলে প্রতিবছর হজযাত্রীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ২০০৬ ও ২০০৭ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪৭ হাজার ৯৮৩ ও ৪৫ হাজার ৭৬৩। আর এ বছর হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার ২২১। হজযাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির আরও কারণ হলো, আমরা বাংলাদেশকে সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে পেরেছি, মানুষের আয় ও জীবনমান বৃদ্ধি পেয়েছে।’ 

উপস্থিত হজযাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই হজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কম খরচে হজ পালনের জন্য তিনি হিজবুল বাহার জাহাজ ক্রয় করেন এবং বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠান। দুঃখের বিষয়, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এই হিজবুল বাহার জাহাজকে প্রমোদতরি বানিয়েছিলেন।’

ছবি: প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘জাতির পিতা ছিলেন খাঁটি মুসলমান। মাত্র সাড়ে তিন বছরের সরকারে তিনি ইসলামের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেন। জাতির পিতা মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করেন। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আরব বিশ্বের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং সাহায্য পাঠান। তাঁর কূটনৈতিক দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে।’

জাতির পিতা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মাদ্রাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন জাতির পিতা। তাবলীগ জামাতের জন্য কাকরাইল মসজিদে জমি দান করেন। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেন। বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কোরআন তিলাওয়াতের প্রচলন করেন। তিনিই প্রথম আইন করে মদ নিষিদ্ধ করেন, ঘোড়দৌড় ও জুয়া বন্ধ করেন। যে মদের লাইসেন্স বঙ্গবন্ধু বন্ধ করে দিয়েছিলেন, তা জিয়ার আমলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।’

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ‘প্রযুক্তির সঙ্গে কাবার পথে’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণের ফলে সেবা প্রদানকারী ও গ্রহণকারীর সঙ্গে সরাসরি ডিজিটাল সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। মধ্যস্বত্বভোগী-প্রতারক চক্রের দৌরাত্ম্য হ্রাস পেয়েছে। আমরা জনগণকে সময়োচিত, দায়িত্বশীল, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দিতে পেরেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত