অনলাইন ডেস্ক
ধানমন্ডি ৩২সহ সারা দেশে গত দুই দিনে সংঘটিত ভাঙচুর ও সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে সহিংসতা প্রতিরোধে দায়সারা বিবৃতির পরিবর্তে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার বিকেলে টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশনের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
ধ্বংসাত্মক তৎপরতা পরিহারের আহ্বান জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা হয়তো বিতর্কের ঊর্ধ্বে। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সক্রিয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির কারণে এই প্রশ্ন যৌক্তিকভাবে উত্থাপিত হতে পারে। তাই শুধু দায়সারা বিবৃতি দিয়ে নয়, যেকোনো পরিস্থিতি আইনসিদ্ধভাবে মোকাবিলায় সরকারের দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দলীয়করণ ও পরিবারতন্ত্রের সীমাহীন লালসাতাড়িত কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বেশি অপূরণীয় ক্ষতি করেছে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসররা।’
‘পলাতক শেখ হাসিনা ও তাঁর দেশি-বিদেশি সহযোগীদের নির্লজ্জ ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে দেশবাসীর ক্ষোভের মাত্রা বহুগুণে বেড়েছে। তাই বলে আইনসিদ্ধ প্রতিক্রিয়ার পথ অনুসরণ না করে দেশব্যাপী যে প্রতিশোধপ্রবণ ভাঙচুর ও সহিংসতা চলেছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না’ বলে জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আগে থেকে সহিংস কর্মসূচি ঘোষণা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা সংস্থা ও তার সঙ্গে সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনরত সেনাবাহিনী, তথা সরকার কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশ্চর্যজনকভাবে নির্লিপ্ততার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত’—এমন বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও লক্ষণীয়।’
উদ্ভূত পরিস্থিতি বাস্তবে পতিত আওয়ামী কর্তৃত্ববাদের পুনরুত্থানকামী মহলকেই অধিকতর সুযোগ করে দেওয়ার শঙ্কা তৈরি করছে জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এমনটি অব্যাহত থাকলে নজিরবিহীন আত্মত্যাগের বিনিময়ে সূচিত “নতুন বাংলাদেশের” অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়বে, একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন এবং বিশেষ করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার সম্ভাবনাকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়া হবে।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘শেখ হাসিনাসহ কর্তৃত্ববাদের সকল দোসরকে সুনির্দিষ্ট অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা “নতুন বাংলাদেশের” স্বপ্নপূরণের সর্বোচ্চ প্রাধান্যপ্রাপ্ত করণীয়। তবে এ জন্য প্রতিশোধপ্রবণ ও আত্মঘাতী মব-জাস্টিস নয়, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের পথ অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।’
একই সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারীদের মামলা দিয়ে হয়রানির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্র ও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন সহনশীলতার পরিচয় দেবে—এমন প্রত্যাশাও করে টিআইবি।
ধানমন্ডি ৩২সহ সারা দেশে গত দুই দিনে সংঘটিত ভাঙচুর ও সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে সহিংসতা প্রতিরোধে দায়সারা বিবৃতির পরিবর্তে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার বিকেলে টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশনের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
ধ্বংসাত্মক তৎপরতা পরিহারের আহ্বান জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা হয়তো বিতর্কের ঊর্ধ্বে। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সক্রিয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির কারণে এই প্রশ্ন যৌক্তিকভাবে উত্থাপিত হতে পারে। তাই শুধু দায়সারা বিবৃতি দিয়ে নয়, যেকোনো পরিস্থিতি আইনসিদ্ধভাবে মোকাবিলায় সরকারের দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, দলীয়করণ ও পরিবারতন্ত্রের সীমাহীন লালসাতাড়িত কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বেশি অপূরণীয় ক্ষতি করেছে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসররা।’
‘পলাতক শেখ হাসিনা ও তাঁর দেশি-বিদেশি সহযোগীদের নির্লজ্জ ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার পরিপ্রেক্ষিতে দেশবাসীর ক্ষোভের মাত্রা বহুগুণে বেড়েছে। তাই বলে আইনসিদ্ধ প্রতিক্রিয়ার পথ অনুসরণ না করে দেশব্যাপী যে প্রতিশোধপ্রবণ ভাঙচুর ও সহিংসতা চলেছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না’ বলে জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আগে থেকে সহিংস কর্মসূচি ঘোষণা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা সংস্থা ও তার সঙ্গে সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনরত সেনাবাহিনী, তথা সরকার কার্যকর নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আশ্চর্যজনকভাবে নির্লিপ্ততার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত’—এমন বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টাও লক্ষণীয়।’
উদ্ভূত পরিস্থিতি বাস্তবে পতিত আওয়ামী কর্তৃত্ববাদের পুনরুত্থানকামী মহলকেই অধিকতর সুযোগ করে দেওয়ার শঙ্কা তৈরি করছে জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এমনটি অব্যাহত থাকলে নজিরবিহীন আত্মত্যাগের বিনিময়ে সূচিত “নতুন বাংলাদেশের” অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়বে, একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, সুশাসন এবং বিশেষ করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার সম্ভাবনাকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়া হবে।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘শেখ হাসিনাসহ কর্তৃত্ববাদের সকল দোসরকে সুনির্দিষ্ট অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা “নতুন বাংলাদেশের” স্বপ্নপূরণের সর্বোচ্চ প্রাধান্যপ্রাপ্ত করণীয়। তবে এ জন্য প্রতিশোধপ্রবণ ও আত্মঘাতী মব-জাস্টিস নয়, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের পথ অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।’
একই সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারীদের মামলা দিয়ে হয়রানির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্র ও সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন সহনশীলতার পরিচয় দেবে—এমন প্রত্যাশাও করে টিআইবি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার মো. রিয়াজ হামিদুল্লাহ। এ উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও হাই কমিশনের কূটনীতিক, দিল্লির নাগরিক সমাজের সদস্য এবং সাংবাদিকদের নিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ শল্য চিকিৎসক ঢাকায় এসেছিলেন। তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মূলত গত বছরের জুলাই আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় চোখে আঘাত পাওয়া আন্দোলনকারীদের সুচিকিৎসা দেওয়া। এরই মধ্যে ব্রিটিশ চিকিৎসকেরা অন্তত ২০ জন জুলাইযোদ্ধা
৫ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নের সবার লক্ষ্য এক। তবে সংস্কার বাস্তবায়নের পথ নিয়ে সামান্য ভিন্নতা আছে। আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করে যে সব জায়গায় ঐকমত্য আছে তার ভিত্তিতে দ্রুতই জাতীয় সনদ তৈরি করা যাবে। এই সনদ তৈরির মাধ্যমে জাতির রাষ্ট্র সংস্কারের...
৬ ঘণ্টা আগে