জিয়া পরিবার মানেই খুনি, খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ০৭
Thumbnail image

জিয়া পরিবারকে খুনি পরিবার আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া পরিবার মানেই হচ্ছে খুনি পরিবার। বাংলাদেশের মানুষ ওই খুনিকে ছাড়বে না। বাংলাদেশের মানুষ ওদের ছাড়বে না। এই বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না।’ 

আজ সোমবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতির সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর শহীদবেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনিসহ আওয়ামী লীগের নেতারা।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ২১ আগস্ট হত্যার বিচার হয়েছে। রায় হয়েছে। কাজেই এই রায় কার্যকর করা উচিত। কিছু আছে কারাগারে। কিন্তু মূল হোতা তো বাইরে। সে তো মুচলেকা দিয়ে বাইরে চলে গেছে। তো সাহস থাকলে আসে না কেন বাংলাদেশে?

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। সেই সুযোগ নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলে। আর কত হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে চলে গেছে সেই টাকা খরচ করে। তো সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসুক। ওদের কিছু লোক হয়। সেই দেখে লম্ফঝম্ফ। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে চেনেনি। এই বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না।’

২১ আগস্ট আহতদের জনগণের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের কাছে বলেন, কী করে ওই খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া আপনাদের জীবনটাকে ধ্বংস করেছে। কীভাবে দেশে লুটপাট করেছে। স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করেছে। নিজেরা অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে।

দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ সজাগ থাকবে। ওই খুনিদের হাতে যেন এ দেশের মানুষ আর নিগৃহীত হতে না পারে। অগ্নিসন্ত্রাস আর জুলুমবাজি করে এ দেশের মানুষকে হত্যা করতে না পারে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। খুনি, দুষ্কৃতকারী, অস্ত্র চোরাকারবারি, ঘুষখোররা যেন মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। ওই খুনিদের প্রতি ঘৃণা সকল জনগণের। সকলে তাদের ঘৃণা জানাবে। সবাই নিরাপদ থাকেন, ভালো থাকেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতক্ষণ বেছে আছি, এ দেশের মানুষের সেবা করে উন্নত জীবন দিয়ে যাব। মর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’

বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে তারা ভোটের অধিকারের কথা বলে, আর কিছু আছে তাদের ভাড়া করা—তারা মানবাধিকারের কথা বলে। যারা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী তাদের আপনজন হারিয়েছে, বিএনপি-জামায়াতের কাছে তাদের মানবাধিকার কোথায়? আমরা বিচার পাইনি। আমরা কেন বিচারবঞ্চিত ছিলাম।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা দেখি বাংলাদেশের মানবাধিকারের কথা বলে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, তাদের শেখানো বুলি যাঁরা বলেন—এ দেশে মানবাধিকার বারবার লঙ্ঘিত হয়েছে। যার মূল হোতা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ জামায়াত যুদ্ধাপরাধীরা। তারা এখনো করে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে মানবাধিকার সংরক্ষণ হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মানুষ ন্যায়বিচার পায়। কেউ অপরাধ করলে তার বিচার আমরা করি। কিন্তু আমরা তো বিচার পাইনি। কেন ৩৩ বছর সময় লেগেছে বিচার পেতে। কী অপরাধ করেছিলাম যে আমরা বিচার পাইনি। বিচারের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’ এ সময় তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত