অনলাইন ডেস্ক
কোনো জমি ভোগদখলের জন্য প্রতিবছর সরকারকে নির্দিষ্ট হারে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। এটাকেই খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর বলা হয়। প্রতি শতাংশ জমি হিসেবে খাজনার হার ধরা হয় এবং এই হার পরিবর্তনযোগ্য।
প্রাচীনকাল থেকেই কৃষকেরা জমির খাজনা দিতেন। একসময় অর্থের পাশাপাশি উৎপাদিত ফসলও খাজনা হিসেবে নেওয়া হতো। ১৯৭৬ সালে ‘ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ’ জারির মাধ্যমে খাজনা শব্দটির পরিবর্তে ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ আনুষ্ঠানিক পরিভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাংলা সনের ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়।
ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার পর দাখিলা পাওয়ার অধিকার লাভ করেন করদাতা। দাখিলা দেওয়া না হলে তা আইনের লঙ্ঘন হবে। এই দাখিলা জমির মালিকানা প্রমাণের গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
এত দিন খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর প্রধানত নগদে পরিশোধ করা হতো। পাশাপাশি অনলাইনেও পরিশোধ করা যেত। তবে সরকার আগামী পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) থেকে ‘ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা’ চালু করছে। ফলে খাজনা নগদ পরিশোধের সুযোগ আর থাকছে না; অনলাইনে পরিশোধ বাধ্যতামূলক। এজন্য এই ওয়েবসাইটে গিয়ে খাজনা পরিশোধ করতে বলেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
অনলাইনে খাজনা পরিশোধ
জমির খাজনা অনলাইনে পরিশোধের জন্য নিবন্ধন অপরিহার্য। সহজে ভূমিসংক্রান্ত সেবা দিতে এরই মধ্যে বাংলাদেশে ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটাল সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে। এর আওতায় নিম্নলিখিত কাগজপত্রসহ উপজেলা ভূমি অফিস/ইউনিয়ন ভূমি অফিস/সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে যোগাযোগ করে জমির হোল্ডিং রেজিস্ট্রেশন বা মালিকানার নিবন্ধন করা যাবে।
যেসব কাগজ লাগবে >>
১. রেকর্ড/ খারিজ খতিয়ানের কপি
২. পূর্ববর্তী দাখিলার কপি
৩. পাসপোর্ট সাইজের ছবি ১ কপি
৪. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
৫. সচল মোবাইল ফোন নম্বর
সশরীরে হাজির না হয়েও জমির মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে নিম্নোক্ত উপায়ে নিবন্ধন করা যাবে। পদ্ধতিগুলো হলো-
১. অনলাইন পোর্টালে (www.land.gov.bd) অথবা (www.ldtax.gov.bd) জাতীয় পরিপয়পত্র বা এনআইডি নম্বর, মোবাইল ফোন নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।
২. কল সেন্টার নম্বরে (১৬১২২ অথবা ৩৩৩) ফোন করে জাতীয় পরিপয়পত্র বা এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ ও জমির তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের ধাপসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো:
খাজনার অর্থ পরিশোধ কীভাবে
জনগণের দোরগোড়ায় ভূমিসেবা পৌঁছে দিতে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ‘ভূমিসেবা’ নামে মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। নাগরিকেরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা অনলাইন ব্যাংকিং বা অন্য যেকোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন করের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন, ইউনিয়ন/পৌর ভূমি অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
জমির নিবন্ধন করে পেমেন্ট গেটওয়ে সোনালী সেবা/উপায়/ইউ-পে/একপে/ই-চালানের মাধ্যমে খাজনা পরিশোধের পর কিউআর কোড বা বারকোড সংবলিত ইলেক্ট্রনিক দাখিলা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে এবং তা ডাউনলোড করা যাবে। এটি প্রচলিত দাখিলার মতোই গ্রহণযোগ্য ও আইনসিদ্ধ হবে। কোড স্ক্যান করে দাখিলার সঠিকতা যাচাই করা যাবে।
সর্বশেষ খবর জানতে ক্লিক করুন
কোনো জমি ভোগদখলের জন্য প্রতিবছর সরকারকে নির্দিষ্ট হারে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। এটাকেই খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর বলা হয়। প্রতি শতাংশ জমি হিসেবে খাজনার হার ধরা হয় এবং এই হার পরিবর্তনযোগ্য।
প্রাচীনকাল থেকেই কৃষকেরা জমির খাজনা দিতেন। একসময় অর্থের পাশাপাশি উৎপাদিত ফসলও খাজনা হিসেবে নেওয়া হতো। ১৯৭৬ সালে ‘ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ’ জারির মাধ্যমে খাজনা শব্দটির পরিবর্তে ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ আনুষ্ঠানিক পরিভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাংলা সনের ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়।
ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার পর দাখিলা পাওয়ার অধিকার লাভ করেন করদাতা। দাখিলা দেওয়া না হলে তা আইনের লঙ্ঘন হবে। এই দাখিলা জমির মালিকানা প্রমাণের গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
এত দিন খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর প্রধানত নগদে পরিশোধ করা হতো। পাশাপাশি অনলাইনেও পরিশোধ করা যেত। তবে সরকার আগামী পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) থেকে ‘ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা’ চালু করছে। ফলে খাজনা নগদ পরিশোধের সুযোগ আর থাকছে না; অনলাইনে পরিশোধ বাধ্যতামূলক। এজন্য এই ওয়েবসাইটে গিয়ে খাজনা পরিশোধ করতে বলেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
অনলাইনে খাজনা পরিশোধ
জমির খাজনা অনলাইনে পরিশোধের জন্য নিবন্ধন অপরিহার্য। সহজে ভূমিসংক্রান্ত সেবা দিতে এরই মধ্যে বাংলাদেশে ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটাল সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে। এর আওতায় নিম্নলিখিত কাগজপত্রসহ উপজেলা ভূমি অফিস/ইউনিয়ন ভূমি অফিস/সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে যোগাযোগ করে জমির হোল্ডিং রেজিস্ট্রেশন বা মালিকানার নিবন্ধন করা যাবে।
যেসব কাগজ লাগবে >>
১. রেকর্ড/ খারিজ খতিয়ানের কপি
২. পূর্ববর্তী দাখিলার কপি
৩. পাসপোর্ট সাইজের ছবি ১ কপি
৪. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
৫. সচল মোবাইল ফোন নম্বর
সশরীরে হাজির না হয়েও জমির মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে নিম্নোক্ত উপায়ে নিবন্ধন করা যাবে। পদ্ধতিগুলো হলো-
১. অনলাইন পোর্টালে (www.land.gov.bd) অথবা (www.ldtax.gov.bd) জাতীয় পরিপয়পত্র বা এনআইডি নম্বর, মোবাইল ফোন নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।
২. কল সেন্টার নম্বরে (১৬১২২ অথবা ৩৩৩) ফোন করে জাতীয় পরিপয়পত্র বা এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ ও জমির তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের ধাপসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো:
খাজনার অর্থ পরিশোধ কীভাবে
জনগণের দোরগোড়ায় ভূমিসেবা পৌঁছে দিতে ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ‘ভূমিসেবা’ নামে মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। নাগরিকেরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা অনলাইন ব্যাংকিং বা অন্য যেকোনো ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন করের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন, ইউনিয়ন/পৌর ভূমি অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
জমির নিবন্ধন করে পেমেন্ট গেটওয়ে সোনালী সেবা/উপায়/ইউ-পে/একপে/ই-চালানের মাধ্যমে খাজনা পরিশোধের পর কিউআর কোড বা বারকোড সংবলিত ইলেক্ট্রনিক দাখিলা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে এবং তা ডাউনলোড করা যাবে। এটি প্রচলিত দাখিলার মতোই গ্রহণযোগ্য ও আইনসিদ্ধ হবে। কোড স্ক্যান করে দাখিলার সঠিকতা যাচাই করা যাবে।
সর্বশেষ খবর জানতে ক্লিক করুন
দেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুইবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
২৯ মিনিট আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগেনির্বাচনের দিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে সরকার বলে জানিয়েছেন ভূমি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিআইসিসিতে এশিয়ান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
২ ঘণ্টা আগেঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস ভিসা আবেদনকারীদের জন্য নতুন ঘোষণা দিয়েছে। সহজ হয়েছে সাক্ষাৎকারবিহীন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া। বিস্তারিত জানুন।
২ ঘণ্টা আগে