ছাগলের টিকা কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করবে সংসদীয় কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ২৩: ০৩
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪, ২৩: ০৪

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের টিকা ক্রয়সংক্রান্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ জন্য তিন সদস্যের একটি উপকমিটি গঠন করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এমন সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

সূত্র জানায়, সম্প্রতি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের টিকা ক্রয়ের জন্য একটি দরপত্র আহ্বানে একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তদন্ত করবে সংসদীয় কমিটি। 

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিকা ক্রয়সংক্রান্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ায় এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আছেন বিএম কবীরুল হক, নুরউদ্দিন চৌধুরী এবং মশিউর রহমান মোল্লা। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কোটাপদ্ধতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি আদালতের বিবেচনাধীন থাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চলমান নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। 
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান কবিরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁরা দু–এক দিনের মধ্যে তদন্তের কাজ শুরু করবেন। তখন এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। 

সংসদীয় কমিটির সভাপতি শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান, বি এম কবিরুল হক, ছোট মনির, নুর উদ্দিন চৌধুরী, মো. রশীদুজ্জামান, মোশতাক আহমেদ রুহী, মশিউর রহমান মোল্লা ও আশিকা সুলতানা। 

কমিটি সূত্র জানায়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে দেশের ৬৪ জেলায় ছাগলের পিপিআর ভ্যাকসিন কেনার জন্য ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর একটি দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রের শর্ত ছিল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সর্বনিম্ন দুটি চুক্তিতে ৩০ কোটি টাকার কাজ ও ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু প্রকল্প পরিচালকের পছন্দের ঠিকাদারের অভিজ্ঞতা বা শর্ত পূরণের যোগ্যতা না থাকায় চারটি দরপত্র জমা হলেও তাঁদের নন–রেসপনসিভ করে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। 

পরেরবার দরপত্রে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) তাঁর নিজস্ব ঠিকাদার মেসার্স টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিতে শর্ত পরিবর্তন করা হয়। টেকনো ড্রাগসের ভেটেরিনারি পণ্য সরবরাহের অভিজ্ঞতা না থাকায় দরপত্র নীতি ভঙ্গ করে ফার্মাসিউটিক্যাল আইটেমের (কনডম ও জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল) অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়। প্রথম দরপত্রে ২ বছর ও ৩০ কোটি টাকার কাজের অভিজ্ঞতা চাওয়া হলেও দ্বিতীয় দরপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি। কারণ টেকনো ড্রাগসের এই দুই অভিজ্ঞতার কোনোটিই নেই। 

দরপত্রের আরেকটি শর্ত ছিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বছরে ন্যূনতম চাহিদাকৃত ভ্যাকসিন উৎপাদনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু জোগানদাতা নেপালের হোস্টার কোম্পানির সেই সক্ষমতা নেই। বিষয়টি জানার পর পিডি কার্যাদেশপত্রে দুই ধাপে ২ কোটি ৫০ লাখ করে মোট ৫ কোটি ভ্যাকসিন সরবরাহের কথা উল্লেখ করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত