১০ ট্রাক অস্ত্র: এবার অপর মামলায়ও খালাস বাবর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২১: ৫৩
Thumbnail image
লুৎফুজ্জামান বাবার এবার ১০ অস্ত্র আটকের ঘটনায় অপর মামলাতেও খালাস পেয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পাঁচজনের সাজা কমানো হয়েছে।

এ ছাড়া তিনজন মারা যাওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় চোরাচালান মামলায় খালাস পান বাবর। এর ফলে বাবরের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা মোহাম্মদ শিশির মনির।

বাবর ছাড়া খালাস পাওয়া বাকিরা হলেন প্রয়াত মওলানা মতিউর রহমান নিজামী, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুল আমিন।

যাবজ্জীবন থেকে সাজা কমিয়ে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার তৎকালীন মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, এনএসআইয়ের সাবেক উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, তৎকালীন পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ ও চোরাকারবারি হাফিজুর রহমানকে যাবজ্জীবন থেকে ১০ বছর করা হয়েছে।

এদিকে এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রহিম, শ্রমিক সরবরাহকারী দ্বীন মোহাম্মদ ও ট্রলারমালিক হাজি সোবহান মারা যাওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে।

পরে বিচার একসঙ্গে শুরু হয়ে রায়ও হয় একই দিন। ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি দেওয়া রায়ে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত চোরাচালান মামলায় ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। আর অস্ত্র আইনে করা মামলায় সবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। পরে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। বাবরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির।

শিশির মনির বলেন, লুৎফুজ্জামান বাবরকে ৭৮ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। তিনি আমাকে বলেছেন, তাঁকে বারবার রাষ্ট্রপক্ষ চাপ দিয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িত করে জবানবন্দি দিতে। জবানবন্দি দিলে তাঁকে আসামি না করে সাক্ষী করা হবে। কিন্তু ৭৮ দিন রিমান্ডে থাকার পরও তিনি এ ধরনের জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। বাবরকে এই মামলায় আসামি করার পেছনে এটিই মূল কারণ। বাবরের খালাসের রায় আজই ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছাবে এবং সেখানে যাওয়ার দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিনি মুক্তি পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন শিশির মনির।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিউলিপের পদত্যাগপত্রের জবাবে যা লিখলেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার

সংবিধানের অস্তিত্ব নেই, প্রোক্লেমেশন না হলে বিপদ: বিচারপতি আব্দুর রহমান

পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন টিউলিপ সিদ্দিক

টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন

কার্যালয় থেকে পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের ছবি সরানোর ব্যাখ্যা দিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত