নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের মূল্যবোধকে বিনষ্ট ও বিকৃত করা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে বিচার বিভাগকে সততা ও অধিকারবোধের নিরাপদ দুর্গে পরিণত করা হবে।
আজ শনিবার অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে দেওয়া অভিভাষণে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ বিনষ্ট ও বিকৃত করা হয়েছে। শঠতা, বঞ্চনা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে বিচার বিভাগকে ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এতে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। অথচ বিচার বিভাগের সবচেয়ে শক্তির জায়গা হচ্ছে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। তাই নতুন এই বাংলাদেশে আমরা এমন একটি বিচার বিভাগ গড়তে চাই, যা সততা ও অধিকারবোধের নিরাপদ দুর্গে পরিণত হবে।’
সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া অভিভাষণে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, বিদ্যমান সমস্যাগুলোর মধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ কার্যকরভাবে পৃথক না হওয়া। এর কুফল আমরা সবাই ভোগ করেছি গত দেড় দশক ধরে। এ ছাড়া আছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব, মামলার অনুপাতে বিচারকের স্বল্পতা, বার ও বেঞ্চের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাবের ঘাটতি, অবকাঠামোগত সংকট, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিতে গ্রহণযোগ্য নীতিমালা না থাকা, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ, স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতিতে আইন না থাকা, যা আমাদের বারবার পিছিয়ে দিয়েছে। এ জন্য বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক ও স্বাধীন করা সবচেয়ে জরুরি।’
ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতার স্বার্থে মাসদার হোসেন মামলার রায় বাস্তবায়ন আবশ্যক। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালতের বিচারকগণ বিচারকার্যের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন মর্মে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা তত দিন পর্যন্ত নিশ্চিত হবে না, যত দিন বিচার বিভাগের বিরাজমান দ্বৈত ব্যবস্থা, অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ এখতিয়ার জরুরি ভিত্তিতে বিলোপ করে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা না হবে। এটি হবে বিচার বিভাগ সংস্কারের প্রথম ধাপ।’
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের মূল্যবোধকে বিনষ্ট ও বিকৃত করা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে বিচার বিভাগকে সততা ও অধিকারবোধের নিরাপদ দুর্গে পরিণত করা হবে।
আজ শনিবার অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে দেওয়া অভিভাষণে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ বিনষ্ট ও বিকৃত করা হয়েছে। শঠতা, বঞ্চনা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে বিচার বিভাগকে ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এতে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। অথচ বিচার বিভাগের সবচেয়ে শক্তির জায়গা হচ্ছে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। তাই নতুন এই বাংলাদেশে আমরা এমন একটি বিচার বিভাগ গড়তে চাই, যা সততা ও অধিকারবোধের নিরাপদ দুর্গে পরিণত হবে।’
সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া অভিভাষণে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, বিদ্যমান সমস্যাগুলোর মধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ কার্যকরভাবে পৃথক না হওয়া। এর কুফল আমরা সবাই ভোগ করেছি গত দেড় দশক ধরে। এ ছাড়া আছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব, মামলার অনুপাতে বিচারকের স্বল্পতা, বার ও বেঞ্চের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাবের ঘাটতি, অবকাঠামোগত সংকট, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিতে গ্রহণযোগ্য নীতিমালা না থাকা, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ, স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতিতে আইন না থাকা, যা আমাদের বারবার পিছিয়ে দিয়েছে। এ জন্য বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক ও স্বাধীন করা সবচেয়ে জরুরি।’
ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতার স্বার্থে মাসদার হোসেন মামলার রায় বাস্তবায়ন আবশ্যক। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালতের বিচারকগণ বিচারকার্যের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন মর্মে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা তত দিন পর্যন্ত নিশ্চিত হবে না, যত দিন বিচার বিভাগের বিরাজমান দ্বৈত ব্যবস্থা, অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ এখতিয়ার জরুরি ভিত্তিতে বিলোপ করে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা না হবে। এটি হবে বিচার বিভাগ সংস্কারের প্রথম ধাপ।’
দেশের সব টিভি চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনে কমপক্ষে দুবার প্রচার করতে হবে ‘জুলাই অনির্বাণ’ ভিডিওচিত্র। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে তথ্য..
১ ঘণ্টা আগেনতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অপর চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রোববার বেলা দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁদের শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগেনির্বাচনের দিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে সরকার বলে জানিয়েছেন ভূমি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। আজ শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিআইসিসিতে এশিয়ান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
২ ঘণ্টা আগেঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস ভিসা আবেদনকারীদের জন্য নতুন ঘোষণা দিয়েছে। সহজ হয়েছে সাক্ষাৎকারবিহীন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া। বিস্তারিত জানুন।
২ ঘণ্টা আগে