গত বছর জাতিসংঘের সহায়তায় দেশে ফিরেছে ৪২ হাজার অভিবাসী, বাংলাদেশি ১৪৭৩

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

গত বছর ১ হাজার ৪৭৩ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরতে সহায়তা করেছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)।

২০২০ সালে বিশ্বে কত মানুষকে সহযোগিতা করেছে আইওএম, এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে ফিরিয়ে আনা নাগরিকদের শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৬ষ্ঠ অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে আইওএম ৪২ হাজার ১৮১ জন অভিবাসীকে স্বেচ্ছায় বা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে আটকে পড়া অভিবাসীদের দেশে ফিরতে সহায়তা করেছিল। এ সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৩৫ শতাংশ কম। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৮ অভিবাসীকে আইওএমের স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন কর্মসূচির অধীনে লিবিয়া এবং ইয়েমেন থেকে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে দেশে ফিরতে সহায়তা করা হয়েছে। পাশাপাশি কোভিড রিটার্ন টাস্ক ফোর্সের আওতায় ১ হাজার ১০০ অভিবাসীকে সহায়তা করা হয়েছে।

গত বছর সবচেয়ে বেশি অভিবাসীকে দেশে ফেরানো হয়েছে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে। এ অঞ্চল থেকে আইওএমের সহায়তায় দেশে ফিরেছেন ১৬ হাজার ৬৪৯ জন অভিবাসী। তবে একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী দেশে ফিরেছেন নাইজার থেকে, ৯ হাজার ৬৯ জন। 

অবশ্য ২০২০ সালে সহায়তা পাওয়া ৪২ হাজারের বেশি অভিবাসীর ৪০ শতাংশই একই অঞ্চলে ফিরেছেন। পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকা অঞ্চলের মধ্যেই দেশে ফিরতে সহায়তা পাওয়া অভিবাসীর অনুপাত ৬৫ শতাংশ। 

আইওএমের সহায়তায় স্বেচ্ছায় দেশে ফেরা অভিবাসীদের মধ্যে সর্বাধিক ছিলেন মালির নাগরিক। ২০২০ সালে দেশটির ৩৩ হাজার ২৪৯ জন অভিবাসী দেশে ফিরেছেন। এরপরেই রয়েছে গিনি (৩,১৫৫) এবং তাজিকিস্তান (৩,১০৬)। এর মধ্যে কাজাখস্তানে বিপুলসংখ্যক অভিবাসী তাজিক শ্রমিক আটকা পড়েছিলেন। 

এ ছাড়া ফিরিয়ে আনা নাগরিকদের মধ্যে শীর্ষ দশে দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশ রয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। পাকিস্তানের ১ হাজার ৪০২ জনকে নিজ দেশে ফিরিয়ে এনেছে আইওএম। দেশটির অবস্থান নবম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত